![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালো লাগে লেখা পড়তে,সামান্য কিছু লিখতে...আমার আমিতে বেশি ভালো থাকি।
দৃশ্য বদলায়, দিনের আলোর সাথে যেমন রাতের আধাঁরের পার্থক্য থাকে তেমনি এই সমাজ,রাষ্ট্র,মানুষের মাঝেও রয়েছে আলোর মতই বিভেদকারী "শ্রেণি নামের মানুষ জাতি"! শ্রেণি নামের মানুষ জাতি বলার কারণ হলো একই মাটি কিংবা রক্তে মাংসের তৈরি হলেও সমাজভেদে মানুষের মধ্যে রয়েছে অর্থের তারতম্য! আর এজন্যই বিভিন্ন দেশ ও সমাজে মানুষের মধ্যে এত ভেদাভেদ!
যাইহোক, আমরা প্রতিয়মান যে,ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ভিন্ন রকম চিত্র হয়ত আমরা অনেকেই দেখে থাকি! অনেকে বলতে পারেন,এসব দৃশ্য তো আমাদের নিত্যনতুন মৌলিক চাহিদার মত দৃশ্যগতভাবে সবার কাছেই দারস্থ হয়েছে! কিন্তু ভূমিহীন এসব মানুষের জন্য আমাদের ভাবনা থাকা উচিৎ নয় কি?
নিম্ম,মধ্য,উন্নত যাই হই না কেন এসব দৃশ্য দেখে বলা মুশকিল আমরা কতটা পরিবর্তন হয়েছি। পরিবর্তন বলেছি কারণ,আমাদের নিম্ম,মধ্য,উন্নত দেশের থেকে আমি মনে করি সবার আগে পরিবর্তন দরকার! পরিবর্তন বলতে শুধু একটা শ্রেণির উন্নতি নয় বরং একটি রাষ্ট্রের সকল শ্রেণির মানুষের পরিবর্তন দরকার।
২০১৮ সালের একটি হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশে বর্তমানে ভূমিহীনের সংখ্যা ১০ লাখ ৬৯ হাজার ২৬৪ জন এবং গৃহহীনের সংখ্যা ২ লাখ ৮০ হাজার ৬৩৪ জন। এই তথ্যটি ভূমিমন্ত্রীর দেওয়া! কাগজে কলমে এই হিসেব থাকলেও ভূমিহীনদের সংখ্যাটা নেহাতই আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস!
অপরদিকে, বর্তমানে দেশে মোট খাস জমির পরিমাণ ৪১ লাখ ২১ হাজার ৭৭৫ দশমিক ২০ একর। এর মধ্যে কৃষি খাস জমি ২০ লাখ ৫১ হাজার ৬৫ একর। এই খাসজমি গুলোর মধ্যে বেশির ভাগ জমি হয়ত সরকার কাজে লাগাচ্ছে না,বা লাগাবেওনা অদূর ভবিষ্যতেও! দেশের সরকারি হিসেবে যারা ভূমিহীন বা গৃহহীন তাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করার দায়িত্বও কিন্তু সরকারের!!
মৌলিক চাহিদা গুলোর মধ্যে বাসস্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা যাই করিনা কেন দিন শেষে একটি থাকার ঘর না থাকলে সারাদিনের শ্রম আর ক্লান্তি দূর না হয়ে বরং সেটি অসুখে পরিণত হয়! অপরদিকে বাস্তুহারা মানুষরা পরিশ্রম করতে চায় কম,কারণ তাদের কোনোভাবে দিন কেটে গেলেই চলে যায় জীবন! তখন তারা মানুষের দ্বারে দ্বারে হাত পেতে সামান্য খাদ্য দিয়ে ক্ষুধা নিবারণ করে। ফলে একদিকে দেশের জনসংখ্যায় তারা যোগ হয় অপরদিকে বেকারত্ব বা কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়!!
আমরা উন্নতির পথে হাটছি,কিন্তু এই উন্নতির পথ কার জন্য ফুল ছেরাত আর কার জন্য কাটাতারের বেড়া সেটাও আমাদের বুঝতে হবে! রেল স্টেশন,ফুটপাত,বাসস্টান,মসজিদ মন্দিরেও অনেক বাস্তুহারা মানুষ শুধুমাত্র জীবন বাঁচানোর তাগিদে রাত পার করে! উন্নয়নের পথে হাটতে গেলে আমরা এই শ্রেণিটাকে বাদ দিয়ে পথ এগোতো পারবো না!
কারণ এই শ্রেণির মানুষ বর্তমানে যেমন অসহায় অবস্থানে আছে তেমনি দেশ এগিয়ে গেলেও এই সংখ্যাটা বেশি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করি! সুতরাং বিদেশে যারা টাকা জমাচ্ছে,দেশের ব্যাংকে যাদের কোটি কোটি টাকা, রাজনীতির নামে যারা রমরমা বব্যসা করছে তাদের থেকে এসব বাস্তুহারা মানুষের জন্য কিছু করতে হবে। সরকারের পক্ষে আশ্রম কিংবা গুচ্ছগ্রাম তৈরি করেই এসব মানুষের নিদ্রা আসবে না বরং তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করে দিতে হবে!!
ছবিটি দিনাজপুর রেল স্টেশন থেকে তোলা।
লেখকঃ এম এ মোমেন
শিক্ষার্থী ও স্যোসাল মিডিয়াকর্মী।
২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে চলে গেলেও এদের কোনো উন্নতি হয় না।
৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৪০
বিজন রয় বলেছেন: আপনি আর আমি ভাববো।
আচ্ছা, আপনাকে স্যোসাল মিডিয়াকর্মী বিশেষণ কে দিয়েছে?
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ওরা ভুমিহীন, গৃহহীন; ওরা এখন ডিজিটেল বাংলার অংশ।