![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০১২ সালের ৫ মার্চ মধ্যরাতে গুলশানের ১১৭ নম্বর সড়কে নিজের বাসার কাছে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন সৌদি দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী।এ বছর জানুয়ারি মাসে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমানের গাড়ীতে ব্যাপক গুলিবর্ষণ করা হয় এবং যাতে তিনি আহত হন। সবশেষ, গতকাল সন্ধ্যায় গুলশানের কূটনৈতিক পাড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে এক ইতালীয় নাগরিক তাবেলা সিজার নিহত হয়েছেন। বাংলাদেশে হত্যার মাধ্যেমে মৃত্যু একটি স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। রুঢ় শোনালেও ব্যক্তিগতভাবে এ ধরনের সংবাদ আমাকে খুব একটা এখন আর ভাবায় না। পরিস্কারভাবে বললে আমি মৃত্যু সংবাদ দেখি না ও পড়িও না।কিন্তু উপরে উল্লিখিত ঘটনা তিনটি আমাকে বিশেষভাবে চিন্তিত করেছে কারণ এতে সচরাচর সুবিধাভোগীদের জড়িত থাকার সম্ভাবনা শূণ্যের কোঠায়। প্রশ্ন হচ্ছে , তবে কে কারা এধরনের হাই সিকিউরিটি জোনে সর্বোচ্চ পর্যায়ের ঝুঁকি গ্রহণ করে হত্যাকান্ডের মতো ঘটনা ঘটিয়ে নিরাপদে চলে যেতে পারে।তিনটি ঘটনার ভুক্তভোগীদের একজনের ক্ষেত্রেও কিন্তু ব্যক্তিগত শত্রুতা বা ছিনতাইয়ের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে তিনটি ঘটনারই কিন্তু আন্তর্জাতিক সংবাদ মূল্যে অত্যাধিক। অথচ বাংলাদেশে প্রচলিত রাজনৈতিক দলের সবার জন্যেই দেশের নিরাপত্তাজনিত কারণে ঘটনাগুলো চরমভাবে অস্বস্তিকর।
অপ্রাসঙ্গিকভাবে একটি বিষয় উল্লেখ করে শেষ করবো। লাদেনকে আমেরিকান ''নেভি সিল'' পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ধরে নিয়ে যায়। পাকিস্তান সশস্ত্রবাহিনীর জন্যে লজ্জাজনক হলেও তারা বিষয়টি নিয়ে উচ্চবাচ্য করে না। কিন্তু পাকিস্তানসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের যারা নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিন্দুমাত্র খোঁজখবর রাখেন প্রচারণাটি বিশ্বাস করে না।
©somewhere in net ltd.