![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোবাসার মানুষ শুধু সে নয়, যে তোমার জিবনে প্রথম এসেছিলো,ভালোবাসার মানুষ তো সে যে তোমার জিবনে ছিলো আছে এবং থাকবে সারা জিবন।
________________________
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
----/-//---/////------------------))
ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্হা, যা বিদায় হজ্বের সময়ে স্বয়ং অাল্লাহ পাক অায়াত নাজিল করে সনদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছেন। "অাল্ ইয়াওমা অাকমালতু লাকুম দ্বীনাকুম ওয়াতমামতু অালাইকুম নে'মাতি ওয়া রাদ্বিতু লাকুমুল ইসলামা দ্বীনা" (কুরঅান,)। জীবন বিধান হিসেবে ইসলামের এবং আল্লাহর নেয়ামতের পরিপূর্ণতার এই ঘোষনা কোন বিচ্ছিন্ন বিষয় ছিলনা, বরং এর ছিল এক ধারাবাহিকতা, এবং স্বয়ং সম্পূর্ণতা। অাল্লাহর বিধান সমূহ মক্কাশরিফে অবতীর্ণ হতে শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেখানে এর বাস্তবায়ন দূরে থাক, বরং এর অনুসারিদের পর্যন্ত অাত্মরক্ষা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তাই, ইসলামের বাস্তব অনুশীলন নিশ্চিত করে একে একক পরিপূর্ণ জীবন বিধান হিসেবে প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ হিসেবে হিজরতের ঘটনা ছিল এক অপরিহার্য বাস্তবতা। হিজরত দান করে ঐতিহাসিক মদীনা সনদ, যা দুনিয়ার প্রথম লিখিত সংবিধানের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত। যা দেয় মদীনা রাস্ট্র। যে রাস্ট্রে ইসলামের অাইন -বিধান, রীতিনীতি, শিক্ষা -সংস্কৃতি, রাজনীতি -অর্থনীতি, মানবতা, শান্তি তাবত বিষয় অনুশীলিত হয়। জোর যার মুল্লুক তার 'এমন অমানবিক ধারনার কবর রচিত হয় এ রাস্ট্রের দশ বছরের পথচলায়।সমগ্র বিশ্ব অবাক তাকিয়ে দেখলো, একি মন্ত্র এলো অারবের মরুদেশে। যে মন্ত্র দেখতে না দেখতে ছড়িয়ে পড়ছে সবখানে। সমাগত হলো ১০ম হিজরি। অাল্লাহর প্রিয় মাহবুব সল্লাল্লাহু অালাইহি ওয়াসাল্লামের বিদায়ি হজ্ব সম্পন্ন হলো। ৯ জিলহজ্জ্ব অারাফাতের ময়দানে সমবেত হয় লাখো সাহাবী। এর পর এ জাহেরি দুনিয়াতে আল্লাহর এ শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধির হায়াত ছিল তিন মাস। এ হজ্ব, এ মহামিলন অার হবেনা। তাই, আল্লাহ পাক, এই দিনটাতেই সেই কাঙ্ক্ষিত পরিপূর্ণতা সনদ দান করলেন কুরঅান নাজিল করে, এবং তাঁরই হাবিবের এক পরিপূর্ণকারী অদ্বিতীয় ভাষনের মাধ্যমে। দশম হিজরির ৯ জিলহজ্জ্ব তারিখের এ বিদায় হজ্বের ভাষন ছিল এক ম্যাগনাকার্টা। মানবজাতির মহাসনদ।মুক্তি ও শান্তির অবিকল্প বিধান। যা দেয়া হয় সমগ্র সৃস্টির জন্য, কারন তিনিই শেষ নবী, এবং ইসলামও লাভ করলো পূর্ণতা। প্রথমে তিনি নিজের দায়িত্ব পালনে কতটুকু অামানতদার ছিলেন সেটা প্রকাশ্যে জানতে চান বক্তব্যে। উপস্হিত লাখো সাহাবার সমবেত গগন ফাটানো অাওয়াজে স্বাক্ষী এলো যথাযথ দায়িত্ব পালনের। তিনিও আল্লাহকে স্বাক্ষী করলেন, তাঁদের স্বীকৃতিকে। এরপর, যে সব অমীয় ঘোষনা এ ভাষন থেকে পাওয়া যায়, এর কয়েকটি অংশ নিম্নরুপ :
** তোমরা মনযোগ দিয়ে শোন, এর পর তোমাদের সাথে এখানে আর একত্রিত হতে পারবো কিনা জানিনা।
**আল্ল্াহ মানুষকে একজন পুরুষ ও একজন নারী থেকে সৃস্টি করেছেন, তারপর পরস্পরের পরিচিতির সুবিধার্থে বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত করেছেন। সেই বেশি মর্যাদাবান যে বেশি ত্বাকওয়াবান। ইসলামে জাতি, শ্রেণী, বর্ণ, ইত্যাদি কোন বৈষম্য নেই। আরবের উপর অনারবের, বা অনারবের উপর কোন অারবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই, ঠিক তেমনি সাদার উপর কালোর, বা কালোর উপর সাদার কোন শ্রেষ্ঠত্ব নেই। তাকওয়া বা খোদাভীতিই হলো, শ্রেষ্ঠতার মাপকাঠি।
**জাহেলী যুগের সকল প্রথা রহিত হলো। জাহেলী যুগের রক্তের দাবী, সুদ প্রথা বন্ধ ঘোষনা করা হলো। সর্বপ্রথম আমি আমার চাচা হযরত আব্বাসের সুদের দাবী মাফ করে দিলাম।
**তোমাদের রক্ত, তোমাদের সন্মান, তোমাদের সম্পদ পরস্পরের জন্য চিরতরে হারাম করা হলো, যেরুপ অাজকের এ দিন, এই মাস, তোমাদের এই শপথ সকলের জন্য পবিত্র, হারাম, ও নিরাপদ।
**অপরাধির দায়িত্ব শুধু তাঁর নিজের উপর বর্তাবে, পিতার দোষে পুত্র, বা পুত্রের জন্য পিতাকে দায়ি করা যাবেনা।
**নারীদের ব্যাপারে তোমাদের সতর্ক করা হচ্ছে, তাদের সাথে নির্মম ব্যবহারের সময় আল্লাহর দন্ড সম্পর্কে নির্ভয় হয়োনা। নিশ্চয় তাদেরকে তোমরা আল্লাহর জামিনে গ্রহন করেছো, এবং একি কলেমায় তোমাদের দাম্পত্য বন্ধন স্হাপিত হয়েছে। তাদের উপর যেমন তোমাদের অধিকার সেরুপ তোমাদের উপর তাদের অধিকার রয়েছে। সুতরাং তাদের কল্যান সাধনের বিষয়ে তোমরা আমার উপদেশ গ্রহন করো।
** তোমাদের অধীনস্হদের ব্যাপারে সতর্ক হও তারা তোমাদের ভাই। তোমরা নিজেরা যা খাবে তাদের তাই খেতে দেবে, নিজেরা যা পরিধান করবে তাদের জন্যও তাই দেবে। তাদের উপর সাধ্যের বেশি বোঝা চাপিয়ে দেবেনা। যদি সাধ্যাতীত শ্রমের বোঝা চাপাতে বাধ্য হও, তখন তুমিও তার শ্রমে সাহায্যকারী হও।
**শুনে রাখো, মুসলমান পরস্পর ভাই।সাবধান আমার পরে তোমরা একে অপরকে হত্যা করার মতো কুফরি কাজে লিপ্ত হয়োনা।
**ঋন অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে, প্রত্যেক আমানত তার হকদারের কাছে ফেরত দিতে হবে।
** কারো সম্পত্তি স্বেচ্ছায় না দিলে তা অপরের জন্য হালাল নয়। সুতরাং তোমরা একে অন্যের উপর জুলুম করবেনা। তেমনিভাবে স্বামীর অনুমতি ছাড়া অন্য কাউকে স্বামীর সম্পত্তির কোন অংশ দেওয়া স্ত্রীর জন্য বৈধ নয়।
** তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে সীমালংঘন করবেনা। কারন দ্বীনের বিষয়ে বাড়াবাড়ির পরিণামে তোমাদের পূর্ববর্তীরা ধ্বংস হয়ে গেছে।
**এই ভূমিতে আবারো শয়তানের পূজা হবে, এই বিষয়ে শয়তান নিরাশ হয়ে গেছে। কিন্তু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ে তোমরা তার অনুসারি হবে, তাতেই সে সন্তুষ্ট হবে। সুতরাং তোমরা শয়তান থেকে সাবধান থাকবে।
**আমার পর কোন নবী নাই, আর তোমাদের পর কোন উম্মতও নাই।
**আমি তোমাদের জন্য দুটি অপরিহার্য জিনিস রেখে যাচ্ছি, এ দুটি যতদিন আঁকরে থাকবে তোমরা পথভ্রস্ট হবেনা,। এ দুটি অবলম্বন হলো, ১. আল্লাহর কিতাব কুরআন করিম, ২. সুন্নাহ (অন্যমতে, আহলে বাইত, বা নবীবংশ) ।
**আজ তোমরা যারা এখানে উপস্হিত আছো, তোমাদের দায়িত্ব হলো, যারা এখানে উপস্হিত নেই, তাদের কাছে এই বক্তব্য পৌছে দেওয়া।
উক্ত বিষয়ের বাইরে আল্লাহর ইবাদাত, নামাজ, রোজা, হজ্জ্ব, যাকাত, তৌহিদ, সম্পত্তির অধিকার বিষয়ে কিছু নসীহতও ছিল এ ভাষনে, যা অনুসৃত হলে মুসলমানদের আত্মরক্ষা শুধু নিশ্চিত হয়না, বরং প্রতিষ্ঠিত হবে বিশ্ব শান্তি। হুজুর পুরনুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ ভাষন ছিল সমগ্র মানবজাতির কল্যানে নিবেদিত স্রস্টা প্রদত্ত চিরন্তন সনদ। পৃথিবীজুড়ে মানবাধিকারের কোন ধারনা এর আগে ছিল অনুপস্হিত। জাতিসংঘ মানবাধিকারের ঘোষনা মূলত এরই অনুসারে পরবর্তিতে প্রস্তুতকৃত। যদি সে ঘোষনা বিদায় হজ্জ্বের ভাষনের মূল নীতি ও চেতনার আলোকে সাজানো যায়, তবে তা অতি দ্রুত যে বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনবে, তাতে সন্দেহের কোন অবকাশ থাকেনা। উপরে এ ভাষনের উল্লেখিত অংশের কোনটিই আজকের বিশ্ব বাস্তবতায় অপ্রয়োজনীয় বলে রেখে দেয়ার সুযোগ নাই, বরং জোর দিয়ে বলা যায় যে, ভবিষ্যত পৃথিবী একে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক করে তুলবে, এমনকি একদিন এ সনদকে বিশ্বশান্তির একমাত্র মনে করা হবে, এবং দুনিয়ার মানুষ এ সনদের আওতায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুনিয়ার শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির রাস্তায় ফিরে আসতে বাধ্য হবে। সে যুগ বেশি দূরে নয়, আসবেই সেই প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদী (আ), যাঁর নেতৃত্বে আসবে সে কাঙ্ক্ষিত সোনালী দিন।
আজ যদি একটু পর্যালোচনায় বসি, দেখবো, মানবাধিকারের সব বিষয়ে চৌদ্দশ বছরের আগের সে ভাষনে অন্তর্ভুক্ত। এখনো সাদা- কালোর লড়াই চলছে সভ্যতার দাবীদারদের দেশ ইউরোপ- আমেরিকায়। জাতিয়তাবাদের নামে এক মুসলিম জাতিতেই কত হানাহানি। রক্তের বদলে রক্তের দাবী সমাজে কী পরিমান ধ্বংস আনতে পারে তা আজ বলার অপেক্ষা রাখেনা। সুদের রঙ বেরঙের আত্মপ্রকাশ আজ গরীবদের আরো গরীব বানিয়ে দিচ্ছে, তারা শিকার হচ্ছে বড়দের নিত্যনতুন জুলুমের। মানুষের রক্ত, ইজ্জত, সম্পদের কোন মূল্যই নেই কিছু অমানুষের কাছে। এক পিঁপড়ার কামড়ের প্রতিশোধ নিতে যেভাবে হাজারো পিঁপড়ার জীবন নিচ্ছি , ঠিক যেন সে রকম হয়ে ওঠছি আমরা। এখনো দোষ যে করুকনা কেন সে দলের, বা জাতের, বা এলাকার, বা সে ধর্মের কাউকে পেলেই প্রতিশোধ নিচ্ছি। যে গাড়িতে মানুষের মৃত্যু হোকনা কেন সব গাড়িতেই আমাদের হামলা হয় এখন। দলের কারো দোষ এখন যেন সবার দোষে রুপ নেয়। অথচ পিতা পুত্রও কেউ কারো অপরাধের জিম্মাদার নয়। নারীর উপর সহিংসতার বিষয়ের ঘোষনা এখনো প্রাসঙ্গিক। এটি আজ সবচেয়ে বেশি আলোচিত।অথচ, ইসলাম যখন তাদের অধিকারের বিষয়ে বলেছে, তখন নারীর কোন অধিকারের কথা অন্যেরা স্বীকৃতি ও দিতনা। অধীনস্হদের বিষয়ে , শ্রমের মর্যাদাবোধ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন আজও বন্ধ নাই সারা পৃথিবীজুড়ে। শ্রমিকমালিক সম্পর্কের স্পস্ট ঘোষনা রয়েছে এ ভাষন সহ অন্যান্য হাদিসের বিবৃতিতে। হত্যাকান্ডকে কুফরির সাথে তুলনা করা হয়েছে , অথচ, এটি আজ যেন সামান্য গা সওয়া অপরাধের পর্যায়ে নেমে এসেছে। প্রতিপক্ষকে খুন করা এখন শুধু ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে সীমিত নেই, এমনকি দলের সাথে দলের অপরাধের বিষয়ে ও সীমিত নাই, এ জঘন্য জুলুমটি। এখন রাজারাও খুনে লিপ্ত ক্ষমতাকে নিরংকুশ করতে। বিশ্বব্যাপি চলছে এটি। যুগযুগ ধরে মুসলিম নিধন চলছে বিশ্বব্যাপি প্রতিপক্ষীয় হামলা ও ষড়যন্ত্রে। জঙ্গিরা ইসলামের নামে চালাচ্ছে মুসলিম হত্যাযজ্ঞ, ইহুদীবাদের দোষর হয়ে। মোটকথা, আজ চারপাশে চরছে রক্তের হোলিখেলা। আজ আমানতের খেয়ানত বৃদ্ধি পরস্পরের প্রতি অসহযোগিতাপূর্ণ মানসিকতা তৈরি করে দিচ্ছে। সম্পত্তির জবর দখল এখন আরো বেড়েছে। যা সমাজে জুলুমের রাজত্ব কায়েম করে নিচ্ছে। দ্বীনের নামে, ইসলামের নামে প্রবেশ করানো হচ্ছে অতি কট্টরতা, যা হিংসা- বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে মুসলমানদের মধ্যে। ভিন্নমতপোষণকারীকে জবাই করার মতো বাড়াবাড়ি সর্বকালের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। ভিন্ন ধর্মের মানুষের অধিকারের বিষয়ে ইসলামের নির্দেশ সব সময়ে মান্য না করে সীমালংঘন করা হচ্ছে। মুসলমান হবার অপরাধে আজ বিনা অপরাধে মরতে হচ্ছে প্রতিদিন শত মানুষকে। ধর্মের এমন নির্লজ্জ বাড়াবাড়ি সমগ্র মানবজাতির জন্য অপমানজনক। মোটকথা বিশ্বময় চলমান সকল মানবতা বিরোধি অপরাধের বিবরন, এবং এ থেকে মুক্তির খোদায়ী গাইডলাইন হলো এ ভাষন। যা, শেষ নবী হিসেবে চিরন্তন বৈশিষ্ট্যময় শক্তিধর মানবাধিকার ঘোষনা দিয়ে গেছেন হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তাঁর পর নবী যেমন নাই, তেমনি উম্মতও নাই। তাই এটিই মানবাধিকারের শেষ কথা। বিশ্বশান্তির মূলমন্ত্র। শয়তানও, তাই নিরাশ হয়ে গেছে এ ভাষনের পর। শয়তানের পূজা বন্ধ হয়ে গেছে। মুসলমানরা যে শিরিক করবেনা সেটাও নিশ্চিত হয়ে গেছে। তা'ই বলে শয়তান যে, হাল ছেড়ে দিবে তা কিন্তু নয়। তবে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ে আমরা শয়তানের অনুসরন করবো, যার মানে হলো, রাজনীতি , অর্থনীতি, আইন,বিচার,শিক্ষা, সংস্কৃতি সহ জীবন ব্যবস্হাপনায় তার ফাঁদে জড়িয়ে পড়বো। এখন তাও বরাবর প্রাসজ্ঞিক।তাই, সর্বকালের সব সমস্যা সমাধানের, এবং শান্তি -মুক্তির একমাত্র অবলম্বন ঘোষনা করা হয়েছে কুরআন- সুন্নাহর আদর্শ, এবং আহলে বাইতের পথকে।অর্থাৎ শান্তি- মুক্তির এটিই শেয এবং একমাত্র অবলম্বন। অথচ, এ থেকে আমরা মুসলমানরাই দিনদিন দুরে চলে যাচ্ছি , সেখানে ভিন্নদের ডাকি কীভাবে ? আমাদের যাবতীয় কর্মকান্ডের অাদর্শ কুরঅান -সুন্নাহ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি নাই, শান্তিও নাই। ইহুদী- খৃস্টানদের আজ্ঞাবহ হয়ে নিজেদের অবলম্বন বাদ দিয়ে এখন আমরা তাদের ব্যবস্হাপত্র অনুসরন করে ইসলামকে অপমানিত করছি, করেছি বিদায় হজ্জ্বের ভাষনের অবমূল্যায়ন। কুরঅান শরিফে এবং সুন্নাতে রয়েছে রাজনীতি, অর্থনীতি সহ প্রয়োজনীয় সবকিছু। আমরা শুধু বরকত হাসিলের জন্য এর তেলাওয়াতটাই ধরে রেখেছি। এর অন্তর্নিহিত শক্তির খবর জানে ধূর্ত শত্রুরা। তাই এ থেকে আমাদের দুরে রেখে নেতৃত্ব -কতৃত্ব হাতিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র তারা বজায় রেখেছে বরাবর।ওসমানিয় খেলাফতের পতন পূর্বে, এ ষড়যন্ত্র পাকাপোক্ত হয় বৃটিশদের হাতে। রানী ভিক্টোরিয়ার সময়ে প্রধানমন্ত্রী Mr. Gladstone ইসলামি জ্ঞানবিজ্ঞানেরর প্রাচীনতম প্রাণকেন্দ্র মিশর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় সফর করে ১৮৮২ সালে বৃটিশ হাউজ অব কমন্সের সভায়, কুরআনের একটি কপি হাতে নিয়ে বলেন," __we cannot rule over the muslim nations until and unless we separate the Muslims from this book " (Introduction : Islam the misunderstood Religion by Muhammad, Qutb,Egypt).
আজ আমরা শাসকের জায়গাটি ছেড়ে শাসিতের অবস্হানে নেমে এসেছি উক্ত কুরঅান -সুন্নাহ থেকে বিচ্ছিন্নতার পরিনামে। ওদের ষড়যন্ত্র সফল, আমরা আজ পরাজিত। কবি ইসমাইল হোসেন সিরাজির আক্ষেপ তাই যথাযত, তিনি বলেছিলেন,
দেখ একবার ইতিহাস খুলি, কত উচ্চে তোরা অধিষ্ঠিত ছিলি,
সেথা হতে ওরে কেনরে নামিলি নয়ন মেলিয়া দেখ একবার।
বিস্মৃত হইয়া হাদিস কুরঅান, হারায়ে ঐক্য, হারায়ে বিজ্ঞান,
এখন তোরা সব হয়ে হীন প্রাণ, বিশ্ব সংসার দেখিস আঁধার।।
তাই, আজ যদি আবারো ফিরে পেতে চাই সে অতীত, তবে আবারো সে মন্ত্রে উজ্জ্বীবিত হতে হবে। ঠিক যেখানে ছিলাম সেখানেই ফিরতে হবে, যদি চাই নেতৃত্ব, চাই শান্তি ও মুক্তি। মদীনা সনদ, আর বিদায় হজ্জ্বের ভাষন আছে, আছে কুরঅান, সুন্নাহ। আছেন সাহাবাগনের আদর্শ, আছে নবীবংশেের নেয়ামত তুল্য পথপ্রদর্শক। সুতরাং হতাশা ঝেড়ে ঘুড়ে দাঁড়ানোর সময়ে আমরা এখন উপস্হিত। সময়ের দাবী আবারো ফিরে যাওয়া পুরোনো পথে, যা পুরোনো কিন্তু চিরন্তন এবং অলংঘনীয়। ভাষনের শেষকথা, ছিল, যারা অনুপস্হিত তাদের কাছে এ বাণীগুলো পৌঁছে দেয়া। তা'ই আজ আমাদের সবার দায়িত্ব হলো, মানুষের কানে ইসলামের কথাগুলো পৌঁছানোর ব্যবস্হা করা যাতে শুরু হয় জাগরন। মুসলিম দেশগুলোকে ফিরে আসতে হবে পুরোনো ঐক্যে, নতুন কোন ফর্মূলা অনুসারে। এক সময়ে বৃটিশদের প্ররোচনায় যে ঐক্য ভাঙতে নেতৃত্ব দিয়েছিল আরবের নজ্দ থেকে, আরব জাতীয়তাবাদের নামে। আজ, তা প্রত্যাখ্যাত হোক। অন্তত নিজেদের নতুন মুসলিম জাতিসংঘ গঠিত হোক, ঐক্য প্রক্রিয়া হিসেবে।অভিন্ন মুসলিম মুদ্রানীতি , অর্থনীতি, বানিজ্যিক জোন গঠিত হোক,। বিবেদ কমিয়ে মুসলিম দেশগুলোকে এক জায়গায় বসার নিয়ম চালু করতে হবে। বসা গেলে সমাধানের রাস্তাও বেরিয়ে আসবে, কারণ, এটা আল্লাহর ইচ্ছা, আল্লাহই হবেন সহায়।
আসুন, বিদায় হজ্জ্বের অমীয় বাণী নিয়ে নতুন করে রওনা হই বিশ্বব্যাপি শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে।
২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫
েমাঃ এহ্েতশামুল হক বলেছেন: ভাই সালাম। জরুরি গুরুত্বপূর্ণ লেখাটার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আল্লাহ্ আমাদের সহায় হউন। আমিন।
৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫১
parvaj বলেছেন: আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৪
তাল পাখা বলেছেন: কুরঅান শরিফে এবং সুন্নাতে রয়েছে রাজনীতি, অর্থনীতি সহ প্রয়োজনীয় সবকিছু। আমরা শুধু বরকত হাসিলের জন্য এর তেলাওয়াতটাই ধরে রেখেছি। এর অন্তর্নিহিত শক্তির খবর জানে ধূর্ত শত্রুরা। তাই এ থেকে আমাদের দুরে রেখে নেতৃত্ব -কতৃত্ব হাতিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র তারা বজায় রেখেছে বরাবর।
অতি মূল্যবান কথা।