নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাজের প্রচন্ড চাপ। নামাজ পড়ার সময় না পাওয়ার এটা একটা দোহাই। আপনি কোন ব্যবসা বা চাকরী করছেন। তো কর্মক্ষেত্রে এমন পরিবেশ তৈরী হয় যে কখন আছর নামাজের সময় পার হয়ে যাচ্ছে তার খোঁজ থাকে না। নামাজ পড়ার ইচ্ছা আছে। কিন্তু আমরা ভয়ে থাকি এ সময়টুকু যদি ক্লায়েন্ট বা কাস্টমারদের না দিই তাহলে আমার ব্যবসার ক্ষতি হবে।
এ অমূলক ভয়টি শয়তানের একটি ওয়াসওয়াসা (ফাঁদ)।
আমরা অনেক সময় দুশ্চিন্তা গ্রস্ত থাকি আমাদের জীবিকা নিয়ে। অথচ আল্লাহ তায়ালা কোরআনুল কারীমে তার বান্দাদের জীবিকা সম্পর্কে কী নিশ্চয়তা দিয়েছেন তা আমরা জানি কি?
দুটি আয়াতের উল্লেখ করছি।
"ভূ-পৃষ্ঠে বিচরণকারী সকলের জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহরই।তিনি তাদের স্থায়ী ও অস্থায়ী অবস্থিতি সম্বন্ধে জানেন। সুস্পষ্ট কিতাবে সবকিছুই আছে।" সূরা হুদ ৬ নং আয়াত
" জমিনে তোমাদের জন্য জীবিকার ব্যবস্থা করেছি এবং তোমরা যাদের জীবিকাদাতা নও তাদের জীবিকার ব্যবস্থাও করেছি।
আমারই নিকট আছে প্রত্যেক বস্তুর ভাণ্ডার এবং আমি তা পরিজ্ঞাত পরিমাণেই সরবরাহ করে থাকি"
সূরা আল হিজর, আয়াত ২০, ২১
এ ছাড়াও আল্লাহ তায়ালা কোরানের বিভিন্ন আয়াতে তিনি যে উত্তম রিজিকদাতা এ ব্যাপরটি সুন্দরভাবে আমাদের সামনে এনেছেন।
আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে তার ইবাদত করার তৌফিক দান করুন। অামীন।।
৩০ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২১
ম্যাক্সিম বলেছেন:
নতুন ভাই, আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আমি ইসলামী স্কলার না। মুসলমান হিসাবে আমি দৃঢ়ভাবে কোরানের কথাকে সত্যবলে বিশ্বাস করি। আয়াত দুটি ভাল লাগায় শেয়ার করেছিলাম।
তারপরও আমার স্বল্প জানাশোন থেকে একটু বলতে চাই।
# দেখুন আয়াতে জীবিকার কথা বলা হয়েছে। যার আরবী প্রতিশব্দ রিযিক।
রিযিক বলতে কী বোঝায়?
রিযিকের আভিধানিক অর্থ এমন বস্তু যা কোন প্রাণী অাহার্যরূপে গ্রহণ করে, যার দ্বারা সে দৈহিক শক্তি সঞ্চয়, প্রবৃদ্ধি সাধন এবং জীবন রক্ষা করে থাকে। রিযিকের জন্য মালিকানা স্বত্ব শর্ত নয়। সকল জীব-জন্তু রিযিক ভোগ করে থাকে কিন্তু তারা তার মালিক হয় না।
এখানে কিন্তু ধন-সম্পদ, অর্থ-প্রতিপত্তি, প্রযুক্তির কথা বলা হয়নি। এখানে রিযিকের কথা বলা হয়েছে।
পশ্চিমারা অনেক সম্পত্তির মালিক। আয়াতে রিযিকের কথা বলা হয়েছে। সম্পদ-সম্পত্তির কথা বলা হয়নি।
# অারেকটা ব্যাপার রিযিক মুখে আসবে বলে হা করে বসে থাকাটা যৌক্তিক নয়। এরকম কিছু আয়াতে বলাও হয়নি।
রিযিক আসবে বলে আমি যদি ঘরে বসে থাকি সেটা আমার বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন,
"অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা জমীনে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।" (সুরা জুমুয়াহ, আয়াত:১০)
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৪৬
নতুন বলেছেন: আল্লাহর ওয়াদাঃ তিনিই রিজিকদাতা, সংশয় যতটুকু তা আমাদের
কিন্তু যারা সংশয় মাথায় নিয়া কাজ করে>>> নিজে উপাজন করে...নিজের ভাগ্য নিজে গড়ে... তারা বিলিয়নিয়ার হয়...
আর যারা বিশ্বাস নিয়া রিজিক মুখে আসবে বলে হা করে বসে থাকে... তারা হা করেই থাকে...
কেন???
আর একটা কথা বিশ্বের ইহুদী/বিধমী`দের প্রতি রিজিকের পরিমান এতো বেশি বরাদ্দ কেন???
বিদ্র:- দুনিয়ার সেরা ধনী এবং গড়ে সম্পত্তির পরিমান... আমেরিকা/ইউরোপ/জাপান/চীনেই বেশি...