![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্মৃতি নিয়ে চলেছে দিগন্ত ছাড়িয়ে, মহাকালে রেখে দেওয়া সেই মুহূর্তগুলোর কাছে। বিনি সুতার বাঁধনে, ডানা মেলা রোদ্দুরে ফলসার ঝোপ ছাড়িয়ে নাও ভাঙা চরে, নীলাকাশ ছাড়িয়ে কাশবনের হাওয়ায় অথবা বকুলের মালায়, সেসব দিনের কথা, সেসব কথা মনে পড়ে………https://www.facebook.com/profile.php?id=100008069776412
গ্রামে যখন ছিলাম, শবে বরাতের দিন মাগরিবের সময় মসজিদে গুটি কয়েক লোক দেখতে পেতাম যেমন ধরুন যারা কয়েকজন নিয়মিত নামাজ পড়তেন, জ্যাঠা, দাদারা সব মিলিয়ে ১৫ থেকে ২০ জন।
এরপর এশার নামাজের সময় নামাজ পড়তে গিয়ে দেখি মসজিদে আমার নিজের জায়গাটা করে নিতে মুশকিল হতো বাধ্য হয়ে চটি বিছিয়ে মসজিদের বাইরে নামাজ পড়তে হতো। ফরজ নামাজ শেষে ত জিলাপি ছিলোই।
তারপর দেখতাম ১২.৩০ মিনিট পর্যন্ত নফল ইবাদতে মুসল্লিরা ব্যস্ত কি দরদ দিয়েই না নামাজ আদায় করতেছেন, মনে মনে বলতাম হ্যাঁ আল্লাহ্ তালা আপনি প্রত্যেক ব্যক্তিকেই খাটি নামাজি বানিয়ে দিন।
এর পর মসজিদ ফাকা পড়ে থাকতো কোরআন তেলায়তের মাঝেমাঝে ঊঠিয়ে দেখতাম আর কতজন আছে । এর পর সুবহে সাদিক ফজরের আযান কিন্তু ফজরের নামাজের জন্য ওই গুটি কয়েক ব্যক্তিকেই নজরে পড়তো।
#সে টা আমার বিষয় না। মোদ্দো কথা হলো, আল্লাহ্ তালা ববলেছেন, "নিশ্চয়ই নামাজ মুমিনদের উপর ফরজ করা হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ের ভিত্তিতে”।
আল্লাহ আমাদেরকে দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ একারণেই দিয়েছেন, যেন আমরা কাজের চাপে পড়ে, তাঁকে ভুলে না যাই। কারণ তাঁকে ভুলে যাওয়াটাই হচ্ছে, আমাদের নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রথম ধাপ। যখনি আমরা একটু একটু করে আল্লাহকে ভুলে যাওয়া শুরু করি, তখনি আমরা আস্তে আস্তে অনুশোচনা অনুভব না করে খারাপ কাজ করতে শুরু করি। আর সেখান থেকেই শুরু হয় আমাদের পতন। দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আমাদেরকে এই একটু একটু করে নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচিয়ে রাখে, আল্লাহর সাথে সংযোগ কিছুটা হলেও ধরে রাখে।
আমরা অধিকাংশরাই আল্লাহ্র সাথে সম্পর্ক ধরে রাখার চেষ্টা না করে শুধু একটি রাতে এসে নফল ইবাদত করে সম্পর্ক রাখা মিছে বোকামি করি। আল্লাহর কাছে সবচেয়ে পছন্দনীয় সে সমস্ত আমল, যা অল্প হলেও নিয়মিত করা হয়৷ কিন্তু নিয়মিত করা দুরের কথা ছুঁয়েও দেখি না
#আজাব ……
নামাজ আমাদের জন্য অধিকগুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত মনে করি কিন্তু নামাজ না পড়লে রয়েছে কঠিন ও ভয়াবহ আজাব।
আমাদের প্রত্যেকে প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রাপ্তবয়স্কাদের উপর নামাজ ফরয করা হয়েছে।কোরআন ও হাদীস শরীফের বিভিন্ন স্থানে এই নামাজ পড়ার ফযিলত ও না পড়ার কঠোর বিধানের কথা উল্লেখ আছে।
আমরা অনেক সময় নিজেদের ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় গুরুত্বপূর্ণ এই ইবাদাতটিকে আদায় করি না,বা ছেড়ে দেই এবং কিছু নফল ইবাদত নিয়ে ফেৎনায় পড়ে আছি। নামায না পড়ার শাস্তিঃ যারা নামায পড়েনা তাদের জন্য আল্লাহ্ পাক পনেরটি আজাব নির্দিষ্ট করে রেখেছেন।
পনেরটি আজাবের মধ্যে ছয়টি দুনিয়ায়, তিনটি মৃত্যুর সময়, তিনটি কবরের মধ্যে এবং বাকি তিনটি হাশরের মধ্যে দেয়া হবে, তা আমরা বেমালুম ভুলে গেছি।
দুনিয়াতে যে ছয়টি আযাব দেওয়া হয়।
১. তাহার জীবনে কোনরূপ বরকত পাইবেনা ।
২. আল্লাহ্ তার চেহারা হইতে নেক লোকের চিহ্ন উঠাইয়া লইবেন।
৩. যে যাহা কিছু নেক কাজ করবে, তাহার ছওয়াব পাইবেনা।
৪. তাহার দোয়া আল্লাহ্ পাকের নিকট কবুল হইবে না।
৫. আল্লাহ্ পাকের সমস্ত ফেরেশতা তাহার উপর অসন্তুষ্ট থাকবে।
৬. ইসলামের মূল্যবান নেয়ামত সমূহ হইতে বঞ্চিত করা হইবে ।
মৃত্যুর সময় যে তিনটি আযাব দেওয়া হয়।
১. অত্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত হইয়া মৃত্যুবরণ করিবে।
২. ক্ষুধার্ত অবস্থায় মৃত্যু বরন করিবে।
৩. মৃত্যুকালে তাহার এত পিপাসা পাইবে যে,তাহার ইচ্ছা হইবে দুনিয়ার সমস্ত পানি পান করিয়া ফেলিতে ।
কবরের মধ্যে যে তিনটি আযাব দেওয়া হয়।
১. তাহার কবর এমন সংকীর্ণ হবে যে তাহার এক পাশের হাড় অপর পাশের হাড়ের সংগে মিলিত হইয়া চূর্ণবিচূর্ণ হইয়া যাইবে।
২. তাহার কবরে, দিনরাত্রি সবসময় আগুন জ্বালাইয়া রাখা হবে।
৩. আল্লাহ্ তাহার কবরে একজন আজাবের ফেরেশ্তা নিযুক্ত করিবেন। তাহার হাতে লোহার মুগুর থাকবে। সে মৃত ব্যক্তিকে বলতে থাকবে যে,দুনিয়ায় কেন নামায পড় নাই। আজ তাহার ফল ভোগ কর। এই বলিয়া ফজর নামায না পড়ার জন্য ফজর হইতে জোহর পর্যন্ত, জোহর নামাযের জন্য জোহর থেকে আছর পর্যন্ত, আছরের নামাযের জন্য আছর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, মাগরিবের নামাযের জন্য মাগরিব হইতে এশা পর্যন্ত এবংএশার নামাযের জন্য এশা হইতে ফজর পর্যন্ত লোহার মুগুর দ্বারা আঘাত করতে থাকবে।
আর বাকি তিনটি দেওয়া হবে রোজ হাসরের দিন কিয়ামতের ময়দানে।আসুন আমরা সবাই নিয়মিত এবং সময়মত নামাজ পড়ি, অপর ভাইদের ও বলি নামাজ পরার জন্য । তাহলেই একমাত্র আমাদের প্রকৃত শান্তি ও মুক্তি খুজে পাবো। আর ফিৎনা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি।
©somewhere in net ltd.