![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোবাসার মানুষ শুধু সে নয়, যে তোমার জিবনে প্রথম এসেছিলো,ভালোবাসার মানুষ তো সে যে তোমার জিবনে ছিলো আছে এবং থাকবে সারা জিবন।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
কারবালায় স্বপরিবারে ইমাম হোসাইন (রা) 'র শাহাদাত ছিল ইসলামের ইতিহাসের সবচেয়ে হ্রদয়গ্রাহি, নির্মম ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।সমগ্র মুসলিম সমাজে এ ঘটনার প্রভাব এতো বেশি সক্রিয় যে, সৃস্টির প্রারম্ভ থেকে , আদম (আ) থেকে শুরু করে হযরত ঈসা (আ) পর্যন্ত ১০ মুহরমের এ দিনে সংঘটিত অসংখ্য ঘটনা এর কাছে ম্লান হয়ে গেছে। আহলে বাইতগনের নির্মম শাহাদাতের জায়গা কারবালা এখন শুধু মাত্র একটি ময়দান নয়, বরং কারবালা শব্দটি এখন জেহাদের সমার্থবোধক হয়ে ওঠেছে। যেমন, " ইসলাম।জিন্দা হোতা হ্যায়, হার কারবালা কে বা'দ "। আবেগ যেখানে প্রবল, সেখানে ব্যতিক্রম অবশ্যম্ভাবী। সবাই চায় একে কাজে লাগাতে। কেউ ভুলও করে ফেলতে পারে। আবার কেউ ঝোপ বুঝে কোপ দিতে যেন ভুল না হয়, সে পরিকল্পনা নেয়। তাই, ঈমানদারদের উচিত হবে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে এ মহান শাহাদাতের পর্যালোচনা করা, এবং কারবালার বয়ান চালু রাখা, যাতে সাহাবাগনের বিষয়ে কুরঅান -সুন্নাহ নির্দেশিত আক্বিদা বজায় রেখে, জঘন্য বাতিল দল শিয়াদের দূরভিসন্ধি থেকে মুসলমানদের রক্ষাকরা যায়, এবং আহলে বাইতের দুশমনদেরও চিন্হিত করা হয়।আহলে বাইতের সুউচ্চ মর্যাদার কথাগুলো তুলে ধারার সুযোগটাও যেন সর্বোচ্চ কাজে লাগানো সম্ভব হয়।মনে রাখতে হবে যে, ইতিহাস স্বাক্ষী দেয়, সুন্নিরা সতর্কতা এবং মধ্যপথ অবলম্বনকারী।পক্ষান্তরে, বাতিলরা হয় সীমালংঘনকারী।বিদায় হজ্জ্বের ভাষনে আমাদের সতর্ক করা হয়েছে যে, পিতার দোষে পুত্রকে যেমন দায়ি করা যাবেনা , ঠিক তেমনি পুত্রের দোষে পিতাকেও দায়ি করা যাবেনা। সুতরাং পাপিষ্ঠ এজিদের কারনে আমিরে মুয়াবিয়াকে কটাক্ষ করা সীমালংঘন। মাহবুব ই এলাহি খাজা নেজাম উদ্দিন আউলিয়া (র) প্রসিদ্ধ কিতাব " রাহাতিল ক্বুলুব ", যা বাবা শেখ ফরিদের ভাষনও বটে, এতে বলা হয়, " একদিন রাসুলে মাকবুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবাগনের সাথে বসা ছিলেন, এমন সময়ে মুয়াবিয়া তার পুত্র এজিদকে কাঁধে নিয়ে সেখান দিয়ে যাচ্ছিলো। তাঁকে দেখে, হুজুর পাক সল্ল্াল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ' দেখ, দেখ, বেহেস্তীর কাঁধে দোজখি যাচ্ছে, "।! একথা শোনার পর উপস্হিত মাওলা আলী (রা) জিজ্ঞেস করলেন, কী করে এজিদ জাহান্নামি হবে? উত্তরে এরশাদ হলো, _এই বদবখতির কারনে ইমাম হাসান, হোসাইন (রা), এবং তাঁদের বংশীয়রা শহীদি হবেন।" এই সময়ে হযরত মাওলা আলী (রা) তলোয়ার হাতে দাঁড়িয়ে যান, এবং অনুমতি চান এই দুশমনকে শেষ করে দিতে, কিন্তু না, তাঁকে বরং থামিয়ে দিয়ে আল্লাহর হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, --এটা আল্লাহরই বিধান, এবং বলেন, কারো ভাগ্যের উপর হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়,। " ৬৫৬হিজরি ৯ মুহর্রম হযরত খাজা শেখ ফরিদুদ্দিন গন্জেশকর (র) তাঁর মুরীদ খলিফাদের উদ্দেশ্যে আশুরা প্রসঙ্গে উক্ত বক্তব্যগুলো রাখেন যা সেখানে উপস্হিত শ্রোতাদের পক্ষে কলমবন্দি করেন তাঁরই প্রধান খলিফা হজরত নেজামুদ্দিন আউলিয়া। বুঝা যায় যে, আমাদের পথ প্রদর্শক আউলিয়ায়ে কেরামগনের আক্বিদা এটি, যা সুন্নি সমাজেও প্রচলিত। কিন্তু শিয়ারা, যারা, ইমামকে কুফায় দাওয়াত দিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, আর শেষ পর্যন্ত মুনাফেক্বি করে, তাঁকে বিপদগ্রস্ত রেখে পালিয়ে গিয়েছিল , আজ তারাই, ইহুদীবাদের ক্রীড়নক হয়ে, ইমামের জন্য মায়াকান্না, আর মাতম করে মু 'মিনদের বিভ্রান্তিতে ফেলবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারা কারবালার ঘটনার জন্য শুধু এজিদকে দায়ি করেনা, বরং এ মহা আবেগকে কাজে লাগিয়ে, তার পিতা হযরত মুয়াবিয়া, এমনকি সিদ্দিকে আকবর, ফারুকে আযম, ওসমান জুন্নুরাইন (রা) দের পর্যন্ত মুনাফেক, ষড়যন্ত্রকারী, খেলাফত অাত্মসাতকারী ইত্যাদি অভিযোগ তুলে গালাগালি করে। যা কারবালার চেতনার সাথে কোনভাবে সামন্জস্যপূর্ন নয়, এমনকি আমাদের আকাবির আউলিয়া - মুজতাহিদ কারো সাথেই মিলেনা। গাউসে আযম দস্তগীর (র), শিয়াদের -জাহান্নামি বলেছেন। দাতা গন্জে বখ্শ চার খলিফা তথা খোলাফায়ে রাশেদাদের তরিকতের ইমাম হিসেবে বিশদভাবে তাঁদের চারজনের জীবনী তুলে ধরেছেন তাঁর বিখ্যাত 'কাশফুল মাহজুব, নামক তরিকতের কিতাবে। আর, ওরা তাঁদের প্রথম তিনজনকে মুনাফেক বলে গালি দেয়।খাজা গরীবনওয়াজ থেকে থেকে উপরের দিকে , এবং পরের কোন অলীর নাম দেখানো যাবেনা, যাঁরা এমন জঘন্য আক্বিদা পোষন করতেন। বরং তাদের বিরোধিতা রয়েছে উনাদের জীবনী ও বক্তব্যে। গাউসে আজম মাইজভান্ডারি হযরত আহমদুল্লাহ (র) তাঁর প্রধান খলিফা হিসেবে হযরত অসিয়র রহমান চরণদ্বীপিকে মনোনয়নকালে বলেন, " অসিয়র রহমান আমার সিদ্দিকে আকবর,"। তাঁর এ উক্তি প্রমান করে যে, তিনি হযরত আবু বকর (রা) কে সিদ্দিকে আকবর, এবং ইসলামের প্রধান খলিফা জানতেন, এবং নিজের প্রধান খলিফাকেও সে আক্বিদা অনুসারে সম্বোধন করেছিলেন। কিন্তু আতংকের বিষয়টি হলো, আজ সে আমরা সে বুজুর্গদের উত্তরসুরী দাবিদারদের কেউ কেউ নতুন করে শিয়াদের জঘন্য আক্বিদা প্রচারের সহযোগিতা করার প্রয়াস চালাচ্ছি। অাজ সুন্নিয়তের অনুসারিদের সে সব মহল সম্পর্কে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সউদী আরবের টাকায় যেমন, একদল ওহাবীবাদে দীক্ষা নিয়ে বলছে, _এজিদ বৈধ খলিফা ছিল, বরং ইমাম হোসাইন তার বৈধ খেলাফতের বিদ্রোহকারী হিসেবে কতলের উপযুক্ত হয়েছিল। ঠিক, অনুরুপ আজ অপর দল, ইরাননের টাকা নিয়ে, শিয়াদের পক্ষে কাজে নেমেছে। তাদের কেউ কেউ কুরঅান সম্পর্কেও সন্দেহজনক আক্বিদা প্রচার করছে শিয়াদের অনুসরনে। গদীরে খোম' এ মাওলা আলী (রা) ' র যে বিশষ মর্যাদার কথা ঘোষনা করা হয়েছিল তার অপব্যাখ্যা তৈরি করে এরা নতুন করে মাঠে নেমেছে খোলাফায়ে রাশেদাদের প্রথম তিনজনের খেলাফতের অবৈধতা সাব্যস্ত করে শিয়া মতবাদ কায়েমের স্বপ্নে।এরা মসনবীর কথা বলে, রুমির কথা বলে, অথচ, সে রুকু মসনবীর কথা হলো, __যারা সুন্নিজামাত থেকে আলাদা হয়েছে, তারা নিজেদের হিংস্র জানোয়ারেরর হাতে নিজেদের হাওলা করেছে। মসনবীতে শিয়াদের মাতম করার সমালোচনা করা হয়েছে। এভাবে বহু উদাহরন রয়েছে যা বরাবরই শিয়াদের বাতিল আক্বিদাগুলোর পরিপন্হী হিসেবে আউলিয়া -বুজুর্গদের জীবনে দেখা যায়।এরপরও যারা শুধু টাকায় বলে, টাকায় লেখে তাদের কাছে ঈমান ইসলামের মূল্যই বা কী? (অসমাপ্ত)
ধর্ম ও রাষ্ট্র জমজ ভাই (হাদিস) কেন বলা হয়েছে তা আজ আমাদের কাছে পরিষ্কার কারবালার প্রেক্ষাপট বিবেচনাতেও।ধর্মের প্রভাব রাষ্ট্রকে তেমনটা পথ দেখাচ্ছেনা যতটুকু দেখি রাষ্ট্রকে ধর্মের উপর ক্ষমতা দেখাতে। কারবালায় ও তাই হয়েছে।কুফার আমনত্রনকারীরা ইমাম মুসলিমকে একা অসহায়ভাবে ফেলে পালিয়েছিল যখন রাষ্ট্রীয় হুমকি আর লোভনীয় প্রস্তাব ঘোষনা হয়।ইমামের আত্মত্যাগ সিংহাসনেরর জন্য নয়, তবে তিনি যে সে পদে এজিদকে প্রত্যাখ্যান এবং প্রতিরোধ করতে জীবন দিয়েছেন, তা'ই প্রকৃত ইসলামের পরিচায়ক।ইসলামে পদলোভ পরিত্যাজ্য, কিন্তু রাষ্ট্রকে জালিমের ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেওয়া হোসাইনী চেতনার পরিপন্হী। ইসলামে রাজতন্ত্রের সূচনা হয় এজিদের হাত ধরে। এরই প্রতিবাদী ছিলেন ইমাম।কিন্তু আজ বাংলাদেশে চলছে পরিবারতন্ত্র।তাও নারীবাদী পরিবারতন্ত্র। যা তখনো ছিলনা।সউদী আরব বরাবরই ঐ এজিদি চেতনার রাজতন্ত্র চালু রেখেছে। ইরানে আছে শিয়াধর্মের নিজস্বতা। কোথাও আজ কাঙ্ক্ষিত হোসাইনি রাস্ট্র নাই।ফলে বিদ্যমান হোসাইনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা ভিন্ন রাষ্ট্রের কাছে পরাজিত হতে বাধ্য হচ্ছে। অথচ, রাষ্ট্রীয় শক্তির কাছে সবকিছুই অসহায়। মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত সার্ক সম্মেলনের উদ্বোধনীতে " এয়া নবী সালাম আলাইকা" কেয়াম ও জুলুছ সহকারে পরিবেশন হয়, আর সেখানে অংশ নেয় সঊদী আরব সহ মধ্যপ্রাচ্য নেতৃবৃন্দ। একেই বলে রাষ্ট্রীয় প্রভাব, যাকে এড়ানো সহজ নয়। রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষনের ফলে ওহাবী ও শিয়া আক্বিদার মতো সম্পূর্ণ বিপরীত জিনিশগুলোকে মুসলমানদের মধ্যে জায়গা পায়।যদি সুন্নিদের থাকতো সে রকম নিজস্ব কিছু, তখন হোসাইনী চেতনার বিপরীত কিছুই হয়তো দেখা যেতনা তেমনটা। কবে আসবে সে সুদিন!
২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯
আমি মিন্টু বলেছেন: পড়লাম ।
৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৯
parvaj বলেছেন: চাদ গাজি সঠওক বলেছেন
৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩০
parvaj বলেছেন: ধন্যবাদ মিন্টু
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
"কারবালায় স্বপরিবারে ইমাম হোসাইন (রা) 'র শাহাদাত ছিল ইসলামের ইতিহাসের সবচেয়ে হ্রদয়গ্রাহি, "
- হ্রদয়গ্রাহি শব্দের অর্থ হলো যা ঘটলে হৃদয়ে পরম ভালো অনুভব লাগে; আপনি তাই বলতে চেয়েছেন?