নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাঁদের ফাঁদে মুসলমান

ম জ বাসার

ম জ বাসার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফতোয়া অর্থই কোরান বিরুদ্ধ!!

১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৩৭

যারা ফতোয়া দেয় তাদেরকে ‘মুফতি’ কয়। এরা ব্যক্তি/দল উপদলের রচিত গ্রন্থ পড়ে মুফতি হয়! মুফতিদের কোরান সম্বন্ধে ১% শতাংশও ধারণা থাকে না এবং থাকা জরুরীও নয়! এক্ষণে ফতোয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে আগামী ১০/২০ বছরের মধ্যে কোরানের অস্তিত্বই থাকবে না।

ফতোয়ার অর্থ: রীতিসিদ্ধ বৈধ মতামত (আরবি-ইংলিস ডিক্সেনারী; জে এম কাউয়ান)। মুছলিম জাতির রীতি সিদ্ধ বৈধ মতামত বলতে ভিন্ন কোন বিধান/গ্রন্থ নেই। আছে সংবিধান আল্লাহ/রাছুল প্রদত্ত্ব আল-কোরান। আল কোরানের মত্ ও পথ ফতোয়া নয়।

উদাহরণ:

নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত করা; সত্য বলা মিথ্যা পরিহার করা; আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস, রাছুলগণের উপর বিশ্বাস, ধর্ম-কর্মের বিনিময় হাদিয়া বা মুল্য গ্রহণ হারাম; মদ, শুকর খাওয়া হারাম ইত্যাদি লক্ষ-হাজার বার এবং যে কেউ ঘোষণা করলেও উহা ফতোয়ার আওতায় পড়ে না; কারণ তা কোরানের বাণী। এমন কি রাছুলের নিজস্ব কথাও ফতোয়া হিসাবে স্বীকৃত নয়। অতএব প্রচলিত ফতোয়া বলতে এমন ঘোষণা বুঝায়, যা কোরানে নেই, কথিত হাদিছ, ফেকহা ইত্যাদিতেও নেই, অর্থাৎ শতভাগ কোরান বহির্ভুত এবং কোরান বিরূদ্ধ বটেই এমনকি হাদিছ/ছুন্নতেরও বিরুদ্ধ।

অতএব, ফতোয়ার মুল অর্থ দাঁড়ায়: ব্যক্তি ও দলের চাপিয়ে দেয়া মতামত্‌! সাধারণ আইনের চোখে যাকে যুলুম/অত্যাচার বলে। কোরানের সামনে ব্যক্তি ও দলের রচিত মতামত্‌ সরাসরি কোরান তথা আল্লাহ-রাছুলের প্রতি প্রকাশ্য চ্যালেঞ্জ।

মাত্র ১টি বিষয় কোরান বিরুদ্ধ কয়েকটি ফতোয়া:

১. চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো,খালাতো ভাই বোনদের সাথে বিয়ে হালাল।

২. চাচা শ্বশুর, মামা শ্বশুরদের সাথে বিয়ে হালাল।

৩. মা-বাপের চাচাতো, খালাতো,ফুফাতো ভাই-বোনদের সাথে বিয়ে হালাল।

৪. অন্য ধর্মের ছেলে-মেয়েদের সাথে বিয়ে হারাম।

৫. স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একজন মুসলমান হলে আর অন্যজন না হলে তাদের বিয়ে ভেঙ্গে যাবে, এখন আর তারা স্বামী-স্ত্রীর ন্যায় থাকতে পারবে না।

৬. ভাসুর বা দেবরের ছেলের সাথে বিয়ে হালাল।

৭. কোন বিধর্মী মহিলা যদি মুসলমান হয় তাহলে যতদিন পর্যন্ত উক্ত মহিলার তিনটি হায়েয শেষ না হয় ততদিন পর্যন্ত ওই মহিলার বিয়ে জায়েয নয়।

৮. সুন্নী মোসলমান মেয়েদের বিয়ে শীয়া পুরুষদের সহিত বহু সংখ্যক আলেমদের ফতোয়া মতে যায়েজ নহে।

৯. স্বামীর হুকুম সত্বেও যদি স্ত্রী পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন না হয় (যৌন লোম কর্তন), তজ্জন্য প্রহার করার হক পর্যন্ত আছে।

১০. স্বামীর সন্তুষ্টিতেই আল্লাহ ও রাছুল-এর সন্তুষ্টি।

১১. কাদিয়ানীদের সহিত বিবাহ সমস্ত আলেমদের ফতোয়া মতে আদৌ যায়েজ নহে।

(সুত্র: ১-১০ নং: বেহেশতী জেওর: ১-১১শ খ. পৃ: ৩৬৯, ৩৭০; ৪১০ ও ৪১১; ১১ নং- ২য় ভলিউম, পৃ: ৫; মৃত আশরাফ আলী থানভী)।

ফতোয়াগুলি প্রায় সবই কোরান বিরুদ্ধ! এমনকি কথিত হাদিছেরও সমর্থন নেই বরং শতভাগ ব্যক্তিগত মত্‌ এবং অনুরূপ মত্‌গুলিই সমাজে ফতোয়া নামে অভিহিত আছে।

কোরান বারবার বহুবার ঘোষনা করে, কিন্তু মানে না কেউ:

• কোরান পূর্ণ, স্বয়ং সম্পূর্ণ, পরিপূর্ণ জীবন বিধান; কোন রকমের দুর্বলতা বা ফাক-ফোকড় নেই; বরং সহজ, সরলভাবে বিশদ ব্যাখ্যা-তফসীরসহ অবতীর্ণ করা হয়েছে; যাতে মানুষ সহজে বুঝতে পারে।(তথ্যসুত্র: ১৮: ১, ৫৪; ৬: ৬৫, ১২৬; ২৪: ১৮, ৪৬, ৫৮, ৬১; ১২: ১১১; ৭: ৫৮; ১৭: ৪১ ৩: ১১৮; ২: ২২১; আরো অসংখ্য)।

• একমাত্র কোরান ব্যতীত অন্য কোন হাদিছ কেতাব অনুসরণ করা দস্তুর মত নিশিদ্ধ/অবৈধ তথা হারাম (তথ্যসুত্র: ৪৫: ৬; ৭৭: ৫০)।

• অহি/কোরান অনুযায়ী যারা বিচার মীমাংশা করে না তারাই কাফির, ফাছিক ও জালিম (তথ্যসুত্র: ৫: ৪৪-৪৮)।

পক্ষান্তরে দু:সাহসিকভাবে হেন সাবধান, সতর্ক বাণী প্রত্যাখ্যান করে আল্লাহর বিশদ ব্যাখ্যাপূর্ণ কোরানের বিরুদ্ধে মাত্র ৫টি বিষয়ের উপরে হাদিছ এবং হাদিছের উপরে ফতোয়ার লোমহর্ষক বেদাতী অনুপাত লক্ষনীয়:

বিষয়--------কোরান------হাদিছ----ফতোয়া

অজু-গোসল:----২টি--------১২৭টি----৩৮৮টি

নামাজ:--------৭৬টি-------৩৮৯টি----৬২৫টি

রোজা:-----------৪টি---------৮৯টি----১৮৩টি

বিয়ে:----------২৪টি---------১০৪টি---৩০৬টি

হায়েজ:----------২টি----------১৯টি-----৬৩টি

[তথ্যসুত্র: কোরান অনুবাদ: মু. হাবিবুর রহমান; হাদিছ: বোখারী অনুবাদ, আজিজুল হক; ফতোয়া: বেহেশতী জেওর, মৃত আশরাফ আলী থানভি]

অনুরূপভাবে:

•* কোরানের ৬২৩৬টি আয়াতের বিপরীতে সোয়া সাত হাজার থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ হাদিছ ফেকহা-ফতোয়া রচনা করে কোরানকে সমূলে গিলে ফেলেছে!

•* আল্লাহ/রাছুল প্রদত্ত্ব ‘মুছলিম’ খেতাব বিসর্জন দিয়ে শিয়া/ছুন্নী/হানাফি/হাম্বলি/কাদিয়ানী ইত্যাদি বেদাতী দল উপদলে কনভার্ট হয়েছে!যা স্বয়ং রাছুল ছিলেন না; এমনকি তার ঘনিষ্ঠ ছাহাবাগণো ছিলেন না; সুতরাং আমরা কোন্‌ নবির উম্মত???

কি অদ্ভুত অবৈধ দর্শন:

পড় কোরান! মানো হাদিছ-ফতোয়া! এক্ষণে সচেতন শিক্ষিত জনগণ হাদিছ-ফতোয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার না হলে আগামী ১০-২০ বছরের মধ্যে কোরানকে পড়ার জন্যও আর পাত্তা দেবে না। কারণ: যা মানা/অনুসরণ করা হয় না! তা পড়াই নিষ্প্রয়োজন; তাছাড়া এখনি লক্ষ লক্ষ হাদিছ ফতোয়া ভেদ করে কোরানের কাছে পৌছা অসম্ভব হয়ে পড়েছে! আর তাই কেহ কোরানের কথা বল্লেও বিশ্বাস করতে চায় না! কারণ বংশ পরম্পরায় কোরান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার দরুণ এক্ষণে অপরিচিত হয়ে পড়েছে বিধায় শুনলেই নতুন মনে করে!

আজ ১৪শ বছর যাবৎ আল্লাহর কোরানের উপর কঠিণ শিকড় গেড়েছে মনুষ্য রচিত লক্ষ লক্ষ হাদিছ ফতোয়া সম্বলিত অজস্র কেতাব সম্ভার। এদের সম্বন্ধে আল্লাহ-রাছুলের হুশিয়ারী:

১. -সুতরাং দুর্ভোগ তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব রচনা করে এবং তুচ্ছ মূল্য প্রাপ্তির জন্য বলে, ‘ইহা আল্লাহর তরফ থেকে।‘ তাদের হাত যা রচনা করেছে তার জন্য শাস্তি তাদের এবং যা তারা উপার্জন করে তার জন্যও শাস্তি তাদের(দ্র: ২: ৭৯)।

২. তাদের মধ্যে এমন একদল থাকেই যারা নিজেদের কথা এমনভাবে উত্থাপণ করে যাতে তোমরা কোরানের অংশই মনে কর; কিন্তু উহা কোরানের অংশ নয়! তারা বলে উহায়ো আল্লাহর পক্ষ থেকে; কিন্তু উহা আল্লাহর পক্ষ থেকে নয়! তারা জেনে শুনেই আল্লাহর উপর মিথারোপ করে (দ্র: ৩: ৭৮)।

বিনীত।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:৪৫

বিসাম বলেছেন: ফতোয়া অর্থই কোরান বিরুদ্ধ!![/sb
এর চেয়ে বড় ফতোয়াবাজি আর কী হতে পারে

১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:১৫

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম।
খারাপ না।
কোরান দিয়ে প্রমান করতে না পারলে মন্তব্যটি শুধুই ফতোয়াবাজীই নয় বরঙ চাপাবাজী বলেই গণ্য হবে। কোরান যাদেরকে কাফির, ফাছিক, জালিম বলে ঘোষনা করে (দেখুন: ৫: ৪৪- ৪৮)।
বিনীত।

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:০৯

বিসাম বলেছেন: অজ্ঞতার ও একটা সীমা থাকে

১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:০৪

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
বহু বহুবার বলা হচ্ছে যে, 'অহি/কোরান অনুযায়ী যারা বিচার-মীমাংশা করেনা তারাই কাফির, ফাছিক, জালিম (৫: ৪৪-৪৮)। কিন্তু কেই বা কোরানকে পাত্তা দেয়? ভয় করে? মানে?
বিনীত।

৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১২:৫৬

ধীবর বলেছেন: এই পোস্টের লেখক কাদিয়ানি। তাই এই ব্যাটার প্রলাপে পাত্তা দেবার কিছু নেই। আর অমুসলিম কারো কাছ থেকে ইসলামের নামে কিছু শুনতে চাই না আর। গদাম সহ মাইনাস।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:১১

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম।
১. পোষ্টটি অবশ্যই বাংল ভাষায়! কাদিয়ানী ভাষায় নয়! কোরানের সাথে মিলিয়ে দেখুন? না মিল্লে ম জ বাসার ব্যাটার আষ্ট্রে পৃষ্ট্রে গদাম দিন?
২. রাগ করিয়েন্না! বুঝতে চেষ্টা করুণ সত্য/মিথ্যা আপন স্বার্থেই গ্রহণ/বর্জন করুণ?
আপনি কি:
-ছুন্নী হানাফি মুছলিম?
-ছুন্নী হাম্বলী/য়োহাবী/ মালেকী মুছলিম?
-কাদিয়ানী/বাহাই? খারেজী? রাফেজী?
-মুছলিম?
বিনীত।

৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৪৬

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "আল্লাহর একত্বে বিশ্বাস, "

বাসার ভাই,
আপনি কি তাহলে আপনার আপনার নানা-পিতার রেখেযাওয়া 'আল্লাহ এক নয় একাকার' এই বিভ্রান্ত মতবাদ থেকে বেরিয়ে এসেছেন? যদি এসে থাকেন তাহলে অভিন্দন ও সালাম। আশা করি এভাবেই একে একে সব বিভ্রান্তি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন - আমীন।

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫২

ম জ বাসার বলেছেন: লেখক বলেছেন: ছালাম,
১. বিষয়টি এখানে প্রসংগ বিবর্জিত নয় তো? পরিস্কার নয়; দয়া করে বিশদ ব্যাখ্যা দিন যাতে প্রসংগহীন হলেয়ো আপ্যায়ণ করা সম্ভব হয়।
২. শক্তি, প্রেম, ভাবনা, আশা-আকাংখা, জ্ঞান একাকার না হয়ে এক, একটি একজন হলে বিজ্ঞানীরা এতদিনে তা ধরে ফেল্তেন। আর তাতে দুনিয়ায় একজন মাত্র নাস্তিক থাকতো না। আর ২জন মাত্র ধর্মান্ধ/মৌলবাদীয়ো থাকতো না।
৩. যারা ধর্মান্তর করে/বিশ্বাস করে! তাদের জ্ঞানান্তর খুবই জরুরী। আর এদেরই জ্ঞান/অজ্ঞানে ঘন ঘন ঢুকে আবার বেরিয়ে আসে; ৪: ১৪৩ আয়াতে এদের পরিচয় আছে কোরানে।
৪. এযাবত আপনি আপনার কোন যুক্তি-প্রমান, দর্শন-ভাবদর্শন, দলীল দর্শন বা কথা বার্তার পক্ষে কখনোই কোরানিক যুক্তি প্রমান দেন্নি বা দেন্না! ধর্মালোচনায় অনুরূপ ব্যক্তি মন্তব্য গর্হিত য়ো আপত্তিকর! আশাকরি ভবিষ্যতে অন্তত কিছু কিছু কোরানের সাক্ষি প্রমান হাজির করার অভ্যাস করবেন!
বিনীত।

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ১:৪৫

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ৪. আপনি যে স্টাইলে কোরআনের স্বাক্ষি দিয়ে থাকেন সেই ভাবে? অর্থাৎ কোরআনের একটা আয়াত উল্লেখ করে তাকে নিজের মত ব্যাখ্যা করে? মাফ চাই - আপনারমত কোরআনকে নিজের মতবাদের সাথে মিলিয়ে ব্যাখ্যা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আর কোরআনের বক্তব্য সরাসরি আপনাকে বলা অর্থহীন - কারণ আপনি কোরআন ভালই জানেন - কিন্তু সমস্যা হচ্ছে কোরআনকে কোরআনেরমত না মেনে নিজের মত ব্যাখ্যা করেন।

গত পোস্টেইতো কোরআনের সরাসরি বক্তব্য দিয়ে দেখালাম যে কোরআন ফাস্ট কাজিন বিয়ে করা হারাম করেনি। আপনি শেষ পর্যন্ত যুক্তিতে না পেরে আমাকে এক সাথে চার কাজিন বিয়ে করার অভিশাপ দিলেন(এক স্ত্রী সামলাতেই যেখানে হিমসিম অবস্থা সেখানে চার স্ত্রী তাও আবার ফাস্ট কাজিন - একে অভিশাপ ছাড়া আর কি বলা যায়!!)। অথচ এই পোস্টেও আবার সেই প্রসঙ্গে একই কথা বলছেন। তাহলে আপনাকে কোরআন শুনিয়ে কী লাভ বলুন??

১৮ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১০:৪৪

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. দর্শনটি ছুন্নী মাফিক ঠিক্ই আছে।
২. তারা যখন কোরানের কাছে ঠেকে যায়, তখন আনে ২ নম্বরী হাদিছ; সেখানে যখন না কুলায়, তখন আনে ৩ নম্বরী ফিকহা; তাতেয়ো না কুলালে ইজমা অত:পর কিয়াস! তাতেয়ো স্বার্থ উদ্ধার না হলে শেষমেশ ফতোয়ার তালাশে হন্যে হয়ে আশে পাশের মসজিতে দৌড়ায়।
কি ভয়ংকর ঈমান!!!
কোরানে যা নেই (আল্লাহ বলে: কোরানে কিছুই বাকি নেই) তা পায় বোখারীদের বইতে> ফতহুল বারী, ইবনে কাছিরের তফছিরে > অতপর আল্তু ফাল্তু ফতোয়ায়??????????????
৩. আল্লাহর ব্যাখ্যা তফছির করা কোরানের উপর শিয়া/ছুন্নীদের বেধে দেয়া তফছির মত কোরানকে গ্রহণ না করলে আপনার আমার মধ্যে প্রেম প‌্রীতি সঞ্চার হবে না। যা কষ্মিন কালেয়ো সম্ভব নয়! বিগ ব্যাংক বা সোনালি ব্যাংকের মালিক করে দিলেয়ো নয়।
৪. ৩৩: ৫০ কোনদিনো বুঝবেন না; তার কয়েকটি কারনের মধ্যে সম্ভবত ১টি হলো আপনার বা পরিবারের কেউ না কেউ এমন কাজ করে ফেলেছেন! যদি তাইইই হয় তবে জানুন: মিথ্যা ঢাকতে শত শত মিথ্যা আমদানী করে সাময়িক সমাজে ঢাকা যায় বটে! কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হতেই হয়। সুতরাং সহজ সরল পথ: যা হবার হয়েছে; ভবিষ্যতে পুন না করার শপথ গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ণ। এতেই অতীতের ভুল ভ্রান্তি মাফ হয়।
বিনীত।

৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১১:০৮

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ৪.
কি আসাধারণ আপনার যুক্তিবোধ!!! কি চমৎকার ভাবেই না আপনি আমার সমস্যা অনুধাবন করলেন!!!! বাংলায় প্রবাদ আছে - 'যার মনে যা চোরের মন পুলিশ পুলিশ' অথবা 'যার মনে যা ফাল দিয়ে ওঠে তা' অথবা 'রতনে রতন চিনে শুয়োরে চিনে কচু' - এই প্রবাদ গুলোর মুল কথা হচ্ছে মানুষ যে যেমন সে ঠিক সেভাবেই চিন্তা করে। আপনি যেমন আপনার নানা-পিতার বিভ্রান্তিমুলক মতবাদ প্রচারের জন্য কোরআনকে বিকৃত করেন ঠিক তেমনি ভাবে অনুমান করেছেন যে আমিও বুঝি নিজেকে বা কোন আত্মীয়কে বাঁচানোর আপনার সাথে কর্ত করছি। হায় এত সংকীর্ণ দৃস্টিভঙ্গি নিয়ে আপনি একটা সংগঠনের প্রধান!!! একটা নতুন মতবাদের প্রবর্তক!!!

আমি মানুষের সম্পর্কে কুধারনা করা থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেস্টা করি। কিন্তু স্বাধারন মানুষ হিসেবে কিছু ধারনাতো মাথায় এসেই যায়। আপনার চিন্তাধারা অনুসারে আমি যদি এখন বলি "হয়ত আপনি কার প্রেমে দেওয়ানা ছিলেন কিন্তু সে আপনাকে পত্তা না দিয়ে তার কোন ফাস্ট কাজিনকে বিয়ে করেছে আর সেই ছ্যাকার বেদনা থেকেই আপনি কোরআনকে বিকৃত করে হলেও ফাস্ট কাজিনের বিয়ে হারাম প্রমানের চেস্টা করে যাচ্ছেন" তাহলে কি আমাকে খুব বেশী দোষ আপনি দিতে পারবেন?? পারবেন না। এভাবেই মানুষের মাঝে সম্পর্কের অবনতি হয় এবং এ'জন্যই আন্দাজ অনুমানের ভিত্তিতে কথা বলা নিষেধ।

কিন্তু আপনাকে কি সে কথা বলে লাভ আছে? আপনি মানুষতো বটেই আল্লাহ সম্পর্কেই নিজের অনুমান নির্ভর কথা বলতে অভ্যস্ত। যা কোরআনে সরাসরি/পরিষ্কার ভাবে বলা আছে তাকে ব্যাখ্যার নামে ভিন্ন অর্থে চালিয়ে দেওয়াই যার স্বভাব তার কাছ থেকে এর চেয়ে বেশী আর কী আশা করা যায়? আর যখন কোন বিভ্রান্তি যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেয়া হয় তখন বলেন "কোন দিনই বুঝবেন না"। কি চমৎকার! যা কোনদিনই বোঝা যাবে না তা বলেন কেন?? আপনার কাছে কি কেউ জানতে চেয়েছে?? নিজে আগবাড়িয়ে বলবেন আর যুক্তিতে না পেরে অন্যের উপর দোষ চাপাবেন - এটা কি ধরনের স্বভাব??

২ ও ৩: আমি কিন্তু হাদীস>ফিকাহ>ইজমা>ফতোয়া কোন কিছু ছাড়া শুধুমাত্র কোরআন থেকেই প্রমান করেছিলাম ফাস্ট কাজিন বিয়ে হারাম করা হয় নি। কিন্তু আপনি মানতে পারেন নি - কেন??

যাই হোক - ভাল থাকুন। আল্লাহ আপনকে হেদায়াত করুন - আমীন।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৫৩

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. কোন বিষয় কিছুতেই যখন বোধগম্য হয় না তখন মানুষটির উপর অলৌকিক সন্দেহ জাগে; আর সে কারনেই কতগুলি কারণের ১টি মাত্র সন্দেহ, সন্দেহ করা হয়েছে মাত্র! যা নায়ো হতে পারে।
২. দেলোয়ার হোসেন সরদার (যাকে ছাইদী (প্রভু) বলেন) তিনি এবং দুনিয়ার শতভাগ ইমাম-আলেম, ইসলামী নেতাগণ জীবনে কোনদিন তাদের ফতোয়া/য়োয়াজ নছিহত/মুফাচ্ছিরে কোরান সমাবেশে/ মসজিদ-মাদ্রাসায় বা আপনি স্বয়ং কোনদিন বলেছেন কি যে:
ধর্ম কর্মের বিনিময় অর্থ গ্রহণ মদ, শুকরের চাইতেয়ো হারাম? উহা যারা খায় তারা তাদের পেটে আগুন খায়? কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের পবিত্র করবেন না; তাদের সাথে কথায়ো বলবেন না? তারা সত্‌ পথের বিনিময় অসত্‌/ ভ্রান্ত পথ ক্রয় করেছে? (২: ১৭৪)।
- কেন বলেন্নি? আয়াতগুলি কেন বুঝেন্না?? কেন মানেন্না???
-কারণ আপন আপন হারামী চেহাড়া/খাছলত জন সমক্ষে ধরা পরার ভয়ে! আল্লাহ/রাছুল/ কোরান বা কোন কিছুর ভয়ে বা বিনিময় আপনা পেটে লাথি মারবেন্না/মারেন্নি!! আর ম জ বাসার যে চীতকার করে বলছে, উহা হারাম! কেহ শুনেছে কি? বুঝেছে কি? মানছে কি?
-না মানেনি! আর আপনি সেইই দলেরই একজন! সুতরাং আপনাকে সহসাই অযৌক্তিক সন্দেহ করা হয় নি!
৩. আর সবচেয়ে মুরব্বী কথা হলো: আপনার/পরিবারে এমন ঘটনা ঘটা কি অসম্ভব?? যা আপনি নিজেই হালাল মনে করছেন?? সুতরাং প্রবাদগুলি কি অসামাঞ্জস্য হাস্যকর নয়??
৪. আপনার স্ব স্বীকৃত সু ধারণা/কর্মটি ম জ বাসার কু ধারণা করলে আপনার হতাস হয়োয়ার কিছু আছে কি???? একগাল অট্টহাসি হাসালেন জনাব!
৫. হা! আমার ২/৪ পুরুষের মধ্যেয়ো অনুরূপ আছে এবং তা পূর্বেয়ো বলা হয়েছে যে, শিয়া/ছুন্নীদের ২/৪ পুরুষের মধ্যে এমন কোন পরিবার নেই যাদের মধ্যে কেহ না কেহ অনুরূপ ঘটনা ঘটায়নি।
৬. এক কাজ করুণ (আগ্রহশীল হলে) পূর্বেয়ো কাউকে অনুরোধ করেছিলাম যে, আপনার শক্র/বিরোধী নন! আমার শক্র/বিরোধী নন! অথবা আপনার আমার বিষয়ের উপর যাদের কোনই আগ্রহ/বিশ্বাস নেই! বিভিন্ন সমাজের এমন কয়েকজন সদস্য সমন্বয় একটি বিচার কমিটি করুণ ? যার কাছে উভয়ের কোরানের আলোতে লেখা/দাবি-দায়োয়া পেশ করা হবে! তিনি উভয়ের কোরানের দেয়া সুত্র/দ্র:/রেফারেন্স ধরে কোরানের আলোতেই উভয়ের দলিলের উপর রায় প্রদান করবেন। অন্যথায় অন্তত এ বিষয়টি (বিয়ে বিষয়) আপাতত বাদ দিন!
৭. প্রকাশিত প্রেরণাবাণী/ভবিষ্যতবাণীগুলি আমার বাবাজানের! নানাজানের নয়। উত্তম থাকুন।
বিনীত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.