নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সামু বিশ্বজুড়ে সুবিশাল বাংলা পরিধি

.....Rest on one's oars

ম েনা েন শ দাস

আপনার যদি সামুতে জেনারেল অথবা সেইভ নিক থাকে - তাহলে অবশ্যই আপনি থাকতে পারবেন পৃথিবীর সবচাইতে বড় বাংলা ভাষাভাষীদের কেন্দ্র বিন্দুতে ।

ম েনা েন শ দাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তাগাছায় এক জমিদার পরিবারের আর্তি

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৫

{"filesize_ok":true,"image_id":233507,"success":true}ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় এক জমিদার পরিবারের করুণ দশা । মুক্তাগাছাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে তাদের জমিদারীরর স্থাবর অস্থাবর বহু সম্পত্তি থাকলেও তা আজ বেদখলে । ঐ পরিবারের সন্তানের লেখাপড়া চলছে কলেজ কর্তৃপক্ষের দয়ায় । পরিবারটির সংসার চলছে সুপারী , নারিকেল বিক্রি করে । বলছি মুক্তাগাছার কিংবদন্তিতুল্য জমিদার বকুল কিশোর আচার্য চৌধুরীর (ডাবল এমএ ) পরিবারের কথা। যিনি ছিলেন বর্তমান আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প সেই বাড়ির মালিক । মুক্তাগাছায় বসবাসকারী তার পুত্র দেবাশীষ আচার্য চৌধুরী (টুবলু) ২০০২ সালে স্ত্রী ও তিন মেয়ে রেখে পরলোক গমণ করেন । টুবলুর মৃত্যুর পর তার পরিবারে নেমে এসেছে দৈন্যতা । শ্বশুরের একটি কাচারি বাড়িতে করুণভাবে বসবাস করছেন টুবলুর শ্রিপ্রা আচার্য চৌধুরী (৫০) এবং তার মেঝো মেয়ে দিপাঞ্জনা আচার্য চৌধুরী (আনন্দ মোহন কলেজের এমএ শেষ বর্ষের ছাত্রী ) ও ছোট মেয়ে দেবজানী আচার্য চৌধুরী পিয়ালকে নিয়ে (হাজী কাশেম আলী মহিলা ডিগ্রী কলেজের এইচ এসসি পরীক্ষার্থী ) । শহীদ স্মৃতি সরকারী কলেজে পড়–য়া বড় মেয়ে অর্পিতা আচার্য চৌধুরীর বিয়ে হয়ে যাওয়ায় স্বামীর সাথে বর্তমানে দিনাজপুর বসবাস করছেন । শিপ্রা আচার্য চৌধুরী দু:খ করে বলেন, বলতে লজ্জ্বা লাগে আমরা এখন নামেই জমিদার পরিবার । সংসার চলছে ভাঙ্গা কাচারি বাড়ির গাছের সুপারি , নারিকেল বিক্রি করে । দু’বেলা দুমুঠো অন্নই যেখানে জুটছে না সেখানে মেয়েদের লেখাপড়া । চলছে অতিকষ্টে । হাজী কাশেম আলী কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের আর্থিক দৈন্যতার কথা বিবেচনা করে ছোট মেয়ের লেখাপড়ার খরচ ফ্রি করে দিয়েছে । দয়া দাক্ষিন্যে আমাদের পরিবারকে চলতে হবে তা কোনদিনই ভাবিনি । এখনও আমাদের যে সম্পত্তি আছে তা দিয়ে ভালোই চলতে পারবো । কিন্তু এগুলি বেদখলে থাকায় সে সুবিধাটুকু থেকেও আমরা বঞ্চিত । তিনি জানান , ১৯৫৩ সালে আমার শ্বশুরকে উনার ১৪ জন ভাই বোন বাংলাদেশে আমাদের সকল সম্পত্তি ঘরোয়াবণ্টন নামার মাধ্যমে উইল করে দেন । বিনিময়ে উনার ভাইবোনেরা আমাদের ভারত ও পকিস্তানের সম্পত্তি নিয়ে নেন। ১৯৬৮ সালে আমার শ্বশুর আমার স্বামীর নামে ঐ সম্পত্তি উইল করে দেন । সরকার ১৯৭৫ সালে আমাদের বাড়িসহ (বর্তমানে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প) ৪ একর সম্পত্তি একোয়ার করে । মূল্য নির্ধারন করে সাড়ে ৩লাখ টাকা । সেই টাকা আমার স্বামীর নামে বরাদ্দ হয়েছে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য আজো সেই টাকা আমরা পাইনি । ময়মনসিংহ এলএ অফিস আমার স্বামীর নামে চিঠি দিয়েছে এটা এখনও অবমুক্ত হয়নি । তিনি বলেন, এখন খ গেজেট এসেছে । গত এক বছর ধরে অফিসে ঘোরাফিরা করে যাচ্ছি । টাকা পাচ্ছি না । যথাসময়ে টাকাগুলি পেলে আমাদের খুবই উপকারে আসতো । শিপ্রা আচার্য চৌধুরী বলেন , ময়মনসিংহের ভালুকা, গফরগাঁও, গাজীপুর, জয়দেবপুর, বগুড়া, বরিশাল, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন স্থানে এখনও আমাদের ভূ সম্পত্তি রয়েছে । সেখানটার দখলদারগণ আমার কাছে আসেন । তারা নগদ টাকা দিয়ে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর চান । কিন্তু আমি টাকা নেই না । স্বাক্ষরও দেই না । আমি তাদেরকে বলি , তোমরা আমাদের নামে ঝামেলামুক্ত কাগজ তৈরি করে নিয়ে আসো, তারপর বিক্রির কথা ভাববো । না বুঝে না জেনে স্বাক্ষর দিলে ঝামেলা হবে এমন চিন্তা করি । আমি চাই না রাজবংশের উপর চুনকালি মাখতে । সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ আমার আর্তি বিবেচনায় নিয়ে সহযোগীতায় এগিয়ে আসবেন এটাই চাওয়া তার ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেখি কিভাবে সাহায্য করা যায়

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১৫

ম েনা েন শ দাস বলেছেন: আচ্ছা ।

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার ব্লগ নিকটিতে বানান সংক্রান্ত একটা সমস্যা আছে। আপনি যদি [email protected] এ মেইল করে জানান, তাহলে হয়ত সমস্যাটি দ্রুত সমাধান হয়ে যেতে পারে।

৪| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:১০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ব্লগে লিখে লাভ হবে নাকি জানিনা। এখন যে টাকা দিতে চাইছে, কয়দিন পর দেখবেন সেটাও দিতে চাইছেনা।

৫| ০৭ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:১২

ফাহাদ ইবনে মুরতাযা বলেছেন:
সময় বড় অদ্ভুত, অন্যের সম্পত্তি দখল করা জমিদারদের সম্পদ আজ অন্যের দখলে!!!


তবে পূর্ব পুরুষ এর কৃত্যকর্মের দায় বর্তমানরা বহন করবে না। সে হিসাবে দুঃখজনক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.