নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে বলার তেমন কিছুই নেই। সাধারণ একটা ছেলে। অতি সাধারণ একটা মানুষ হয়েই থাকতে চাই..

মো: আব্দুল মোমেন

ভালো লাগে লেখা পড়তে,সামান্য কিছু লিখতে...আমার আমিতে বেশি ভালো থাকি।

মো: আব্দুল মোমেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব গুলোর প্রতি নজর দিন

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৪২

শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব গুলোর প্রতি নজর দিন
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তিখাতে কর্মসংস্থান এবং অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কণিষ্ঠ পুত্র প্রয়াত শেখ রাসেল এর নামে দেশে চালু করা হয় “শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব”। ২০১৪ সালে প্রায় ২৯৮.৯৮ কোটি টাকার বরাদ্দ পাস করে তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়। যার মেয়াদকাল ধরা হয়েছিল ২০১৫-২০১৬ সাল। সারা দেশে সে সময় একই সাথে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০০১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব উদ্ধোধন করেন। এরপর ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকে ল্যাব প্রতিষ্ঠা। দুঃখজনক হলেও সত্য প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা সরকার বরাদ্দ দিলেও এই শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের অবস্থা বর্তমানে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই কম্পিউটার ল্যাব গুলো চালু না থাকার কারণেও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেক কম্পিউটার। ল্যাব গুলো ব্যবহারে অযত্ন আর অবহেলার কারণে শিক্ষার্থীরাও কম্পিউটার জ্ঞান অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে। অথচ সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এসব ল্যাব তদারকির জন্য নেই তেমন কোনো কঠিন ব্যবস্থা। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার শিক্ষক নিয়োগ করা হলেও কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারণে দেখা গেছে তারা ল্যাব গুলো ঠিকমত চালু করেনা। ফলে সরকারের এই কোটি কোটি টাকার বরাদ্দ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অচিরেই। বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তির দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে গেলেও সরকারি এসব ডিজিটাল ল্যাব থেকে কতজন উপক্রিত হয়েছে তেমন কোনো পরিসংখ্যানও নেই। অনেক প্রতিষ্ঠানে দিনের পর দিন মাসের পর মাস কম্পিউটার নষ্ট হয়ে থাকলেও তাতে নেই কারো মাথা ব্যথা। অথচ সরকারের এসব বরাদ্দ হাত ছাড়া করতে চায়না কোনো প্রতিষ্ঠানই। কর্র্তৃপক্ষ যদি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব গুলোর দিকে এখনি সোচ্চার না হয় কিংবা তদারকি না করেন তাহলে সামনের দিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো থেকে আমাদের ছেলে মেয়েরা কম্পিউটার জ্ঞানে অনেকটা পিছিয়ে থাকবে বলে আমি মনে করি। আবার অনেকেই এসব সরকারি বরাদ্দের ল্যাপটপ বাড়িতে নিয়ে নিজেদের মত করে ব্যবহার করতেও দেখা যায়। অথচ নিজেদের প্রতিষ্ঠানে অ-ব্যবহারিত কম্পিউটারের দিকে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের থাকে না কোনো দৃষ্টি। এই দৃষ্টি কিংবা সুদৃষ্টি কবে ফিরে আসবে আমাদের দেশে তার কোনো সঠিক জবাব নেই। কে কাকে দিবে এই অপচয়ের জবাব ? সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই,শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব গুলো ব্যবহার করার ব্যবস্থা করুন।

প্রেরক...
আব্দুল মোমেন,
শিক্ষার্থী,সমাজবিজ্ঞান বিভাগ,দিনাজপুর সরকারি কলেজ।
মোবাইল নংঃ ০১৭৩৮৪৬৬৪৩৬

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সরকারি জিনিস পত্রের এমন পরিনতি হওয়ার কারন দায়িত্ববানদের দায়িত্বে অবহেলা।

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২০

মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: হুঁ, ব্যবস্থা নেয়া হোক!

৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৫

সনেট কবি বলেছেন: বেশ

৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: এখন এটা স্বাভাবিক।
যুগ যুগ ধরে এমনটাই হয়ে আসছে।
সরকারি মাল দরিয়ামে ঢাল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.