নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার উপস্থিতি ও আমার পরিচয়: www.linktr.ee/mhshihab

মাহদী হাসান শিহাব

কৌতুহলী পাঠক ও লেখক

মাহদী হাসান শিহাব › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমস্যা ও বাস্তবের সাম্পর্কিক বিষয়াদি

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৪৮




যেগুলোকে আমরা সমস্যা মনে করি, সেগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাস্তবে সমস্যার রূপ নেয় না, বা যতটুকু চাপ আমরা নিই ততটুকু চাপ নেওয়ার মত না।

আমাদের চিন্তা পদ্ধতিই কোন স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে আমাদের সামনে সমস্যা হিসেবে উপস্থাপন করে।

প্রায় নিরানব্বই ভাগ ক্ষেত্রেই যে প্রক্রিয়াগুলোকে আমরা সমস্যা হিসেবে দেখি ঐ ঘটনাগুলোর বা সমস্যার কোন কনসিকুয়েন্স বাস্তব দুনিয়ায় ঘটে না।

ঐ ঘটনাগুলোকে সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করে আমরা আমাদের ভিতরে চাপ নিই। অর্থাৎ চাপ ও কনসিকুয়েন্স যেটা হচ্ছে সেটা শুধু ইন্টারনাল। এক্সটারনাল দুনিয়ায় কিছুই হচ্ছে না।

সমস্যা আসে মূলত আমাদের চিন্তা পদ্ধতির কারণে। ভুলভাবে চিন্তার কারণে নিরেট নির্ভেজাল জিনিসও সমস্যা হিসেবে সামনে উপস্থিত হয়।

কোন একটা বইতে পড়েছিলাম, লেখক সমস্যাকে সমস্যা না বলে“চ্যালেঞ্জ” শব্দ ব্যবহার করতে বলেছেন। বইয়ের নাম মনে নেই।

চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করে সেটা সমাধান করার ব্যাপারটিতে একটা সেল্ফ কন্ট্রোল থাকে বলে মনে হয়। এটা আমাদেরকে পাওয়ারফুল ভাবতে সাহায্য করে যা একটা ভালো ফিলিংস দেয়।

.
The One Minute Manager বইতে এই ধরনের সমস্যাকে- যেগুলো মাথার মধ্যে তৈরী হয়ে পীড়া দেয়- সেগুলোকে বলা হয়েছে Assumed Constraint.

যে বিপত্তি,বাধা বা সমস্যা নিয়ে একজন চিন্তিত, সেটা ফেস করতে গেলে দেখা যায়, যেগুলোকে সমস্যা মনে করা হচ্ছিল সেগুলো মূলত ধারণাগত। জাস্ট মাথার মধ্যে ঘটছিল এবং নিজের কাছেই সমস্যা মনে হচ্ছিলো। বাস্তবে সেটা স্বাভাবিক কোন কাজ।

কোন স্বাভাবিক ঘটনাকে সমস্যা হিসেবে দেখার একটা স্বাভাবিক প্রবৃত্তি আমাদের মধ্যে আছে এই কারণে যে, কোন ঘটনাকে সমস্যা হিসেবে দেখে সেটাকে আমরা অনেক জটিল কল্পনায় আটকে ফেলি। ফলে ব্রেইন “কিচ্ছু করার নেই” টাইপ ভাব নিয়ে একটু রিল্যাক্স হয়। সে চাপ নিয়ে আপনাকে কষ্ট দিতে চায় না। সে আপনাকে একটা রিলিফ দেয়। “আপনি সমস্যায় আছেন! আপনি নিরুপায়! আপনার কোন দোষ নেই! আপনি নির্দোষ! আপনার কিছু করার নেই! আপনি শুয়ে পড়ে রিল্যাক্স করেন আর সারাদিন উল্টাপাল্টা ভেবে নিজেকে পাগল করে ফেলেন!”

.

সমস্যা সমাধানের এক বড় উপায় হলো সমস্যাটাকে পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারা, এবং সেটা লিখে ফেলা।

এটা হলো KIDLIN’S LAW.

এটার মূল কথা হলো- যদি আপনি কোন সমস্যা পরিষ্কারভাবে লিখতে পারেন, তাহলে দেখা যাবে, এটার অর্ধেক সমাধান হয়ে গেছে।

বাকি অর্ধেক সমাধানের জন্য সমস্যাটাকে আবার পড়েন, ভাবেন, তারপর কাজ করেন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৫৪

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম । ভালো লাগলো ।

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:২৮

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: সমস্যা আমলে না নিলে তো দেখি অটো সমাধান। এই ধরেন স্ত্রী বলল দুই হাজার লাগবে। কথা বন্ধ করে চুপ হয়ে গেলে দেখি আর লাগে না! হা হাহা

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৩২

কামাল১৮ বলেছেন: জীবনে সমস্যা থাকবে,সমাধানও থাকবে।সমাধানহীন সমস্যা নাই।যে সমস্যার সমাধান নাই সেটা কোন সমস্যাই না।প্রয়োজন হলো সমস্যাকে বাস্তবতার আলোকে ব্যাখ্যা করা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.