নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোঃ মাকসুদুর রহমান

মোঃ মাকসুদুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুধুমাত্র চুক্তির মাধ্যমে কোনো এলাকা বা জাতিগোষ্ঠীর মধ্যো আস্থা আনা সম্ভব নয়

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

বাংলাদেশের তিনটি পার্বত্য জেলাও মূল ভূখন্ডের বাইরের কোনো অংশ নয়। কিন্তু আমার অকার্যকর মস্তিস্কে একটি বিষয় কিছুতেই বুঝে উঠতে পারে কেন দেশের একটি অঞ্চলে প্রবেশের সময় ও সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে বিভিন্ন আইনশৃংখলা বাহিনীর কাছে অনুমতি নিতে হবে। আমরা যখন দেশের যেকোনো যায়গায় যখন খুশী যেতে পারি এবং যখন খুশী বের হতে পারি রাতে কিংবা দিনে সব সময়। তবে কেন একটি অঞ্চলের বিষয়ে ব্যতিক্রম নিয়ম প্রচলিত থাকবে।মানুষ বা যেকোনো প্রানীর স্বভাবজাত অভ্যাস হচ্ছে সে স্বাধীনভাবে চলাচল করবে।কেউ যদি তার স্বাভাবিক চলাফেরায় বিগ্ন সৃষ্টি করে তাকে সে মৌলিক অধিকারের লংঘণ বলে ধরে নেয়।আর সেখানে পার্বত্য এলাকার জনগোষ্ঠীর লোকদের বছরের পর বছরের এক অর্থে বন্দী প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে জীবনযাপন করে যাচ্ছে । যা তাদের বাংলাদেশের মূল ভূখন্ডের সাধারণ মানুষের স্রোতধারায় মিলিত হওয়ার প্রধান প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করছে।রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারকদের একটি বিষয় অনুধাবন করতে হবে শুধুমাত্র চুক্তির মাধ্যমে কোনো এলাকা বা জাতিগোষ্ঠীর মধ্যো আস্থা আনা সম্ভব নয় ,তাদের প্রতি দেশের অন্য সবার মতো সমান আচরণ যেমন, সমাজের অন্যান্য জনগোষ্ঠীর চলাচলের যে অবাধ রয়েছে পার্বত্য এলাকার নাগরিকদেরও সেই অধিকার দিতে হবে।যাতে তারা দেশের অন্য যেকোনো অঞ্চলের নাগরিকের ন্যায় রাষ্ট্র কতৃক প্রদত্ত সমান মোলিক অধিকার প্রাপ্ত নাগরিক হিসেবে ভাবতে পারেন।অন্যথায় পার্বত্য এলাকায় জন্ম নেয়া পরবর্তী প্রজন্ম বর্তমানের চেয়ে আরো বেশি করে নিজ ভূমিতে পরাধীন নাগরিক ভাবতে শুরু করবে।যা এই অঞ্চলের সমস্যকে আরো প্রলম্বিত করবে।
(পূণশ্চঃ কাছাকাছি সময়ে এই অঞ্চলে গিয়ে নিরাপত্তার বাড়াবাড়িতে আমি নিজেই ত্যক্তবিরক্ত। সেখানে ঐ অঞ্চলে যারা জন্ম নিয়েছেন , দীর্ঘদিন বসবাস করছেন তাদের মনোজগতের অবস্থা কি হতে পারে, তা কিছুটা হলেও অনুভব করতে পারছি।)

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯

সুমন কর বলেছেন: ভালো বলেছেন। সহমত।
+।

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩১

আনু মোল্লাহ বলেছেন: পার্বত্য অঞ্চলে যেসমস্ত সরকারী নিয়ম কানুন জারী রয়েছে তার যুক্তিসঙ্গত এবং বাস্তবভিত্তিক কারন আছে।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৬

মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: দয়া করে বলবেন কি কি কি যুক্তিসংগত ও বাস্তবভিত্তিক কারণ আছে।

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশের অনুমতির দরকার বিদেশি নাগরিকদের, কোন বাংলাদেশির নয়। আপনি কি বিদেশি, মানে ইন্ডিয়ান? তাহলেতো অনুমতি নিতেই হবে। আমাকেও দার্জিলিং থেকে কালিম্পং যেতে দেয়নি ভারতে, তার কারণও আছে। অন্তত, তারা আমাকে আমার নিরাপত্তার কারণটি উল্লেখ করেছে।

তবে আপনি বাংলাদেশি হলে মনে হচ্ছে অন্যের মুখে ঝাল খেয়েছেন, কারণ বিদেশিদের জন্য নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশিদের জন্যেও প্রযোজ্য বলেছেন, যেটা হাস্যকর। শান্তিচুক্তির শর্ত ছিল পাহাড়িরা অস্ত্র সমর্পণ করে শান্তির মিছিলে যোগ দেবে। কিন্তু পাহাড়ে উপজাতিরা অস্ত্র সমর্পনের নামে নাটক করেছে, অধিকাংশ অস্ত্র জমা দেয়নি, চুক্তির পর থেকে একদিনের জন্যেও পাহাড়ি জনপদ সন্ত্রাসীদের আগ্নেয়াস্ত্র থেকে মুক্ত হয়নি। এখন তাদের তিন তিনটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল পাহাড়ে সন্ত্রাসের রাজ্য কায়েম করে রেখেছে। আপনি জেএসএস (সন্তু), ইউপিডিএফ ও জেএসএস (সংস্কার) - এদের নাম শুনেননি? তাদের চাঁদাবাজি ও অপহরণ বাণিজ্যের কোন ঘটনা শুনেননি? সন্তুর সন্ত্রাসী দলের মিলিটারি একাডেমি পর্যন্ত রয়েছে মিজোরামে। রয়েছে অসংখ্য ক্যাম্প ও অস্ত্রের ক্যাশে (লুকানো ভান্ডার)।

ইউপিডিএফ এক খাগড়াছড়িতেই সাড়া চারশো কোটি টাকার অবৈধ ট্যাক্স (চাঁদা) আদায় করে। প্রতি ইউনিয়ন প্রতি তাদের রয়েছে নিয়োগপ্রাপ্ত কালেকটর ও উপজেলায় ডাইরেকটর। তাদের মাসিক বেতন নির্ধারিত আছে যথাক্রমে ৭-১০ হাজার এবং ২৫ হাজার করে। ডাইরেক্টরগণ প্রত্যেকে উপজাতিদের মাঝে বিভিন্ন উপলক্ষ্যে মাসিক সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা খরচের অধিকার রাখেন। তাদের ক্যাডারদের সন্তানদের কোচিঙের টাকা পর্যন্ত দেয়া হয়। এসব টাকা পাহাড়ের সকলের, মূলত বাঙালিদের থেকে আদায় করা টাকায় হচ্ছে। চাঁদা, মুক্তিপণ না দিলেতো আছেই নির্যাতন ও নৃশংস হত্যাকান্ড। পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের এখন জনপ্রতি অস্ত্র উদ্ধৃত, তারা চোরাই পথে অস্ত্র এনে দেশ অস্ত্রবাণিজ্য করেও বিপুল কামিয়ে নিচ্ছে। এটা ইউপিডিএফ-এর খাগড়াছড়ির বিষয়ে বললাম, সারা পার্বত্য চট্টগ্রামে ভিন্ন কোন চিত্র আশা করেন? আর তিন সন্ত্রাসী দলের মিলিত আয়-ইনকাম কত সেটা আপনার সুবিবেচনার জন্য রেখে গেলাম।

সেখানে সেনাবাহিনী একদিনের জন্যে না থাকলে বাঙালিদের কচুকাটা করে নিকেষ করে দেবে - এই নিরাপত্তার বিষয়ে ন্যূনতম ধারণা আছে? আর এইসব সন্ত্রাসীদের জন্য একদল কুচক্রী বিদেশি আর এদেশী বামপন্হী দালাল সবসময় রয়েছে ষড়যন্ত্রের ঘোট পাকাতে। পাশাপাশি, বান্দরবানে আরাকান আর্মি ইত্যাদির উপদ্রব রয়েছে, সেখানে আপনার চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা আপনার তথা দেশের নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের জন্যেই। এটা মেনে নেয়া সুনাগরিকের কাজ।

পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রবেশের অনুমতির দরকার বিদেশি নাগরিকদের, কোন বাংলাদেশির নয়। আপনি কি বিদেশি, মানে ইন্ডিয়ান? তাহলেতো অনুমতি নিতেই হবে। আমাকেও দার্জিলিং থেকে কালিম্পং যেতে দেয়নি ভারতে, তার কারণও আছে। অন্তত, তারা আমাকে আমার নিরাপত্তার কারণটি উল্লেখ করেছে। তবে বাংলাদেশি হলে মনে হচ্ছে অন্যের মুখে ঝাল খেয়েছেন, কারণ বিদেশিদের জন্য নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বাংলাদেশিদের জন্যেও প্রযোজ্য বলেছেন। শান্তিচুক্তির শর্ত ছিল পাহাড়িরা অস্ত্র সমর্পণ করে শান্তির মিছিলে যোগ দেবে। কিন্তু পাহাড়ে উপজাতিরা অস্ত্র সমর্পনের নামে নাটক করেছে, অধিকাংশ অস্ত্র জমা দেয়নি, চুক্তির পর থেকে একদিনের জন্যেও পাহাড়ি জনপদ সন্ত্রাসীদের আগ্নেয়াস্ত্র থেকে মুক্ত হয়নি। এখন তাদের তিন তিনটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল পাহাড়ে সন্ত্রাসের রাজ্য কায়েম করে রেখেছে। আপনি জেএসএস (সন্তু), ইউপিডিএফ ও জেএসএস (সংস্কার) - এদের নাম শুনেননি? তাদের চাঁদাবাজি ও অপহরণ বাণিজ্যের কোন ঘটনা শুনেননি? সন্তুর সন্ত্রাসী দলের মিলিটারি একাডেমি পর্যন্ত রয়েছে মিজোরামে। রয়েছে অসংখ্য ক্যাম্প ও অস্ত্রের ক্যাশে (লুকানো ভান্ডার)। ইউপিডিএফ এক খাগড়াছড়িতেই সাড়া চারশো কোটি টাকার অবৈধ ট্যাক্স (চাঁদা) আদায় করে। প্রতি ইউনিয়ন প্রতি তাদের রয়েছে নিয়োগপ্রাপ্ত কালেকটর ও উপজেলায় ডাইরেকটর। তাদের মাসিক বেতন নির্ধারিত আছে যথাক্রমে ৭-১০ হাজার এবং ২৫ হাজার করে। ডাইরেক্টর উপজাতিদের মাঝে বিভিন্ন উপলক্ষ্যে মাসিক সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা খরচের অধিকার রাখেন। পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের এখন জনপ্রতি অস্ত্র উদ্ধৃত, তারা চোরাই পথে অস্ত্র এনে দেশ অস্ত্রবাণিজ্য করেও বিপুল কামিয়ে নিচ্ছে। এটা ইউপিডিএফ-এর খাগড়াছড়ির বিষয়ে বললাম, সারা পার্বত্য চট্টগ্রামে ভিন্ন কোন চিত্র আশা করেন? আর তিন সন্ত্রাসী দলের মিলিত আয়-ইনকাম কত সেটা আপনার সুবিবেচনার জন্য রেখে গেলাম।
সেখানে সেনাবাহিনী একদিনের জন্যে না থাকলে বাঙালিদের কচুকাটা করে নিকেষ করে দেবে - এই নিরাপত্তার বিষয়ে ন্যূনতম ধারণা আছে? আর এইসব সন্ত্রাসীদের জন্য একদল কুচক্রী বিদেশি আর এদেশী বামপন্হী দালাল সবসময় রয়েছে ষড়যন্ত্রের ঘোট পাকাতে। পাশাপাশি, বান্দরবানে আরাকান আর্মি ইত্যাদির উপদ্রব রয়েছে, সেখানে আপনার চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা আপনার এবং দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের জন্যেই। এটা মেনে নেয়া সুনাগরিকের কাজ।

আপনি যখন ইউরোপ-আমেরিকার এয়ারপোর্টে প্রায় নগ্ন হয়ে চেকড হন, সেটাও নিরাপত্তার জন্যে, সকলের মঙ্গলের জন্য। সেই নিরাপত্তা দেশের কোথাও হলে এলার্জি হওয়ার কারণ নাই। বইমেলার কথা ধরুন, সবার জন্য উন্মুক্ত, কিন্তু সেখানেও সিক্যুরিটি চেক হয়, সেই নিরাপত্তার কড়াকড়ি নিয়ে বিতন্ডা করার কিছু নাই। সেটা সবার মঙ্গলের জন্য।

তবে একটি ভাল কথা বলেছেন, শুধুমাত্র চুক্তির মাধ্যমে কোনো এলাকা বা জাতিগোষ্ঠীর মধ্যো আস্থা আনা সম্ভব নয়। সরকারের পক্ষে অবশ্যই কিছু করণীয় আছে, অনেক কিছু করেছেও। এখন উপজাতিদের পালা, সত্যিকারের অস্ত্র সমর্পণ করে সন্ত্রাসের পথ ছেড়ে পার্বত্য তাদের সুনাগরিক হওয়ার দীক্ষা নিতে হবে।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: আপনি কি কখনো ঢাকা , রাজশাহী বা বগুড়া কোনো শহরে ঢোকার প্রাক্কালে গাড়ী থেকে নেমে ঢোকার কারণ , কখন ফিরে যাবেন সেই প্রশ্নের জবাব(ড্রাইভারকে দিতে হলেও সেটাতো যাত্রীর জন্যেই) দিতে হয়? না , হয় না। কিন্তু তিন পার্বত্য এলাকায় দিতে হয়। ষরে প্রবেশের সময় ও বের হওয়ার সময় দুইবার দিতে হয়।সেটা বাংলাদেশী হন আর যেই হন না কেন। বিদেশীদের কথা আমি এখানে উল্লেখই করিনি।
আর আপনি যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কথা বলেছেন এই সমস্যার সমাধান কোনোভাবেই এই ধরনের নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সম্ভব নয়।বরং দেশের অন্যন্য অঞ্চলের সাধারণ মানুষের সাথে অর্থ্যৎ সমাজের মূল স্রোতের সাথে স্বাভাবিকভাবে মিলিত হওয়ার মাধ্যমে তাদেরকে আস্থায় আনতে হবে।আরো পরিস্কারভাবে বললে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠির নাগরিকদের পার্বত্য এলাকার মানুষদের বিষয়ে মানসিকতার পরিবর্তন আনতে হবে।

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ক্ষতিগ্রস্থের সাথে একমত। তারাই বা কেন বাঙালী খেদাতে চায়। তাদের ভূখন্ডে বাঙালী যদি সেটেলার হিসেবে না পাঠানো হতো আর আর্মি না পাঠানো তাহলে এতদিনে তারা আরো অনেক দাবী করতো। তাদেরই বরং উচিত সব সংগ্রাম ভুলে বাংলাদেশী হওয়া। যে চুক্তির কথা সবাই বলে, তাদের মধ্যেই তো মারামারি হয় চুক্তিবিরোধীদের সাথে। আগে তাদের ঠিক করতে হবে তারা বাংলাদেশী হতে চায় নাকি বিশেষ এলাকায় আলাদা নিয়ম নীতি নিয়ে চলতে চায়?

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৬

মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: হাস্যকর কথা না বলে একবার অনুধাবন করুন আপনাকে সংখ্যাগত দিক দিয়ে চোখ রাঙ্গানির পরিকল্পনা নিয়ে অন্য গ্রাম থেকে লোক এনে যদি আপনার ঘরের পাশ বসতি স্থাপন করানো হয়, তখন আপনি কি এটাকে সহজভাবে মেনে নিবেন । নিবেন না। ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে পার্বত্য এলাকায় । পরিকল্পিতভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পার্বত্য এলাকার স্থায়ী বাসিন্দাদের সংখ্যালঘুতে পরিণত করার অপপ্রয়াস নিয়েই সেটেলারদের বসতি গড়ে তোলা হয়। যার ফলশ্রুতিতে আজকের সমস্যার সৃষ্টি। যদিও কাপ্তাই লেক খননের সময় থেকেই এই সমস্যার সূত্রপাত।

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৪১

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আমার মনে হয় পাহাড়িদের স্বকীয়তা বজায় রাখতে পারবার ব্যবস্থা নিতে হবে সরকারকেই। তারা আসলেই সবদিক থেকে এখনো অনগ্রসর, তাদের তুলে আনতে হবে। আমরা যেন তাদের সাথে এমন আচরন না করি যেটা পাকিস্তানিরা আমাদের সাথে করতো। পাহাড়িদের সহিংস হবার পেছনে বাঙ্গালীদের ভুমি দখন, অত্যাচার, সেনাবাহিনীর অত্যাচারও কারন। যদিও এখন পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। আমাদেরই পাহাড়ীদের আপন ভেবে ওদের মুলধারায় টেনে নিয়ে আসতে হবে। নিজেদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যও যেন বজায় রাখতে পারে সেই ব্যবস্থাও করা উচিত।

৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৫১

চলন বিল বলেছেন: পাহাড়ি গুলো যে কি পরিমান ডেঞ্জারাস তা বুঝতে চাইলে ওদের ফেসবুক পেজে যান, বাঙ্গালি নারী ধর্ষিত হলে এরা আনন্দ উৎসব করে, বার্মিজ সৈন্যের হাতে বিজিবি মরলে সবার আগে নেচে ওঠে এই পাহাড়ির দল,
তবে সবাইকে এক কাতারে ফেলা ঠিক না, মারমা গোষ্ঠী শান্তিপ্রিয় , তুলনামূলক চাকমারাই সহিংস।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:১২

মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: পাহাড়িরা কেন এত ভয়ংকর হলো তার কারণ খুঁজে বের করতে হবে।আর সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক হিসেবে সেই দায়িত্ব আমাদের।

৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পাহাড়ীদের বিরাট অংশ ৭১-এ পাকিস্তানীদের পক্ষে ছিল। চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় (বর্তমান রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ-এর বাবা) পাকিস্তানের পক্ষে থেকে ওখানের নাগরিকত্ব নিয়ে কয়েক বছর আগে পাকিস্তানেই মৃত্যুবরণ করেন। এরা আগে থেকেই বাঙালী বিরোধী। বঙ্গবন্ধু কমরেড মনি সিংহ-কে পাহাড়ীদের অধিকার সম্পর্কে বলেছিলেন, তোরা বাংলাদেশী হয়ে যা। জিয়াউর রহমান তাদের হাব ভাব বুঝে আর্মি আর সেটেলার পাঠানো শুরু করে। তাহলে দেখা যায়, আমাদের ২ নেতাই পাহাড়ীদের নিয়ে কনসার্ন ছিলেন। একই দেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান যদি থাকতে পারে তাহলে পাহাড়ী - বাঙালী কেন থাকতে পারবে না? এরাই এদের পরিণতির জন্য দায়ী। তাদের অনেকেই মূলধারার কলেজ, ভার্সিটিতে পড়ে এস্টাবলিশড হয়ে গিয়েছেন। বাঙালী অন্যায় করছে তাদের উপর - সেগুলোর শাস্তি প্রচলিত আইনেই করা যায়। কিন্তু তারা সশস্ত্র সংগ্রাম করে বাঙালী হঠাবে এটা মেনে নেয়া যায় না। শহীদ মিনারের সামনে আর সেমিনার টেবিলে বসে পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যা অনুধাবন করা যাবে না।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০৮

মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: আপনার কথা ধরে নিয়েই বলতে হয় আমাদের দুর্ভাগ্য হচ্ছে বঙ্গবন্ধু ও শহীদ জিয়া দুইজনেরই পার্বত্য নীতি ভুল ছিলো। অথবা বলতে হয় মানুষের প্রবৃত্তিওই হচ্ছে দূর্বলদের গলাটিপে ধরা। কারণ পাকিস্তানী শাষকগোষ্ঠী যখন আমাদের ভাষা , আমাদের নাগরিক অধিকারের উপরে হামলা চালায় তখন আমরা ফুঁসে উঠি । সেই আমরাই যখন দেশ স্বাধীন করে সকলের অধিকার সমুন্নত করব,তা না করে উপজাতিদের বাঙ্গালী হতে আহবান করি এটা কি চরম স্ববিরোধীতা নয়। চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় যেমন রাজাকার ছিলেন তেমনি উপজাতিদের মধ্যে অত্যাধিক জনপ্রিয় মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
তবে আপনি ঠিক বলেছেন শহীদ মিনার বা সেমিনারে বসে পার্বত্য সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় এজন্যে প্রয়োজন সামগ্রিকভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ নাগরিক হিসেবে আপনার আমার সকলের মানসিকতার পরিবর্তন। কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখতে জাতিগত ও সামাজিক সমস্যাসমূহ কখনোই সামরিক কায়দায় সমাধান সম্ভব নয়।তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ আমেরিকার অনুসূর্ত ইরাক ও আফগানিস্তান নীতির চরম ব্যর্থতা। শুধু তাই নয় এর ফল স্বরুপ আইএস এর মতো ভয়ংকর জঙ্গি গোষ্ঠীর উত্থাণে সারা বিশ্ব আজ তটস্থ।

৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৪:৫৩

বিপরীত বাক বলেছেন: বেশ জ্ঞানগর্ভ আলোচনা তো।। থৈ পাচ্ছি না।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.