![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোবাসার মানুষ শুধু সে নয়, যে তোমার জিবনে প্রথম এসেছিলো,ভালোবাসার মানুষ তো সে যে তোমার জিবনে ছিলো আছে এবং থাকবে সারা জিবন।
সভ্যতার সংঘাত বলতে বিভিন্ন সভ্যতা বা সংস্কৃতির মধ্যে যে প্রতিষ্ঠিত বা প্রচলিত দ্বন্দ্ব তা বুঝায়। আরও ভাল করে বলতে গেলে, এক সভ্যতা কিভাবে নিজের ‘প্রভাব’ বা আগ্রাসন দিয়ে অন্যদের পরাভূত করে, অধীনস্থ, অথর্ব করে, নিজেদের বশংবদ করে, তাদের অনুসরণ করে চলতে বাধ্য করবে, এই বিষয়টাকেই বুঝায়। আর ‘প্রভাব বলতে তা হতে পারে সামরিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক – কিম্বা এর সবগুলোর সংমিশ্রণ। প্রথম দুটো প্রভাবের বিরুদ্ধে অন্য জাতি বা সভ্যতার অনুসারীরা প্রত্যক্ষ না হলেও, পরোক্ষ ভাবে ‘আত্মরক্ষার জন্য সচেষ্ট হয়, কিন্তু তৃতীয়টি বা সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ক্ষেত্রে অন্য একটা জাতি পরাভূত হয় আরও গভীর ভাবে, পরাজিত হচ্ছে তা অনূভব না করেই, মেরুদণ্ড ভেঙ্গে একেবারে শুয়ে পরে। এ থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন।
এ পর্যন্ত পশ্চিমা আগ্রাসন এর বহু চরিত্র আমরা দেখেছি। ইংরেজরা নীল চাষ করানোর জন্য বাঙ্গালী চাষীদের বাধ্য করেছে, তাদের শিল্প বিপ্লবের পণ্য আমাদের উপমহাদেশে বিক্রয় করবে জন্য, দেশী তন্তুবায়দের হস্ত শিল্প নিষিদ্ধ করেছে, এমনকি ‘মসলিন প্রস্তুতকারীদের আঙ্গুল কেটে দিয়েছে বলেও ‘রটনা আছে। ইংরেজদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চড়কা কেটে নিজেদের কাপড় নিজেরা বুনানো অর্থাৎ ইংরেজদের তৈরি ‘মিলের কাপড় না কেনা – সে সময়ে ছিল পরোক্ষ ধরনের প্রতিরোধ। প্রত্যক্ষ যুদ্ধ এড়িয়ে অর্থনৈতিক ‘আগ্রাসন থেকে আত্মরক্ষার চেষ্টা। সে সময়েও মানুষ সচেতন ছিল, তারা জানত – আত্মরক্ষা না করলে নিজেদের ধ্বংস কেউ ঠেকাতে পারবে না।
এরপর পশ্চিমাদের সামরিক শক্তির কাছে অন্যরা ‘নস্যি হয়ে গেছে, তারা সামরিক শক্তি অর্জন করেছে, এবং সামরিক শক্তির মদদে, ‘অর্থনৈতিক শক্তিকে সংহত করেছে এবং করছে । এভাবে গোটা পৃথিবীর নিয়ন্ত্রন করছে তারা! গণতন্ত্র আর বাক স্বাধীনতা – এদের দুই অস্ত্র! তারা গণতন্ত্রের একনিষ্ঠ প্রচারক, কিন্তু মিশর বা সউদি আরব সহ মধ্প্রাচ্যে রাজতন্ত্রের ‘চরম পৃষ্টপোষক’ তারা । হিপোক্রাসী নয়।
তাদের অনুকরণে বাক স্বাধীনতার নামে পৃথিবীর গণমাধ্যম গুলো যেন আকাশে উড়ছে ( যদিও আল জাজিরায় বোমা মেরেছে পশ্চিমা বিমান!) । ওদের প্রভাবে, গণ মাধ্যমগুলো সেন্সর বিহীন, সেক্সকে তারা পশ্চিমাদের মত, সর্বতোভাবে ‘গ্লোরিফাই করছে। Gender barrier কে আস্তাকূড়ে ফেলে দিয়েছে, নারীর সুশোভিত, সূচারিত ‘দেহের বাণিজ্যিক প্রদর্শনী শুরু করছে তারা। তরুণ প্রজন্মের মাথা খারাপ করে দেয়ার জন্য সেটাই যথেষ্ট। আর সেই তুলনায় বিয়েটা ততটাই ‘সমস্যাপূর্ণ, দায়িত্বভারাক্রান্ত, অন্ততঃ বিয়েকে ‘গ্ল্যামারাস করার কোন চেষ্টা দেখছি না! বিশেষ করে হরমোন যখন মানব দেহকে ‘উদ্দীপিত করে, সেই বয়সে অর্ধ নগ্ন বা পুরো নগ্ন নারী দেহের প্রদর্শনী ‘পাপের পিছল পথে ঠেলে দিতে তরুণদের জন্য এক অতল প্রলোভন। অবশ্য পশ্চিমা দেশ গুলোতে ‘বিয়ে না করা প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সংখ্যা প্রায় ২০%। দরকার কি, চাইলেই যদি রিপুর দমন করা যায়! প্রজনন বা বংশবিস্তারে তারা আগ্রহী নয় অনেকেই, পশ্চিমা সভ্যতা বড়ই ‘আত্মকেন্দ্রিক হতে শিখিয়েছে তাদের। সন্তান বাবা মায়ের জন্য বা ভাই তার ভাই বোনের জন্য কোন ত্যাগশিকার করতে প্রস্তুত নয়। একটা জন্তু যেমন নিজের পেট বা নিজের সেক্স এর চিন্তা ছাড়া সাধারণত আর কিছু করে না, পশ্চিমা সভ্যতা সেই ‘জান্তব জীবনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে! আমরাও সেটাই শিখতে যাচ্ছি, নকল করে! এদের পরিশ্রমের সংস্কৃতির অনুকরণ না করে এদের ভোগবিলাসের অনুকরণ করছি! রোগটাই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নয়!
বর্তমান এশিয়ান সমাজ ব্যবস্থা, পশ্চিমা ভোগবাদী আগ্রাসনের শিকার। এরা নারী স্বাধীনতার কথা বলে, আবার এরাই নারীকে ‘বাণিজ্যিক পণ্য’ বানিয়ে ফায়দা লুটছে। একটা নূতন গাড়ির বিজ্ঞাপনে ‘অর্ধনগ্ন নারী শরীরের ভূমিকা কি? এশিয়ানরাও সে বাতাসে গা ভাসিয়ে দিয়েছে, কিন্তু দুই বিপরীত মেরুর- মূল্যবোধের দ্বন্দ্বে দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে উঠতি প্রজন্ম। কেউ ইসলামী মূল্যবোধ আঁকড়ে থাকতে চাইলে তাকে চরম ‘কষ্ট স্বীকার করতে হচ্ছে। কেউ ‘বিসমিল্লাহ বলেই হয়তো ঐ ‘ অতি আধুনিকাদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। বাড়ির কাছে ভারতেই ‘লিভ টুগেদার’ বেশ তোরেজোরে শুরু হয়েছে, বড় শহর গুলোতে, ঢাকাতেও এমনটা এক্কেবারে চলছে না, তা জোর দিয়ে বলা যাবে না। প্রয়োজনের সহবাস!
এশিয়ানরা এখনও পুরুষ প্রধান সমাজ ব্যবস্থা! পুরুষকে তার পরিবারের জন্য খাদ্য, বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হয়, নাহলে সমাজে তার ইজ্জৎ থাকে না, মর্যাদা থাকেনা। যার জন্য প্রতিটি সক্ষম পুরুষ সেই চেষ্টা করে। কাজেই শুধু আবেগ দিয়ে সংসার চলে না। ভরন পোষণের ‘সামর্থ না থাকলে বিয়ে করা যাবে না, বরং ‘রোজা থেকে ‘হরমোনের প্রাবল্য থেকে আত্মরক্ষা তথা ‘সংযম অভ্যাসের কথা বলা হয়েছে । কিন্তু চোখের সামনে এত ‘প্রলোভন, এর উপরে ‘নেট এর কল্যাণে যদি ‘আধুনিকা কারো সাথে সে ধরনের যোগাযোগ হয়ে যায় – পা পিছলানোর এত ‘আড়ম্বর চারপাশে, পিছলে যেতে সময় লাগে না। পশ্চিমাদের অনুকরণে বয়ফ্রেন্ড গার্লফ্রেন্ড সম্পর্ক এখন ‘গ্লোরিয়াস, মর্যাদাপূর্ণ, সমাজে গ্রহণ যোগ্য। এক সময় এ ধরনের সম্পর্ককে ‘নোংরা হিসেবে, সমাজে অশ্রাব্য, দূষণীয় হিসেবে দেখা হত। প্রেমিক বা বয়ফ্রেন্ড নয়, বলা হত- নাগর! সমাজের নিম্ন স্তরে অবস্থান কারী মানুষ, যাদের বিয়ে করা বা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতার পর্বে যাওয়ার সামর্থ ছিল না, তাদের মধ্যে এমনটা চালু ছিল। কোন সভ্য ঘরের ছেলে মেয়ে এমন কর্মে লিপ্ত হবে তা কল্পনাতেও আসত না। যখন দাস প্রথা চালু ছিল সেই যুগেও স্বাধীন নর নারী এমনটা ভাবতে পারত না।
মক্কা বিজয়ের পরে মক্কার মুশরিকগণ যখন ইসলাম গ্রহণ করতে শুরু করল, এই নূতন ধর্মে কি করা যাবে আর কি করা যাবে না, এই ঘোষণা রাসূল (সাঃ) যখন জানিয়ে দিচ্ছিলেন তখন এই প্রসঙ্গটি এসে যায়। ‘ইসলাম গ্রহণ করলে ‘ বিবাহ- বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক করা যাবে না’ এই প্রসঙ্গে এই নও মুসলিমদের একজন মহিলা, যার নাম ‘হিন্দা- ( হ্যাঁ, ইনি আবু সুফিয়ানের স্ত্রী, মুয়াবিয়ার মাতা, হামজা (রাঃ) কলিজা চর্বণকারী হিসেবে যিনি পরিচিতা ), তার চরম ঘৃণা প্রকাশ করলেন! এমন (নোংরা) কর্ম একজন স্বাধীন মহিলা কিভাবে কল্পনা করতে পারে? তিনি বলে উঠলেন।
আর ইসলাম তো তা হারাম করেছে, এবং এর জন্য ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট এর আদেশ দিয়েছেঃ শরীরের অর্ধেক মাটিতে পুঁতে, পাথর ছুঁড়ে হত্যা! এমন কি খুনের শাস্তিও এত ভয়াবহ নয়!
এই শাস্তির কথা শুনলে পশ্চিমা সভ্যতা আপাতঃভয়ে শিহরিত হয়, বলেঃ কি নৃশংস! অথচ অনেক পশ্চিমা দেশের সংবিধানে – যে অপকর্মের জন্য এই শাস্তির বিধান, সেই কর্ম এমনকি ‘অপরাধের পর্যায়েও পরে না। ক্রাইম নয়! কন্সেন্সুয়াল সেক্স- সেদেশে বৈধ! বাস্টার্ড বা জারজ সন্তান এখন কোন ‘আইনী পরিভাষা নয়! (হয়তো জারজ সন্তানের সংখ্যাধিক্য এটার কারণ) বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়, আমরাও বলি অনেক সময় লঘু পাপে গুরু দন্ড, আর এক্ষেত্রে – তাদের আইনে অবৈধ যৌন সম্পর্ক তো কোন পাপই নয়! প্রকাশ্যে পাথর ছুঁড়ে মারা তাদের কাছে ‘নৃশংস তো মনে হবেই। কিন্তু সমস্যা হল, এশিয়ানদের মধ্যেও কিছু ‘পশ্চিমা সেবা দাস’ তৈরি হয়েছে, যারা পশ্চিমাদের মতই ঐ অপকর্মের শাস্তিকে নৃশংস ভাবছে! আমাদের নূতন প্রজন্ম বাস করছে এক দ্বিত্ব – মানসিকতা নিয়ে,হয়তো পারিবারিক শিক্ষা ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ ব্রেন বলছে - মূল্যবোধ, আর শরীর বলছে- প্রয়োজন!
আমি বলি না কালের বিবর্তনে এটা ঘটছে। বলি, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কারনে এটা ঘটছে। আমাদের সমাজে যে প্রচলিত মূল্যবোধ, বর্তমানে সিনেমা হলে আর টিভিতে প্রচারিত ও ‘সরাসরি প্রদর্শিত’ পশ্চিমা মূল্যবোধ- এর মধ্য থেকে, আমাদের দেশের কচি কাঁচা কিম্বা তরুণ তরুণীরা কোনটাকে ‘আদর্শ বলে গ্রহণ করবে? চোখে দেখা বিষয়, বর্ণিত বিষয়ের চেয়ে মস্তিস্কে অনেক বেশী প্রভাব রাখে! একবার যেটা আপনি চোখ দিয়ে দেখেন, হাজার বার মুখে বলেও তার সমান ‘তীব্র প্রভাব রাখা যায় না। কাজেই এশিয়ান মূল্যবোধ হারিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা প্রদর্শনীর কাছে! সেক্স এর মত আকর্ষণ আর প্রলোভন –সর্বদা চোখের সামনে দেখা, আগুন আর ঘি এর পাশাপাশি থাকা- ঘি গলতে সময় লাগছে না । আর এই রিপুর আগ্রাসন সবচাইতে শক্তিশালী আগ্রাসন বলে বিবেচিত হচ্ছে, যা অন্যান্য প্রচলিত মূল্যবোধকেও ধুয়ে মুছে নিয়ে যাবে, যদি না আমরা সামগ্রিক ভাবে তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হই।
এদিকে অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, ঢাকার লিভ টুগেদার নিয়ে নানা চমকপ্রদ তথ্য। উচ্চবিত্তের দরজা পেরিয়ে লিভ টুগেদার এখন পৌঁছে গেছে মধ্যবিত্তের দরজায়। অনেক টিনএজও নিজেদের জড়িয়ে নিচ্ছেন এ গন্তব্যহীন সম্পর্কে। বিশেষ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যেই এ প্রবণতা বেশি।
অনেকেই নিজেদের বিলাসবহুল জীবনের চাহিদা মেটানোর জন্য এ সম্পর্কের মধ্যে নিজেদের জড়িয়ে নিচ্ছেন। তবে বিষয়টিকে খুব ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখার কোনো অবকাশ নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা মনে করছেন, এভাবে লিভ টুগেদার প্রবণতা বেড়ে গিয়ে ধর্মীয় মূল্যবোধ কিংবা নিজস্ব সংস্কৃতি ভুলে তরুণ সমাজ নিজেদের রীতিমত ধ্বংসের পথে এগিয়ে নিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে কথা হয় সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক মাসুদা রশীদ চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি বলেন, লিভ টুগেদার বিষয়টি আসলে আমাদের কোনো সংস্কৃতি নয়। এটা পশ্চিমা বিশ্বের নর-নারীদের সঙ্গেই যায়। কিন্তু ইদানীং আমাদের দেশে বিশেষ করে শহর অঞ্চলে এই প্রবণতা বেশি লক্ষণীয়। আপনি যদি খেয়াল করেন দেখবেন, আমাদের দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেশি লিভ টুগেদার করছেন।
আরেকটু পরিষ্কার করা যাক, পড়ালেখার জন্য শহরের বাইরে থেকে অনেক শিক্ষার্থী ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এদের মাঝেই কেউ কেউ প্রেমঘটিত সম্পর্কে জড়িয়ে যাচ্ছে। একপর্যায়ে সম্পর্ক মজবুত করতে একসঙ্গে থাকার কৌশল অবলম্বন করছে। বিয়ের ব্যাপারে কোনো আগ্রহ থাকে না তাদের।
আবার অনেক ছেলে-মেয়েরই বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ কম। বাবা মায়েরাও খবর রাখেন না তাদের ছেলে কিংবা মেয়েটি পড়াশোনা করতে গিয়ে কি করছে না করছে। এমনকি সন্তান কোথায় থাকছে তাও তাদের জানা নেই। ফলে এই তরুণ ধীরে ধীরে নিজেদের ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। ধর্মীয় মূল্যবোধ তো তাদের মাঝ থেকে উঠেই যাচ্ছে সে সঙ্গে পারিবারিক বন্ধন, সামাজিক মূল্যবোধের বিষয়গুলোও দিন দিন হারাচ্ছে। ত
বে কি এভাবেই চলতে থাকবে? এর কোনো সমাধান হবে না? এমন প্রশ্নের উত্তরে প্রফেসর মাসুদা রশীদ চৌধুরী বলেন, সমাধান তো অবশ্যই আছে। এখানে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করবেন সন্তানদের বাবা মায়েরা। তাদের প্রতিনিয়ত মনিটরিং করতে হবে। সন্তান কোথায় যাচ্ছে, কি করছে কিংবা কাদের সঙ্গে মেলামেশা করছে। আরেকটা ব্যাপার মেয়ের মায়েদের খুব ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে। তা হলো- আজকাল মেয়েদের স্বাধীনতার বিষয়টি নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। মায়েরাও মেয়ের স্বাধীনতার কথা ভাবেন। মা মনে করেন মেয়েরা বড় হলে তাদের সিদ্ধান্তগুলো বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিত।
ফলে মেয়ে কি ভুল সিদ্ধান্ত নিলো সে বিষয়টি খেয়াল করেন না। একই সঙ্গে মায়েদের আরো ভাবনা মেয়ে পড়াশোনা করে সাবলম্বী হবে। তারপর বিয়ে দেয়া হবে। কিন্তু এসব করতে গিয়ে অনেক সময় ভুল হয়ে যায়। পরিণত বয়সের মেয়েটি ক্রমশ ভুল পথে পা বাড়ায়। আমি মনে করি সন্তান উপযুক্ত হলে তাকে বিয়ে দিয়ে দেয়া উচিত। আর সে সঙ্গে সন্তান বেড়ে ওঠার সময় সামাজিক মূল্যবোধ, পারিবারিক শিক্ষা ও ধর্মীয় শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। এটা একমাত্র বাবা-মায়ের দ্বারাই সম্ভব বলে আমি মনে করি।
অনেকেই আছে "লিভ টু গেদার" করে, নিজেদের সুখের জন্য, সুবিধার জন্য, মোস্ট প্রভাবলি যৌনতার জন্য , কিন্তু যৌন সুখ কত খনের জন্য? আধা ঘন্টা, এক ঘন্টা হয়তো আর একটু বেশী সময়। কিন্তু এজন্য তো আমার সারা জীবনটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
"লিভ টু গেদার" করার হয়তো আর একটা কারন থাকতে পারে স্বাধীনতা
নিজের ইচ্ছে মত চলবো, কোন জবাব দিহিতা নাই, নিজের ইচ্ছা মত বাঁচবো, ইচ্ছা হলে একসাথে শুবো, ভালো না লাগলে নতুন একজন খুজে নিবো।
পারত পক্ষে এটা তো কুকুরের জীবন, যেখানে খুশী সেখানে তারা সংগী খুজে নেয়।
কোন ধর্মই "লিভ টু গেদার" কে সাপোট্ করেনা, তবে কেন এই সংস্খৃতি?
সব চেয়ে বড় কথা আমি মানুষ পশু না, তবে কেন পশুর মত বাচবো???
©somewhere in net ltd.