নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে বলার তেমন কিছুই নেই। সাধারণ একটা ছেলে। অতি সাধারণ একটা মানুষ হয়েই থাকতে চাই..

মো: আব্দুল মোমেন

ভালো লাগে লেখা পড়তে,সামান্য কিছু লিখতে...আমার আমিতে বেশি ভালো থাকি।

মো: আব্দুল মোমেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

২৫০ বছর পুরনো “আওকর মসজিদে” ঝুকিপূর্ণভাবে চলছে নামাজ আদায়

১৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

২৫০ বছর পুরনো “আওকর মসজিদে” ঝুকিপূর্ণভাবে চলছে নামাজ আদায় !

লোকমুখে জানা যায় “আওকর মসজিদ” নামকরণের পিছনে রয়েছে একটি অলৌকিক ইতিহাস ! এই মসজিদের কাছাকাছি গিয়ে কেউ কথা বললে মসজিটিও নাকি কথা বলতো ! অর্থাৎ কথার উত্তর ভেসে আসত ! সেই থেকে মসজিদটির নাম হয় আওকর মসজিদ !

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার মীর্জার মাঠে ২৫০ বছরের পুরনো স্থাপত্য ‘আওকর’ মসজিদ। উপজেলা পরিসংখ্যানের তথ্যে পাওয়া গেছে, এ মসজিদটি ২৫২ বছর আগে ১১৭২ বঙ্গাব্দে নির্মিত। মীর্জা লাল বেগ এটি নির্মাণ করেন। চিকন ইট আর চুন-সুড়কি ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে মসজিদটি। এর দেয়ালে রয়েছে আকর্ষণীয় কারু কাজখচিত নকশা। মসজিদটি খানসামা উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া বেলান নদীর পূর্ব তীরে গোয়ালডিহি ও ৩নং আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের মধ্যবর্তী হাসিমপুর-আংগারপাড়ার
মীর্জার মাঠে অবস্থিত।

দীর্ঘকাল যাবৎ মসজিদটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার ফলে দেয়ালের চুন-সুড়কি দিয়ে লাগানো ২৫০ বছরের পুরনো চিকন ইট গুলো খুলে গেছে অনেক জায়গায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো মসজিদের উপরের অংশ না থাকায় এবং চার দেয়ালের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় মসজিদটি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। খানসামা উপজেলার এই প্রাচীন স্থাপত্য নিয়ে এর আগেও বিভিন্ন মাধ্যমে লেখালেখি এবং উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মসজিদটির মেরামতের জন্য বলা হয়েছিল। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রাচীন এই মসজিদের সংস্কারের জন্য কাজ চলছে বলেও জানা যায়। তবে এখানো বাস্তবায়ন না হলেও প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় রয়েছে বলেও জানান কর্তৃপক্ষ।

মসজিদটি পরিত্যাক্ত অবস্থায় থাকার ফলে ঝাড়-জঙ্গলে ভরে গিয়েছিল উপরের অংশসহ দেয়াল গুলো।বর্তমানে এলাকাবাসীর উদ্যোগে ঝাড়-জঙ্গল সাফ করে মসজিদটি নামাজ আদায় করার উপযোগি করা হলেও দেয়ালের বড় বড় ফাটল অংশের জন্য ঝুকি রয়েছে বলেও সরেজমিনে দেখা যায় ।

বর্তমানে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় এলাকাবাসী নামাজ আদায়ের পাশাপাশি মসজিদের কাছেই স্থাপন করেছেন ‘আওকর মসজিদ” নামে একটি মাদ্রাসা। মসজিদের দেখা শোনার জন্য স্থানীয়ভাবে একজন স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন।

এলাকাবাসীর দাবী, ঝুকিপূর্ণ এই প্রাচীন মসজিদটির দ্রুত সংস্কারণ করে ঝুকি এড়িয়ে মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করতে পারে এটিই দাবী জানিয়েছেন অনেকেই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: আরও ছবি দিলে পোস্ট টা ভাল লাগতো।

২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহ ভরসা কিচ্ছু হবে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.