![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।জগতে অনেক ভালো উদ্যেগ শুধুমাত্র সঠিক সময় নির্ধারণ করতে না পারায় ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে।শুধু তাই নয়, যেকোনো ভালো কাজ বা উদ্যেগ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উপযুক্ত নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবার যেকোনো জন সংশ্লিষ্ট ভালো কাজ করতে হলে জনগণকে মানুসিকভাবে প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ দিতে হবে। যেমনটা হয়েছিলো স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়ার প্রেক্ষাপট তৈরীর ক্ষেত্রে।ইতিহাসের আগ্রহী ছাত্র হিসেবে তাই আমরা দেখতে পাই কাগমারী সম্মেলনে মাওলানা ভাসানীকে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের কথা বলতে। যদিও তাত্বিক দিক থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের কথা প্রথম ভাবেন আওয়ামী লীগ নেতা ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক , সাংবাদিক আবুল মন্সুর আহমদ। কিন্তু এটাও ঠিক ধর্মীয় চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে সদ্য স্বাধীন একটি দেশের নাগরিকরা তখন পর্যন্ত এত বড় মৌলিক সিদ্ধান্ত হজম করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। আরো প্রায় ১ যুগ লেগে যায় একটি স্বাধীন দেশের স্বপ্ন, মানুষের হৃদয় থেকে মস্তিস্কের নিউরণ সেলগুলোকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দিতে।
ইনিয়ে বিনিয়ে এত কথা বলার কারণ হচ্ছে, সম্প্রতি সরকার কতৃক দলীয় প্রতীকের মাধ্যমে স্থানীয় নির্বাচন করার ঘোষণায় রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের আশাংকায়।।মূলত আমি সবসময় দলীয় প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে। সমস্যা হচ্ছে এ রকম একটি মৌলিক ইস্যুতে সিদ্ধান্ত নেয়ার নৈতিক জায়গায় বর্তমান সরকার আদৌ আছে কি । দ্বিতীয়তঃ এ ধরনের একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কি অবশ্যই প্রধান রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনার উদ্যেগ নেয়া উচিত ছিল না।তৃতীয়তঃ এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগণের নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রশ্ন হচ্ছে , সেই সব প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী কি আদৌ এই মুহূর্তে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে প্রস্তুত। তবে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক যে অচলাবস্থা ( সরকারী দল যদিও স্বীকার করে না) বিরাজ করছে তাতে অন্তত বৃহত্তম রাজনৈতিক দলগুলো দলীয় প্রতীকের আওতায় নির্বাচন করতে প্রস্তুত নয়। তার মানে হচ্ছে, রাজনৈতিক সমঝোতা বা শিষ্টাচারের অভাবে এ ধরনের একটি ভালো উদ্যেগ শুরুতেই বিতর্কের মুখে পড়ে গেলো। ফলশ্রুতিতে এর সফলতা নিয়ে অনেকের মধ্যেই ইতিমধ্যেই সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
তাই সরকারের উচিৎ হবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের আওতায় করার সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে স্থগিত করে এ বিষয়ে সামাজিক সংগঠন , রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানূষের কাছ থেকে ব্যপকভিত্তিক মতামত গ্রহণ করা। অন্যথায় এ সিদ্ধান্ত উপজেলা পদ্ধতির(যদিও উপজেলাও ভবিষ্যতে দলীয় প্রতীকের আওতায় অনুষ্ঠিত হবে) মত একটি ব্যর্থ জনপ্রিয় স্থানীয় সরকার পদ্ধতিতে পর্যবসিত হবে।
(দ্রষ্টব্যঃদলীয় প্রতীকের নির্বাচনের সুযোগ তৈরী করলেও এর বাইরেও নির্বাচনের সুযোগ যথারীতি বহাল থাকবে।)
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩০
মোঃ মাকসুদুর রহমান বলেছেন: খুব ভালো বলেছেন। তবে মনে রাখতে হবে যারা জনগণকে ভয় পায় , তারাই উন্নয়নের মিথ তৈরি করে একদলীয় শাসনের প্রেমে পড়ে যায়। যদিও এর পরিণাম কখোনোই শোভনীয় হয় না।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:০৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
৪৪ বছরে, জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া দেশকে যেখানে এনেছে, এখান থেকে বের হতে আবুল মনসুর বা সক্ত্রেটিসকে অনুসরণ করলে হবে না; এখন একদলকেই থাকতে হবে; একই ধরণের ২ দলের দরকার নেই