![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শচীন টেন্ডুলকার আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সফল খেলোয়াড় ছিলেন এটা আমরা সবাই জানি।তাঁর বিজ্ঞাপন মূল্য অন্য যেকোনো সমসাময়িক খেলোয়াড়ের তুলনায় অনেক বেশি ছিলো এটাও নির্দ্ধিধায় বলা যায়।কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিজ্ঞাপনের জন্যে যেসব কর্পোরেট কোম্পানী বিপুল অর্থ ব্যয় করে তার মধ্যে ''সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ প্রচারে'' বাধ্যদের তালিকাই আবার অগ্রগামী।শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, শচীন টেন্ডুলকার সারা জীবনে জনস্বার্থবিরোধী কোন দ্রব্যের বিজ্ঞাপনেই অংশ নেননি। একবারএকটি এলকোহল কোম্পানী তাদের বিজ্ঞাপন চিত্রে অংশ নেয়ার জন্যে তাঁকে রেকর্ড পরিমাণ অর্থের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সারা জীবন শচীন কঠিন নীতিমালার মধ্যে দিয়ে নিজেকে পরিচালিত করেছেন, সবিনয়ে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। শত প্রলোভন, যশ, খ্যতি তাকে সেই দর্শন থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত করতে পারেনি।তার পরিস্কার বক্তব্যে ছিলো , সমাজের জন্যে , দেশের মানুষের জন্যে , শিশুদের জন্যে যা কিছু ক্ষতিকর সেই পন্যে প্রচারের বিনিময়ে যত অর্থই তাকে দেয়া হোক না কেন তিনি কোনো ক্রমেই সেই বিজ্ঞাপনের অংশ নিতে পারেন না। যে নীতিতে তিনি এখনো অটল রয়েছেন।
নিঃসন্দেহে এটা আমাদের সকলের জন্যে অত্যন্ত শিক্ষণীয় বিষয়।অপ্রাসঙ্গিক হলেও একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই, টেন্ডুলকার সারা জীবনে কখোনই এলকোহল স্পর্শ করেননি।
সকলেই হয়ত ভাবছেন , আমি শচীনের প্রশংসাগাঁথা বর্ণনা করতে বসেছি। বাস্তবিক অর্থে অন্যে একটি ঘটনার সাপ্লিমেন্টারি হিসেবে শচীনকে টেনে এনেছি।যাই হোক এবার মুল আলোচনায় আসি। গত ১০ সেপ্টেম্বর ছিলো ''বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস''। জাতিসংঘ এটিকে আন্তজার্তিকভাবে পালন করে।বাংলাদেশ এবারে দিবসটিকে বিশেষভাবে পালন করে। বিশেষকরে বেসরকারী একটি প্রতিষ্ঠান ''ব্রাইটার টুমরো ' এদিন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তার মধ্যে বাংলাদেশ টেলিভিশনে একটি আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজনও ছিলো। এতে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের প্রিপ্রোডাকশন পর্যায়ে আমার কিছু কাজ সুযোগ ছিলো। তাছাড়া এধরনের একটি সামাজিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমার আগাগোড়াই আগ্রহ প্রবল।অনুষ্ঠানে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক অর্থ্যাৎ স্ব-স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখা ব্যক্তিত্বদের আত্মহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান জানিয়ে সমাজের প্রতি আহবান জানানোর একটি এপিসোড ছিলো। আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশে বর্তমানে তরুন সমাজের উপর জনপ্রিয় ক্রিকেটারদের প্রভাব অনেক বেশি। তাই বর্তমানে অসম্ভব জনপ্রিয় এক জাতীয় দলের ক্রিকেটারের সাথে কমেন্টস দেয়ার জন্যে যোগাযোগ করা হয়।কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি আমাদের সকলের অত্যন্ত প্রিয় সেই ক্রিকেটারটি তার মহামুল্যবান কমেন্টস দিতে রাজী হননি।তিনি অজুহাত দেন বিসিবি'র নীতিমালার । অনুষ্ঠান প্রযোজক বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করলে জানতে পারেন আমাদের অত্যন্ত প্রিয় খেলোয়াড়রা যেকোনো কমেন্টস দিতেও এখন লাখ টাকা নিয়ে থাকেন।তারা নাকি এখন দোকানের ফিতে কাটতেও লাখ টাকা পেয়ে থাকেন। বেচাঁরা প্রযোজক বলে উঠেন বিটিভি একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান টাকা দিয়ে কমেন্টস দেয়ার অবস্থা কি আর তার আছে ? যাই হোক শেষ পর্যন্ত সাবেক জাতীয় দলের এক অধিনায়কের কমেন্টস নেয়া হয়।
এখন নিশ্চিত সবাই ধরতে পারছেন কেন প্রথমেই শচীনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অবতারণা করেছি।একজন মানুষের ব্যক্তিগত খ্যতি, যশ, প্রভাব প্রতিপত্তি বৃদ্ধির সাথে সাথে সমাজের প্রতি, দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি তার দায়-দায়িত্ব উত্তারোত্তর বৃদ্ধি পেতে থাকে।কারণ সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত ভালবাসা, উচ্ছাস, আবেগ, অনুভুতির উপর দাড়িয়েই তাদের সেলিব্রেটি ইমেজ স্বত্বের মুল্যে ওঠনামা করে।সে কথা আমাদের সেলিব্রেটিদের হৃদয় অনুধাবন করতে হবে।
পূণশ্চঃ আমাদের অসম্ভব জনপ্রিয় খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করছি না কারণ তাতে তিনি ছোট হবেন, সাথে সাথে আমরাও ছোট হবো।
২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৬
নূর আল আমিন বলেছেন: কিছু বলার নাই, বিবেক না থাকলে যা হয় আরকি!
৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩
গেম চেঞ্জার বলেছেন: দুঃখজনক হলেও আমরা অনেকেই বুঝতে পারছি তিনি কে। আসলে টাকার গন্ধ উনার মষ্তকে গিয়ে পুরো বিবেককেই যবনিকা দিয়ে আলাদা করে ফেলেছে। বিবেকের তরঙসমুহ ঐ পর্দা পেরিয়ে আসতে পারছে না।
উনাকে মেধাবী হিসেবে সম্মান করতাম, ভালবাসতাম।
৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:১৬
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: পূণশ্চঃ আমাদের অসম্ভব জনপ্রিয় খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করছি না কারণ তাতে তিনি ছোট হবেন, সাথে সাথে আমরাও ছোট হবো।
প্রকাশ না করলেও সহজে অনুমেয়
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ব্যপারটা সত্যিই দুঃখজনক। আমাদের কিছু ক্রিকেটারের মারাত্মক এটিটিউড প্রবলেম আছে। সেটা হয়তো বা টাকার কারণেই তৈরি হয়েছে।