![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তারানা হালিম ছাত্র জীবনে অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। তাঁর শিক্ষাজীবনের সময়কাল নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত সংবাদ মোতাবেক জানতে পারা যায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে খুব ভালো ফলাফলের সাথে পাশ করেছেন।পেশাগত জীবনে বিচারিক পেশায় চাকুরী হলেও তিনি অভিনয়কেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। এবং অত্যন্ত সফল অভিনেত্রী হিসেবে দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেন।এক অর্থে কিন্তু তিনি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন বলা যায়।কারণ অভিনয় পেশায় না আসলে হয়ত তিনি এখন বড় জোর দেশের সর্বোচ্চ আদালতের একজন মাননীয় বিচারপতি থাকতেন ! কিন্ত কোটি কোটি মানুষের মাঝে আলোচনায় উঠে আসতে পারতেন না! সেলিব্রেটিরা খুব সাধারণভাবে দর্শক-শ্রোতাদের মাঝে নিজেকে নিয়ে আলোচনা খুউব উপভোগ করেন।তাই দেখা যায় সেলিব্রিটিরা জেনে বুঝেই বিভিন্ন সময় বিতর্কিত কাজ করে থাকেন যাতে তাঁকে নিয়ে আলোচনা হয়, সেটা পজেটিভ -নেগেটিভ যাই হোক না কেন! যদিও দর্শক শ্রোতাদের মাঝে নিজেকে নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা, প্রশংসা শোনা , দেখা ইত্যাদি একধরনের নেশার মতো। তাই দেখা যায় সেলিব্রিটিরা সময়ের সাথে যদি কখনো পেশা পরিবর্তন করেন ,তখনো সাধারণের মাঝে আলোচনায় থাকার এই নেশা থেকে মুক্ত হতে পারেন না।
সেলিব্রিটিদের ক্ষেত্রে এই ধারণাটি ব্যক্তিগতভাবে পাকাপোক্ত হয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের গত বছর কয়েকের কর্মকান্ড দেখে।মন্ত্রণালয়ের মৌলিক কোন কাজে তাঁর সফলতা বা তেমন কোন আগ্রহ তাঁর কর্মকান্ড চোখে পড়েনি। বায়োমেট্রিক নিয়ে তাঁকে যতটা আকাশ-পাতাল এক করে ফেলতে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে তাঁর ৫% তৎপরতা কিন্তু আমরা দেখি মোবাইল কোম্পানি গুলোর সেবার মান নিয়ে কথা বলতে। অথচ এটাই তাঁর অন্যতম দায়িত্ব হওয়া উচিৎ ছিল। রাষ্ট্রের নাগরিকদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত কড়ায়গন্ডায় ভ্যাট আদায় করছেন অথচ তারা সঠিকভাবে সেবা পাচ্ছে কিনা সে বিষয় উদাসীন থাকবেন সেটা নিশ্চয়ই দায়িত্বশীল আচরণ হতে পারে না। রাষ্ট্র বা সরকার পরিচালিত হয় প্রায়োরিটি বেসিস ।সরকারের যে কোন মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ জনস্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া হয়। কিন্তু মাননীয় মন্ত্রী তারানা হালিম সম্ভবত তাঁর তারকা ইমেজের গন্ডি থেকে মুক্ত করতে পারেননি। তাই ঘুরে ফিরে স্বস্তা ইস্যুগুলোকে সামনে নিয়ে আসেন। যেমন ,তিনি গতকাল ঘোষণা দিয়েছেন যারা ইন্টারনেটে পর্ণ সাইট ভিসিট করেন তাদের নাম প্রকাশ করবেন।( যদিও আজ দুপুরে তিনি তাঁর ফেসবুক অফিসিয়াল পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে 'পর্নো সাইটে প্রবেশকারীদের নামের তালিকা হবে না' বলে মন্তব্য করেছেন। যদিও গতকাল সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা বাসসের সঙ্গে আলাপকালে গতকাল সোমবার বিকেলে তারানা হালিম বলেন, ইন্টারনেট সেবাদানকারীদের দেশের ভেতরে পরিচালিত পর্নো সাইটগুলো বন্ধ করতে হবে।
কিন্তু আন্তর্জাতিক সাইটগুলোর ক্ষেত্রে আমরা এমন একটি কৌশল গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি, যাতে ওই সব সাইটে প্রবেশকারীদের পরিচয় আমাদের কাছে প্রকাশ পাবে'' বলে ঘোষনা দিয়েছিলেন।) সাদা চোখে দেখলে মনে হবে এটা খুবই যুগান্তকারী পদক্ষেপ! কিন্তু আগেই উল্লেখ করেছি , মন্ত্রণালয় পরিচালিত হওয়া উচিৎ প্রায়োরিটি বেসিস। সেক্ষেত্রে তাঁর মন্ত্রণালয়ের প্রধান ও প্রধানতম সমস্যা হচ্ছে দুর্নীতি। আর এই মুহূর্তে পাওয়ার সেক্টরের পর সবচেয়ে বড় দুর্নীতির অভয়ারন্য হচ্ছে টেলিযোগাযোগ সেক্টর। বছর কয়েক আগে প্রথম আলোতে প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায় প্রতিদিন দুই কোটি পঞ্চাশ লাখ মিনিট ব্যবহৃত ইউনিট মুছে ফেলা হয় বিটিআরসি সার্ভার থেকে । আর এটা করা হয় ভিওআইপি ব্যবসায়ীদের যোগসাজশে ! যার ফলে প্রতিদিন দেশ বিপুল পরমান রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অথচ মন্ত্রী হিসেবে সবাই আশা করেছিল তারানা হালিমের মত সৎ ও যোগ্য মানুষের ছোয়াঁয় এবার দেশের বিপুল পরিমান অর্থ লুটপাটকারীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে!অথচ কি দেখল দেশের মানুষ , মাননীয় মন্ত্রী বায়োমেট্রিক ও পর্ণ সাইট নিয়ে তাঁকে যতটা উচ্চকিত মনে হয় ,দেশের বিরাট বিরাট অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী নামের চোর ধরার বিষয়ে সেই পরিমান আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।অবশ্যই পর্ণ সাইটের বিরুদ্ধে আপনার যুদ্ধ ঘোষণা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার কিন্তু প্রশংসা তখই পূর্ণতা পাবে যখন দেখবে বাস্তবিক অর্থে আপনার মন্ত্রণালয়ের প্রধান সমস্যা নিরসনে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়েছে। অন্যথ্যায় সাধারণ মানুষ ভাববে সত্যিকার অর্থে আপনার মন্ত্রণালয়ের মৌলিক সমস্যা দূরীকরনে আপনি ব্যর্থ! আরো পরিস্কার বললে , দোর্দন্ড প্রতাপশালী অবৈধ ভিওআইপি চোরদের টিঁকিটি ধরা বা নাম প্রকাশ করার ক্ষমতা আপনার নেই !
তাই পর্ণ সাইট ব্যবহারকারীদের নাম প্রকাশ( যদিও নাম প্রকাশের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন বা সরে আসতে বাধ্য হয়েছে) বা প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা যাই হোক না কেন সাথে অবৈধ ভিওআইপি চোরদের তালিকাটাও প্রকাশ করুন।দেখা যাক আপনার সাহস কত ! দেশের মানুষ মন্ত্রী হিসেবে সাহসটা একটু দেখতে চায়! আশা করি আপনি তাদেরকে বিমুখ করবেন না!!
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৯
নির্বাক চাতক বলেছেন: হক কথা
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯
মোঃ আক্তারুজ্জামান ভূঞা বলেছেন: হ, কথা ঠিক। ভিওআইপিদের নাম, পরিচয় আগে প্রকাশ করুন।