![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিদেশী শত্রুর বিরুদ্ধে পরিচালিত যেকোনো যুদ্ধ জাতীয় সংহতি গড়ে তুলতে সাহায্য করে।সমাজে আমরা ও অন্যরা -এই মানসিকতা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে অথবা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে খুব বেশিসংখ্যক জাতীয় নেতা এই মানসিকতাকে পুরোপুরি ব্যবহার করে জনগণকে সংঠিত করেননি।স্বাধীন দেশে বাঙালির সমষ্টিবদ্ধ দেশপ্রেমকে জাতিগঠনের কাজে ব্যবহার করা হয়নি।জানগ্ণের শক্তিকে উপেক্ষা করে কে বেশি মুক্তিযোদ্ধা , কার অবদান সবচেয়ে বেশি এই তর্কে জাতির জীবনের অত্যন্ত মূল্যবান সময় কাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। সমষ্টিগত চেতনাকে দেশ গড়ার কাজে শেখ মুজিবও ব্যবহার করেননি। তাঁর পক্ষেও দলীয় সংকীর্ণতার উর্ধে ওঠা সম্ভব হয়নি।সম্ভব হয়নি দলীয় দৃষ্টিভঙ্গির উর্ধে উঠে দেশবাসীকে একত্র করা , দেশগঠনে কোটি মানুষের সৃজনীশক্তিকে ব্যবহার করা।সেদিন সম্ভব ছিল মানুষকে যেকোনো কাজে উদ্ধুদ্ধ করা।মানুষ সেদিন ছিল কয়লায় পোড়ানো লাল টকটকে লোহার মতো। তাকে বাঁকিয়ে যেকোনো আকৃতি দেয়া সম্ভব ছিলো।কিন্তু পরিবর্তে দলীয় সংকীর্ণতা দেশপ্রেমকে পরাভুত করে।দল হয় প্রধান। বাঙ্গালি জাতির প্রধান নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই ব্যর্থতা কোনোক্রমেই এড়িয়ে যেতে পারেন না। সত্যি বলতে, শেখ মুজিব স্বাধীনতার আগে ও পরে কোনো সময়ই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সমঝোতার উধ্যেগ নেননি বা সমঝোতার রাজনীতিতে বিশ্বাসই রাখেননি।
দু;খজনক হলেও আজ স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে একই চিত্র সারা জাতি অবলোকন করছে। যেখানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের সাথে কোনো ধরনের আলোচনায় রাজী না। সামগ্রিকভাবে একটি দেশের রাজনীতির জন্যে অশণিসংকেত।যুদ্ধ অবস্থায় দুটি বিবাদমান পক্ষের মধ্যেও আলোচনা হয়। এমনকি দেখা যায় দুই পক্ষ যুদ্ধ চলছে অন্যদিকে মীমাংসার জন্য আলোচনা চলতে থাকে। অথচ একটি স্বাধীন দেশের রাজনৈতিক দলগুলো চলমান সংকট নিরসনের জন্য আলোচনায় বসতেই পারছে না। যদিও এ ব্যর্থতার দায় দেশের অন্যতম পুরাতন ও অভিজ্ঞ দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপরে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি বর্তায়।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১১
মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: আলোচনা হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো সাথে । আলোচনা হচ্ছে কিভাবে দেশকে চলমান রাজনৈতিক সংকট থেকে বের করে একটি নিরাপদ বাসযোগ্য দেশে পরিণত করা যায় তার জন্য আলোচনা।
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি পরিস্হিত বুঝতে পারছেন না।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৩
মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: আমি একজন সাধারণ মানুষ তাই সব পরিস্থিতি আমার বোঝার কথা নয়। তবে বুঝিয়ে বললে অবশ্যই বুঝতে পারব বলে আশা করি।
৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৬
মোস্তাক_আহম্মদ বলেছেন: বিরোধী দল তো সংসদে আছেই, তাহলে আলোচনা করতে মানা করলো কে?
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আলোচানা করতে হলে, রাজনীতি বুঝতে হয়; চোর, ডাকাত ও মাফিয়াদের মাঝে আলাপ হয় না
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৩
মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: রাজনীতি বোঝা ভালো , তবে বেশি বুঝলে একসময় তা বুমেরাং হয়ে যায়। রাজনীতি যদি চোর ডাকাত বা মাফিয়ারা করে তাহলে তো তাদের সাথেই করতে হবে। তারপরেও রাজনীতিতে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১
মোস্তাক_আহম্মদ বলেছেন: কার সাথে আলোচনা? কিসের আলোচনা?