নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার গুরুত্বপূর্ন দুইটা লার্নিং শেয়ার করি। এই দুইটা টুল মাথায় রাখলে দৈনন্দিন কাজ করা অনেক সহজ হয়। টুল দুইটা কাজ করতে ও কাজ শেষ করতে ম্যাজিক হিসাবে কাজ করে।
এক.
স্টিফেন কোভের প্রো এক্টিভ এটিচিউড যেটা তিনি তার “সেভেন হ্যাবিটস অফ হাইলি ইফেক্টিভ পিপল” বইতে বর্ণনা করেছেন।
আইডিয়াটা খুব সিম্পল। তিনি এটার বিশদ আলোচনা করেছেন বইতে। আমি সংক্ষেপে বলছি।
দৈনন্দিন জীবনে আমরা যেসব ঘটনার মুখোমুখি হই বা চ্যালেঞ্জ ফেস করি সেগুলো ট্যাকল করার জন্য প্রোএক্টিভ এটিচিউডের আইডিয়াটা আনা যায়।
আমরা সাধারণত কোন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলে অন্যকে দোষারোপ করি। ঐ ঘটনাকে দোষারোপ করি। স্টিফেন কোভে বলছেন কোন চ্যালেঞ্জ যখন ফেস করবেন তখন সেটা মোকাবেলা করার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে অন্যকে দোষারোপ না করা অর্থাৎ অভিযোগের মানসিকতা না রাখা।
বরং ঐ ঘটনা মোকাবেলা করতে নিজের কী করার আছে সেদিকে নজর দিতে হবে এবং সেগুলো সম্পন্ন করতে হবে।
প্রোএক্টিভ হওয়া বলতে তিনি বলছেন কোন সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে যে অংশে আপনার নিয়ন্ত্রণ নাই সেটা Circle of Concern.
আর সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে যে অংশে আপনার নিয়ন্ত্রণ আছে অর্থাৎ সমস্যা সমাধানকল্পে যা আপনি করতে পারবেন, তা যত ছোটই হোক না কেন, সেটা Circle of Influence.
একটা আয়তক্ষেত্রের মধ্যে একটা বড় বৃত্ত কল্পনা করেন। বড় বৃত্তের মধ্যে আরেকটা ছোট বৃত্ত কল্পনা করা যাক।
ধরি পুরা আয়তক্ষেত্রটা একটা সমস্যা।
সমস্যা সমাধানের জন্য যা যা করা লাগবে তা বৃত্ত দুটির মধ্যে আছে। কিছু আছে বড় বৃত্তের মধ্যে, কিছু ছোট বৃত্তের মধ্যে।
সমস্যা সমাধানের জন্য ছোট বৃত্তের বাইরে বড় বৃত্তের ভিতরে যে সমাধানগুলা আছে সেগুলো আপনার করার ক্ষমতা নাই। এগুলা হচ্ছে Circle of Concern.
আর ছোট বৃত্তের মধ্যে সমস্যা সমাধানের যে পথগুলা আছে সেগুলো আপনার করার ক্ষমতা আছে। এটা Circle of Influence.
আমাদের সাধারণ প্রবণতা হচ্ছে কোন সমস্যার মুখোমুখি হলে ছোট বৃত্ত তথা নিজের করণীয় সম্পর্কে কথা না বলে আমরা বড় বৃত্ত তথা যা আমাদের করার ক্ষমতা নাই বা যা আমাদের আয়ত্ত্বাধীন না আমরা সেটা নিয়ে কথা বলি।
এই প্রবণতা পরিবর্তন করে তিনি ছোট বৃত্তে ফোকাস করার কথা বলেছেন। অর্থাৎ কোন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হলে সেটা সমাধানের জন্য আপনার কী করার আছে আপনি সেটা খুজে বের করেন। আপনি টু ডু লিস্ট করেন এই সমস্যা সমাধানকল্পে আপনার ক্ষমতার মধ্যে করণীয় কী আছে।
হয়ত আপনি ভাবছেন এত বড় সমস্যা আর আপনার Circle of Influence অর্থাৎ আপনার ক্ষমতার মধ্যে করণীয় যা আছে তা খুবই সীমিত।
কোভে বলছেন তা যতই ছোট হোক আপনি সমাধানকল্পে আপনার ক্ষমতার মধ্যে কাজ শুরু করেন।
আপনি কমপ্লেইন না করে করণীয় ক্ষমতার মধ্যে কাজ করতে থাকলে আপনার Circle of Incfluence এর বিস্তৃতি বাড়তে থাকবে। ক্রমান্বয়ে দেখা যাবে সমস্যা সমাধানের জন্য যা আপনার আয়ত্ত্বের মধ্যে ছিলো না সেগুলো ও আপনার আয়ত্ত্বের মধ্যে ঢুকে পড়ছে।
অর্থাৎ আপনার Circle of Influence বিস্তৃত হয়ে যে সমাধানগুলো Circle of Concern এর মধ্যে ছিলো সেগুলো এখন আপনার Circle of Influence এর মধ্যে আসা শুরু করেছে। আপনার ক্ষমতা বাড়তে শুরু করেছে। একইসাথে সমস্যাটি সমাধানের দিকেও আগাচ্ছে।
স্টিফেন কোভে তার বইতে যে সাতটি হ্যাবিটের কথা বলেছেন এটা তার মধ্যে প্রথম। এবং আমার রিয়ালাইজেশান হলো এটা একটা ম্যাজিক হ্যাবিট।
এইটার ম্যাজিক বুঝতে হলে আপনি জীবনে এই মুহূর্তে যেসব চ্যালেঞ্জ ফেইস করছেন এমন মেজর তিনটি সমস্যার কথা আলাদা তিনটি পৃষ্ঠায় লেখেন। লেখেন বলতে মোবাইল বা কম্পিউটারে না। কলম দিয়ে খাতায় লেখেন।
এখন প্রতি পৃষ্ঠায় ঐ সমস্যা সমাধানের জন্য আপনার কী করার আছে বা আপনি কী করতে পারেন সেগুলো ভেবেচিন্তে ১.২.৩. এভাবে তালিকা আকারে লিখতে থাকেন। খেয়াল রাখবেন আপনার স্বক্ষমতার মধ্যে যা আছে সমস্যা সমাধানের তুলনায় তা যতই ছোট হোক সেটা লিখতে ভয় পাবেন না।
করণীয়গুলা লেখা শেষ হলে সেগুলা করা শুরু করেন। কাজ শুরু করলে এটার ম্যাজিক টের পাবেন।
দুই.
দুই নম্বর টুল হলো কম্পাউন্ড ইফেক্ট। “কম্পাউন্ড ইফেক্ট” নামে একটা বই আছে। তাছাড়া জেমস ক্লিয়ার তার “এটোমিক হ্যাবিট” বইতে এ বিষয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন।
আলবার্ট আইনস্টাইন এটাকে অষ্টম আশ্চর্য বলেছেন।
কম্পাউন্ড ইফেক্ট হচ্ছে গুণোত্তর ধারার অংক।
কম্পাউনড ইফেক্ট সম্পর্কে প্রচুর আলোচনা আপনি পাবেন। আলোচনা যাই থাক এটা ইন্টার্নালাইজ করে কাজে লাগানো দরকার।
আমাদের কল্পনা চলে লিনিয়ার মডেলে। অর্থাৎ ৮+৮+৮+৮+৮+৮+৮+৮+৮+৮=৮০, এই হিসাব আমরা সহজে বুঝি। আমাদের ব্রেনও কাজ করে এই মডেলে। আমাদের চিন্তা ভাবনাও চলে এই পদ্ধতিতে।
কিন্তু দুনিয়ায় সব ঘটনা ঘটে কম্পাউন্ড ইফেক্টের মডেলে।
কম্পাউন্ড ইফেক্টের মডেল হলো ৮*৮*৮*৮*৮*৮*৮*৮*৮*৮=?
এটার উত্তর কী হবে তা চট করে আমরা কল্পনা করতে পারি না।
কম্পাউন্ড ইফেক্টের ফলাফল আমাদের ব্রেইন সিমুলেট করতে পারে না।
কম্পাউন্ড ইফেক্টের মূল কথা হলো ছোট ছোট চেঞ্জ কনসিসটেন্টলি ঘটতে থাকলে তা মেজর ও আনইমাজিনেবল চেঞ্জ নিয়ে আসে। সাধারণভাবে যা চিন্তাই করা যায় না।
যেমন ধরেন দাবার কোটে চাল রাখার গল্প অনেকেই জানেন।
রাজার বিরাট এক সমস্যার সমাধান করে দিলো রাজার দরবারের এক বুদ্ধিজীবী। রাজা খুশি হয়ে বললেন, হে বুদ্ধিজীবী, আমি তোমার উপর খুশি হয়েছি। তুমি কী চাও বলো। যা চাবা তাই দিবো।
বুদ্ধিজীবী তখন দাবা খেলছিলেন। তিনি রাজাকে বললেন, মহারাজ, আপনি এই দাবা কোটের প্রথম ঘরে ১ টি চালের দানা দিবেন, দ্বিতীয় ঘরে ২ টি চাল, তৃতীয় ঘরে ৪ টি, চতুর্থ ঘরে ৮ টি চালের দানা দিবেন। এভাবে প্রত্যেকটা ঘরে তার আগের ঘরের দ্বিগুণ চাল দিবেন। দাবার কোটে মোট ৬৪ টি ঘর আছে। এই ঘরগুলোতে যতগুরো চালের দানা আটে ততগুলো চাল আপনি আমাকে দিবেন।
রাজা বললেন, এ আর এমন কী? তিনি হুকুম করলেন বুদ্ধিজীবী যেভাবে বলেছেন সেভাবে দাবার কোটে চাল দিতে।
কিছুক্ষণ পর দেখা গেলো খাজাঞ্চিখানার সব চাল শেষ হয়ে গেলেও কোটে চাল দেওয়া শেষ হয়নি। তিনি হুকুম করলেন রাজ্যের সব চাল নিয়ে আসতে। রাজ্যের সব চাল শেষ হয়ে গেল তবুও দাবার কোট পূর্ণ করা গেল না।
হিসাব করলে দেখা যাবে দুনিয়ার সব চাল দিলেও এই দাবার কোট পূরণ করা যাবে না।
.
কম্পাউন্ড ইফেক্টের ক্ষেত্রে প্রথম দিকে কোন চেঞ্জ বোঝা যায় না। আস্তে আস্তে সেটা দৈত্যাকার ফিগার বা ফলাফলের দিকে যায়।
একই সময়ে একই স্বাস্থ্য ও ফিগারের দুইজন ব্যক্তির একজন যদি মনে করে সে শরীরের যত্ন নিবে। ব্যায়াম করবে, সকালে দৌড়াবে। নিয়মমাফিক স্বাস্থ্যকর খাবার খাবে। এবং সে মোতাবেক কাজ শুরু করে।
অন্যজন শরীর নিয়ে কোন পরিকল্পনা করে না। দৌড়ায় না, ব্যায়াম করে না। ডায়েটের দিকে খেয়াল নাই।
দুইজনে এভাবে জীবন যাপন করতে থাকলে তাদের মধ্যে ২ দিন ১০ দিন বা ১ মাসে কোন পরিবর্তন বোঝা যাবে না। কিন্তু দেখা যাবে ৩ মাস বা ৬ মাস পর শারিরীক ও মানসিকভাবে পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে।
প্রথমজন ব্যাপকভাবে ইম্প্রুভ করছে।
দ্বিতীয়জন স্টার্টিং পয়েন্ট থেকে ডিটারিওরেট করছে।
কম্পাউন্ড ইফেক্টের নিয়ম মেনে আগাতে থাকলে প্রথম দিকের ফলাফল খুবই সূক্ষ। যে পয়েন্টে যেয়ে মেজর চেঞ্জ শুরু হয় সেই পয়েন্টকে বলে থ্রেশহোল্ড পয়েন্ট।
যেমন ধরেন হিমাংকের নিচের তাপমাত্রার একটি ঘরে টেবিলের উপর একটা বরফ খন্ড রাখা আছে। ঘরের তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঘরের তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি বাড়িয়ে মাইনাস ৯ হলে বরফের কোন পরিবর্তন হবে না। এভাবে মাইনাস ৮, ৭, ৬ করে তাপমাত্রা বাড়াতে থাকলেন। বরফ খন্ডের কোন পরিবর্তন হচ্ছে না।
এভাবে তাপমাত্রা বাড়িয়ে যখন সেটা মাইনাস ১ থেকে ০ ডিগ্রিতে চলে আসবে তখনই বরফ গলতে শুরু করবে। এটাই থ্রশহোল্ড পয়েন্ট।
মাইনাস ১০ থেকে মাইনাস ১ ডিগ্রি পর্যন্ত কিন্তু কোন পরিবর্তন বোঝা যায়নি। যেই মাইনাস ১ থেকে ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়াইছেন সেই বরফ গলতে শুরু করলো।
.
একটি পাথরের একই বিন্দুতে যদি পানির ফোটা পড়তে থাকে তাহলে একটা সময় পর যেয়ে পাথর ভেঙ্গে যায়। অথচ পানি প্রথম যখন পড়া শুরু করে তখন পানির আঘাতে যে পাথর ভাংতে পারে এইটা বিশ্বাসই করা যায় না।
.
একজনকে বলা হলো, এক মাস প্রতিদিন তোমাকে টাকা দেওয়া হবে। তুমি দুইভাবে টাকা নিতে পারো।
প্রতিদিন ১ লাখ টাকা করে ৩০ দিন নিবা।
অথবা, আজ ১ টাকা, কাল ২ টাকা, তারপরদিন ৪ টাকা অর্থাৎ প্রতিদিন তার আগের দিনের দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা পাবা।
তুমি কোন অপশনটা নিবা?
স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রথম অপশন বেশি পছন্দ। প্রতিদিন ১ লাখ করে ৩০ দিন ৩০ লাখ টাকা পাবো। এইটা অনেক টাকা।
বিপরীতে আজ ১ টাকা, কাল ২ টাকা এভাবে আর কত টাকাই বা হবে!
এই হিসাবটা আমাদের ব্রেন হুট করে ধরতে পারে না। এইটা ৩০ লাখের বিপরীতে অনেক বড় একটা এমাউন্ট।
প্রথম দিন থেকে টাকার পরিমাণ কেমন হবে সেটা এখানে দিলাম-
1
2
4
8
16
32
64
128
256
512
1024
2048
4096
8192
16384
32768
65536
131072
262144
524288
1048576
2097152
4194304
8388608
16777216
33554432
67108864
134217728
268435456
536870912
এখানে দেখা যাচ্ছে, প্রথম দিকে খুবই ধীরগতিতে টাকার পরিমাণ বাড়তেছে। ১৫ তম দিনে টাকার পরিমাণ ১৬,৩৮৪ টাকা।
এরপর টাকার পরিমাণ দ্রূত বাড়ছে।
২০ তম দিনে টাকার পরিমাণ ৫,২৪,২৮৮ টাকা।
সর্বশেষ ৩০ তম দিনে টাকার পরিমাণ দাড়ায় ৫৩,৬৮,৭০,৯১২ টাকা। এটা শুধু ৩০ তম দিনের টাকা।
৩০ দিনে মোট টাকার পরিমাণ হয় = ১০৭,৩৭,৪১,৮২৩ টাকা
1 + 2 + 4 + 8 + 16 + 32 + 64 + 128 + 256 + 512 + 1024 + 2048 + 4096 + 8192 + 16384 + 32768 + 65536 + 131072 + 262144 + 524288 + 1048576 + 2097152 + 4194304 + 8388608 + 16777216 + 33554432 + 67108864 + 134217728 + 268435456 + 536870912 = 107,37,41,823
অথচ এর বিপরীতে আমাদের ব্রেন ৩০ লাখ টাকা নিতে চেয়েছিলো। আমরা ধারণাই করতে পারি নাই ১ টাকা ২ টাকা করে নিলে সেটার পরিমাণ ৩০ দিনে ১০৭ কোটি টাকার বেশি হতে পারে।
.
এখন প্রশ্ন হলো কম্পাউন্ড ইফেক্টের ব্যাপারটা আমরা নিজেদের জীবনে কাজে লাগাবো কীভাবে।
কম্পাউন্ড ইফেক্ট যে প্রথম দিকে স্লো কাজ করে কিছুক্ষণ পর দৈত্যাকার ফিগারের দিকে যায় এটা আগে আমাদের ভালমত রিয়ালাইজ করতে হবে।
কম্পাউন্ড ইফেক্ট আমরা কাজে লাগাতে পারি দৈনন্দিন কাজে। যেমন আমরা কোন কাজ করতে গেলে “২ মিনিটে আর কীইবা করবো” বা “১ দিন কষ্ট করেই বা কী হবে” এমন ফ্রেইজ ব্যবহার করে কাজটাকে আমরা তুচ্ছ করে দেখি বা কাজটা করিই না। এভাবে অনেক কাজ পড়ে থাকে যা আর করা হয়ে ওঠে না।
কম্পাউন্ড ইফেক্টের শিক্ষা হলো- কাজ যত বড় বা কঠিনই হোক সেটা খুব স্বল্প পরিসরে অল্প করে শুরু করা। মোট কাজের বিপরীতে প্রথম দিনের অল্প কাজ হয়ত কিছুই না। কিন্তু মনে রাখতে হবে এটা কম্পাউন্ড ইফেক্টের প্রথম দিন যার যাত্রা ১ থেকে শুরু হলেও ৩০ তম দিনে যা ১০৭ কোটি ক্রস করে যাবে।
কম্পাউন্ড ইফেক্টের এইটা মূল শিক্ষা। ছোট হলেও কাজে টাচ করা এবং নিয়মিত অল্প অল্প করে করতে থাকা।
হাতে থাকা সবচেয়ে কঠিন কাজটা এভাবে শুরু করে দেখতে পারেন। এটাও আরেকটা ম্যাজিক। অল্প অল্প করে কাজ করতে থাকলে কয়েকদিনের মধ্যেই বড় রেজাল্ট আসতে শুরু করবে।
.
লেখাটা আমার নিউজলেটার থেকে নেওয়া। আমার অন্য লেখার জন্য সাবস্ক্রাইব করতে পারেন।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৫
মাহদী হাসান শিহাব বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ে ভালো লাগলো।
আমার লেখাগুলো মূলত নিজের জন্যই। ধরা যায় নিজের জন্য তৈরী করা নোট।
সামুতে যারা দীর্ঘদিন আছেন, তাদের জানার গভীরতা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে নিজের জন্য কিছু লেখা লিখে রাখা দরকার। সে চিন্তা থেকেই লেখা।
কত কিছুই তো পড়ি, যেগুলো প্রয়োজনীয়। কিন্তু লিখে না রাখার কারনে অনেক জিনিসই হারায়ে যায়।
আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৩
নতুন বলেছেন: Circle of Concern. এবং Circle of Influence. খুবই চমতকার একটা বিষয়।
এই আ্ইয়া সম্পর্কে জানার পরে নিজের প্রতি আত্নবিশ্বাস আরো বাড়বে। মানুষ বুঝতে পরাবে তার কোন কোন বিষয়ে বেশি চেস্টা করা উচিত।
এই বিষয়গুলি আমাদের দেশের পোলাপাইনেরে কেউ শেখায় না। তারা টিকটকের তামশার ভিডিও দেখে সময় নস্ট করে।
২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯
মাহদী হাসান শিহাব বলেছেন: স্টিফেন কোভের এই আইডিয়াটা আমার জীবনে বিরাট প্রভাব রেখেছে। সবার যে সব আইডিয়া কাজে লাগবে তা না। তবে এই আইডিয়াটা আমার জন্য ব্লেসিং। স্টিফেন কোভের বইটা আমার জীবনে পড়া একটা শ্রেষ্ঠ বই।
এই আইডিয়াগুলা চর্চা করা দরকার ম্যাস লেভেলে। বর্তমান সময়ের ছেলে-মেয়েদের সাথে এই টাইপের শিক্ষা শেয়ার করা দরকার।
অনেকেই আছে আগ্রহী। না জানার কারনে চর্চা করতে পারে না।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ভালো পোস্ট, কিন্তু কোন কমেন্ট নাই কারণ এই বিষয়গুলো সামুর সবাই কম বেশি জানেন।
কম্পাউন্ডিং হচ্ছে একটি মারাত্নক বিষয়, স্বয়ং ওয়ারেন্ট বাফেট তার ছোট ছোট সব ব্যালেন্সকে কম্পাউন্ডিং করতে করতে আজ এ পর্যন্ত এসেছেন, আইনস্ট্যাইন কম্পাউন্ডিংকে আষ্টম আর্চয্য হিসেবে খেতাব দিয়েছেন।
কম্পাউন্ডিং এর মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে ধৈর্য এবং কনসিসটেন্সি, তবে এর উল্টো ইফেক্টও আছে অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী কম্পাউন্ডিং এর উল্টো ইফেক্টে পড়ে দেওলিয়া হয়ে যায়।