![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভালোবাসার মানুষ শুধু সে নয়, যে তোমার জিবনে প্রথম এসেছিলো,ভালোবাসার মানুষ তো সে যে তোমার জিবনে ছিলো আছে এবং থাকবে সারা জিবন।
- দাদা, পুজো দেখতে যাবেন না?
- না ভাই, সেটাতে আমার ধর্মে মানা আছে।
- কেন?
- আমরা যখন গরু কুরবানি করি, সেই জায়গায় আপনাদের যাওয়া নিষেধ না?
- হ্যাঁ নিষেধ। সে স্থানে ভগবানের অভিশাপ পরে।
- ঠিক তেমনি, অন্য ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জায়গায় যাওয়া আমাদের জন্যও নিষেধ। আমার ধর্মমতে পুজোর স্থানে আল্লাহর গজব নাজিল হতে থাকে।
হজরত উমর (রা) বলেছেন, "তোমরা মুশরিকদের উপসনালয়ে তাদের উৎসবের দিনগুলোতে প্রবেশ করোনা। কারন সেই সময় তাদের উপর আল্লাহর গজব নাজিল হতে থাকে"। (বায়হাক্বী)
যে স্থানে আল্লাহর গজব নাজিল হয় আমার ধর্মমতে, সেখানে যাই কি করে?
- ঠিক আছে, পুজো উপলক্ষ্যে প্রসাদ খেতে তো পারবেন ?
- আপনার বাসায় অন্য যেকোনো সময় দাওয়াত খেতে যেতে পারব। এ বিষয়ে মানা নেই। কিন্তু পুজো উপলক্ষ্যে কিছু খেতে পারব না।
- ব্যাপারটা একটু অন্য রকম হয়ে গেল না?
- ধরুন, কুরবানি ঈদের দাওয়াত দিয়ে আমি আপনাকে গরুর মাংস খেতে বললাম। আপনি কি খাবেন?
- না, অবশ্যই খাব না।
- ঠিক তেমনি কিছু কিছু জিনিস আমাদের জন্যও ধর্মমতে খাওয়া নিষিদ্ধ (হারাম)। যেমন- মদ, শুকুরের গোশত, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে জবেহ করা গোশত, অন্য ধর্মের ধর্মীয় উৎসবের খাবার ইত্যাদি। সব ধর্মেরই নিষিদ্ধ কিছু বিষয় থাকে যা মানতে হয়।
- কিন্তু ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
- ওটা হয়তো অন্যদের জন্য হতে পারে, কিন্তু আমাদের জন্য না। অন্য ধর্মের অনুষ্ঠানে গেলে যেখানে আমার নিজেরই ধর্ম থাকছে না, সেখানে যার যার ধর্ম কথাটা নিয়ে কি করব?
- বুঝিনি, একটু বুঝিয়ে বলুন।
- মানে হল, ইসলাম ধর্মের মূলনীতি অনুযায়ী অন্য কারো ধর্মের উৎসবে স্বেচ্ছায় আনন্দের সাথে যোগদান করার অর্থই হল আল্লাহর সাথে শিরকের কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলা। আর আল্লাহ সব গুনাহই মাফ করে দিবেন, একমাত্র শিরকের গুনাহ ছাড়া।
আল্লাহ বলেন “নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তার সাথে শিরক করার অপরাধ ক্ষমা করবেন না। এ ছাড়া অন্য সকল গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দিবেন।” (সুরা নিসা: ৪৮)
- তাহলে আপনি কি অন্যদের অপছন্দ করেন?
- সেটা করব কেন? যার ধর্ম তার কাছে। আর ইসলাম এটাও শিক্ষা দেয়, অন্যদেরকে তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালনে কোন প্রকার বাধা না দিতে। আমি প্রয়োজনে আপনাদের নিরাপত্তা দিব, পাহারা দিব, কেউ বিপদগ্রস্থ হলে তাকে সাহায্য করার জন্য ঝাঁপিয়ে পরব, অসুস্থ হলে চিকিৎসা দিব। এতে আমার আপত্তি নেই।
কিন্তু সব ধর্মেরই কিছু বিধি নিষেধ থাকে। আপনার ধর্মেও আছে, আমার ধর্মেও আছে, সেগুলো তো মানা উচিত।
- তাহলে কি আপনি আমার বাসায় কখনো দাওয়াত খাবেন না?
- খাব না কেন? অন্য একদিন আপনার বাসায় দাওয়াত দিয়েন। আমি গিয়ে খেয়ে আসব। সেটাতে কোন বিধি নিষেধ নেই।
আমাদের নবীজিও (সা) অন্য ধর্মের লোকদের বাসায় গিয়ে খেয়ে এসেছেন। এক ইহুদী উনাকে দাওয়াত দিয়েছিল, উনি গিয়ে খেয়েছিলেন। আর অবশ্যই আমার বাসায় আপনারো নেমন্ত্রন থাকল।
- কিন্তু ব্যাপারটা একটু অসাম্প্রদায়িক হয়ে গেল না?
- অসাম্প্রদায়িকতা মানে এটা নয় যে আপনি আমার মসজিদে গিয়ে আমাদের নামাজ পরা দেখবেন, আর আমি আপনার পুজো মণ্ডপে গিয়ে পুজো করা দেখব। এটা অসাম্প্রদায়িকতা নয়, এটা অধার্মিকতা। এতে আপনার ধর্মও থাকবে না, আমার ধর্মও থাকবে না।
আমি আপনাকে সম্মান করি, আপনি আমাকে করেন, অথচ দুজন দু'ধর্মের। আমি আপনার কাছে নিরাপদ, আপনি আমার কাছে নিরাপদ। আপনার বিপদে আমি এগিয়ে আসব, আমার বিপদে আপনি এগিয়ে আসবেন। দেশের যেকোনো আপদ বিপদে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলে কাজ করব।
একজন মানুষ হিসেবে, একজন বাংলাদেশী হিসেবে একে অন্যের প্রতি এই যে সম্মান, এটাই হল প্রকৃত অসাম্প্রদায়িকতা।
২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
একজন মানুষ হিসেবে, একজন বাংলাদেশী হিসেবে একে অন্যের কাছে নিরাপদ অনুভূত হতে হবে।
অন্যের বিপদে আমি এগিয়ে আসব, আমার বিপদে অন্যেরা এগিয়ে আসবে। দেশের যেকোনো আপদ বিপদে একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলে কাজ করব। একজন মানুষ হিসেবে, একজন বাংলাদেশী হিসেবে একে অন্যের প্রতি এই যে সম্মান, এটাই হল প্রকৃত অসাম্প্রদায়িকতা।
৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩২
বারিধারা বলেছেন: আসলেই, আমার এক হিন্দু ফ্রেন্ড আমাকে খুব চাপাচাপি করল তাদের এলাকার পুজার অনুষ্ঠানের জন্য আমি যেন স্পন্সর জোগাড় করে দেই, কারণ এর আগে জগন্নাথ হলের রিইউনিয়ন অনুষ্ঠানে আমার কোম্পানি থেকে স্পন্সর করা হয়েছিল। কিন্তু আমি সরাসরি অস্বীকার করি। যে কাজকে ইসলামে সবচেয়ে বড় পাপ বলা হয়েছে (শিরক), তাতে যদি আমি স্পন্সর করার জন্য উদ্যোগ নেই, তাহলে কি শিরকের চেয়ে পাপ কম হবে?
৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬
এই আমি রবীন বলেছেন: এই লেখা আপনি কপি করেছেন, সেটা উল্লেখ করতে পারতেন।
@ বারিধারা:
এখানে শিরক হয়, সেটা আপনার চোখে পড়বে?
৪:১৪ - যে কেউ আল্লাহ্ ও রসূলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতিক্রম করে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন|
৯:৩ - আর মহান হজ্বের দিনে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে লোকদের প্রতি ঘোষণা করে দেয়া হচ্ছে যে, আল্লাহ মুশরেকদের থেকে দায়িত্ব মুক্ত এবং তাঁর রসূলও।
৯:২৯ - তোমরা যুদ্ধ কর আহলে-কিতাবের ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম, যতক্ষণ না করজোড়ে তারা জিযিয়া প্রদান করে।
৩৩:৩৬ - আল্লাহ ও তাঁর রসূল কোন কাজের আদেশ করলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে ভিন্ন ক্ষমতা নেই যে, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আদেশ অমান্য করে সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়।
৩৩:৫৭ - যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের প্রতি ইহকালে ও পরকালে অভিসম্পাত করেন ।
৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫
বারিধারা বলেছেন: আল্লাহ মুশরিকদের থেকে দায়িত্বমুক্ত মানে এই নয় যে তাদেরকে কৃত অপরাধের শাস্তিও ভোগ করতে হবেনা। এ সম্পর্কে সূরা বাকারা ১৬৫-১৬৭ নং আয়াত, সূরা নিসাঃ৪৮; সূরা মায়িদাঃ৭২; সূরা আল-আন‘আম, আয়াত ৮৭-৮৮ দেখে নিবেন।
শিরক হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে বড় পাপ এবং হাদীসে একে সবচেয়ে বড় জুলুম বলা হয়েছে।
৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২২
এ আর ১৫ বলেছেন: রি, সেই জায়গায় আপনাদের যাওয়া নিষেধ না?
যেখানে খাশী, উট কোরবানি করে সেখানে তারা যেতে পারে ওটা যদি ও দেখার মত কিছু নহে । কথা শুনে মনে হয় গরু কোরবানি না করলে কোরবানি হবে না এবং গরু কোরবানি করা ঈমাণের অঙ্গ
"তোমরা মুশরিকদের উপাসনালয়ে তাদের উৎসবের দিনগুলোতে প্রবেশ করো না। কারণ সেই সময় তাদের উপর আল্লাহর গযব নাযিল হতে থাকে।" ' - 'উমার ফারুক (রা) (তথ্যসূত্রঃ ইবনুল ক্বাইয়্যিম(রাহিঃ), আহকামুল জিম্মাহ ১/৭২৩-
যেখানে আল্লাহর গজব নাজিল হতে থাকে, সেখানে যাই কি করে?
এটা কোরান বা হাদিসের বক্তব্য নহে
ধরুন, আমি আপনাকে গরুর মাংস খেতে বললাম... আপনি কি খাবেন? না। ঠিক তেমনি কিছু কিছু জিনিস আমাদের জন্য খাওয়া নিষিদ্ধ (হারাম), যেমন- মদ, শুকুরের গোশত, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে জবেহ করা গোশত, অন্য ধর্মের ধর্মীয় উৎসবের খাবার ইত্যাদি। সব ধর্মেরই নিষিদ্ধ কিছু বিষয় থাকে যা মানতে হয়।
আল্লাহর নাম ব্যথিত অন্য কারো নামে জবাই করা পশু পক্ষীর মাংস খাওয়া হারাম , মাংস ব্যথিত অন্য খাবার যেমন লুচি, পড়টা, নিমকো মিষ্টির ব্যপারে কোন নিষেধ নেই কোরানে । পুজার খাবার ২ রকম একটা হোল প্রসাধ যেটা পুজার বেদিতে মুর্তির সামনে রাখা হয় , অন্যটি হোল ভোগ যেটা দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদিত হয় না এবং সবাইকে খাওয়ানো হয় । পুজার প্রসাধ কখনো মাংস হয় না এবং একমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে জবাই করা মাংস হারাম , ফল মুল মিঠাই মন্ডা সম্পর্কে ডিভাইনে কোন নিষেধ নেই ।
মানে হল, ইসলাম ধর্মের মূলনীতি অনুযায়ী অন্য কারো ধর্মের উৎসবে স্বইচ্ছায় যোগদান করার অর্থই হল আল্লাহর সাথে শিরক করা। আর আল্লাহ সব গুনাহই মাফ করে দিবেন, একমাত্র শিরকের গুনাহ ছাড়া।
আল্লাহ বলেন “নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তার সাথে শিরক করার অপরাধ ক্ষমা করবেন না। এ ছাড়া অন্য সকল গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দিবেন।” (সুরা নিসা: ৪৮)
অন্য ধর্মের উৎসবে কে্উ যোগ দান করে কি ?কোন উৎসব দেখা আর যোগদান বা অংশ গ্রহন করা বা পালন করা কি এক জিনিস । মনে করুন আপনি গ্যালারিতে বসে খেলা দেখছেন , সেটা কি খেলাতে অংশ গ্রহন বা যোগদান , নাকি অবলোকন ।
কোন কিছু দেখা মানি সেইটাকে বিশ্বাষ হিসাবে গ্রহন করা বোঝায় না । যেহেতু অবলোকন মানে অংশ গ্রহন নহে সেহেতু বিশ্বাষ হিসাবে গ্রহন ও নহে সুতরাং এটা শরিক করা হতে পারে না । একজন পুজা অবলোকনের পর ও ওদের বিশ্বাষকে গ্রহন করেনি এটা তো তাদের শক্ত ঈমাণের প্রমাণ । যাদের ঈমাণ দুর্বল পুজা দেখলেই হিন্দুদের বিশ্বাষ গ্রহন করে ফেলে বা ফেলতে পারে তারা হোল দুর্বল ঈমাণের অধিকারি।
এই ধরনের ঘৃণা চর্চা সমাজের বন্ধন দুর্বল করে । এই অধরনের অপব্যাখা মুসলমানদের অন্য ধর্মকে ঘৃনা করতে শিখায় .
=== আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য এবাদতের নিয়ম কানুন নির্ধারন করে দিয়েছি যা ওরা পালন করে , তুমি ওদের তোমার প্রতিপালকের দিকে ডাক.. ওরা যদি তোমার সাথে তর্ক করে বল, তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ ভাল করেই জানেন। তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছ আল্লাহ কিয়ামতের দিন সে সে বিষয়ে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন .। সুরা হজ ৬৭-৬৯
৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৪
এ আর ১৫ বলেছেন: : এটা কি ধরনের ঘৃণা চর্চা ধর্মের নামে ---
আমরা যখন গরু কুরবানি করি, সেই জায়গায় আপনাদের যাওয়া নিষেধ না?
যেখানে খাশী, উট কোরবানি করে সেখানে তারা যেতে পারে ওটা যদি ও দেখার মত কিছু নহে । কথা শুনে মনে হয় গরু কোরবানি না করলে কোরবানি হবে না এবং গরু কোরবানি করা ঈমাণের অঙ্গ
"তোমরা মুশরিকদের উপাসনালয়ে তাদের উৎসবের দিনগুলোতে প্রবেশ করো না। কারণ সেই সময় তাদের উপর আল্লাহর গযব নাযিল হতে থাকে।" ' - 'উমার ফারুক (রা) (তথ্যসূত্রঃ ইবনুল ক্বাইয়্যিম(রাহিঃ), আহকামুল জিম্মাহ ১/৭২৩-
যেখানে আল্লাহর গজব নাজিল হতে থাকে, সেখানে যাই কি করে?
এটা কোরান বা হাদিসের বক্তব্য নহে
ধরুন, আমি আপনাকে গরুর মাংস খেতে বললাম... আপনি কি খাবেন? না। ঠিক তেমনি কিছু কিছু জিনিস আমাদের জন্য খাওয়া নিষিদ্ধ (হারাম), যেমন- মদ, শুকুরের গোশত, আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে জবেহ করা গোশত, অন্য ধর্মের ধর্মীয় উৎসবের খাবার ইত্যাদি। সব ধর্মেরই নিষিদ্ধ কিছু বিষয় থাকে যা মানতে হয়।
আল্লাহর নাম ব্যথিত অন্য কারো নামে জবাই করা পশু পক্ষীর মাংস খাওয়া হারাম , মাংস ব্যথিত অন্য খাবার যেমন লুচি, পড়টা, নিমকো মিষ্টির ব্যপারে কোন নিষেধ নেই কোরানে । পুজার খাবার ২ রকম একটা হোল প্রসাধ যেটা পুজার বেদিতে মুর্তির সামনে রাখা হয় , অন্যটি হোল ভোগ যেটা দেবতার উদ্দেশ্যে নিবেদিত হয় না এবং সবাইকে খাওয়ানো হয় । পুজার প্রসাধ কখনো মাংস হয় না এবং একমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে জবাই করা মাংস হারাম , ফল মুল মিঠাই মন্ডা সম্পর্কে ডিভাইনে কোন নিষেধ নেই ।
মানে হল, ইসলাম ধর্মের মূলনীতি অনুযায়ী অন্য কারো ধর্মের উৎসবে স্বইচ্ছায় যোগদান করার অর্থই হল আল্লাহর সাথে শিরক করা। আর আল্লাহ সব গুনাহই মাফ করে দিবেন, একমাত্র শিরকের গুনাহ ছাড়া।
আল্লাহ বলেন “নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা তার সাথে শিরক করার অপরাধ ক্ষমা করবেন না। এ ছাড়া অন্য সকল গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে দিবেন।” (সুরা নিসা: ৪৮)
অন্য ধর্মের উৎসবে কে্উ যোগ দান করে কি ?কোন উৎসব দেখা আর যোগদান বা অংশ গ্রহন করা বা পালন করা কি এক জিনিস । মনে করুন আপনি গ্যালারিতে বসে খেলা দেখছেন , সেটা কি খেলাতে অংশ গ্রহন বা যোগদান , নাকি অবলোকন ।
কোন কিছু দেখা মানি সেইটাকে বিশ্বাষ হিসাবে গ্রহন করা বোঝায় না । যেহেতু অবলোকন মানে অংশ গ্রহন নহে সেহেতু বিশ্বাষ হিসাবে গ্রহন ও নহে সুতরাং এটা শরিক করা হতে পারে না । একজন পুজা অবলোকনের পর ও ওদের বিশ্বাষকে গ্রহন করেনি এটা তো তাদের শক্ত ঈমাণের প্রমাণ । যাদের ঈমাণ দুর্বল পুজা দেখলেই হিন্দুদের বিশ্বাষ গ্রহন করে ফেলে বা ফেলতে পারে তারা হোল দুর্বল ঈমাণের অধিকারি।
এই ধরনের ঘৃণা চর্চা সমাজের বন্ধন দুর্বল করে । এই অধরনের অপব্যাখা মুসলমানদের অন্য ধর্মকে ঘৃনা করতে শিখায় .
=== আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য এবাদতের নিয়ম কানুন নির্ধারন করে দিয়েছি যা ওরা পালন করে , তুমি ওদের তোমার প্রতিপালকের দিকে ডাক.. ওরা যদি তোমার সাথে তর্ক করে বল, তোমরা যা কর সে সম্পর্কে আল্লাহ ভাল করেই জানেন। তোমরা যে বিষয়ে মতভেদ করছ আল্লাহ কিয়ামতের দিন সে সে বিষয়ে তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন .। সুরা হজ ৬৭-৬৯
--- তার মানি হিন্দুদের স হ অন্য সব ধর্মের ইবাদতের নিয়ম কানুন আল্লাহ ঠিক করে দিয়েছেন ।
৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: কিছু লোকের অভ্যাস হচ্ছে- অতি সহজ সরল ব্যাপারও প্যাচানো।
এই ধরনের মানসিকতার লোকদের ভালো হওয়া দরকার।
৯| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩
টারজান০০০০৭ বলেছেন:
ধর্ম যার যার , উৎসব তার তার ! ঝামেলা শ্যাষ ! কুনু যুক্তির প্রয়োজন নাই ! ত্যানা পেচানিরও দরকার নাই !
১০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪
এ আর ১৫ বলেছেন: হুজুর :: এই যে আতাহার সাহেব আপনি মুসলমান হয়ে পুজা মন্ডপে কেন গেছেন , জানেন না পুজা মন্ডপে যাওয়া শিরিক করা এবং কবিরা গুণা !!
আতাহার হোসেন :: আপনার কথাটা মানলাম না , আমি তো পুজা করিনি ওখানে শুধু দেখেছি এবং ওদের মন্ডপের পাশে যে মন্চ বানিয়েছে সেখানকার সংস্বকৃতি অনুষ্ঠান মুলত দেখেছি । বড় বড় পুজা মন্ডপে একদিকে পুজার বেদি থাকে যেখানে পুজা হয় এবং অন্য দিকে সংস্বকৃতিক মন্চে নাচ গান কির্তন শ্যামা সংগিত ইত্যাদি হয় । প্রথমে ঢুকে দেখলাম হিন্দুরা পুজা করছে মুর্তির সামনে সেই সাথে ঢোল বাজানো হচ্ছে , দুই তিন মিনিট পুজা দেখে সংস্বকৃতিক মন্চের সামনে বসে অনুষ্ঠান দেখেছি , তার পর নৃপেনদা এসে লাড্ডু সিঙ্গারা দিল এবং সেই সাথে ভেজিটেল খিচুরি খেয়ে চলে এলাম ।
হুজুর ::: তোবা তোবা আপনি পুজার প্রশাদ খাইছেন , আপনি জানেন না পুজার প্রশাদ খাওয়া হারাম
আতাহার ::: ইসলামের নামে উল্টা পাল্টা কথা মিথ্যা কথা বন্ধ করেন দয়া করে , প্রশাধ টা তো কোন মাংস ছিল না , মাংস হোলে হামার বলা যেত , লাড্ডু সিঙ্গারা কি করে হারাম হয় ।
হুজুর ::: পুজার প্রশাধ হারাম , এর প্রমাণ কি আপনি দেখতে চান
আতহার ::::: মাংস ব্যথিত পুজার প্রশাধ যে হারাম না সেটা কি আপনি দেখতে চান ??
হুজুর :::: খালি খালি আজাইড়া পেচাল পাড়েন কেন
আতাহার :::: শুনুন কোরানে আল্লাহ তালা বলেছেন শুধু --- আল্লাহর নাম ছাড়া অন্য কারো নামে জবাই করা পশু পাখির মাংস হারাম এবং এই বিষয়টি শুধু মাংসের ক্ষেত্রে প্রজোয্য ,এবার আপনাকে একটা প্রশ্ন করি জীবনে কি কখনো পুজার মন্ডপে গেছেন ।
হুজুর :::: তোবা তোবা প্রশ্নই আসে না ।
আতাহার :::: শুনুন পুজার বেদির উপরে মুর্তির সামনে পুজার সময়ে যে খাবারটা থাকে তাকে প্রশাধ বলে , এবং বাহিরে প্যান্ডেলের পাশে বড় বড় হাড়ি ডেকচিতে সারা দিন যে রান্না হয় ঐ খাবার গুলোকে বলে ভোগ , ঐ মন মন হাড়ি ডেকচি ভরা ভোগ পুজার বেদির সামনে আনা হয় না এবং আলাদা ভাবে বিতরন করা হয় । যদি আপনার প্রশাধ খাওয়াকে হারাম মনে হয় তাহোলে ভোগটা খেতে পারেন ।
হুজুর :::: আমার মাথা খারাপ হয় নি যে ভোগ খাবো যাহা প্রশাধ তাহাই ভোগ এবং তাহাই হারাম
আতাহার ::: কোরানের আয়াত থেকে উদাহরন দিতে পারবেন একটাও , যেখানে কোরানে শুধু আল্লাহর নামে জবাই ছাড়া পশু পাখির মাংসকে হারাম করেছেন অন্য কোন খাবারকে নহে । প্রশাধ হোল যে খাবার দেবতার মুর্তির সামনে থাকে এবং দেবতার উদ্দেশ্য উৎসর্গ করা হয় এবং ভোগ হোল উৎসর্গকৃত খাবার গুলো নহে ।
শুনুন মাওলানা সাহেব পুজা দেখা মানে তাদের বিশ্বাষ গ্রহন করা নহে , যদি বিশ্বাষ গ্রহন করা হোত যদি আমি পুজা করতাম । আপনার লেকচার মারেন পুজা দেখলেই নাকি শিরিকি করা হয়ে যায় তাদের বিশ্বাষের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করা হয়ে যায় , আমি জীবণে বহু পুজা দেখেছি কিন্তু কখনো তাদের বিশ্বাষ গ্রহন করি নি । যাদের ঈমাণ দুর্বল তাদের পুজা না দেখাই ভালো কারন দেখলেই মুর্তির প্রতি তাদের ঈমাণ এসে যাবে ।
এবার হুজুর আপনাকে একটা প্রশ্ন করি - আমি একজন মুসলমান এবং আমার সামনে কয়েক জন মুসুল্লি নামাজ পড়ছে এবং আমি সেই নামাজ পড়া দেখছি কিন্তু পড়ছি না তাহোলে কি দেখার জন্য আমার নামাজ পড়া হবে ???
হুজুর :::: কি পাগলের মত কথা বলেন অন্যের নামাজ পড়া দেখলে কি কোন দিন নামাজ পড়া হয় !!!!!!
আতাহার :::: ও হয় না বুঝি কিন্তু মুসল্লিদের ঈমাণ আর আমার ঈমাণ এক তাহোলে ও নামাজ পড়া দেখার জন্য নামাজ হবে না !!!
হুজুর :::::: নিয়ত করে ওজু করে নামাজ নিজে না পোড়লে অন্য পড়াতে নিজের নামাজ কোন দিন হবে না যতই নামাজ পড়া দেখেন ।
আতাহার ::: ও মুসলমান হয়ে অন্য মুসলমানের নামাজ পড়া দেখলে নামাজ হবে না কিন্তু মুসলমান হয়ে অন্য বিশ্বাষের মানুষের পুজা করা দেখলে আমার পুজা করা হয়ে যাবে শিরিক করা হয়ে যাবে এবং হিন্দুদের বিশ্বাষ গ্রহন না করলেও আমার পুজা করা হয়ে যাবে ।
হুজুর ::: বড় বড় চোখ করে তাকায়
আতাহার :::: শুনুন হুজুর আপনি মাঠে বা টিবিতে যদি কোন খেলা দেখেন তখন আপনি দর্শক খেলোয়ার নহেন , আমি যদি অন্যের নামাজ পড়া দেখি আমি দর্শক নামাজি নহি এবং আমি যদি অন্যের পুজা করা দেখি তাহোলে আমি দর্শক পুজারি নহি । পুজা মন্ডপে যাই পুজা করতে না দেখতে এবং সেটা অল্প কিছুক্ষণ , বেশি ভাগ সময় কাটে মন্চের সামনে কালচারাল অনুষ্ঠান দেখে । আমি হিন্দুদের বা অন্য ধর্মের মানুষের সাথে এত মিশি এবং আমি তাদের ধর্ম গ্রন্থ ও পড়ি কিন্তু কখনো তাদের বিশ্বাষ গ্রহন করি নি , আমার ঈমাণ অত দুর্বল নহে ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭
ইউনিয়ন বলেছেন: যে যার উৎসব পালন করবে। এ নিয়ে প্রচারণার কিছু নেই।