![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোবাসার মানুষ শুধু সে নয়, যে তোমার জিবনে প্রথম এসেছিলো,ভালোবাসার মানুষ তো সে যে তোমার জিবনে ছিলো আছে এবং থাকবে সারা জিবন।
বোন বড় হয়েছে। বিয়ের কথা চলছে। পারিবারিক ভাবে মতের মিল হওয়ার পর আকদ এর দিন ধার্য্য করা হয়। অনুষ্টানের শেষে ছেলের বাড়ি থেকে নাকি রাতে ৫০ জন আমার বোনকে দেখতে আসবে !!!
নতুন আত্মীয়। তাদের জন্য যেমন তেমন খাবার করা যাবে না। অনেক টাকার বাজার করলাম। দেখলাম ওরা বেশকিছু মিষ্টি নিয়ে এসেছে।ওরা চলে যাবার পর মা জানালো সকালে বোনের শ্বাশুর বাড়িতে মিষ্টি নিতে হবে আরো সাথে কত কী!
কয়েক কেজি আর সস্তা মিষ্টি নিলে চলবে না। দামী নিতে হবে তাও কমপক্ষে দশ কেজি। বরপক্ষের নাকি সমাজকে দিতে হবে। নয়তো সমাজ নাকি বদনাম করবে !!
এ কেমন সমাজ মাথায় আসে না!! ব্যাপারটা এমন যে, মিষ্টি কোনোদিন চোখে দেখে নাই। আকদের দিন মসজিদে সমাজীদের মিষ্টি খাওয়ানো হইছে সেটা যথেষ্ট না !!!
আকদ এর আগে বিয়ের চুক্তি গুলো হয়ে যায়। আমার বাবা এলাকার মুরব্বীদের সাথে কথা বলে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেয় যে, কাবিন ১৫ লক্ষ টাকা, স্বর্ণ দশ ভরি দিলে ওনি আত্নীয়তা করতে রাজি !!!
বরপক্ষও কনফার্ম করে যে, এক হাজার মানুষ না খাওয়ালে আর ফার্ণিচার ঠিকঠাক ভাবে না দিলে ওরা আত্নীয়তা করবে না !!!
শেষ পর্যন্ত সবকিছু মেনে নিয়ে বিয়েটা ঠিক হয়। এসব বিষয়ে বড়দের মুখের উপর বলতে নেই দেখে কিছু বলতে পারলাম না !!!!
বরপক্ষ একহাজার। আমাদের ৫০০-৭০০ মানুষ হবে এমন একটা হিসাব করে আয়োজন করা হয়। বাসায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল অমুকের তমুককেও দাওয়াত করতে হবে। কাজে কামে নাকি আত্নীয়স্বজনের পরিচয়। তাই বলে লতা দিয়ে পাতা!! ঐ যে বড়দের উপর কথা বলতে নেই !!!
বিয়ের দিন দেখলাম আমি যে বড় ভাইকে দাওয়াত দিলাম ওনি মোটর সাইকেলের পিছনে আরো দুজন নিয়ে হাজির !!!
ছোট ভাইয়ের বন্ধুরা নিজেদের বন্ধুদের নিয়ে হাজির যাদের কিনা ছোট ভাই নিজেই চিনেনা। ফলাফল খাবার সংকট। মানসম্মানের ব্যাপার। দ্রুত অতিরিক্ত বাজার করে রান্না করতে হল !!
প্রচলিত নিয়ম মেনে বিয়ের পর দিন বোনের শ্বাশুর বাড়িতে আমাদের দুই'শ জনের দাওয়াত। বৌ ভাত যাকে বলে। নিয়মের বাইরে যাওয়া যাবে না,তাই বলে আর কিছু বলতে পারলাম না !!!
অনেক টাকা গাড়ীভাড়া, অন্যানা খরচ গেলেও লতা দিয়ে পাতা হওয়া আত্নীয়দেরও দাওয়াত খাওয়াতে নিয়ে গেলাম। এরপর নাকি জামাইর বাড়ির ২০০ জন খাওয়াতে হবে। নয়তো কথা থেকে যাবে। সেটাও করতে হল ইচ্ছার বিরুদ্ধে.!!!!
বাসায় প্রশ্ন করলাম এতকিছুর দরকার কি ??? বলল, এটাই করতে হবে। এটাই সঠিক। আমাদের মেয়েকে এরা সুখে না রেখে যাবে কই ?? কিন্তুু আমার প্রশ্ন হলো, আসলেই কি এটা সুখ ??? লতা দিয়ে পাতা হওয়া আত্নীয়কে দাওয়াত করে খাওয়ালে সুখ!!
যাই হোক সব শেষ করলাম। কিছু টাকা ঋণ নিতে হল বোনের সুখ কেনার জন্য। কিন্তু পরিপূর্ণ সুখ কিনতে রমজানের ঈদে জামাইর বাড়ির চৌদ্দ গোষ্ঠীর জন্য কাপড় দিতে হল। কোরবানীর ঈদে গরু দিতে হল। আর বারো মাসে তেরো রকমের জিনিস দিতে হল।
এর মধ্যে বোনের বাচ্চা হয়। আকীকা করানোর সময় আবার গরু দিতে হল। বোনের দেবর, ননদের বিয়ে হয় স্বর্ণ দিতে হল। দাওয়াত খাওয়াতে হল। এতকিছু করতে করতে ঋণের টাকা অনেক মাথায়।
নিজের বিয়ের বয়সটাও চলে যাচ্ছে। ঋণ শোধ করে, নিজের বিয়ের জন্যও এতকিছু করার প্রস্তুতি নিতে হবে। ততদিনে বুড়া হয়ে যাব। বিয়ের আর দরকার কী!!
***** দুঃখের বিষয় হল ;
যার সুখের জন্য এতকিছু করলাম, পারিবারিক জটিলতার কারণে তারই ডিভোর্স হয়ে গেল!!! তাহলে সুখ কই ? সুখ এমন এক জিনিস যেটা টাকাতে পাওয়া যায় না। এর জন্য শিক্ষা আর সুন্দর একটা মন দরকার।
সুখের জন্য এসব জাস্ট তিন নাম্বার হাত "অযুহাত" এই চট্টগ্রামে। এটা নিয়ে গর্বের কিছু নাই। নিজের পরিশ্রমের টাকা লতা দিয়ে পাতা হওয়া আত্মীয়দের খাওয়ানোর দরকার নেই। কেউ খুশি মনে সামর্থ্য আছে বলে এসব করলে বাধা নেই। তবে নিয়ম মেনে করতে গেলে অবশ্যই আমার চুলকানি আছে।
এ কেমন সংস্কৃতি, যে নিয়মে বিয়ে করতে পাঁচ-সাত লক্ষ টাকা খরচ করতেই হবে!! টাকা কি গাছে ধরে ?? আর দাওয়াত দিলে নিজের সাথে মোটরসাইকেল আছে বলে হুদাই অতিরিক্ত দু'জন নেয়া বন্ধ করুন। দুইশ টাকা খরচ করলে খাবার রেষ্টুরেন্টে অভাব নাই। অত ক্লোজ কেউ না হলে দাওয়াত পাওয়া মাত্র দৌড় দিয়েন না।
এসব অপসংস্কৃতির কারণে চট্টগ্রামে একটা মেয়ে বিয়ে দিতে যেমন বাপ ভাইয়ের পাছার চামড়া চলে যায়, তেমনি ছেলে বিয়ে করতে গেলেও বয়স হয়ে মাথার চুল চলে যায় এত লক্ষ টাকা ম্যানেজ করতে করতে!!!!!!!
#শিক্ষাঃ--
বর্তমান জেনারেশন শিক্ষায় অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশে শিক্ষার হার বেড়েই চলছে। সমাজ থেকে এসব কুসংস্কৃতি দূর করা সময়ের দাবী। আসুন সকলে মিলে মানবতার সংস্কৃতি সমাজকে উপহার দিয়। ভ্রান্ত মনোভাব থেকে বের হয়ে সমাজকে কলঙ্ক মুক্ত করি। ইসলামের পথে, সুন্নিয়তের পথে চলি।
আল্লাহ্ পাক তাওফিক দান করুন,আমিন।
১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩৪
parvaj বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৬
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: আজকাল বিয়ে মানে লোক দেখানো হয়ে গেছে । এই বাজে সিষ্টেম কবে যে বন্ধ হবে ।
৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:২১
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: অনেক কস্ট পেলাম, আমাদের সমাজটা আসলে পচে গেছে, এই সকল ফালতু নিয়মে কতো টাকার অপচয় হয় !!!
৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৪২
জুয়েল তাজিম বলেছেন: আমি নিজে এই প্রতা থেকে বের হয়ে আসছি , কয়েকজন বন্ধুবান্দব রয়েছে যারা এই প্রতার বাইরে বিয়ে করেছে। কিন্তু সমাজ থেকে এই নিয়ম একদিনেই উচ্ছেদ সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে এর অবসান হবে একদিন
৫| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:০৭
লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: দেনমোহর ১৫ লাখ! ডিভোর্সের পর এই টাকায় মেয়েকে আরো দুইবার বিয়ে দেয়া যাবে। ছেলেপক্ষ ধান্দাবাজ আর মেয়েপক্ষ চাঁদাবাজ
৬| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:০৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমাদের সমাজে বিয়েটা দিন দিন কঠিনই হয়ে যাচ্ছে।
মানুষকে দেখানোর জন্য এত কিছু করে লাভ কি।
৭| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:২৬
তারেক ফাহিম বলেছেন: লোক দেখানো বিয়ে আমারেও খাইছে ভাই, সংসারে বড় হয়েও সবার শেষে বিয়ে করতে হবে তাও আবার চুল পাকলে
৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৪১
কাউয়ার জাত বলেছেন: এগুলো ইসলাম মোটেও সমর্থন করেনা। ইসলামী নিয়ম পুরোপুরি মেনে নিলে একটি বিয়েতে মেয়ে পক্ষের চার আনা পয়সা খরচ হওয়ার খাত নেই।
দেন মোহর যত কম। বিয়েতে তত বরকত।
দেখা যাবে ছেলে পক্ষ দেনমোহরের প্রায় সবটাই বাকি রাখবে। কিন্তু যৌতুক নগদ হওয়া চাই। হায়রে ধর্মপ্রাণ বাঙালী!!!
৯| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:১৯
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপন ।
১০| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:২০
নাবিক সিনবাদ বলেছেন: কাউয়ার জাত বলেছেন: এগুলো ইসলাম মোটেও সমর্থন করেনা। ইসলামী নিয়ম পুরোপুরি মেনে নিলে একটি বিয়েতে মেয়ে পক্ষের চার আনা পয়সা খরচ হওয়ার খাত নেই।
দেন মোহর যত কম। বিয়েতে তত বরকত।
দেখা যাবে ছেলে পক্ষ দেনমোহরের প্রায় সবটাই বাকি রাখবে। কিন্তু যৌতুক নগদ হওয়া চাই। হায়রে ধর্মপ্রাণ বাঙালী!
আপনার সাথে একমত।
১১| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩
নতুন নকিব বলেছেন:
একচুয়ালি অনেক ক্ষেত্রেই আমরা ইসলাম সঠিকভাবে মানি না। মুখে যত লম্বা মুসলমানিত্বই দাবি করি না কেন, আসলে বাস্তবে কাজে কর্মে জীবনের প্রায়োগিক ক্ষেত্রগুলোতে গেলে দেখা যায়, তখন আর ইসলাম কি বলেছে তা নিয়ে মাথা ঘামানোর অবসর থাকে না। কি বিয়ে শাদি, কি আনুষ্ঠানিকতা, ঘরে বাইরে সকল কাজে যাচ্ছে তাই করে বেড়াব, আর দাবি করব, আমরা মুসলিম। হায়! কি দুরবস্থায় নিপতিত আজ আমাদের মুসলমানিত্ব!
এই ব্লগে সেদিনও দেখলাম, মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র একটি নাম যার ব্লগ নিকে যুক্ত, এবং যিনি এই সামুতে পুরনো প্রতিষ্ঠিত বয়জ্যেষ্ঠদের একজন, তিনি তার একটি পোস্টে একজনের মন্তব্যের জবাবে লিখলেন, ''এই আপনাদের এক দোষ, সবখানেই আপনারা কুরআনকে টেনে আনেন!''
বুঝুন এবার! মুসলমান কাকে বলে! ভাবখানা এমন যেন, ঘরের আলমারী আর মসজিদের বারান্দা পার হয়ে কুরআনের বাইরে বেরুতে বারন! মন্তব্যটি দেখে অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম। কড়া একটা মন্তব্য লিখেও আবার সংযত থেকেছিলাম। সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছি। যদি কখনও তার সাথে কথা বলার অপশন আসে, তখন বলবো ইনশাআল্লাহ।
কাউয়ার জাতের কথা একদম সঠিক-
''ইসলামী নিয়ম পুরোপুরি মেনে নিলে একটি বিয়েতে মেয়ে পক্ষের চার আনা পয়সা খরচ হওয়ার খাত নেই।
দেন মোহর যত কম। বিয়েতে তত বরকত।''
ভাল থাকুন।
১২| ১৮ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:২২
প্রাইমারি স্কুল বলেছেন: ঘুনে ধরা সমাজ । দিন দিন আরো খারাপ হচ্ছে
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৫
সুপ্ত আগ্নেয়গিরি বলেছেন: তেতোঁ কিন্তু চরম সত্য। তাই + পিলাস