![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্মৃতি নিয়ে চলেছে দিগন্ত ছাড়িয়ে, মহাকালে রেখে দেওয়া সেই মুহূর্তগুলোর কাছে। বিনি সুতার বাঁধনে, ডানা মেলা রোদ্দুরে ফলসার ঝোপ ছাড়িয়ে নাও ভাঙা চরে, নীলাকাশ ছাড়িয়ে কাশবনের হাওয়ায় অথবা বকুলের মালায়, সেসব দিনের কথা, সেসব কথা মনে পড়ে………https://www.facebook.com/profile.php?id=100008069776412
আমাদের সমাজ ধর্মের অনুভূতি রক্ষায় যেমন সোচ্চার, ধর্মের কর্ম পালনে তেমনই নিরব, ধর্মজ্ঞানে ততই দুর্বল। এ সমাজের ধর্মানুসারী মানুষেরা কতটা ধার্মিক? চারপাশের মানুষদের একটু দেখলেই বোঝা যায়।সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দিকেই তাকানো যাক।
ইসলাম দাঁড়িয়ে আছে পাঁচটি স্তম্ভের উপরে। পুর্নাঙ্গ মুসলমান হতে হলে অবশ্যই এগুলো পালন করতে হবে।
প্রথম ভিত্তি আল্লাহ্ এবং তার রসুলের উপর বিশ্বাস স্থাপন। এটি না হলে কেউ মুসলমান হতে পারে না। এর পরে নামাজ। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা বাধ্যতামূলক।
প্রধান পাঁচ স্তম্ভের দ্বিতীয়টিই সবচেয়ে বেশি নড়বড়ে। শুক্রবার জুম্মার সময় নামাজীদের ভিড়ে মসজিদসংলগ্ন রাস্তায় মানুষের জ্যাম লেগে গেলেও বাকী দিনগুলোয় শুধু মসজিদই খা খা করে না, বাসার জায়নামাজটিও অস্পর্শ অবস্থায় ভাজ হয়ে পরে থাকে।
তৃতীয় স্তম্ভটি আবার দ্বিতীয়টি থেকে বেশি শক্ত। যতসংখ্যক মানুষ নিয়মিত নামাজ পড়ে তার চেয়ে কয়েকগুন বেশি মানুষ রোজা রাখে। এবং এর বড় একটি অংশ রোজা রেখে নিয়মিত নামাজ পড়ে না। যারা পড়ে তাদের একটা অংশ আবার রমজান মাস শেষ হয়ে গেলে শুক্রবার বাদে অন্যকোনদিন ওজু করে না। শবে বরাতের রাতে রুটি-হালুয়া-গোশত খেয়ে রাতজেগে নফল ইবাদত করে কিন্তু রাত জাগার কারনে সকালের ফজরের নামাজটা পড়ে না। ঈদের ওয়াজিব নামাজ পড়ার জন্য এত হইহুল্লোড়, এত উন্মাদনা, কিন্তু ফরয নামাজের বেলায় শরীরটা ম্যাজ ম্যাজ করে।
বাকি দুই স্তম্ভ গড়তে বিত্তের প্রয়োজন। বিত্তশালীরা জীবনে একবার মক্কা-মদীনা ঘুরে আসলেও নিয়মিত সঠিক পরিমান যাকাত দেয়ার সময় কি করে যেন অর্থনৈতিক দৈন্যের মাঝে পড়ে যায়।এই না হয় তাদের ধর্ম কর্মের ফিরিস্তি।
এবার ধর্মজ্ঞানের পান্ডিত্য কতটুকু দেখা যাক। অধিকাংশ মুসলমান পরিবারের সন্তানরা ছোটবেলা থেকেই বাসায় হুজুর রেখে কিংবা দলবেধে মসজিদে কোরআন পড়া শেখে। এমন অনেককেই পাওয়া যায় যারা যৌবনে পা রাখার আগেই কোরআন খতম দেয়। ইসলামের সব বিধান, আইন-কানুন, দর্শনের প্রধান দলিল এই কোরআন। কোরআন পড়ার পাশাপাশি নামাজে ব্যবহারের জন্য কোরআনের বেশ কিছু সুরাও মুখস্ত করে সবাই। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই ‘আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন’- , এই আয়াতের বাইরে খুব কম আয়াতেরই অর্থ জানে। আর পাঠ্যবই ইসলাম শিক্ষা’ বইয়ে যে কয়টি হাদিস আছে এর বাইরে হাদিস পড়েছে এমন মানুষ হাতে গোনা যায়।
ইসলামী জ্ঞান ও দর্শনের প্রধানতম দলিল কোরআন এবং এর সহায়ক হাদিস সম্পর্কে মোটামুটি জ্ঞান রাখে এমন মুসলমান এই সমাজে খুঁজে পাওয়া কষ্টের। ধর্ম সম্পর্কে অধিকাংশ মুসলমানের জ্ঞান নামাজ-রোজার নিয়ম-কানুন, কয়েকটি মুখস্ত সুরা এবং নানী-দাদীর মুখে শোনা কিছু অলৌকিক কাহিনীর মাঝেই সীমাবদ্ধ।
এই কি ইসলাম?
আসলে আমরা কি পুরোপুরি ভাবে এখনো মানতে পেরেছি?
২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮
অনুতপ্ত হৃদয় বলেছেন: না,পারিনি।
এটা আমাদের ব্যর্থতা , চারিদিকে অন্ধকারের আবছায়া পড়েছে আর আমরা আলোর, সন্ধানে যেনো ব্যর্থ।
আধার আমাদের সামনে।
জাযাকাল্লাহ খাইর আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য শুভ কামনা রইল।
২| ২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
২৬ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫
অনুতপ্ত হৃদয় বলেছেন: ধন্যবাদ সহমত পোষণ করার জন্য, আপনার সুস্থতা কামনা করছি
৩| ২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫
নাজিম সৌরভ বলেছেন: যৌবন আসার আগেই যারা হাফেয হয়ে যান তারা আবার একধরনের হামবড়া রোগে ভোগে । তাদেরকে যদি আপনার এই ব্লগটা শোনাই তারা ভাববে আপনার 'ঈমান' ঠিক নেই, কারণ আপনি হাফেযদের 'অবমাননা' করেছেন ।
অফ টপিক, আমি একজন নতুন ব্লগার । আমার ব্লগে আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি ।
২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৫
অনুতপ্ত হৃদয় বলেছেন: হাফেজদের অবমাননা,
থাক আর কিছু বললাম না
তবে অবশ্যই যাবো।
৪| ২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আসলে আমরা এখন পুরোপুরি ইসলাম মানিনা। তাইতো বিশ্বে এত অশান্তি।
২৭ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩০
অনুতপ্ত হৃদয় বলেছেন: জি মানলে হয়তো এত অশান্তি হত না। তবুও চেষ্টা করি মানার
ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮
নিশাচড় বলেছেন: না পারিনি। আমরা জন্ম সূত্রে মুসলমান। খুব সুন্দর গুছালো আলোচনা।