নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জিবনটা আসলেই অনেক সুন্দর!এতো বেশি সুন্দর যে, মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে।যাহা ভাবি তাহা কেন জানি হয়েও হয় না। স্বপ্ন পূরনে ব্যর্থ হয়ে ঘুরে ফিরি। কবে হবে এর শেষ মরন এলেই বুঝি।

parvaj

ভালোবাসার মানুষ শুধু সে নয়, যে তোমার জিবনে প্রথম এসেছিলো,ভালোবাসার মানুষ তো সে যে তোমার জিবনে ছিলো আছে এবং থাকবে সারা জিবন।

parvaj › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ্যালোয়েন উৎসব নিয়ে কিছু কথা

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫

হ্যালোয়েন উৎসব তো পালন করেছেন তাইনা- তাহলে জেনে নিন কিভাবে আপনি শিরক করলেন

৩১ শে অক্টোবর হলো সেল্টিক জাতির বছরের শেষ দিন। এই সেল্টিক জাতি হলো খ্রিষ্টপূর্ব ৭ হাজার বছর পূর্বের অর্থাৎ লৌহযুগের মূর্তিপূজক বর্বর জাতি গোষ্টি। এদের বর্তমান অবস্থান গ্রেট ব্রিটেন ও স্কটল্যান্ডের কিছু অংশে।

তো এই ৩১ শে অক্টোবরকে বলা হয় " ডে অফ সামহীন" । সামহীন হলো মৃত্যূর দেবতা। সেল্টিক জাতির বিশ্বাস অনুযায়ী এই দিনে মৃত্যূর দেবতা সকল মৃতদের আত্মাকে উন্মুক্ত করে দেন, যাতে করে তারা দুনিয়ায় ফিরে আসে, যদি কেউ এইসব মৃতদের জীবত থাকার সময় অন্যায় করে থাকে তবে এই মৃত মানুষেরা আসে তার প্রতিশোধ নিতে, তবে এবার আর ভালো মানুষ হিসেবে নয় শয়তানের শক্তি নিয়ে। এই শয়তানী শক্তি তাদেরকে এতো শক্তিশালী করে যে সেদিন জীবত আর মৃত মানুষের মধ্যে কোন ব্যবধান থাকেনা।

তখন এইসব মৃত শয়তানদের খুশি করার জন্য সামহীন দেবতার পূজা-অর্চনা করা হয়। যেটাকে বলা হ্যালোইন।

আবার খ্রিষ্টান ধর্ম অনুযায়ী এ দিবসের নাম " ডে অফ অল সেন্টস" । ইউরোপ বিশেষ করে স্পেন,নরওয়ে,গ্রেট ব্রিটেনের গির্জার ধর্মযাজকেরা এই দিনে একসাথে মিলিত হয়, তারা বিভিন্ন খ্রিষ্টিয় উপাসনা ও আনন্দ উৎসব করে এই দিনে।

হ্যালোয়েন এ যা যা করা হয়ঃ

ট্রিক অর ট্রিটিংঃ শিশুরা ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের কাছে বিভিন্ন সাহায্য চায়, এটি এ জন্য হয়েছিলো যে তখন "অল সেন্টস ডে" উৎসব পালনের জন্য প্রচুর খাবার দাবার প্রয়োজন হতো,শিশুদের মাধ্যমে তাই ধর্মযাজকদের উৎসবের জন্য খাবার ও অর্থকড়ি সংগ্রহ করা হতো। আমেরিকায় অনেক মুসলমান না জেনেই তাদের সন্তানদের মানুষের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয় চকলেট সংগ্রহের জন্য, সেখানে এমন কোন হ্যালোয়েন নেই যে বার কোন শিশু ধর্ষিত হয়নি কিংবা শারীরিক নির্যাতনের স্বীকার হয়নি।

বাদুর ও কালো বিড়ালের সঙ এ সাজাঃ সেল্টিক জাতির বিশ্বাস হলো বাদুর ও কালো বিড়ালদের বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে মৃত আত্মাদের সাথে মিলিত হবার,তাই তারা এ সাজে সজ্জিত হতো। যে বিশ্বাস মুসলমানদের ইমান ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট,কারন আমরা বিশ্বাস করি আমাদের আল্লাহ আমাদের মৃত মানুষদের সাথে দেখা করাবেন শেষ দিবসে।

জ্যাক ও ল্যানটার্নঃ (মিষ্টি কুমড়ার প্রদিপ) কেল্টিক বিশ্বাস অনুযায়ী জ্যাক নামের এক লোক একবার শয়তানকে তার সাথে মদ পান করার জন্য ডাকলেন। শয়তান তার আহবানে সাড়া দিয়ে মদ পান করতে আসলো জ্যাক এর সাথে, মদ পান শেষ করে জ্যাক বললো আমার কাছে তো টাকা নাই তুমি কি নিজে কয়েন হতে পারবে যাতে আমি মদের টাকা শোধ করতে পারি, শয়তান সরল মনে তাকে বিশ্বাস করলো এবং কয়েন হয়ে গেলো, কিন্তু দেখা গেলো জ্যাক তাকে পকেটে ঢুকিয়ে আর বের করছেনা,শেষে শয়তান অনেক অনুনয় বিনয় করতে লাগলো তাকে ছেড়ে দেবার জন্য, জ্যাক তার কথায় রাজি হলো এই শর্তে যে শয়তান আর কখনো তাকে বিরক্ত করবেনা এবং তার মৃত্যূর পর তাকে দাবি করবেনা।

একদিন জ্যাক মারা গেলো স্রষ্টা জ্যাককে স্বর্গে নিতে চাইলোনা কারন সে মদখোর আর শয়তান তাকে নরকে নিতে পারছেনা যেহেতু সে ওয়াদা করেছ,তারপর শয়তান কয়েক টুকরা জ্বলন্ত কয়লা সহ জ্যাককে ছেড়ে দিলো অন্ধকার ঘরে, জ্যাক সেখানে একটা মিষ্টী কুমড়া পেলো যাকে ছিদ্র করে তার ভেতরের সব উপাদান বের করে জলন্ত কয়লা রাখলো এবং অনেক বেশি আলোকিত হলো। সেই থেকে জ্যাক এর আত্মা সারা দুনিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।

চিন্তা করে দেখুন এখানে শয়তানকে জাহান্নামের মালিক বানিয়ে দেয়া হয়েছে অথচ এই জান্নাত জাহান্নাম সব কিছুর একক মালিকানা আমাদের মহান রবের।

ইসলাম কি বলেঃ পুরো বর্ননার কোথাও কি গুরুত্বপূর্ন পালনীয় কিছু পেয়েছেন? আসলে পাননি। আপনি কি মুসলিম? তাহলে কি করে আপনি বিশ্বাস করেন বিড়াল বাদুরের সাথে মৃত মানুষের দেখা হয়, আপনি কি করে বিশ্বাস করেন জ্যাক নামের মানুষ শয়তানকে পকেটে বন্দী করে, কি করে আপনি বর্বর মূর্তিপূজক জাতির ঐতিহ্য আপনার বুকে লালন করেন?

এই বর্বর জাতিয়তাবাদকে মুছে দেবার জন্যই তো ১৪ শ বছর আগে আমাদের দয়াল নবী এ দুনিয়ায় এসেছেন,এ অন্ধকার দূর করার করার জন্যই তো তিনি সংগ্রাম করেছেন,তাহলে আপনারা কি করে আবার সে অন্ধকারে প্রবেশ করছেন?

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীঃ “যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাথে সামঞ্জস্য রাখল সে তাদের অন্তর্ভুক্ত”। [আবু দাউদঃ ৩৫১৪]

তাহলে আমরাও কি মুসলিম থেকে বর্বর ক্যালটিক জাতি হতে চাই? প্রশ্ন রইলো মুসলমানের বিবেকের কাছে।

তথ্যসূত্রঃ
১. http://www.history.com
২. https://en.wikipedia.org
৩. http://islam.about.com
৪.Toby Ibbotson’ Mountwood School for Ghosts
৫.All Things Halloween by natasha wing

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

কলাবাগান১ বলেছেন: ব্লগে লিখালিখি করাও শিরক

২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫৩

parvaj বলেছেন: হা হা

৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:৪৫

নতুন বলেছেন: why so serious ..

ভাই এতো বেশি গবেষনা করলে জীবন চলে না। যারা হলোইন পালন করে অথা`ত ঐ দিন মজা করে তারা শুধু মাত্র একটা মজার দিন হিসেবেই করে । ধমী`য় বিশ্বাস থেকে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.