![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
* আলেম/আল্লামাগণ কেন পাপ কথা ও হারাম ভক্ষণে নিষেধ করে না? বরং ইহারাও যা করে (বলে এবং খায়) ইহাও নিকৃষ্ঠ। (৫: ৬৩)
•* হে বিশ্বস্থগণ! অধিকাংশ আলেম-পীরগণ মানুষের ধন-সম্পত্তি অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করছে। এবং আল্লাহর পথ থেকে বিভ্রান্ত করছে;--তাদের কঠোর শাস্তির সংবাদ দাও।(৯: ৩৪)
সার্বজনীন হুসিয়ারী:
ক. আমার আয়াতের বিনিময়ে সামান্য মূল্যও গ্রহণ করিও না। তোমরা শুধু আমাকেই ভয় কর।(২: ৪১)
খ. সুতরাং দুর্ভোগ তাদের জন্য, যারা নিজ হাতে কেতাব রচনা করে এবং তুচ্ছ মূল্য প্রাপ্তির জন্য বলে, ‘ইহা আল্লাহর নিকট থেকে প্রাপ্ত।’ (হাদিছকে তারা আল্লাহর নিকট থেকে প্রাপ্ত ২ নম্বরী অহি বলে) তাদের হাত যা রচনা করেছে তার জন্য শাস্তি তাদের এবং যা তারা উপার্জন করে, তার জন্যও শাস্তি তাদের।(২: ৭৯)
গ. আল্লাহ যে কিতাব প্রকাশ করেছেন, যারা তা গোপন রাখে ও বিনিময়ে তুচ্ছ মূল্য গ্রহণ করে, তারা নিজের পেটে আগুন ছাড়া অন্য কিছুই ভরে না। কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের সাথে কথাও বলবেন না এবং পবিত্রও করবেন না। তাদের জন্য রয়েছে বিভত্স শাস্তি। তারাই সত্ পথের বিনিময় ভ্রান্ত পথ এবং ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তি ক্রয় করেছে; আগুন সহ্য করতে তারা কতইনা ধৈর্য্যশীল! ইহা এই হেতু যে, আল্লাহ্ সনাতন কিতাব অবতীর্ণ করেছেন এবং যারা কিতাব সম্বন্ধে মতভেদ সৃষ্টি করেছে (কোরান বনাম হাদিছ-ফতোয়া) নিশ্চয়ই তারা দুস্তর মতভেদে রয়েছে।(২: ১৭৪-১৭৬)
নবি নূহের অংগীকার
হে আমার সম্প্রদায়! ইহার পরিবর্তে আমি তোমাদের নিকট ধন সম্পদ চাই না। আমার পারিশ্রমিক আল্লাহর নিকট।(১১: ২৯)
নবি হুদের অংগীকার
হে আমার সম্প্রদায়! আমি ইহার পরিবর্তে তোমাদের নিকট কোন মজুরি চাই না। আমার পারিশ্রমিক তারই নিকট যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন।(১১: ৫১)
নবি ছালেহর অংগীকার
আমি তোমাদের নিকট ইহার জন্য কোন মজুরী চাই না। আমার মজুরি জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে। (২৬: ১৪৫)
নবি লুতের অংগীকার
ইহার জন্য আমি কোন মজুরী চাই না। আমার মজুরী জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে।(২৬: ১৬৪)
নবি শোয়েবের অংগীকার
আমি ইহার জন্য তোমাদের নিকট কোন মূল্য চাই না। আমার মজুরি জগতসমূহের প্রতিপালকের নিকট রয়েছে।[২৬: ১৮০]
নবি মুহাম্মদের অংগীকার
ক. এবং তুমি তাদের নিকট কোন মজুরি দাবি করিও না। ইহাতো বিশ্বজগতের জন্য উপদেশ মাত্র। (১২: ১০৪)
খ. বল! আমি ইহার জন্য তোমাদের নিকট কোন পারিশ্রমিক চাই না। এবং যারা মিথ্যা দাবি করে আমি তাদের দলভূক্ত নই।(৩৮: ৮৬) অর্থাত মজুরীর বিনিময় ধর্ম সম্বন্ধে তারা যা কিছু বলে/দাবি করে তা সমূহ মিথ্যা।
গ. -বল! ইহার জন্য আমি তোমাদের কাছে কোন মজুরি চাই না-।(৬: ৯০)
ঘ.-বল! আমি ইহার বিনিময় তোমাদের কাছ থেকে প্রেম-ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ব্যবহার ব্যতীত অন্য কোন মজুরি চাই না-।(৪২: ২৩)
উল্লিখিত অসংখ্য আয়াতে বজ্রকঠিন হুশিয়ারী থাকা সত্ত্বেও নামাজে টাকা, মিলাদে টাকা, জানাযায় টাকা, ওয়াজ-নছিহতে টাকা, ফতোয়ায় টাকা, বিয়ে পড়াতে টাকা, তালাকে টাকা, মসজিদ, মাদ্রাসা, মাজারে টাকা, পীরের আস্তানায় টাকা (শিক্ষাক্ষেত্র ব্যতিক্রম)! টাকা ছাড়া শরিয়ত/মারেফতী ধর্মের চাকা একেবারেই স্তব্ধ!
ফতোয়াবাজ/ওয়াজেইনদের বক্তব্য, বিষয়বস্তু কালাকালভেদী এক ও অভিন্ন থাকা সত্ত্বেও তাদের আকার-আকৃতি, সুর-তাল, পরিচিতি এবং স্ব/দলিয় ঘোষিত খেতাবের তারতম্য হেতু মজুরি/হাদিয়ারও তারতম্য হয়। বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবে কথিত উচ্চপদস্থ অধিকাংশ পীর-আলেমগণ ভাড়া খাটেন। তারা জেনে শুনেই আয়াতগুলি গোপন রেখে মজুরী গ্রহণ করে থাকেন! হারামকে অমৃত/ছোয়াব মনে করে ভক্ষণ করে থাকেন। যদিও তারা জানেন যে, তারা আগুন খাচ্ছেন এবং কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের সঙ্গে কথাও বলবে না, পবিত্রও করবে না।
অন্যদিকে একশ্রেণীর ব্যবসায়ীগণ কথিত আল্লামা, মুফতিদের ভাড়া খাটিয়ে আল্লাহ-রাছুলের নামে মনগড়া বই পুস্তক রচনা করে একচেটিয়া ধর্ম ব্যবসায় লিপ্ত রয়েছে। নভেল-উপন্যাসের মতই দর দাম কষাকষি করেই তা কিনতে বাধ্য হতে হয়। ‘মূল্যে’র স্থলে লেখা থাকে ‘হাদিয়া’ অর্থাত বাংলায় ‘মূল্য’ লিখা হারাম, আরবি ‘হাদিয়া’ লিখা হালাল!
অধিকাংশ মসজিদ, মাদ্রাসা গড়ে ওঠে ব্যবসাভিত্তিক এবং আপত্তিকর, সংঘাতপূর্ণ স্থানে; বিশেষ করে বিদেশের প্রত্যেকটি মসজিদের নামের শেষে ‘ইনক্’ অর্থাত ব্যবসা কেন্দ্রের নমুনা আছে; আর আল্লাহর মসজিদের কর্তিত্ব নিয়ে মানুষ বনাম মানুষের মামলা-মকর্দমা চলে! ধর্ম নিয়ে হয় খুনাখুনী!
নামাজ পড়াতে/পড়তে (পড়াতে হয় কেন?পড়াবার জন্য স্কুল/মাদ্রাসাই আছে) ইমাম যা জানেন, মুসল্লীগণও তা জানেন; ইমামের যতটুকু সময় নষ্ট হয়, মুসল্লীদেরও ততটুকু সময় নষ্ট হয়। মুসল্লীদের নামাজ পড়া ফরজ, ইমামেরও তাই(শরিয়ত মতে) । কিন্তু ইমাম তার নামাজ বিক্রয় করেন। মুছল্লীদের নামাজের চাওয়া-পাওয়া আল্লাহর কাছে, পক্ষান্তরে ইমামের নামাজের হারাম চাওয়া পাওয়া মুছল্লীদের হারাম/হালাল পকেট পর্যন্ত। বেতন বন্ধ, ইমামতিও বন্ধ! পয়সার বিনিময়ে নামাজ পড়ান, কিন্তু নিজেরা নামাজ পড়েন্না! অর্থাত আল্লাহর দরবারে তারা বে-নামাজী নয়তো!
রাছুল ও তাঁর ছাহাবাগণ ধর্ম প্রচারে নিজেদের শেষ সম্বলটুকু ব্যয় করে নিঃশেষ হয়েছেন। পক্ষান্তরে আজকের শরিয়ত/মারেফত ধর্ম-কর্মের বিনিময়ে অর্থ-সম্পদের পাহাড় ও রাজকীয় প্রাসাদে ভোগ-বিলাসে মদমত্ত্ব। পীর আব্বাজান, ইমাম ওয়ায়েজীনদের ছোয়াব ততনগদ আর মুছল্লীদের/শিষ্যদের ছোয়াব মৃত্যুর পরে! অর্থাত জবাবদিহিতার পথ পূর্বেই বন্ধ করে রেখেছেন।
ভক্তদের ধারণা হুজুর কেবলা খাবেন কি! প্রশ্নটি আল্লাহর নির্দেশের উপরে অনধিকার কুফুরি চর্চা! তারা কি খাবেন কি খাবেন না! তা কোরানের পাতায় পাতায় বর্ণিত আছে। বর্তমানে তারা কি খাচ্ছেন! এর পরিণতি কি! তাও আয়াতে স্পষ্ঠভাবে বর্ণিত হয়েছে; অর্থাত মদ, শুকরের মাংস, ঘুষ, চুরী-ডকাতীর চেয়েও হারাম ভক্ষণ করছেন, আগুন খাচ্ছেন এবং তা জেনে শুনেই, আর এরাই শরিয়তের কথিত আলেম/আল্লামা!
আপদে-বিপদে কোন উপায়ান্ত না থাকলে সাময়িকভাবে নিশিদ্ধ/হারাম ঘোষিত মদ, শুকরের মাংস খাওয়ার সুযোগ দিয়েছে কোরানে কিন্তু ধর্ম-কর্মের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণের সুযোগ কস্মিনকালেও দেয়নি; নামাজ শেষে মাঠে-ঘাটে ছড়িয়ে পড়ে হালাল রুজির সন্ধানের নির্দেশ আছে (তথ্যসুত্র: ৬২: ১০)।
ধর্ম ব্যবসায়ীদের অনুসরণ কোরানে নিষিদ্ধ/হারাম:
অনুসরণ কর তাদের, যারা তোমাদের নিকট থেকে কোন মজুরি গ্রহণ করে না এবং সত্-পথপ্রাপ্ত (৩৬: ২১)।
ক. ইমামতি/নেতৃত্ব ঐ ব্যক্তির জন্য যিনি অভাবহীন ও প্রকৃতপক্ষেই ধর্মভীরু এবং সত্-কর্মভীরু; ধর্ম-কর্মের বিনিময়ে যাদের অর্থ গ্রহণ করতে হয় না এবং করেন্না। অভাবী, লোভী, নিষ্কর্মা পোষাক/পেশাদারী ধার্মীকদের ইমামতি/নেতৃত্বের অধিকার নেই।
খ. ধর্ম-কর্ম বা ছোয়াব কেনা/বেচা উভয়ই নিশিদ্ধ/হারাম (সম্ভবও নয়)। আর ব্যবসায়ীক অনুবাদ, ফতোয়া/তফছির কোরানের আলোকে/বিবেকের পরশে (১৭: ৩৪) পরীক্ষা/নিরীক্ষা ব্যতীত গ্রহণ ভয়াবহ!
গ. ছালাত/প্রার্থনা আত্মার এমন আত্মিক নিগুড় বিষয় যেখানে নেতা অবাঞ্চিত। আল্লাহ আর প্রার্থনাকারীর কিব্লার মাঝে ২য় ব্যক্তি/বস্তুর উপস্থিতি/কল্পনা অবৈধ/শিরকী।
বিনীত।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৫৪
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. আপনি জন্মাবধি সত্য/মিথ্যার ধার না ধরে দল বা সংখ্যা গরিষ্টের পুজা করেন! যা কোরানের কাছে তুচ্ছাতি তুচ্ছ।
২. যিনি আরবীর অ ও জানেন্না তিনি কোন্টা নিজের! কোন্টা মতগড়া! আর কোন্টা দলের তা বুঝার ক্ষমতা রাখেন্না।
৩. দেখুন দলের শতভাগই হারামী ব্যবসায়ী কিন্তু ম জ বাসার নয়। তবুও তার লিখা কোরানের আলোকে নিরপেক্ষ জ্ঞানের পরশে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গ্রহণ বর্জন করুণ?
৪. ম জ বাসার কোনই ব্যাখ্যা/তফছির করে নি। অন্যের অনুবাদ সহজতর করেছে মাত্র। তবুও ম জ বাসারের অংশটুকু ডিলিট করে বাকিটুকুর সমালোচনা করুণ এবং আপনার পূর্বপুরুষদের বাচাবার চেষ্টা করুণ?
বিনীত।
২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৪০
অাবু জাফর বলেছেন: ধন্যবাদ বাসার মামা - তুলনামুলক ভাবে গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয় অবতারনার জন্য।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০৯
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. কোরানের ১ম পৃষ্ঠার ১ম ছুরার ১ম আয়াত ' যাবতীয় প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর জন্য (১: ১)'
দেড় বিলিয়ণ শিয়া/ছুন্নীরা কোরান খুলেই আয়াতটি অস্বীকার করে কিছু প্রশংসা আল্লাহর, কিছু রাছুলের, কিছু হুজুর কেব্লার, বাকি কিছু নিজের জন্য ভাগাভাগি করেছে।
২. ম জ বাসার কোন প্রকারের তিল পরিমাণো উহার ভাগিদার নয়! ভালোবাসার পাত্র হতে পারে।
৩. মাফ করবেন।
বিনীত।
৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫১
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন:
১. আপনি নিজে কি আপনার মানবধর্ম বা পিতা/নানার প্রচারিত মতবাদের বাইরে যেতে পারছেন? পারছেন না। "গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল" এর মত নিজেই নিজেকে সঠিক/সত্য ঘোষনার চরম অহংকারী আচরণে অভ্যস্ত হওয়ার পরও অন্যের ব্যাপারে এই মন্তব্যের মোন মুল্য আছে কি? সম্ভব হলে নিজের বা পিতা/নানার সকল ভ্রান্ত চিন্তা পরিহার করে কোরআনকে কোরআনেরমত করে বুঝার চেস্টা করুন। হয়ত সঠিক পথ পেলেও পেতে পারেন।
২. আমার আরবী না জানায় কোন সমস্যা নাই - কিন্তু আপনি যখন নিজেই স্বীকার করেন যে আরবী জানেন না এবং তার পর কোরআনের এমন ব্যাখ্যা হাজীর করেন যা আরবী জানা কোন অনুবাদকই করেনি তখন সেটাকে আপনার নিজের/পিতা/নানার ব্যাক্তিগত মতবাদ ছাড়া আর কী বলা যায়? আমি যখন গাড়ি ড্রাইভ করি না তখন আমার ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা কোন বিষয় নয় - কিন্তু যে নিয়মিত গাড়ি চালায় তার জন্য বৈধ লাইসেন্স না থাকা খুবই বিপজ্জনক - এতটুকুও কি বুঝে আসে না?
৩. আপনি যে কোরআনের নিজস্ব ব্যাখ্যা প্রচার করে কোন সুবিধা গ্রহন করেন না তার প্রমান আমার কাছে নাই - যে বই লিখেছেন তা খুব একটা বিক্রি হয় বলে মনে হয় না, তাই সেখান থেকে মুনাফা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে এই ব্যাখ্যার মাধ্যমে নিজেকে সত্য/সঠিক প্রমানের যে চেস্টা এবং নিজেকে সকলের থেকে শ্রেষ্ঠ দাবির যে প্রবনতা দেখা যায় তাতে কিন্তু এটা বলা অত্যুক্তি হবে না যে আপনি নিজের/পিতা/নানার ব্যাক্তিগত মতবাদকে কোরআন হিসেবে প্রচারের মাধ্যমে আসলে নিজেকে বা নিজ পরিবারকেই হাইলাইট করতে চাচ্ছেন। অন্যথায় অন্তত একটা অনুবাদ/তাফসীর আপনি দেখাতে পারতেন যেখানে আপনার মতে সঠিক ভাবে কোরআনের অনুবাদ করা হয়েছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মতই আপনি বলে থাকেন -" শুধু আমি/আমার দল শতভাগ শুদ্ধ বাকি সবাই শতভাগ মিথ্যা/ভুল"। এটা রাজনৈতিক ময়দানের বক্তৃতি হিসেবে চালিয়ে নিজ সমর্থকদের হাততালি পাওয়া যেতে পারে কিন্তু প্রকৃত সত্যের সন্ধানের জন্য এই অহংকারী মনভাব খুবই বিপজ্জনক।
৪. হ্যা, এই লেখায় কোরআনের অর্থের সাথে আপনি নিজের ব্যাখ্যা জুড়ে দেন নি - এ'জন্য ধন্যবাদ। ভবিষ্যতেও এই ধারা ঠিক রাখুন। আর অতীতে যা করেছেন তার জন্য তওবা করে এবং নিজের পুর্বপ্রতিষ্ঠিত সকল ধ্যান-ধারনা ভুলে গিয়ে কোরআনকে কোরআনেরমত করে বোঝার চেস্টা করুন - আশা করি আল্লাহ আপনার সহায় হবেন - আমীন।
৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৪৯
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. ব্যক্তিগত, অর্থহীন, যুক্তিহীন, প্রমানহীন এবং বহুলাংশ প্রসংগহীন।
২. ম জ বাসারের নিজস্ব কোন দর্শন/জ্ঞান নেই (কোরান ব্যতীত)! যাহির করা হয় না/ হয়নি। সুতরাং অহংকারের ধারণা ভিত্তিহীণ/ অপবাদ/হেইট প্রোপাগান্ডা।
৩. ১টি মাত্র প্রতিবেদন দিয়েই (১ মামলায়ই) যদি প্রায় শতভাগ ইমাম, আলেম, আল্লামা, পীর-মাশাযয়কদের হারামী/কুফুরী প্রমানিত/সাব্যস্ত হয় এবং যদি তা মেনে নেন তবেই তো মামলা ডিসমিস হয়! আপনার যাবতিয় প্রচেষ্টা এবারে ব্যর্থ হলো।
হ্যা, এই লেখায় কোরআনের অর্থের সাথে আপনি নিজের ব্যাখ্যা জুড়ে দেন নি
৪. তবুও ১৪শ বছর যাবত প্রায় শতভাগ ইমাম, আলেম, আল্লামা, শায়েখ, মুফাচ্ছির, মুফতি, পীরগণ বৌ-পুষিপোনাসহ হামার খায় কেন?????? হারাম খাওয়া মানুষের মূখ থেকে হালাল/পবিত্র/সত্য কথা বের হতে পারে??????? কখনো কি তাদের জবাবদিহি করেছেন? যেমন করেন হারাম না খাওয়া ম জ বাসারকে?????
বিনীত।
৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৭
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: আপনার এই লেখার বক্তব্য তাদের জন্য প্রযোজ্য যারা ধর্মীয় কাজের বিনিময়ে অর্থ গ্রহন করে। কিন্তু আপনি কি নিশ্চিত যে ১৪শ বছর ধরে সকল ইসলামী ব্যাক্তিত্ব এই কাজ করেছেন? যারা ইসলামী জ্ঞান-গবেষনা ও ইসলাম প্রচারের বিনিময়ে কিছু নেয়ার পরিবর্তে বরং নিজেদের উপার্যিত সম্পদও দান করে গেছেন তাদের ব্যাপারে কী বলবেন? আপনি কি তাদের কথা - গবেষনালব্ধ জ্ঞানকে সত্য বলে মানবেন? যদি মানতেন তাহলে ইমাম বুখারী বা ইমাম আবু হানিফা বা ইমাম গাজ্জালীর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করতে পারতেন না। ওনারাসহ আরো বহু ইসলামী চিন্তাবিদ/ইমাম/পীর/আলেম নিজেদের উপার্যিত এবং উত্তরাধিকার হিসেবে প্রাপ্ত সম্পদ ইসলামের সেবায় উৎসর্গ করে গেছেন। যদি সম্ভব হয় তাদের জীবনী অধ্যয়ন করে দেখুন। তারা কেউ কিন্তু আপনারমত কোরআনের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে দাবি করেনি যে আল্লাহ এক/অদ্বীতিয় নন, মৃত্যুর পরে আর কোন জীবন নাই বা পৃথিবীতেই মানুষ পুন:পুন জন্মগ্রহন করে বা নবুয়তের সমাপ্তি হয়নি বা ওনারা নিজেরাই আল্লাহর মনোনিত নবী/প্রেরনা প্রাপ্ত - ইত্যাদি ইত্যাদি।
আপনিতো কাউকেই মানেন না - যে সাহাবী(রা.)গন ইসলামের জন্য ধনসম্পদ জীবন সবকিছুই উৎসর্গ করল আপনি সেই সাহাবীদেরকেওতো মানেন না। মানেন কি? যদি মানতেন তাহলে কি উমার(রা.)রমত উৎসর্গিত প্রান সর্বস্বত্যাগী খলিফাকে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করার অপবাদ দিতে পারতেন?
আপনি আসলে আপনার নিজের/পিতা/নানার প্রনিত বিভ্রান্ত মতবাদ ছাড়া আর কিছুই মানেন না - সবাইকে মিথ্যা/ভুল মনে করেন। এটা যে কতবড় অহংকারী দাবি বুঝেন? "দুনিয়ার সবাই ভুল শুধুমাত্র/একমাত্র আমিই ঠিক" এই দাবি কে করতে পারে জানেন কি?
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১২
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. দেশে থাকতে থাকতে আর ভালো লাগে না তাই দেহ না হোক অন্তত মন্টা বিদেশীদেরো ছাড়িয়ে গেছে বলে প্রমান হয়। বলছি এজন্য যে, আপনার সহজ বাংলাও বুঝতে কষ্ট হয়। সেখানে লিখা আছে ‘প্রায় শতভাগ’ এর বাহিরে কিছু প্রকৃত ধার্মীক থাকা নিশ্চিত হয়ে আছে। আপনার বর্ণিত লোকজন তাতে থাকতে পারে নাও থাকতে পারে। বিনিময় মূল্য শুধুমাত্র টাকা ডলারই যে নয় তাওতো বুঝা দরকার ছিল। আরো বুঝা দরকার ছিল ঐ আয়াতে আরো ১টি শর্ত আছে: এবং যারা সত্পথ প্রাপ্ত। যা বেমালুম ভুলে গেছেন। আরো ভুলে আছেন: কে সত্/অসত্! তা প্রমান করার মালিক একমাত্র কোরান। গাজ্জলী/বোখারীদের জীবনী নয়! কেতাবো নয়।
২. সামনে কোরান রেখে এরে মানেন্না, ওরে মানেন্না! তারে মানেন্না! অমুক কিতাব, তমুক পুথি মানেন্না! এদের জীবনী ওদের জীবনী পড়ুন ইত্যাদি বলা সমিচিন নয়। ম জ বাসার কি ভুল করেছে, কোথায় কোন্ দর্শনে মনগড়া নিজস্ব অনুবাদ ঢুকিয়েছে বরং সেটাই কোরানের আলোকে সনাক্ত করা উচিত। বাস্।
৩. কে কি করছে না করছে তার মোক্ষম সাক্ষ্য প্রমান তাদের কর্ম দলীল। সেগুলি হাছা না মিছা! তা কোরানের আলোকে যাচাই বাছাই না করেই বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হওয়া বাঞ্চনিয় নয়! সাফাই সমর্থনো হালাল নয় ( তথ্য: ১৭: ৩৪)।
আল্লাহ এক/অদ্বীতিয় নন, মৃত্যুর পরে আর কোন জীবন নাই বা পৃথিবীতেই মানুষ পুন:পুন জন্মগ্রহন করে বা নবুয়তের সমাপ্তি হয়নি বা ওনারা নিজেরাই আল্লাহর মনোনিত নবী/প্রেরনা প্রাপ্ত - ইত্যাদি ইত্যাদি।
৪. অযথাই বার বার ফাহেসা মাশালা-মাশায়েল বলেন কেন?
ক. ম জ বাসারের চেয়েও অধিক মোল্লাদের মতই আপনি অংকে/হিসাব-নিকাশে হাব্বল (মাফ করবেন) মার্কা ।
খ. “০”র সন্তান ‘১’ এর বাপ ‘০’; ‘১’এর ছাওয়াল ‘২’, অনুরূপ ক্রমশ:। এখানে ‘১’র স্থান দ্বিতীয়, ‘অদ্বিতীয় স্থানে নয় ! এবং “১” নির্দিষ্ট, আকার-আকৃতি, লেজ, খবছুরত বিশিষ্ঠ, সীমীত বা সসীম। ‘১’ কি করে অনন্ত অসীম হয়?
বাতাস এক, পানি এক, মাটি এক, পৃথিবী এক, সুর্য এক, আকাশ এক, নিউট্রন, প্রোটন এক, আপনি এক, আপনার বাপ এক, আপনার মামা ম জ বাসার এক, ১টি কুকুর, ১ জন শুকর ইত্যাদি বলে কি উহারা অনন্ত অসীম? (চীতকারীহাস্যকর)
গ. “০” এখন পর্যন্ত জাত নয় তার কোন মা-বাপ নেই; তবে জন্ম দেয়। আর মাত্র “০” মানে কিছুই না। তবুও ইহা জীবের কাছে অনন্ত অসীম। কিন্তু সৃষ্টির কাছে “০”রো আকার আকৃতি আছে। কিন্তু ‘আল্লাহ’ তারো বেতারো কিছু বলতে সবকিছুরই উর্দ্ধে। আপনিসহ দেড় বিলিয়ণ শিয়া/ছুন্নী/কাদিয়ানীগন ‘আল্লাহ’ সম্বন্ধে যে ঈমান/বিশ্বাস করছেন তা নিতান্তই শরিকী, ফাল্তু। আর ম জ বাসার যা বলেছে উহাও ছাগতু। সুতরাং এ বিষয় বহুদিনের জন্য সমাপ্ত।
ঘ. ‘মৃত্যুর পরে জীবন নেই...’
ইহা কোন্ পাগলে বলেছে? বলা হয়েছে: জীবনের পরে মৃত্যু, মৃত্যুর পরে জীবন, জীবনের পরে মৃত্যু ক্রমশ: ক্রমশ: অবিরত (জন্মান্তর/বিবর্তনবাদ)।
এক জগত থেকে অন্যটায় যেতে দলীল পত্র, হিসাব নিকাশ দিয়েই যেতে হয়। পরিচয় পত্র (আইডি) ছাড়া অন্যদেশে ঢুকা সম্ভব নয়! এটা ৫ম শ্রেণীর ছাত্ররাও বুঝে।
ঙ. নবি/রাছুল শেষ করার কোনই সাক্ষি/প্রমান কোরানে নেই, ভবিষ্যতেও আল্লাহর ইচ্ছা নেই (কোরান বলে)। আপনি পুন: চ্যালেঞ্জ করলে ঐ প্রতিবেদনটি পুন: প্রকাশ করা যায়। চান কি?
চ. ম জ বাসারের মরা বাবা, নানার বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই লেগে আছেন। যদিও তাদের নামে প্রধানত: কখনোই দ্র:, সুত্র, তথ্যসুত্র প্রতিবেদনে থাকে না। এখানেও নেই! তবুও তাদের প্রতি এত হিংসা-দ্বেষ কেন? ইহা কি অপ্রাসংগিক, অবাঞ্চিত নয়?? না ম জ বাসারকে আপনার বাবার শালা করণের অধিকারে?? ২য় কোন যুক্তি প্রমান খুজে পাওয়া গেল না।
"দুনিয়ার সবাই ভুল শুধুমাত্র/একমাত্র আমিই ঠিক"
ছ. হেন যুক্তিটি সকল নবি/রাছুলের বিরুদ্ধে সকলকালে (প্রায়) সকল মানুষেরা সমানভাবে প্রয়োগ করেছিল! বাবা (আবু) যেহেলও! তাদেরি পুষি-পোনা হয়ে আপনিও বাদ যেতে পারেন্না। ইহাই প্রকৃতির অপরিবর্তনীয় ছুন্নত (তথ্য: ১৭: ৭৭৭; ৩৩: ৬২; ৩৫: ৪৩; ৪৮: ২৩)।
বিনীত।
৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:৪১
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "দুনিয়ার সবাই ভুল শুধুমাত্র/একমাত্র আমিই ঠিক"
ছ. হেন যুক্তিটি সকল নবি/রাছুলের বিরুদ্ধে সকলকালে (প্রায়) সকল মানুষেরা সমানভাবে প্রয়োগ করেছিল! বাবা (আবু) যেহেলও! তাদেরি পুষি-পোনা হয়ে আপনিও বাদ যেতে পারেন্না। ইহাই প্রকৃতির অপরিবর্তনীয় ছুন্নত (তথ্য: ১৭: ৭৭৭; ৩৩: ৬২; ৩৫: ৪৩; ৪৮: ২৩)।
মামা এতদিনে আসল কথাটা বল্লেন -
আমি কেবল প্রশ্ন করেছি, উত্তরটা আপনিই দিলেন। তার মানে আপনিও জানেন একমাত্র নবী/রাছুল(আ.)গনই এই দাবি করতে পারে। তাহলে কি আপনি নিজেকে নবি/রাছুল ভাবছেন?
আপনার কর্ম কিন্তু প্রমান করে যে আপনি নবী/রাসুল নন। দেখুন -
আমাদের নবী মুহাম্মদের(স.) বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছিল তাদেরকে পরাজিত করতে মুহাম্মদ(স.) এর মাত্র ২৩ বছর সময় লেগেছিল। তার পর থেকে শত কোটি মানুষ তাকে আল্লাহর নবী হিসেবে শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করে। এর বিপরীতে আপনার অবস্থা কি? কত বছর আপনি বাংলাদেশে কাজ করেছেন আর কত বছর কানাডায় পালিয়ে আছেন?
আপনাকে আমি আগেও বলেছি যদি সম্ভব হয় কোরআন থেকে একজন নবীর উদাহরণ দিন যাকে তার জাতি নবী হিসেবে মেনে না নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে অথচ আল্লাহ সেই জাতিকে কোন স্বাস্তিই দেন নাই - পারবেন না। কারণ আল্লাহর প্রতিষ্ঠিত নিয়মই হচ্ছে যখনই তিনি কোন নবী পাঠান তাকে হয় তার জাতি মেনে নেবে অন্যথায় সেই জাতিকে ধ্বাংস করে দেয়া হবে - আপনি এই নিয়মের কোন ব্যাতিক্রম পাবেন না।
মুহাম্মদ(স.) যে সত্যিই শেষ নবী তার সবচেয়ে বড় প্রমানতো এটাই যে তার আগমনের দেড় হাজার বছরেও আর কোন নবীর আগমন ঘটেনি। অথচ তার পুর্বে ঈসা(আ.) এর মাত্র ৬শ বছরের মধ্যেই আল্লাহ তাঁকে নবী হিসেবে পাঠিয়েছিলেন।
আপনার সকল বিভ্রান্ত চিন্তাধারার মুলেই আছে এই বিষয়টি। আপনি নিজেকে নবী/রাসুল/প্রেরনা প্রাপ্ত ভাবছেন। কিন্তু আসলে আপনি তেমন কেউ নন - আমাদের মতই স্বাধারণ মানুষ। যদি এই বিভ্রান্তি থেকে বেরিয়ে আসতে না পারেন তাহলে আপনার মুক্তি নাই।
আচ্ছা "দুনিয়ার সবাই ভুল শুধুমাত্র/একমাত্র আমিই ঠিক" এই কথাটা নবী/রাসুল(আ.)গন ছাড়াও আর এক শ্রেনীর মানুষ বলে থাকে - বলুনতো তারা কারা?
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:২৩
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. ১৪/১৫শ বছর পূর্বের স্থান, কাল পাত্রের পার্থক্য আজ যারা করতে পারেন্না! তারাই মৌলবাদী মূর্খ তারা/ তিনি যৌক্তিক বিতর্কে অনুপযুক্ত। ঐ সময় ইন্টারনেট থাকলে রাছুল কি পাহাড়ে উঠে বক্তৃতা করতেন???????
২. প্রায় ৫ হাজার বছরের মধ্যে ভারত ব্যতীত পৃথিবীর অন্য কোথাও গোসাই ঠাকুর ব্রাম্মন আসেনি আসবেও না। অন্যজাতের মধ্যে মৌলুবী মৌলানাও আসেনা। আসলে আসছে আসেই। কিন্তু ধর্মান্ধগণ ভাষাকে বলত্কার করায় বুঝতে পারছে না।
৩. তাদের একদল আপনারা অন্যদল ম জ বাসাররা। বেছে নিন যেটাই আপনার স্বাদের স্বার্থ রক্ষা করে।
৪. বহু নবি ছিলেন যাদেরকে কেহই চিন্তেন্না। আজো জানে না চিনে না। তাতে তাদের নবিত্ব ক্ষুন্ন হয়নি। নবি/রাছুলদেরকে সন্মান করা না করায় তাদের কিছুই যায় আসে না বরং সন্মান/প্রসংশা করাই হারামী/শিরকী কারণ উহা একমাত্র আল্লাহর জন্য! বারবার কোরানের ১ম আয়াতটিই বিছমিল্লায় গলত্ করেছেন। মানুষ মানুষকে ভালোবাসবে, বন্ধুত্ব করবে।
৫. পাঠকদের হাসাইয়েন্না! রাছুল নিজেই ১০/১২ বছর পালিয়ে ছিলেন।
৬. ১০০ ভাগের হাজারভাগ সত্য বলেছেন যে, ম জ বাসার নবি/রাছুল নয়, গাউস-কুতুব, মোল্লা-মাওলানাও নয়।
৭. বলুন্তো তেতুল গাছের পেত্নীর নাম কি? মাসকুলিন? না ফেমিনীন? বয়স কত?
বিনীত।
৭| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০০
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: বাসার মামা
আমার উপর রাগ করে লাভ নাই। আপনি আমাকে প্রতিপক্ষ ভেবে বকাঝকা করে কিছুটা শান্তি পেলেও আমি কিন্তু আপনার প্রতিপক্ষ নই বরং সাহায্যকারী। আপনি এমন এক অবস্থানে আছেন যেখানে থেকে নিজের ভুলগুলো বুঝতে পারছেন না - আমি আপনাকে আপনার ভুলগুলো বোঝার জন্য সাহায্য করতে চাই। এয়ার কন্ডিশন্ড ঘরের মধ্যে থাকলে রোদের উত্তাপ অনুভব করা যায় না - তবে যাদের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই তাদের উচিত যারা বাইরে থাকে তাদের কাছ থেকে শুনে বোঝার চেস্টা করা।
আপনার চিন্তা ভাবনার মধ্যে কিছু কিছু পরিবর্তন আমি দেখছি যা খুবই আশাব্যঞ্জক। যেমন আপনি আগে বলতেন আল্লাহ = কিছূই নয় যা বা আল্লাহ বলতে কিছুই নাই - যা ছিল নাস্তিকতার মৌলিক বিশ্বাস। কিছুদিন আগে বল্লেন আল্লাহ এই জগতের হিসেবে কিছুই নয়। এটা ঠিক আছে। আমি এ'ব্যাপারে আপনার সাথে একমত - আল্লাহ অবশ্যই এ'জগতের কিছু নন তবে ভিন্ন জগতে তিনি আছেন।
আপনি আগে বলতেন পৃথিবীতেই মানুষ পুন:পুণ জন্ম নেয় - যা হিন্দু ধর্মের পুনর্জন্মবাদের অনুরুপ। যদিও আপনি তাদের মত জন্মভিত্তিক সামাজিক শ্রেণী বিন্যাস মানতেন না - যা ছিল স্ববিরোধীতা, পুর্ণজন্মের ভিত্তিতে যদি পৃথিবীতেই স্বাস্তি পুরোষ্কারের ব্যাবস্থা থাকে তাহলে জন্মভিত্তিক শ্রেণীবিন্যাস মানতেই হয়। এখন বলছেন জন্মমৃত্যু ভিন্নভিন্ন জগতে হয় - "এক জগত থেকে অন্যটায় যেতে দলীল পত্র, হিসাব নিকাশ দিয়েই যেতে হয়। পরিচয় পত্র (আইডি) ছাড়া অন্যদেশে ঢুকা সম্ভব নয়! " হ্যা এবার আমি আপনার সাথে একমত হতেই পারি - আমিও বলি মৃত্যুর সাথে সাথে আমরা এই জগত থেকে অন্য জগতে চলে যাব। এখন আপনি শুধু এতটুকু মেনেনিন যে সেই জগতটাই চুড়ান্ত বা অনন্ত যেখান থেকে আর এই জগতে ফিরে আসা যায় না। কোরআনে যেমন বলা হয়েছে তারা ফিরে আসতে চাইবে কিন্তু পারবে না। তাহলেই আপনার সাথে আমার আর মতভেদ থাকবে না।
আপনার আর একটা মৌলিক বিষয় হচ্ছে আল্লাহর এক ও একাকার। আপনি আগে বলতেন আল্লাহ একাকার হয়ে আছেন পুরো সৃস্টিজগতে। এটাও সনাতন ধর্মের বিশ্বাস এবং এই বিশ্বাসের ভিত্তিতেই তারা মুর্তি/সুর্য/গাছ/পাথর/পাহার ইত্যাদিকে পুঁজা করে - কারণ সর্বত্রই স্রস্টা আছেন বিভিন্ন রুপে। কিন্তু কিছুদিন আগে বল্লেন আল্লাহ কোন কিছুর মধ্যে একাকার নন বরং একা একা বা নিজে নিজেই একাকার। যদি আপনি আল্লাহকে সৃস্টিজগতের বাইরের কিছু হিসেবে মেনে নেন, অন্তত এতটুকু মানেন যে এই সৃস্টিজগতের কোন কিছুর মধ্যেই আল্লাহ নিজে নেই বরং তিনি আছেন সবকিছুর উপর কর্তৃত্বে/নিয়ন্ত্রনে/জ্ঞানে তাহলেই কিন্তু বিরোধ মিটে যায়। ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসই হচ্ছে এই বিশ্বজগত ছিল না কিন্তু আল্লাহ ছিলেন আবার এই বিশ্বজগত ধ্বংস হয়ে যাবে কিন্তু আল্লাহ থাকবেন। অপর দিকে নাস্তিকতার মৌলিক বিশ্বাস হচ্ছে বিশ্বজগত অসৃস্ট/অনন্ত এর কোন সুচনা বা ধ্বংস নাই। আশা করি আপনি নাস্তিকতাকে আপনার বিশ্বাসের সাথে সংশ্লিস্ট করবেন না।
আর এক কিন্তু সংখ্যা ১ নয় যাকে অন্য সংখ্যা দিয়ে গুন করে বা অন্য সংখ্যার সাথে যোগ করে নতুন কোন সংখ্যা বানান যায়। বরং এক হচ্ছে অদ্বিতীয় যার কোন বিকল্প/একাধিক/দ্বিতীয় কিছু নাই। আর এই একটি কিভাবে সীমাহীন নিরাকার হয় তার নিদর্শন আল্লাহ আপনার আমার সবার মাঝেই রেখে দিয়েছেন। দেখুন আল্লাহ বলছেন - "আল্লাহ কোন মানুষের মধ্যে দুটি হৃদয় স্থাপন করেননি। (৩৩:০৪)" অর্থাৎ মানুষের হৃদয়/অন্তর/মন একটি অথচ এই মনের কোন সীমা বা আকার কল্পনা করা যায় না। আবার আপনি বলতেও পারবেন না যে মানুষের মন/হৃদয়/অন্তর বলতে কিছু নাই। আরো দেখুন এই সীমাহীন/নিরাকার/অবস্তুগত মন/হৃদয় এর সিদ্ধান্ত বস্তগত/সসীম/আকারবিশিস্ট দেহের উপর কীভাবে কার্যকর হয়। কি চমৎকার দৃস্টান্তই না আল্লাহ তৈরী করে রেখেছেন - তার পরও কি মানুষ বুঝবে না??
এ'ভাবে যদি আপনি আপনার ভুল/বিভ্রান্তিগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে থাকেন তাহলে অচিরেই হয়ত মামা-ভাগ্নের মধ্যে বিরোধ তেমন থাকবে না। তবে উপরের উত্তরেও আপনি স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। ১-৫ পর্যন্ত যা বলেছেন তার উদ্যেশ্ব হচ্ছে নিজের নবুয়ত দাবিকে যৌক্তিক করা, নবী মুহাম্মদ(স.) এর সাথে তুলনার চেস্টা আর ৬ নম্বরে এসে বল্লেন আপনি নবী নন। যদি আপনি নবী/রাসুল নাই হবেন তাহলে প্রথম ১-৫ এ এত কথা কেন বল্লেন? আর যদি নবী/রাসুল নাই হবেন তাহলে "দুনিয়ার সাবই ভুল শুধুমাত্র আমিই ঠিক" এই অহংকারী দাবী কেন করছেন - অথচ আপনি নিজেই বলেছেন এই দাবি নবী/রাসুল(আ.) দেরই অনুরুপ।
এই দাবি থেকে সরে এসে মেনে নিন আপনিও স্বাধারণ একজন মানুষ। কোরআন সম্পর্কে আপনি যা জেনেন তাও অন্যদেরমত দেড় হাজার বছর আগে প্রনিত কোরআন পড়েই জানেন। এই দেড় হাজার বছর কোরআনকে ধরে রাখতে হাজার হাজার আলেম ওলামা পীর ইমাম তাদের জীবন ও সম্পদ উৎসর্গ করে গেছেন। তারা সবাই ভুল/বিভ্রান্ত/মুশরিক তাই জাহান্নামী আর আপনি একা সঠিক/সত্য তাই জান্নাতী এ'রকম অহংকার কখনই কল্যানকর নয়। যদি আপনার পক্ষে সম্ভব হয় ঐসব মানুষদের বাদ দিয়ে লৌহে মাহফুজে সংরক্ষিত কিতাব সরাসরি নিয়ে আসুন - কিন্তু আমি জানি আপনার পক্ষে তা কখনই সম্ভব নয়।
৪ নং এ আপনি ঠিকই বলেছেন - আল্লাহর বহু প্রিয় বান্দা ছিলেন/আছেন/থাকবেন যাদেরকে মানুষ কোনদিনও চিনবে না। কিন্তু তাদের সাথে নবী/রাসুল(আ.)দের সবচেয়ে বড় পার্থক্য হচ্ছে নবী/রাসুল(আ.)গন তাদের নবুয়ত বা আল্লাহর মনোনয়নের কথা প্রকাশ্যে ঘোষনা করতে বাধ্য ছিলেন - আর ঐসব আল্লাহর ওলীগন তাদের পরিচয় কখনই প্রকাশ করতে চাইতেন না। তারা নিরবে নিভৃতে আল্লাহর ধ্যান/বন্দেগী করতেই পছন্দ করতেন। আপনার আচরণ/কার্যক্রম প্রকাশ্য নবীদেরমত কিন্তু আপনি তাদের সমতুল্য হওয়ার যগ্য কখনই নন। তবে আপনি ঐসব অপ্রকাশিত ওলিআল্লাহদেরমত কি না তা আমি জানি না - মুলত তা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেও না। যদি তাই হন তাহলে তাদেরমত নিভৃতে আল্লাহর ধ্যান/ইবাদতেই সময় দিন - নিজেকে জাহির করার চেস্টা তাদের জন্য কখনই বৈধ নয়।
আপনি পুরো কোরআন থেকে এমন কোন নবীর উদাহরণ দিতে পারবেন না যাকে প্রত্যাখ্যান করার পরও তার জাতি গজবে পতিত হয়নি - এই একটি বিষয়ই সন্দেহাতীত ভাবে প্রমান করে যে আপনি আপনার পিতা বা নানা কেউ আল্লাহর মনোনিত নবী/রাসুল নন ( তবে অপ্রকাশিত ওলীআল্লাহ হতে পারেন )।
২ নং এ আপনি ভাষাগত পার্থক্যকে যেভাবে চিন্হিত করলেন তা যদি ঠিক হয় তাহলে আরবী ভাষার মানুষদের মধ্যে গত দেড় হাজার বছরে কোন প্রকাশ্য নবী কেন আসল না? সেখানেতো ভাষার সমস্যা ছিল না।
আপনি এখন যে মৌলিক প্রশ্নে আটকে আছেন তা হচ্ছে নিজেকে নবী/রাসুল মনে করা। এই উত্তরের প্রথম ৫ অংশেও আপনি সেটাই প্রমানের চেস্টা করেছেন। নবী মুহাম্মদ(স.) দশ বছরের জন্য মদিনায় থাকলেও মাত্র ১০ বছরেই মক্কায় ফিরে ছিলেন বিজয়ী হয়ে। অথচ আপনি কানাডায় আছেন তার চেয়ে অনেক বেশী দিন এবং সেখানে বিজয়ের কোন সম্ভাবনাই নাই। আর আপনার পিতা ও নানা উভয়ের জীবনতো শেষই হয়ে গেছে কোন বিজয়/গ্রহনযোগ্যতা ছাড়াই। আপনি কি আপনার পিতা/নানার চেয়েও বড়/জ্ঞানী/আল্লাহ ওয়ালা? মনে হয় না। সুতরাং মেনে নিন যে আপনি নবী/রাসুল নন - আপনি যা ভাবেন/বলেন তাই সত্য নয় - আপনার মধ্যেও ভুল/বিভ্রান্তি আছে। এই ভুল/ভ্রান্তিগুলো শুধরে নিতে পারলেই আপনার ভাল চিন্তাগুলির মুল্যায়ন হবে। অন্যথায় আপনার ইহকালীন ও পরকালীন পরিনতি ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই নয়।
আপনি নিশ্চয়ই জানেন আপনার পুর্বেও বহু মানুষ নিজেদের নবী/রাসুল দাবি করেছে কিন্তু কিছুই করতে পারেনি। অথচ আল্লাহ তার নবী/রাসুলদেরকে মানব ইতিহাসে এমনভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন যে আজকেও শতকোটি মানুষ তাদের নবুয়তকে মেনে নিয়ে শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করে - আজকেও বিশ্বের সেরা মানুষ বাছাই করতে গেলে তাদেরকেই প্রথমে রাখতে হয়। সর্বশক্তিমান আল্লাহর মনোনিত নবী/রাসুলদেরতো এমনই হওয়ার কথা - তাই না?
আশা করি আপনি বুঝতে পারছেন। কস্ট হবে জানি, শত হলেও সারা জীবনের চিন্তা/ধ্যান/ধারনা - কিন্তু তার পরও যদি মেনে নিতে পারেন যে লৌহে মাহফুজের কিতাব সরাসরি পড়ার যোগ্যতা/শক্তি আপনার নাই - আর আল্লাহও আপনার কাছে তা পাঠাচ্ছেন না - আপনিও আর দশজনের মত দোষ গুন সত্য মিথ্যা ভুল ভ্রান্তি নিয়ে গঠিত স্বাধারণ মানুষ - তাহলেই আপনার ভুলগুলি বুঝতে পারবেন বলে আশা করা যায়। আর আল্লাহর কোরআনতো তিনি সংরক্ষিত রেখেছেনই - নিজের বদ্ধমুল ধারনা বাদ দিয়ে কোরআনকে কোরআনেরমত করে বোঝার চেস্টা করলেই আসল সত্যগুলি বুঝতে পারবেন বলে আশা করা যায়। আল্লাহ আমাদের সকলকে কবুল করুন - আমীন।
বি.দ্র: তেতুল গাছের পেত্নীতো আমি বিশ্বাস করি না। যারা মনে করে প্রকাশিত বিষয় ভুল/মিথ্যা প্রমানিত না হলেই তা প্রতিষ্ঠিত হিসেবে মানতে হবে - তাদেকেই জিজ্ঞেস করুন।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫০
ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. একটা কথাই মূল্যবান মনে হলো; আর তা 'লৌহে মাহফুজ' আরবি বাক্যাংশটি আপনা ভাষায় পুন লিখলে নিজেরো বুঝ হবে আর ম জ বাসারেরো জবাব দিতে সহজ হবে।
২. হাসাহাসি/কান্দাকান্দি ব্যতীত আপনার তর্কের আর কোন জবাব বাকি নেই। বার বার বলছেন নবি/রাছুল হলে তার ঘোষনা দিতেই/করতেই হবেই হবে। ম জ বাসার কখনো ঘোষনা দেয়ইনি/দিবেই না/পারেই না কারন সে তা নয়ই নয়। তবুও স্ব বিরোধীতা করে তার লেখায় নবি/রাছুরদের গন্ধ খোজা কি উদ্যেশ্য প্রণোদিত নয়? অত:পর উহার আবার স্ব বিরোধীতা করে উল্টো বলছেন? নিজের প্রশ্নের নিজেই উত্তর দিলে বরং তা নিজের কাছেই থাকা উচিত।
৩. আপনাকে কখনো বিরোধী ভাবিনা। মাঝে মাঝে ভাবি শায়খ আজীজুল হক সাহেবের মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র।
৪. আল্লাহর কথা আল্লাহকেই বল্তে দিন।
বিনীত।
৮| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৭
আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: জ্বী অনেক ভাল বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তবে আপনার অজান্তেই আপনি নিজেও যেন সেই পথে না হাঁটেন সেদিকে খেয়াল রাইখেন। বিশেষ করে সার্বজনীন হুসিয়ারী খ এবং গ এর দিকে।
রব্বিগন আর পুরোহিতরা কেন তাদের নিষেধ করে না পাপপুর্ণ কথাবার্তা বলাতে আর হারাম জিনিষ ভক্ষণে? অবশ্যই যা তারা করছে গর্হিত। (৫: ৬৩)
একটি প্রশ্ন: এই আয়াতটিতে কি নিকৃষ্ঠ বলা হয়েছে আলেমদের নাকি যারা পাপকাজ করছে তাদেরকে? আপনার পোস্টে আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন?
Yusuf Ali
5:63. Why do not the rabbis and the doctors of Law forbid them from their (habit of) uttering sinful words and eating things forbidden? Evil indeed are their works.
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১০
ম জ বাসার বলেছেন: লেখক বলেছেন: ছালাম,
১. কি বুঝাতে চেয়েছি তা শিরোনামেই স্পষ্ঠ।
২. কি বুঝেন্নি সেটা বলুন। আলেমরাই নিকৃষ্ঠ কাজ করছে; সাধারণগণ তার যোগান দিচ্ছে, আপনি/আমি নই।
৩. বিড়াল আর মেকু সম্বন্ধে যাদের ধারণা নেই তারা বিড়ালের রচনা লিখতে পারলেও মেকু সম্বন্ধে ১ লাইনো লিখতে পারবে না। হাজার বিড়ালের বাপ (আবু হুরায়রা) হলেও ১টি মেকু খুজে পাবে না।
বিনীত।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:১৬
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "সুতরাং দুর্ভোগ তাদের জন্য, যারা নিজ হাতে কেতাব রচনা করে এবং তুচ্ছ মূল্য প্রাপ্তির জন্য বলে, ‘ইহা আল্লাহর নিকট থেকে প্রাপ্ত।’ "
ধন্যবাদ বাসার মামা - তুলনামুলক ভাবে গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয় অবতারনার জন্য।
আপনার এই উদ্ধৃতি অনুযায়ী প্রচলিত আলেমরাতো হাদীসের বানীকে বিশ্বাস করে বা আপনার ভাষায় দুই নম্বরী ওহী বলে দাবি করে। কিন্তু আপনি যখন নিজের মনগড়া ব্যাখ্যাকে সরাসরি কোরআন বা আল্লাহর বানী বলে প্রচার করেন তখন কি এই আয়াতের কথা মনে থাকে? এই আয়াত অনুযায়ী এখন থেকে দয়া করে কোরআনের কোন নিজস্ব ব্যাখ্যা প্রচারের চেস্টা করবেন না - অন্যথায় আপনি নিজেই আল্লাহর কাছে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হবেন।