নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার সম্পর্কে বলার তেমন কিছুই নেই। সাধারণ একটা ছেলে। অতি সাধারণ একটা মানুষ হয়েই থাকতে চাই..

মো: আব্দুল মোমেন

ভালো লাগে লেখা পড়তে,সামান্য কিছু লিখতে...আমার আমিতে বেশি ভালো থাকি।

মো: আব্দুল মোমেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

চুরি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূণরায় পরীক্ষার সিদ্ধান্ত

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

আমাদের বাড়িতে একবার মাটির দেয়াল কেটে চোর ঢুকেছিল। সেই সময় গ্রামের ভাষায় এই পদ্ধতিতে চুরি করাকে “সিং” দেওয়া বলা হত। এখন যদিও এই সব আর দেখা যায় না।

তো, চোর পুরো দেয়ালের মাটি কেটে নিচ দিয়ে ঘরে ঢুকে। পরবর্তীতে মুরুব্বিদের কাছে শুনেছিলাম,এই পদ্ধতিতে চুরি করার পূর্বে চোরেরা নাকি কালো মাটির পাতিল দিয়ে ঘরে দেখে কেউ টের পেলো কিনা। পাতিল যদি ঠিকভাবে বের হয়ে আসে তাহলে চোরেরা নিশ্চিত ধরে নেয় সবাই খুব ঘুমের ঘরে আছে এখানে চুরি করা যাবে।

যাইহোক,আমাদের ঘরেও সিং দেওয়া হলো, আব্বার খুব দামী একটা চাদর ছিল। এটাকে নাকি শালও বলে। আমাদের ঘরে তো তেমন কিছুই নেই। যা ছিল পুরাতন কাপড় আর কিছু হাড়ি পাতিল। চোর যখন ঘরে ঢুকে দামী কোনো জিনিস পায়নি তখন সেই পুরাতন কাপড় আর হাড়ি পাতিল নিয়েই গেছে।

সকালে উঠে তো আমাদের খুবই চিল্লাচিল্লি শুরু হলো,পাড়ার মানুষজন দলবদ্ধ হয়ে দেখতে আসলো। অপরের দুঃখে আমরা আবার দলবদ্ধ হয়ে মজা নিতেই বেশি পছন্দ করি। সবাই আসছে আর হায় হায় করে আপসোস করে বলছিলো,” চোর আর ঘর দেখা পাইলো না,কি আছে এই গরীব মানুষটার ঘরে। আরে চুরি যখন করবি তখন বড়লোকের বাড়িতেই কর।

তারপর বাজারে যেতে যেতে কে জানি আমাদের কাপড় গুলো নদীর ধারে পড়ে থাকতে দেখেছিল। আমাদের খবর দিলে গিয়ে দেখি কাপড় গুলো আমাদেরই। কিন্তু যেগুলো একটু ভালো মানের কাপড় ছিল সেগুলো নেই। শুধু যেগুলো পরিধানযোগ্য নয় সেগুলো পড়ে আছে নদীর ধারে!

আসল কথায় আসি,” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাসকৃত ছাত্রছাত্রীদের পূণরায় পরীক্ষা নিবে!! খবরটি শুনে যেমন আনন্দিত হয়েছি তেমনই আমাদের বাড়িতে চোরের সিং দেওয়ার বিষয়টি মনে পড়ে গেল! চোর চুরি করে ধরা পড়েনি কিন্তু আমাদের অপরিধানযোগ্য ফেলে রাখা কাপড় গুলো পেয়েই আমরা বেশ খুশি হয়েছিলাম।

প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে খ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন ফাঁস হয় কেমন করে ? আবার পূণরায় পরীক্ষা নিয়ে যারা কষ্ট করে পড়ালেখা করেছিল তারা যদি কোনোভাবে চান্স না পায় তাহলে এর দায়ভার কে নিবে ?
মানে আমরা একটা ভুলের জন্য কত ভুল করি সেটা বুঝছেন তো ? এখন নিশ্চয় মেধায় চান্স পাওয়া ছাত্ররা আন্দোলনে যাবে। রাজপথ আবার ছাত্রদের দাড়ায় রক্তাক্ত হবে!! সামনে যেহেতু নির্বাচন এখানে একটা রাজনীতিও ঢুকে যাওয়া স্বাভাবিক!!

আমরা যখন চুরি ঠেকাতে পারবো না তখন ফেলে রাখা কাপড়রের মায়া করে তো লাভ নেই !! যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে এটাই মনে হয়েছে যে,প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে তাহলে তারা এত দেরি করে কেন এই রকম ফালতু সিদ্ধান্তে গেল ? যেদিন রেজাল্ট প্রকাশ করলো সেদিনই কেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারলো না ? আবার সাংবাদিকদের কাছে কেন বলেছিল,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন ফাঁস হয়নি!!

আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো দোষ দিচ্ছি না,দোষ দিচ্ছি আমাদের সিস্টেমের! আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার! প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্ভির টাকার লোভ সামলাতে না পেরে সমন্বিত পরীক্ষা নিতে পারছেন না।
যেখানে লোভ আর লালসা নিয়ে উচ্চ শিক্ষার শুরু হয় সেখানে,সে দেশে প্রশ্ন ফাঁস হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়!!

লেখকঃ এম এ মোমেন খান

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। সমস্যা হলো সিস্টেমে।
সিস্টেম বদলাতে হবে।

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

আরোগ্য বলেছেন: আমার এক কাজিনও এবার পরীক্ষা দিয়েছে, হল থেকে বের হয়ে শোনে প্রশ্ন ফাঁস। মেধাবী বলে চান্স পেয়েছে কিন্তু ভাল বিষয় আসেনি। এরকম পরিস্থিতি ভাল ছাত্রদের জন্য হতাশাজনক।

৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

করুণাধারা বলেছেন: সর্ষের ভিতর যখন ভূত থাকে তখন সরষে পড়া দিয়ে ভূত তাড়ানো যায় না!

৪| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

সাগর শরীফ বলেছেন: আবার পরীক্ষা নেবে ? কখনোই না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.