![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জেন আয়ার
শার্লট ব্রন্টি
অনুবাদ:কবীর চৌধুরী
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
এক এতীম মেয়ের জীবনের কাহিনী। জন্মের পর বাবা-মাকে হারানো শিশুরা যেসকল প্রতিবন্ধকতা আর অনাচারের সম্মুখীন হয়, সে সব বাধা-বিপত্তি প্রতিনিয়ত সহ্য করতে হয় ছোট্ট জেনকে। মাঝে মাঝেই তার চাইতে বয়সে বড় মামাত ভাইয়ের কাছে মারও খেতে হয় তাকে। এর একটা কারণ তার চেহারা উক্ত ভাইটির পছন্দ নয়। মামার মৃত্যু পরবর্তী মামার বাসায় মামী আর মামাত ভাইদের উৎপীড়ন সহ্য করার পর জেনের জায়গা হয় এক বোর্ডিং স্কুলে। তবে তার উপর অত্যাচারের মাত্রা সেখানে কমেনি বরং বেড়েছে। এভাবে অবহেলা-অনাদরে বড় হতে থাকে জেন। জীবন তার স্বাভাবিক গতিতে এগিয়ে চলে। তবে জীবনের অনেক মোড়ের মুখোমুখী হতে থাকে সে।
একটা ইংরেজি ক্লাসিক হওয়ার সব গুণই আছে শার্লট ব্রন্টির ‘জেন আয়ার’ উপন্যাসে। এটা সম্পূর্ণ কোন কাল্পনিক কাহিনী নয়। শার্লট ব্রন্টির জীবনের অধিকাংশ সত্য ঘটনা এখানে লিপিবদ্ধ আছে। ‘জেন আয়ার’ কে আত্মজৈবনিক উপন্যাসও বলা হয়। অসাধারণ সরল লেখনির জাদুতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এক মেয়ের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি। সেখানে যেমন এসেছে প্রেম, তেমনি মৃত্যু। এক তরুণীর ঘটনাবহুল জীবনের সাথে একাত্ম হয়ে পাঠক ফিরে যাবে সেই ভিক্টোরিয়ান যুগের ইংল্যান্ডে।
আমি বইটা প্রথম পড়েছিলাম এসএসসি পরীক্ষা পরবর্তী সেই লম্বা ছুটির এক নির্জন দুপুরে। সময় আর পরিবেশটা গল্পের বই পড়ার জন্য আদর্শ ছিল। পরবর্তি অভিজ্ঞতার উপর আমার একটা পর্যবেক্ষণ হল- পরীক্ষা শেষে এবং পরীক্ষাকে সামনে রেখে গল্পের বই পড়াতে একটা পার্থক্য আছে। অবশ্যই আমি প্রথমটাই বেশী পছন্দ করি আর আমার মনে হয় অনেকেই আমার সাথে একমত হবেন। যাইহোক, অসাধারণ এই কিশোর ক্লাসিকের সাথে আমার কল্পনাপ্রবণ কৈশোর জড়িয়ে আছে। ঐ দুপুরটাকে আমি চাইলেও ভুলতে পারবনা।
সেবার অনুবাদটা কেমন হয়েছে জানিনা। কিন্তু কবীর চৌধুরী ‘জেন আয়ার’এর দারুণ সাবলীল অনুবাদ করেছেন। যদিও অনুবাদ সাহিত্যের ব্যাপারে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রকে নিশ্চিন্তে বিশ্বাস করা যায়। সেবাতে অনুবাদ যেরকম সংক্ষেপ করে, তার সাথে আমি মানিয়ে নিতে পারিনা। আমার মনে হয় বিস্তারিত বা মূলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ অনুবাদই বেশী উপভোগ্য।
‘জেন আয়ার’ একটি মেয়ের ঘটনাবহুল জীবনের হৃদয়স্পর্শী গল্প। এখানে প্রেম এসেছে আশীর্বাদ হয়ে এবং চিরায়ত পবিত্র রূপে। আবার ভয়ানক মর্মব্যাথা নিয়ে মৃত্যুও হাজিরা দিয়ে গেছে। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে ফুটে উঠেছে একটি মেয়ের জীবনের নানা মোড় আর তার জীবনসংগ্রাম। সবমিলিয়ে কিশোর উপন্যাস ‘জেন আয়ার’ সব বয়সী পাঠককে আবেগে আপ্লুত করবে। আর হ্যাঁ, এটা সত্যিকার প্রেমের নির্যাস ধারণ করে যা আমাদের আধুনিক প্রেমদর্শনের বাইরে চিন্তা করতে ইতিবাচকভাবে প্রোরোচিত করবে।
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯
is not available বলেছেন: ধন্যবাদ পোষ্টটা পড়ার জন্য। ভাল থাকবেন
৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩
রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: বইটা পড়েছি। আপনার প্রাঞ্জল রিভিউতে বইটার কথা আমার মনে পড়ে গেল। শুভেচ্ছা।
৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৮
ডেফিনিটলী নট মি বলেছেন: বই পড়া হয় না অনেক দিন। দেখি এটা দিয়ে শুরু করা হয় কিনা। মনে হচ্ছে এটা দিয়েই শুরু করা যায়।
৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:১২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: পড়িনি এখনো। কাহিনিটা জানা, কিন্তু হাতে নিয়ে বসে পুরোটা পড়া হয় নি। পড়ব।
৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫১
is not available বলেছেন: রিডার্স ব্লক কাটিয়ে ওঠার জন্য এটা পারফেক্ট একটা বই @ডেফিনেটলী নট মি
৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫৩
is not available বলেছেন: আমি দুই তিনবার পড়েছি। কাহিনী পুরোনো মনে হয় নি কখনো। @প্রফেসর শঙ্কু
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২১
বেরসিক কথক বলেছেন: জি আমি ইংরেজি সাহিত্যের স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ফাইনাল ইয়ারে জেন আয়ার পড়েছি। সেটা পরে বহুদিন পর্যন্ত জেন এর জন্য মন খারাপ ছিল।
আসলেই অসাধারণ একটি জীবন সংগ্রামী উপন্যাস।
প্রিয় ব্লগার আপনাকে ধন্যবাদ অনেকদিন পর আবার শার্লট ব্রন্টির জেন আয়ারের কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য