নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষে আমাদেরকে অশান্তিতে রাখে না। মানুষ আমাদেরকে যন্ত্রণা দেয় না। আমাদের বরং নিজের দিকে তাকানো উচিৎ , নিজের গভীরে, হৃদয়ে, নিজের সত্ত্বার গভীরে। আমরা যে ঘটনাতে ত্যক্ত-বিরক্ত, সেই ঘটনাতেই দিব্যি আরেকজন হাসিমুখে কাটাচ্ছে জীবন। কষ্ট-যন্ত্রণা ঘটনার মাঝে নয়

অনুতপ্ত হৃদয়

স্মৃতি নিয়ে চলেছে দিগন্ত ছাড়িয়ে, মহাকালে রেখে দেওয়া সেই মুহূর্তগুলোর কাছে। বিনি সুতার বাঁধনে, ডানা মেলা রোদ্দুরে ফলসার ঝোপ ছাড়িয়ে নাও ভাঙা চরে, নীলাকাশ ছাড়িয়ে কাশবনের হাওয়ায় অথবা বকুলের মালায়, সেসব দিনের কথা, সেসব কথা মনে পড়ে………https://www.facebook.com/profile.php?id=100008069776412

অনুতপ্ত হৃদয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

"জীবনের উদ্দেশ্য।"

১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০৩

জীবনের উদ্দেশ্য -বিশ্বাসী বা অবিশ্বাসী, যে-ই হউক না কেনো। জীবণের উদ্দেশ্য খুজতে গিয়ে কেউ তাকে পাচ্ছি আবার কেউবা পাচ্ছি না!

বিশ্বাসীর কাছে উদ্দেশ্যহীন জীবন অসম্ভব। অথচ অবিশ্বাসীর কাছে উদ্দেশ্যহীনতাই জীবন। জীবনের একটা গন্তব্য আছে! বিশ্বাসীরা গন্তব্যের দিকে একটি উদ্দেশ্যে নিয়েই যাত্রা করে , কখনো গন্তব্যের দেখা মিলে আবার কখনো নয়, কিন্তু উদ্দেশ্য কখনো হারিয়ে যায় না।

বিশ্বাস মূলত নির্ভর করছে আমাদের দেহ এবং আত্মা এই দুটি বিষয়ের উপর। দেহের মৃত্যুর পর আত্মার অমরণশীলতা এবং সে সাথে নুতন একটি জগতে প্রবেশ করা, এই ধারণার উপর ভিক্তি করে এই জীবনের উদ্দেশ্য হচ্ছে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা!

আমাদের মস্তিষ্কের ক্রিয়া/প্রতিক্রিয়ার মাঝেই মনের অবস্থান। মস্তিষ্কের মৃত্যুর মাঝে মনেরও মৃত্যু ঘটে। আর আমরা আমাদের মনের দাস!

ধরুন, আমাদের দেহকে একটি যন্ত্র এবং তাহলে মস্তিষ্ককে চিন্তা করতে পারেন একটি গণনা কেন্দ্র হিসেবে যেটি বিশ্বের আধুনিকতম কম্পিউটারের চেয়েও শক্তিশালী। শুধু এর ভেতর তারের জালের পরিবর্তে রয়েছে অসংখ্য সুক্ষ্ণ নার্ভ।
আবার মানুষকে চিন্তা করতে পারেন একটি রোবট হিসেবে, শু্ধু এর পার্টসগুলো তৈরী হচ্ছে মাংস দিয়ে। মস্তিষ্ক হচ্ছে আমাদের দেহের প্রসেসিং ইউনিট। যে কোন ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য চলে যায় মস্তিষ্কে এবং মস্তিষ্ক সেটি প্রসেস করে, তার পূর্ব অভিজ্ঞতার আলোকে করণীয় নির্ধারণ করে সেটা পাঠিয়ে দেয় যথাযথ প্রত্যঙ্গের কাছে।

মানুষই একমাত্র প্রাণী যারা যে কোন বিশ্বাসকে সংরক্ষনের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতে পারে।
আমরা অনেক কিছুর জন্য প্রাণ দেই, যেমন গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দেই, আমরা দেশের জন্য প্রাণ দেই, আমরা মানবাধিকারের জন্য প্রাণ দেই, আমরা ধর্মের জন্য প্রাণ দেই। আমরা বিশ্বাসকে মর্যাদা দিয়ে বন্ধুর সাথে তর্কে লিপ্ত হই, বন্ধুত্বও ছিন্ন করি।

আমরা এই বিশ্বাসকে অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে আনন্দ পাই। কারণ বিশ্বাসই হয় তখন চালিকা শক্তি।
সতর্ক থাকুন, নিজের বিশ্বাস সম্পর্কে। অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার আগে ভাবুন, আপনার ধারণাটি কি প্রাণঘাতী নাকি মানুষের কল্যাণমূখী। সিদ্ধান্ত নিন,কল্যাণমূখী ধারণা দিতে পারে একটি সুন্দর ভবিষ্যত।

জীবনের প্রতিটি মুহুর্তেই আমরা সব সময় হিসেব করতে থাকি সচেতনে বা অবেচতনে কতটুকু ভাল লাগা বা মন্দ লাগা অর্জন করেছি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আবার ভাবি জীবনটি কি অর্থহীন না অর্থহীন নয়। আমার কাছে তাই জীবনের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিটি মুহুর্তকে উপভোগের মাধ্যমে ভাল লাগার অনুভুতি। আমার জীবন হল আমার স্রষ্টার কাছ থেকে পাওয়া একটা উপহার ।

আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছে একটা দায়িত্ব দিয়ে । তাঁর দায়িত্ব শেষ করেই তাঁকে আবার তাঁর রবের কাছেই ফেরত যেতে হবে ।
এই হলো জীবনের উদ্দেশ্য

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৩৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: বড় কঠিন কথা। :(


আপনার সাথে কথা হয় নি!!:(
ব্লগে কি নিয়মিত থাকছেন??

১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৬

অনুতপ্ত হৃদয় বলেছেন: জি ব্লগে নিয়মিত থাকিছি,এসছি পরিচিত হতে ধন্যবাদ

২| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্টের সাথে আমি একমত নই।

২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

অনুতপ্ত হৃদয় বলেছেন: সবাই যে নিজ মতের সাথে একমত হবে সেটা আশা করাও বোকামি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.