নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিনয় প্রকাশের চেয়ে ফ্যাক্ট বলাটা জরুরী। ফ্যাক্ট বলতে নিজের সম্পর্কে সত্যবচন। ভালো, খারাপ, প্রোজ এন্ড কন্স, স্ট্রেন্থ এন্ড উইকনেস এইসব। কিছু বলতে না চাইলে চুপ থাকা আরো ভালো।
মানুষ সাধারণত এবসুলিউট বিনয় প্রকাশ করতে পারে না। প্রায়ই বিনয়ের মধ্যে অহং লুকিয়ে থাকে। বিনয় দিয়ে অহংকারকে এমনভাবে ঢাকা হয় যেন কোন না কোন দিক দিয়ে তা উঁকি দিতে পারে।
যেমন কেউ বললো- "আমি খুবই সাধারণ মানুষ। তেমন কিছু পারি না বা জানি না।" অথচ বক্তা সুপরিচিত এবং তার অর্জন সম্পর্কে শ্রোতা ভালোমত ওয়াকিফহাল।
বিনয় প্রকাশের আরেক উদ্দেশ্য নিজের প্রশংসা বা অর্জন সম্পর্কে শ্রোতার মুখ থেকে শোনা।
এমন বিনয় প্রায়ই দেখা যায় যে, বক্তা বিনয় দেখানোর পরপরই আরেকজনের ত্রুটি সম্পর্কে বলে যাচ্ছেন। তিনি বোঝাতে চাচ্ছেন তিনি অনেকের চেয়ে ভালো বা অমুক অমুকের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
এগুলো প্রায়ই ফলস হিউমিলিটি বা হাম্বলব্রাগ। পিউর বিনয় না।
ফলস হিউমিলিটি হচ্ছে, বিনয়ী হওয়ার ভান করা। কিন্তু আসল উদ্দেশ্য অহংকার বা নিজের প্রশংসার প্রকাশ।
আর হাম্বলব্রাগ হচ্ছে, বিনয়ের ভাষায় নিজের অর্জন, সম্পদ ইত্যাদি নিয়ে গর্ব করা।
.
সমাজ শিখাইছে, বিনয়ী হতে হবে। সমাজের চাপে বিনয়ী। বাস্তবে তো বিনয় প্রায় অসম্ভব।
এক কবিতা আছে,
নিজে যাকে বড় বলে বড় সেই নয়।
লোকে যাকে বড় বলে বড় সেই হয়।
এই কবিতাটা মেকি বিনয় প্রকাশে আমাদের সাহায্য করে কিনা জানি না। ছোটকালে পড়া। একটা ইমপ্যাক্ট তো আছে।
.
ব্যাপারটা হচ্ছে সত্যবচন বলা। নৈতিকতা ঠিক রেখে স্টেটমেন্ট দেওয়া।
"নৈতিকতা হলো ভিতরের ও বাইরের আচরণের সামঞ্জস্য"
আপনি বড় হলে নিজেকে বড় বলেন। যতটুকু বড় ততটুকু বলেন। এগজাজারেশন কইরেন না। ঐটা অনৈতিক।
যা পারেন না, তা স্বীকার করেন। "জানি না" বলা শেখেন। এইটাই বিনয়।
আরেকজনের মুখ থেকে নিজেকে বড় শোনার জন্য অধীর হয়ে বসে থাকাটা বিনয় না, বাটপারি।
নিজের ঢোল নিজে পিটানোতে কোন দোষ দেখি না।
বরং চাতুরি করে নিজের ঢোল অন্যকে দিয়ে পিটিয়ে নেওয়াটা অনৈতিক ইচ্ছা।
অনৈতিক ইচ্ছাকে বিনয়ের সাথে গুলিয়ে ফেলে নিজেকে বা অন্য কাউকে ধোঁকা দেওয়ার কালচার বন্ধ হওয়া দরকার।
২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৮
নতুন বলেছেন: মানুষ সাধারণত এবসুলিউট বিনয় প্রকাশ করতে পারে না। প্রায়ই বিনয়ের মধ্যে অহং লুকিয়ে থাকে। বিনয় দিয়ে অহংকারকে এমনভাবে ঢাকা হয় যেন কোন না কোন দিক দিয়ে তা উঁকি দিতে পারে।
যেমন কেউ বললো- "আমি খুবই সাধারণ মানুষ। তেমন কিছু পারি না বা জানি না।" অথচ বক্তা সুপরিচিত এবং তার অর্জন সম্পর্কে শ্রোতা ভালোমত ওয়াকিফহাল।
বিনয় প্রকাশের আরেক উদ্দেশ্য নিজের প্রশংসা বা অর্জন সম্পর্কে শ্রোতার মুখ থেকে শোনা।
কিভাবে অহংকার না করে বিনয় প্রকাশ করা যায়।
আর একজন বিনিত ভাবে কিছু বললে সেটার পেছনে অহংকার লুকিয়ে আছে সেটা আমরা ভাববো কেন?
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২২
কামাল১৮ বলেছেন: সমালেচনা এবং আত্মসমালোচনা না করলে সমাজের বিকাশ হবে না।কিন্তু আমরা সমালেচা করার নিয়ম জানিনা।যথাযথ ভাবে করতেও জানি না।বাড়িয়ে বলি।ইসলামের লমালোচনা করলে,ধর্মটি আরো সুন্দর হতো।এমন কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হতো না।