![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোবাসার মানুষ শুধু সে নয়, যে তোমার জিবনে প্রথম এসেছিলো,ভালোবাসার মানুষ তো সে যে তোমার জিবনে ছিলো আছে এবং থাকবে সারা জিবন।
এ দুনিয়াতে আল্লাহ তায়লা মানুষের হেদায়াতের জন্য প্রতি যুগেই একজন মুজাদ্দেদ বা সংস্কারক পাঠিয়ে পৃথিবীর মাটি থেকে অন্ধকারকে দূরভীত করে মানব জাতিকে নতুন পথের দিশা দেখান। শায়খুল ইসলাম মুজাদ্দেদে জামান আল্লামা তাহিরুল কাদরী আল্লাহ সুবহানা ওয়াতায়লার প্রেরিত তেমনি একজন মহা মানবের নাম। ১৯৫১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী পাকিস্তানের ঝাং প্রদেশে তিনি জন্মগ্রহন করেন।
মাত্র ১২ বছর বয়সে পড়াশোনার জন্য তিনি মদীনা শরীফের "মাদ্রাসা আল উলুম আস শারিয়্যা" তে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। যেটি সাহাবী সাঈয়েনা আবু আইয়ূব আনসারী রাঃ এর বাড়ি এবং মদীনায় হিজরতের পর রাসুলে পাক দঃ সর্বপ্রথম অবস্থান করেছিলেন। ১৯৭০ সালে তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে অনার্সে উত্তির্ন হন। ১৯৭২ সালে এম ইসলামিক ষ্টাডিজ সম্পন্ন করেন। এছাড়া ১৯৭৪ সালে তিনি এলএলবি সম্পন্ন করেন এবং ১৯৭৬ থেকে জং শহরেই আইনজীবি হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন।এর কিছুদিন পর তিনি লাহোরে চলে আসেন এবং লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের লেকচারার হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি ইসলামী আইন শাস্ত্রের উপর ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। এর মধ্যেই আল্লাহর এই ওলীর নাম দেশে দেশে ছড়িয়ে যেতে লাগলো যার কারনে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট তাকে লিগ্যাল এডভাইজার হিসাবে নিয়োগ প্রদান করেন।
এক রাতে মদীনার কামলে ওয়ালা তাহিরুল কাদরীকে দিদার দেন, স্বপ্নে আমার দয়াল নবীর নির্দেশ পেয়েও তাহিরুল কাদরী মাঃজিঃআঃ সুফীবাদের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান মিনহাজুল কোরআন ইন্টারন্যশনাল প্রতিষ্ঠা করেন। মূলত সেদিন এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেই সর্বপ্রথম বিশ্বব্যাপী ইসলামের মূলধারা সূফীজম সম্পর্কে সারা বিশ্বের মানুষ ওয়াকিবহাল হতে পারলো। মিনহাজুল কোরআন ১৯৮১ থেকে আজ পর্যন্ত বিশের প্রায় ৯০টি দেশে আমার দয়াল নবীর মিলাদ কিয়াম, মিলাদুন্নবী থেকে শুরু করে সমস্ত সুন্নী আক্বিদার ঝান্ডা বুলন্ড করে চলছে।
ভাবতে অবাক লাগে মিনহাজুল কোরআন সারা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ৫৭০ টি স্কুলা প্রতিষ্ঠা করেছে, শুধু তাই নয় মিনহাজ বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়েল ফেয়ার ট্রাষ্ট থেকে শুরু করে হাজারো প্রতিষ্ঠান তৈরী করে মানবতাকে আলোর সন্ধান দিয়েছে।
শায়খুল ইসলাম এর লিখিত কিতাবের সংখ্যা ১০০০ এর মতো, এর মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে ৪০০টি বই। শুধু উর্দূ নয় ইংরেজী আরবী বাংলা সহ নানা ভাষায় তার লিখিত পুস্তক প্রকাশিত হয় এবং এই প্রকাশের জন্য তিনি কোন অর্থ গ্রহন করেন না। তার লেকচার সংখ্যা পাচ হাজার। যা বিভিন্ন ভিডিও মাধ্যমে দেখা যায়। সেগুলো সর্বমোট বিশ হাজার ঘন্টা।
কোরআন এর তাফসীর লিখেছেন ৮০টি
হাদিস ও বিজ্ঞান সম্পর্কিত বই ১০০টি
আক্বায়েদে আহলে সুন্নাহ সম্পর্কিত বই ১০০টি
ইসলামী আইন ফিকহা নিয়ে লিখা বই ৬০টি
তাসাউফ সম্পর্কিত বই ৬০টি
মানবধিকার নিয়ে লিখেছেন ৭০টি মতো বই।
আজকের দিনে আক্বীদা সম্পর্কিত কিংবা তাসাউফ নিয়ে কোন বিষয়ে বক্তৃতা দিলে গেলে সুন্নী আলেমদের তাহিরুল কাদরী ছাড়া উপায় থাকেনা। মিলাদুন্নবী,মিলাদ কিয়াম, মাজার,মান্নত,তাসাউফ ইত্যাদি বিষয়ে তিনি হলেন ইলমের মহাসমুদ্র।
একাধারে আইনজীবি,শিক্ষক,মুহাদ্দিস,ডক্টরেট ফেলো আবার অন্যদিকে পাকিস্থানের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম প্রানপুরুষ। যার আহবানে ২০১২/২০১৪/২০১৫ সালে পাকিস্তানে ঐতিহাসিক লংমার্চের ডাক দেন, ইসলামাবাদ থেকে লাহোর পর্যন্ত বিস্তৃত সেই ঐতিহাসিক লং মার্চে অংশ নিয়েছিলো লাখো কোটি নারী পুরুষ। তিনি পাকিস্তানে দূর্নীতি বিরোধি অভিযানের প্রান পুরুষ।
মিনারে পাকিস্তানে প্রতি ঈদে মীলাদুন্নবীতে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মিলাদ কনফারেন্স অনুষ্টিত হয় তারই নেতৃত্বে।
এছাড়া তিনি জঙ্গী হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বখ্যাত এক ফতোয়া জারি করেন,যেটি নিয়ে সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টী হয়েছে, সিএনএন,বিবিসি সব টিভির মধ্যমনি হয়ে উঠেছিলেন সেই সময়ে।
সারাবিশ্বে সুফীজম ও সুন্নী মুসলমানের মুখ উজ্জলকারী মহাশক্তিমান জ্ঞানের অধিকারী এ মানুষটি ব্যক্তিগত জীবনে খুবই সাধাসিদে জীবন যাপনে অভ্যস্ত।
তাহিরুল কাদরী এক আলোকবর্তিকার নাম, যার আলোতে আলোকিত হবে মুসলিম বিশ্ব এই কামনা।
সূত্রঃ ১. Click This Link
২. Click This Link
©somewhere in net ltd.