![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
''যেসব দেশে স্বৈরশাসন দীর্ঘকাল ধরে টিকে থাকে , যেমন স্পেন ও পর্তুগাল , সেসব দেশে গণতন্ত্রের স্থায়ী শিকড় গাড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে, বিশেষ করে সেসব দেশের তুলনায় , যেখানে একবার গণতন্ত্র আর একবার স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার নিয়মিত পালাবদল ঘটতে দেখা যায় ।কারণ, স্বৈরতন্ত্রের ব্যাপারে একসময় যে ব্যাপক ঐক্যমত্য গড়ে উঠেছিলো, মানুষ ঠিক সেই ধরনের ঐক্যমত্য গণতন্ত্রের প্রতি দেখাতে আগ্রহ প্রকাশ করে।''
-হান্টিংটনের তত্ত্বটা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতির ক্ষেত্রে কতটা সঠিক বা ভ্রান্ত তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। তবে এটা ঠিক ,বাংলাদেশ ১৯৭৫ থেকে ১৯৯১ সাল অর্থ্যাৎ ১৬ বছর সামরিক শাসনের অধীনে এবং সর্বশেষ ২০০৭ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত বিশেষ পদ্ধতির সামরিক শাসনের অধীনে ছিলো। সেই হিসেবে বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৪৫ বছরের মধ্যে প্রায় ১৮ বছর একনায়কতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার অধীনে ছিলো। তবে এটাকে স্থায়ী একনায়কতান্ত্রিকতা বলা যাবে কিনা , সেটা স্পষ্ট নয়।স্পেন, পর্তুগাল,চিলি,সালভাদর,গুয়েতামালার ক্ষেত্রে যে ধরনের নিরবচ্ছিন্ন এবং দীর্ঘমেয়াদী সামরিক শাসন আমরা লক্ষ করেছি , বাংলাদেশে সে ধরনের সামরিক শাসনের আওতায় কখনোই ছিলো না।
১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮১ এবং ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ ও সর্বশেষ ২০০৭ থেকে ২০০৯ -মাঝে বিরতি দেয়া এই সামরিক শাসনকে নিরবচ্ছিন্ন বলা যায় না। অবশ্য সময়ের মাপকাঠিতে বিচার করলে ১৮ বছর আবার কম দীর্ঘও নয়।যাদি তাই হয় তবে হান্টিংটনের তত্ত্ব বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সঠিক না-ও হতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশে গণতন্ত্রও আবার কখনোই নিরবচ্ছিন্ন ছিলো না ,যেমনিভাবে স্বৈরশাসনও সে অর্থে এখানে তেমন শক্ত ভীত গড়ে তুলতে পারেনি।
সেদিক থেকে বিচার করলে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে হান্টিংটনের তত্ত্ব সঠিক।কারণ, যেসব দেশের শাসনব্যবস্থা একবার গণতন্ত্র আর একবার স্বৈরতন্ত্রের মধ্যে পেন্ডুলামের মতো দোল খায় , সেসব দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা যদি কঠিন অথবা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে থাকে , তাহলে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে হান্টিংটনের তত্ত্বটি সঠিক বলে প্রতীয়মান হয়।কারণ বাংলাদেশ দীর্ঘদিন যাবৎ হান্টিংটন অনুশ্রুত রাজনৈতিক তত্ত্ব অনুসরণ করে চলেছে।
অন্ততপক্ষে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিশ্লেষণ করলে সেটাই মনে হয়।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫১
মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। পৃথিবীর কোন তত্ত্বই বাংলাদেশের জন্যেই প্রযোজ্য নয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাংলাদেশে অন্য কোন তত্ত্বই খাটবে না।
কারণ পৃথিবীর আর একটা দেশ দেখান যেখানে সরকারই সরকার- সরকারই বিরোধী দল!
আমাদের কথিত সুুশীল সমাজ আর মিডিয়া দেশের আজকের এই অবস্থার জণ্য বহুলাংশে দায়ী। রাজনীতি বিদের ভুলকে ভুল না বলে তোষামুদি করা, অন্ধ সমর্থনে এক চোখা নীতি, সব থেকে বড় দেশের চেয়ে দলকে বড় ভাবা (চেতনার দোহাই দিয়ে) আবার দলের চেয়ে ব্যক্তি পূজাই কাল হয়ে দাড়িয়েছে গণতন্ত্রের পথে!
সামন্তবাদী, রাজতান্ত্রিক প্রথায় অভ্যস্ত গোলামী রক্তই তাদের উৎসাহিত করছে। চামচামি মোসাহেবি! করছে!!!
চির বুঘলকপুর বাংলার স্বাধীন চেতা স্বত্তা বারবার বিদ্রোহ করেছে। এখনো করছে। মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত করতেই থাকবে।