![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোবাসার মানুষ শুধু সে নয়, যে তোমার জিবনে প্রথম এসেছিলো,ভালোবাসার মানুষ তো সে যে তোমার জিবনে ছিলো আছে এবং থাকবে সারা জিবন।
"বদর যুদ্ধ ইতিহাসে এক যুগ প্রবর্তক ঘটনা। যে সমস্ত মুসলিম বীর বদরে যুদ্ধ করিতে আসিয়াছিলেন, পরবর্তীকালে তাঁহারা আরও অনেক বড় বড় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করিয়াছিলেন,অনেক দেশও তাঁহাদের দ্বারা বিজিত হইয়াছিল ;কিন্তি সেসব জয় গৌরবকে কোন মূল্য না দিয়া বদর যুদ্ধে জড়িত থাকাকেই তাঁহারা অধিকতর সৌভাগ্য ও গৌরব বলিয়া মনে করিতেন। ইরাকের শাসনকর্তা, কুফা নগরীর স্হাপয়িতা, পারস্য বিজয়ী মহাবীর সা'দ (রা) অশীতিবর্ষ বয়সে মরণ সয্যায় শায়িত অবস্হায় বলিয়াছিলেন : "বদর যুদ্ধে পরিহিত বর্ম আমাকে পরাইয়া দাও, এই বেশে মরিব বলিয়া আমি উহা এতদিন সযত্নে তুলিয়া রাখিয়াছি "।(গোলাম মোস্তফা :বিশ্বনবী)
বদরযুদ্ধ ইসলামের অগ্রযাত্রার টার্নিং পয়েন্ট। ঐতিহাসিক মক্কা বিজয়ের মূলে ছিল বদর বিজয়। এ দিনটি ছিল মুসলমানদের মুক্তির দিন। এ দিন স্বয়ং আল্লাহ্ পাকই সত্যের বিজয় নিশ্চিত করে দিয়েছিলেন। এটা ছিল আল্লাহরই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। বদর যুদ্ধের প্রারম্ভে রাসুলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেছিলেন সে প্রতিশ্রুত সাহায্যের জন্য, এবং তিনি তাৎক্ষনিক আশ্বস্হও হয়েছিলেন। এমনকি যুদ্ধের আগেই নিজের পবিত্র হাতের লাঠি মোবারক দিয়ে ময়দানের কোথায় কার লাশ পড়বে তা চিহ্নিত করে দিয়েছিলেন --যা যুদ্ধের পর হুবহু মিলে গিয়েছিল। এ যুদ্ধে আবু জেহেল সহ ইসলামের সবচেয়ে বড় দুশমনগুলোর মৃত্যু ঘটেছিল। মাত্র ৩১৩ জন রোযাদার নিরস্ত্র মুসলিম সৈনিক হাজারো সশস্ত্র কোরাইশ মুশরিকদের বিরুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল, যা ছিল বরাবরই আল্লাহর সাহায্য। কোরানে করিমেও এ সাহায্যদানের উল্লেখ আছে, ফেরেস্তা নামানোর কথাও বলা হয়েছে।
শুধু বদর নয়, মুসলমানদের সকল বিজয়ই মূলত আল্লাহর দয়া। ইসলামের বিজয়ের পেছনে অস্ত্রের অবদান নাম মাত্র। যদি লোকবল -অস্ত্রবল যুদ্ধ বিজয়ের ফ্যাক্টর হতো, তবে, ইসলামের একটি বিজয়ও আসতোনা। মুসলমানদের ভারত বিজয়ও অস্ত্রবলে আসেনি, এসেছে আল্লাহর সাহায্যে --অলিআল্লাহদের আধ্যাত্মিক শক্তির উসিলায়। তারাইনের প্রথম যুদ্ধে পরাজিত শেহাবুদ্দীন মোহাম্মদ ঘুরি, দ্বিতীয় যুদ্ধে রাতারাতি বিজয় পান ১১৯২ সনে, খাজা গরীবনওয়াজ মঈনুদ্দীন চিশতি (র) 'র উসিলায়। সে যুদ্ধেও রাজা পৃত্থীরায়ের বাহিনী ছিল বিশাল, এবং অস্ত্রে পরিপূর্ন। কিন্তু বিজয় ছিল ঈমান এবং তাক্বোয়ার পক্ষে। এখনও মুসলমানদের সে বিজয়ের ধারা অব্যাহত থাকতো, যদি সে আধ্যাত্মিক শক্তিমানদের নেতৃত্বে অভিযান নিশ্চিত করা যেত। যদি দেশ চালাতো প্রকৃত মূমিন- মুত্তাকী বান্দারা। --নিশ্চয়ই আল্লাহর সেনারা বিজয়ী (আল কুরআন)।
আজ ১৭ রমযান, ঐতিহাসিক বদর দিবস। আল্লাহ্ আমাদের বদরী সাহাবাদের উসিলায় মাফ করুন, এবং তাদের চেতনায় উজ্জীবিত করুন। আবারো ইসলামকে বিজয়ের ধারায় ফিরিয়ে আনুন। জাতির নেতৃত্বে প্রকৃত ঈমানদারদের প্রতিষ্ঠিত করুন। মেকী মুসলমানরা আমাদের গৌরবের ইতিহাসকেই কলংকিত করে দিয়েছে। যেখানে বদরী যোদ্ধারা সমগ্র মুসলিম দুনিয়াতে গৌরবের আসনের পরম সন্মানিত ব্যক্তিত্বের প্রতীক, সেখানে আমার দেশে আজ 'আল বদর ' শব্দটি একটি গালিতে নেমে এলো -এর অপব্যবহারের পরিণামে। আসুন, বদর চেতনায় উজ্জীবিত হই --ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক্যবাদী ও ইসলাম বিকৃতিকারিদের কবল থেকে আউলিয়ায়ে কেরামের বিজিত এ দেশকে উদ্ধার করি। আল্লাহ্ কবুল করুন।
২| ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ৯:৩৯
মাহিরাহি বলেছেন: আল্লাহ আমাদের এই দেশকে রক্ষা করুন।
৩| ২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৯
নাজমুস সাকিব অর্ক বলেছেন: আমিন
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:৩৩
অভদ্র চিন্তাবিদ বলেছেন: আমি ছুম্মা আমিন।