নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হুমায়ূন আহমেদের বই যখন পড়ি, তখন আমার লেখার ইচ্ছাটা জেগে উঠে। আপাতত ছোট গল্প দিয়ে না হয় শুরু করলাম..

রব্বানী রবি

রব্বানী রবি

রব্বানী রবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড্রাইবার যখন লিজেন্ড

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:০২

অনেক ঘটনা আছে, প্রতিকুলতার কারণে, আমাদের, বন্দরে ভীড়ে না। এমন অনেক মানুষ আছে, তারা যে, কতো ভালোবাসার পাত্র, তা তারা নিজে ও জানে না।
চট্টগ্রামে অবস্থিত "আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় " বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি, পাহাড়, প্রাকৃতিক লেক, সমুদ্র, কেউ নেই এই ভার্সিটির.!
প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থীর এ ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম থেকে ২২ কি.মি দূরে কুমিরায় অবস্থিত।
৫ টি হল এবং নবনির্মিত ২টি হল থাকা স্বত্ত্বেও এতো শিক্ষার্থীকে হলে জায়গা দেওয়া সম্ভব হয় না।
তাই কিছু শিক্ষার্থীকে শহরে নিজের পরিবার বা মেসে থাকতে হয়। এ কিছু শিক্ষার্থীর পরিমাণটা ও ভয়াবহ। আমি একদিন, ক্যাম্পাসের "হতাশার চত্ত্বর " সংলগ্ন মন্নান ভাইয়ের দোকানের সামনের রেললাইনে বসে বাস কয়টি বের হয় সেটি গুণছিলাম।
স্যারদের বাসসহ বাসের সংখ্যা ছিলো ৩৮ !
এতগুলো বাসকে নিয়ন্ত্রন করা এবং কোন বাস কোথায় যাবে, সেটা নির্ধারণ করা ছিলো, একধরনের মানসিক দক্ষতার বিষয়। আমাদের বাসগুলা ক্যাম্পাস থেকে মিররশরাই এবং শহরের চকবাজার, বহদ্দারহাট, আগ্রাবাদ হয়ে বন্দর পর্যন্ত যায়।
এরকম মানসিক দক্ষতার বিষয় খুব দক্ষতার সাথে করতেন ষ্টাফ বাসের একজন ড্রাইবার, ইকবাল ভাই
ছাত্রদের সাথে, তার পরিচয়টা বন্ধুর চেয়ে বেশী হয়ে গিয়েছিলো। ক্লাস শেষ হলেই, ছেলেরা ইকবাল ভাইকে তলব করতো, গন্তব্যের বাস কোনটি তা জানার জন্য
মাঝে মাঝে, বাস অথরিটি, বাস সংখ্যা কমিয়ে দিতো। ছেলেরা তখন, আন্দোলনে নেমে যেতো। এ ইকবাল ভাই, কেমনে কেমনে যেনো বাস ম্যানেজ করে ফেলতো
ইকবাল ভাই কথায় কথায় গালি দিতো। আর এ গালি শুনে ছাত্ররা, বেশ উপভোগ করতো।
কিছুদিন আগে কোন একজন ছেলে জেনে ফেললো, ইকবাল ভাইকে "আন্তজার্তিক ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের " ফিমেল ক্যাম্পাস, যা বহদ্দারহাটে অবস্থিত, সেখানে বদলি করা হল..
সে ছেলেটি গ্রুপে স্ট্যাটাস দেওয়ার সাথে সাথে সবাই ক্ষোভে ফেটে পড়লো। সবাই ইকবাল ভাইকে নিয়ে তাদের স্মৃতি শেয়ার করতে লাগলো নিজেদের ওয়াল এবং গ্রুপে..
ঠিক তার ২ দিন পরই, হয়ে গেলো ভার্সিটিতে আন্দোলন.. ইকবাল ভাই কে মেইল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার আন্দোলন..
একজন মানুষ কতো প্রিয় হলে তাকে নিয়ে, আন্ডার গ্রাজুয়েট ছেলেরা আন্দোলন করকে পারে.. !
মানুষ যেমনি হোক, হোক সে ড্রাইভার, ব্যবহার এবং নিজ কাজে সফলতা, ইকবাল ভাইয়ের মতো মানুষদের করে দেয় মহান...
ফেসবুকের ঝড়ো স্ট্যাটাস এবং আন্দোলন, ইকবাল ভাইকে, মেইল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় বাস অথরিটি..
জয় হোক ভালোবাসার, জয় হোক আমাদের লিজেন্ড ইকবাল ভাইয়ের..

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.