নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষে আমাদেরকে অশান্তিতে রাখে না। মানুষ আমাদেরকে যন্ত্রণা দেয় না। আমাদের বরং নিজের দিকে তাকানো উচিৎ , নিজের গভীরে, হৃদয়ে, নিজের সত্ত্বার গভীরে। আমরা যে ঘটনাতে ত্যক্ত-বিরক্ত, সেই ঘটনাতেই দিব্যি আরেকজন হাসিমুখে কাটাচ্ছে জীবন। কষ্ট-যন্ত্রণা ঘটনার মাঝে নয়

অনুতপ্ত হৃদয়

স্মৃতি নিয়ে চলেছে দিগন্ত ছাড়িয়ে, মহাকালে রেখে দেওয়া সেই মুহূর্তগুলোর কাছে। বিনি সুতার বাঁধনে, ডানা মেলা রোদ্দুরে ফলসার ঝোপ ছাড়িয়ে নাও ভাঙা চরে, নীলাকাশ ছাড়িয়ে কাশবনের হাওয়ায় অথবা বকুলের মালায়, সেসব দিনের কথা, সেসব কথা মনে পড়ে………https://www.facebook.com/profile.php?id=100008069776412

অনুতপ্ত হৃদয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

সর্বপ্রকার পঙ্কিলতামুক্ত হওয়া

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

অন্তরে যেনো আজ নিজের নেই কোনো বড়ত্বের চিন্তা। হবেই কেনো আমার যা কিছু আছে সবই তো মহান আল্লাহর দান।যখন ইচ্ছা করেন তিনি তা ছিনিয়েও নিতে পারেন। আমার নিজস্ব কোনো গুণ নেই,আমি তেমন কোনো গুনে গুণান্বিত নই।

যদি আমিবএটুকু চিন্তা করি যে, আমাকে কী থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে তাহলে আমার সকল অহংকার দূর হয়ে ধুলোয় লুটোপুটি খায়। ভাবি আমার সৃষ্টির মূলে তো রয়েছে এক ফোটা বীর্য।

যদি আমার শেষ পরিণতি নিয়ে ভাবি যে, যখন আমার মৃত্যু হবে তখন আমার প্রিয়জনেরাও আমাকে ঘরে রাখবে না। কারণ ঘরে রাখলে পচে যাবো এবং দুর্গন্ধ বের হবে। সুতরাং কবরে দাফন করে আসবে।তো এই যখন আমার শুরু ও শেষ তাহলে কীসের তাকাববুর? কী নিয়ে অহংকার?

আল্লাহ তাআলা আমাকে আমার দেহের উপর চামড়ার আবরণ দিয়ে দিয়েছেন। তা যদি সরিয়ে ফেলা হয় তাহলে তো ভিতরে শুধু নাপাকি আর নাপাকি। কোথাও রক্ত, কোথাও পুঁজ, কোথাও পেশাব, কোথাও পায়খানা। আল্লাহর দেওয়া চামড়ার আবরণ তোমার সব নাপাকি ঢেকে রেখেছে।

অথচ আমি অহংকার করি-আমি এই, আমি সেই। আমি এই করব, সেই করব। আল্লাহ যদি আমার মাথার মস্তিষ্ক টা একটু বিকৃতি করে দেন তাহলেই সব শেষ, আমার সকল হম্বিতম্বি খতম।

আমি চাই না, সবাই আমার খাতির-তোয়াজ করুক, আমার খেদমত করুক। নিজেকে আমি মাখদুম নয়, খাদেম ও সেবক মনে করি। আমি সবার খাদেম। ছোটরও খাদেম, বড়রও খাদেম। যদিও খেদমতের ধরন আলাদা আলাদা। তবে খাদেম আমি সবার।

নিজেকে বিনয়ীদের সোহবত ইখতিয়ার মনে করি, নিজের মাঝে বিনয় আসবে বলে। অহংকারীর সংশ্রবে থাকলে নিজের অহংকার আসবে। আল্লাহ্‌ তালা যাদেরকে সম্মান দান করেছেন তাদের সোহবতে থাকার চেষ্টা করি এবং নিজের হাকীকত নিয়ে চিন্তা করি এবং একথা ভালোভাবে হৃদয়ঙ্গম করি যে, আখিরাতের পুরস্কার অহংকারীর জন্য নয়। আখিরাতের পুরস্কার তারই প্রাপ্য, যে বিনয়ী, যে অবনতমস্তক, যে নিজেকে বড় মনে করে না।

প্রত্যক্ষ হারাম থেকে তো বেঁচে থাকার চেষ্টা করি, যেখানে হারামের সম্ভাবনা আছে, সন্দেহ আছে, তা থেকেও নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করি।

কখনো কখনো কোনো জিনিস ফতোয়ার বিচারে হালাল হয়, কিন্তু সন্দেহ থেকে যায়। এই সন্দেহের অবস্থায় বাস্তবেও যদি জিনিসটা হারাম হয় তাহলেও তা খেলে যদি গুনাহ হয়। কারণ আমি ফতোয়া অনুযায়ী আমল করেছি । এতকিছুর পরও
বাস্তবেই যদি ঐ জিনিসটা হারাম হয়ে থাকে তাহলে তার বদ আছর তো আখলাকের উপর পড়বেই।

হারামের কালিমা ও মন্দ প্রভাব এবং সর্বপ্রকার পঙ্কিলতামুক্ত হওয়া।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: @"কী নিয়ে অহংকার?":(

আমিই তো ঐটা। :(
বিনয়ী হবার চেষ্টা করব।:(

১৫ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

অনুতপ্ত হৃদয় বলেছেন: পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.