![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর, বিভিষীকাময় বহুল প্রচারিত শব্দ এই ‘কেয়ামত!’ শুনলেই যেন শরীরের পশম খাড়া হয়ে যায়; কিন্তু যখন বলা হয় ‘আকিমুচ্ছালাত/নামাজ পড়, কেয়াম কর’ তখন আর ভয় লাগে না বরং প্রশান্ত চিত্তে ছালাত-মিলাদ আকিম(কেয়ামত)করার জন্য প্রস্তুত হই।
সম্ভবতঃ ‘কেয়াম’ থেকে আকিম, আকাম, আকামা, কেয়ামা, কাইয়ুম, কাইয়্যেমা, কেয়ামত শব্দগুলির উতপত্তি; অর্থ: স্থাপনকারী, দৃষ্টি প্রদানকারী, সঠিক, সত্য, দৃঢ়, সোজা, দাঁড়ানো, সরল, সটান দাড়ানো, জেগে উঠা, আরোহণ করা, বাহির হওয়া, শুরু করা, ত্যাগ করা ও উত্থাণসহ (পুনরূত্থাণ নয়) অসংখ্য অর্থ পাওয়া যায়! [দ্র: আরবি-ইংরাজি অভিধান; জে এম কাউয়ান; কোরানের অভিধান, হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ; আধুনিক আরবি-বাংলা অভিধান; মদীনা পাবলিকেশান্স]।
কিন্তু দ্বীন-দুনিয়া ধংসের আলামত শব্দটির মধ্যে কোথাও পরিলক্ষিত হয় না।
কোরানের অনুবাদে ‘কেয়ামত’ শব্দটি সালাতের সঙ্গে ‘আকিম’ (প্রথাগত ছালাত প্রতিষ্ঠা), ‘আকামত’ (প্রথাগত দাড়িয়ে ছালাতের চুড়ান্ত আহ্বান) আর মিলাদের সময় ‘কেয়াম’ (প্রথাগত দাড়িয়ে রাছুলের বন্দনা) ‘কাইয়ুম’ (অনন্ত, অনাদি) আল্লাহর এক নাম, এমন সুন্দর ব্যবহার ছাড়া বাকি সকল স্থানেই আকাশ-পাতাল ধংস মহা-ধংসমূলক অমূলক অর্থ গ্রহণ করা হয়েছে; আর প্রধানত শব্দটির বঙ্গানুবাদ না করে বরং সরাসরি আরবি ‘কেয়ামত’ শব্দটিই ব্যবহৃত হয়েছে; ইংরাজি অনুবাদের কোথাও ‘দি ডে অফ জাজমেন্ট, রিজারেকসান, আবার কোথাও অবিকল ‘কেয়ামত’ শব্দটিই ব্যবহার করা হয়েছে; যার সঙ্গে মূল অর্থের কোনই সম্পর্ক নেই!
অধিক আশ্চর্য ও ঘোর আপত্তির বিষয় যে, কোরানে অসংখ্যবার ব্যবহৃত আরবি ‘ছাআত’ এবং কখনও বা ‘আখেরাত’ শব্দের বঙ্গানুবাদে আরবি ‘কেয়ামত’ শব্দ ব্যবহার করে কাল্পনিক কেয়ামতকে দু-তিনগুণ বিভত্স, ভীতিজনক করে তুলেছে; অসংখ্য প্রমানের মধ্যে ৫টি মাত্র প্রমান দেয়া হলো:
১. তারা তোমাকে জিজ্ঞাসা করে কিয়ামত (ছাআত) কখন ঘটবে। বল, ‘এ বিষয়ের জ্ঞান শুধু আমার প্রতিপালকেরই আছে। শুধু তিনিই যথাকালে উহা প্রকাশ করবেন। উহা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে একটি ভয়ংকর ঘটনা হবে আকস্মিকভাবেই উহা তোমাদের উপর আসবে-। [৭: ১৮৭]
২. লোকে তোমাকে কিয়ামত (ছাআত) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বল! ‘ইহার জ্ঞান শুধু আল্লাহরই আছে।’ তুমি ইহা কি করে জানবে? সম্ভবত কিয়ামত (ছাআত) শীঘ্রই হয়ে যেতে পারে-। [৩৩: ৬৩]
৩. - এবং কিয়ামতের (ছাআত) ব্যাপার তো চক্ষুর পলকের ন্যায়, বরং উহা অপেক্ষাও সত্বর-। [১৬: ৭৭]
৪. - কিয়ামতের (ছাআত) জ্ঞান শুধু তাঁরই আছে এবং তাঁরই নিকট তোমরা ফিরে যাচ্ছ/যাবে। [৪৩: ৮৫]
৫. এবং কিয়ামত (ছাআত) অবশ্যম্ভাবী, ইহাতে কোন সন্দেহ নেই এবং কবরে যারা আছে তাদেরকে আল্লাহ নিশ্চয় পুনরুত্থিত করবেন। [২২: ৭ ] অনুবাদ: ইসলামিক ফাউন্ডেসন]
উল্লিখিত আয়াতগুলিতে ‘কিয়ামত’ শব্দটির কোন অস্তিত্ত্বই নেই, ঐ স্থলে আছে ‘ছাআত,’ অনুবাদ করা হয়েছে আরবি ‘কিয়ামত!’ এরকম বহু-বহু উপমা রয়েছে বিভিন্ন অনুবাদে, বিশেষ করে ইসলামিক ফাউন্ডেসনের অনুদিত কোরানে যেখানেই ‘ছায়াত’ সেখানেই ‘কেয়ামত’ শব্দের ব্যবহার দেখা যায়। আল্লাহর কেতাবের এহেন অনুবাদের বরখেলাপ এবং খামখেয়ালীপনা বড়ই উদ্বেগজনক।
ছাআত
শব্দের অর্থ: ঘড়ি, ঘন্টা, সময়, কাল, যুগ, মূহুর্ত; অতঃপর আছে ‘কিয়ামতের দিন’ (যা অনুবাদ নয) [ দ্র: কোরানের অভিধান; আল কোরান একাডমী, লন্ডন]। সময়, ঘড়ি, কেয়ামত; [ দ্র: আধুনিক আরবি-বাংলা অভিধান, মদিনা পাব্লিকেশান্স] সুবৃহত, বৃহত এলাকা, বিস্তীর্ণ, চওড়া, সম্পূর্ণ প্রসারিত, উন্মুক্ত, সারি, পর্যটন, পরিভ্রমণ, বেষ্টন করা, পরিসর [ দ্র: আরবি-ইংরাজি ডিক্সেনারী; জে এম. কাউয়ান]
শব্দদ্বয়ের আলোচ্য অর্থগুলি বিচার বিশ্লেষণে ‘দুনিয়াসহ ছারেজাহান ধ্বংসের পরে সমস্ত মরা মানুষ জিন্দা হয়ে হাসরের মাঠে জমায়েত হবে আর স্বয়ং আল্লাহ কুর্ছিতে বসে নাটকীয় বিচার আচার করবেন’ উল্লিখিত শব্দদ্বয়ের অর্থে এমন কোনই লক্ষণ-প্রমান নেই। অনুরূপ সমার্থবোধক ব্যবহৃত আর একটি শব্দ ‘বাআছু।'
(চলবে-২/৪)
০২ রা অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০২
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম।
১. আপনার পক্ষে কেহ না কেহ এগিয়ে আসুক।
২. মিথ্যায়ো প্রকাশ হবেই হবে।
বিনীত।
২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:৫৫
সোনারতরী বলেছেন: ভাই আপনার প্রথম শব্দ -----(সম্ভবতঃ) যার কোন ভিত্তি নেই. আগে নিশ্চীত হয়ে তার পর মন্তব্য করাই ভাল।
০২ রা অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৫৯
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম।
ভুল ধরিয়ে আমাকে রক্ষা করুণ।
বিনীত।
৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৩৯
নিষিক্ত বলেছেন: ভাল লেগেছে
০২ রা অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৫৮
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম।
স্রষ্টাকে ধন্যবাদ দিন। আমাকে আপনার ব্ন্ধু হিসাবে গ্রহন করুণ!
বিনীত।
৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৪১
০২ রা অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ১২:০৫
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম।
আমি একটি 'মুসলিম' য়োয়েবসাইট খুজছি। শিয়া, সুন্নী, হানাফি, য়োহাবী বা কাদিয়ানী মুসলিমদের নয়।
বিনীত।
৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৫১
আধার রাতের মুসাফির বলেছেন: সহজ কথা হলো, কুরআনকে বুঝতে হবে কুরআন দিয়ে অন্য কিছু দিয়ে সম্ভব নয়। মানুষ যেটা করে কুরআনের কয়েকটা শব্দকে অনুবাদ করে মাত্র। যেহেতু মানুষ এইটা করছে সেহেতু ভুল থাকাটাই স্বাভাবিক।
তবে যেখানে অনুবাদে ভুল করা হয়েছে আপনার মতে কিন্তু কুরআন যেখানে যেভাষায় নাযিল হয়েছে সেই ভাষার ইসলামিক বিশেষজ্ঞরা কি বলেন? সেইটাকে কি প্রাধান্য দেওয়া উচিত হবে কি না?
আর আমার জানা মতে পৃথিবীর ধ্বংস হওয়া যাওয়াকে কিয়ামত বলে না বরং মানুষ কে যখন তার বিচারের জন্য দ্বিতীয়বার জীবিত করা হবে এবং সেই সময়কে বলা হয়েছে কিয়ামত। যেহেতু সেটা হবে কঠিন বিচার এবং বিভিষীকাময় সেই জন্য কিয়ামতকে বলা হয়েছে অত্যন্ত কঠিন দিন।
তবে পৃথিবী ধ্বংস এবং কিয়ামত কিন্তু এক কথা নয় তবে পৃথিবী ধ্বংস না হলে কিয়ামত হবে না।
০২ রা অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:০৪
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম।
১. কোরান যে ভাষায় নাজিল হয়েছে সেই ভাষার বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে রাজ শক্তি রক্ষায় ইসলামকে ৫ খুটিতে বেধে রেখে।
২. মুসলিমকে কনভার্ট করে শিয়া/সুন্নী/ হানাফি/য়োহাবী করে ফেলেছে।
৩. ৬ খানি অহি এ গায়রে মতলু (অহি, পড়ার অযোগ্য)রচনা করে ১খানি কোরানকে গিলে ফেলেছে।
৪. শব্দটির অর্থ না বুঝে যাবতীয় মন্তব্য অর্থহীন হয়োয়াই সংগত।
৫. কোরান পূর্ণ ব্যাখ্যাসহই নাজিল করা হয়েছে; সুতরাঙ উহার বিশেষজ্ঞের দরকার নেই। দরকার সঠিক অনুবাদ মাত্র।
বিনীত।
৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:০৭
মোঃ মােজদুল ইসলাম বলেছেন: ভাই লেখাটা ভালোই লাগলো, তবে, আল্লাহ আছেন , এটা সত্য, আর সবকিছুরই একটা শেষ আছে, অতএব পৃথিবীর ও শেষ আছে, আর প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রীয়া আছে, অতএব হিসাব আছে। তার মানে কেয়ামত আছে এবং আল্লাহ বলেছেন "তুমি তার কোন কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে" । আমি তো সর্বত্র তার নেয়ামত দেখতে পাই। যাই হোক কেয়ামত আছে, হবে, বিচার হবে।
০২ রা অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৩৬
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম।
১. যার শুরু আছে ঠিক তারই শেষ আছে।
২. সৃষ্টির শুরু নেই তাই তার শেষো নেই। আছে বিবর্তন/পরিবর্তন।
৩. সৃষ্টির শুরু থাকলে স্রষ্টার জন্ম/বয়স নিয়ে প্রশ্ন উঠবে; যার উত্তর দেয়ার ক্ষমতা সৃষ্টির নেই।
৪. সৃষ্টির ধংস নেই। ছোট/বড় আবর্তন, পরিবর্তন, বিবর্তন ছিল আছে এবং থাকবে। ব্যক্তির কাছে সবচেয়ে বড়, বিভতস ঘটনা স্ব স্ব মৃত্যু ক্ষণটি। আমি মরলে সূর্য বা আকাশ খসে পড়লে আমার কিছুই যায় আসে না।
৫. কেয়ামত এর মূলার্থ জন্মান্তরবাদ; হিন্দুগণ জন্মান্তরবাদে বিশ্বাসি বলেই হিংসুক ধর্মান্ধগণ শব্দটির অর্থ গায়েব করেছে।
বিনীত।
৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৪০
আধার রাতের মুসাফির বলেছেন: "১. কোরান যে ভাষায় নাজিল হয়েছে সেই ভাষার বিশেষজ্ঞরা গবেষণা করে রাজ শক্তি রক্ষায় ইসলামকে ৫ খুটিতে বেধে রেখে। "
ভাই, ইসলামকে যদি রাজ শক্তির রক্ষায় ৫ খুটিতে বেধে ফেলে তবে আসলে কয়টা খুটি ছিল।
"৬ খানি অহি এ গায়রে মতলু (অহি, পড়ার অযোগ্য)রচনা করে ১খানি কোরানকে গিলে ফেলেছে।"
এটি কারা করেছে , এটি কি ৩০ বছরের খিলাফতের সময় হয়েছে না কি এখনকার রাজশক্তিরা করেছে।
"মুসলিমকে কনভার্ট করে শিয়া/সুন্নী/ হানাফি/য়োহাবী করে ফেলেছে।"
এইটা মানষ নিজরাই করেছে।
"শব্দটির অর্থ না বুঝে যাবতীয় মন্তব্য অর্থহীন হয়োয়াই সংগত।"
পুরোপুরি একমত।
"কোরান পূর্ণ ব্যাখ্যাসহই নাজিল করা হয়েছে; সুতরাঙ উহার বিশেষজ্ঞের দরকার নেই। দরকার সঠিক অনুবাদ মাত্র।"
তাই যদি হতো তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, বা অন্য কোথাও শিক্ষকের কি কোন প্রয়োজন ছিল।
স্বয়ং সাহাবিরাও কিন্তু রাসুল্লাহ (সঃ) শিক্ষক হিসাবে মানতো।
এছাড়া আল্লাহ নিজেই ছিলেন রাসুল্লাহ (সঃ) এর শিক্ষক। সুরা আর রহমান আয়াত নং ২।
চিয়ারস
০২ রা অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১১:৫৫
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম।
১. গুরু হীন একটি জীবো নেই; একটি জীবো গুরু বিহীন নয়;
২. সঠিক অনুবাদকগণই উপযুক্ত গুরু; স্বয়ং আল্লহ কোরানের পূর্ণ পরিপূর্ণ ব্যাখ্যাসহ অবতীর্ণ করে গুরুদের গুরভার লাঘব করেছে।
৩. জনাব ইব্লিস মাত্র গুরু ধরার আদেশ অমান্য করায় তার জীবণ বর্বাত হয়েছে।
৪. সকল শিক্ষা ক্ষেত্রেই নোট বই হারাম জ্ঞান করা হয়। মাত্র ধর্ম ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম!
বিনীত।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৯:৩১
কাশিফ বলেছেন: পছন্দ হইলো না।অনেক ফাক ফোকর আছে।কিছুটা ব্যস্ত না হলে চেষ্টা করতাম।তবে মতামত প্রকাশ করার স্বাধীনতা সবার আছে।আপনি আপনারটা চালিয়ে যান।সত্য প্রকাশিত হবেই এবং সেটা যাই হোক না কেন?
ভালো থাকুন।