নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাঁদের ফাঁদে মুসলমান

ম জ বাসার

ম জ বাসার › বিস্তারিত পোস্টঃ

গন্দম খায় সকলেই

০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৯:৫৫

গন্দম খায় সকলেই, আসামী করে কাল্পনিক/কাগজের বাবা আদমকে।



স্রষ্টা-সৃষ্টি বা সৃষ্টির সৃষ্টি সম্বন্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছা জ্বিন, ফিরিস্তা, শয়তান শ্রেষ্ঠ মানুষের পক্ষেও সম্ভব নয়। স্থুল, সূক্ষ্ম ও জ্যোতিদেহ, একই দেহে এই তিন দেহের সমন্বয় (থ্রী-ডায়মেনসন) সম্বন্ধে নিশ্চিত জ্ঞান না থাকলে (দ্র: ধর্ম দর্শন) ইহা কিঞ্চিত বোধগম্য হওয়াও কঠিন বটে!

বিজ্ঞানীগণ যখন আমিত্ব, ইচ্ছা, আকর্ষণ ও জ্ঞানের মৌল আবিষ্কার করতে পারবেন ঠিক তখনই বিষয়টি কিছুটা সহজবোধ্য হবে; তবে তা বহু দূর।



মানুষ/জীব সৃষ্টি সম্বন্ধে কোরানে বহুবার এবং বহুভাবে ইনিয়ে বিনিয়ে বর্ণিত হয়েছে, যেমন: ক. মাটি দিয়ে খ. আঠালো মাটি দিয়ে গ. ঠন্ ঠনে মাটি দিয়ে ঘ. ঝংকার যুক্ত কাদা মাটি দিয়ে ঙ. মথিত মাটির সার অংশ দিয়ে চ. সংমিশ্রিত তরল পদার্থ দিয়ে ছ. তরল পদার্থের নির্যাস দিয়ে জ রক্ত দিয়ে ঝ. শুক্র দিয়ে ইত্যাদি।

উল্লিখিত যে কোনো একটি সূত্র ধরে আগে বা পিছে এগোলে মোটামুটি্ একটি বিবর্তিত (কেন্দ্রহীন) চক্রের ধারণায় পৌছতে পারে। যেমন ‘মাটি দিয়ে সৃষ্টি’ তার অর্থ এই নয় যে, কুমারের মতো মাটি মথিত করে, পুতুল তৈরি করে বিলিয়ণ ট্রিলিয়ণ(হুব্বা) বছর রোদে/আগুনে পুড়ে ঠন্‌ঠনে হলে পর তার মধ্যে আল্লাহ ফুঁক দিয়ে আদমকে সৃষ্টি করেছে; তবে ধারণাটির ভাবার্থের সঙ্গে গীতা/বেদে বর্ণিত ৮৪ লক্ষ যোনি ভ্রমনের সামঞ্জস্য আছে, আছে কুরানের বিবর্তন সুত্র (তথ্য: ৭১: ১৪; ৭৬: ১; ৩০: ১৯ আরো অসংখ্য)।

মূলত উল্লিখিত ধারাগুলো সৃষ্টি রহস্য উদ্ঘাটনের প্রাথমিক সূত্র মাত্র; উহার যে কোনো একটি সূত্র ধরে বিজ্ঞানীগণ (আল্লামাগণ) যাতে সৃষ্টির উপাদানে পৌঁছতে পারে।

যেমন: ‘মাটি দিয়ে সৃষ্টি!’ বল্লেই প্রশ্ন আসবেই যে, মাটি কিসের সৃষ্টি! সাধারণ উত্তর: পানির সৃষ্টি; পানি কিসের সৃষ্টি! বাতাসের সৃষ্টি (ক্রমশ)। বাতাসের রয়েছে অসংখ্য উপাদান। সেগুলো ভাজন-বিভাজন করতে করতে বৈজ্ঞানিকগণ (আল্লামাগণ) এ্যাটম, নিউট্রন, প্রোটন ও ইলেক্ট্রনে পৌছে ভাবলেন যে, বস্তু বিভাজনের এটাই শেষ একক। কিন্তু পরে দেখলেন যে না! তারও বিভাজন সম্ভব; শুধু তাই-ই নয়, এই বিভাজনের আর শেষ নেই; অর্থাত আবর্তন/বিবর্তন বা চক্রবৃদ্ধি। যতই বিভাজন করতে সক্ষম হচ্ছেন ততই শক্তি, মহাশক্তি মানুষের অধীন হচ্ছে, অদৃশ্য দৃশ্যতর হচ্ছে।স্মরণীয় যে, এটা বস্তু সৃষ্টির সূত্ররহস্য মাত্র, জীবন সৃষ্টি নয়। আর মহা জ্ঞানী ডারউইন বস্তু ব্যতীত জীবন সৃষ্টির বিবর্তন সম্বন্ধে কিছুই বলেননি।



যে কোনো জীবদেহ বা বস্তুর বিভাজন করতে করতে যেমন নিউট্রন প্রোটন ইলেক্ট্রনে পৌঁছা যায়, ঠিক তেমনি একক পরমাণু যোগ করতে করতে যে কোনো বস্তু বা জীবদেহ তৈরি বা হওয়া যুক্তিসঙ্গত। অতএব এক্ষণে আপাতত: বলা যায় যে, মানুষ এবং যাবতীয় জীব-জন্তু বা বস্তু এবং গ্রহ, নক্ষত্র ইত্যাদি এ্যাটম, নিউট্রন, প্রোটন ও ইলেকট্রন থেকে সৃষ্টি হয়েছে। আর অদূর ভবিষ্যতে বিজ্ঞানীগণ যখন আমিত্ব, আকর্ষণ, ইচ্ছা ও জ্ঞানের একক আবিষ্কার করতে সক্ষম হবেন তখনই জীবন-মৃত্যু, স্রষ্টা-সৃষ্টির রহস্য-জটলা বহুলাংশে খুলে যাবে সত্য, কিন্তু ততোধিক নতুন জটাজালে আবদ্ধ হবে। পক্ষান্তরে আল্লাহ্ উপলব্ধি, আল্লাহঙ্কার আজকের মতোই অম্লান থাকবে।

মানব সৃষ্টির সূচনা আদম থেকেই যে নয় তা কোরানই সাক্ষ্য দেয়:



অইজ ক্বা-লা-তা লামুন।(২: ৩০) অর্থ: স্মরণ কর: যখন উপাস্য (রব)মুক্ত আত্মা (মালায়েকাতদের) বলে, ‘নিশ্চয়ই বস্তুর উপর প্রতিনিধি নিয়োগ করি। তারা বলে, ‘তুমি কি সেখানে এমন কিছু নিয়োগ কর! যারা অশান্তি ও রক্তপাত ঘটায়-!”

[আর্দ্ব অর্থ: বস্তু বা দৃশ্য; পৃথিবী নয়; ‘পৃথিবীর আরবি শব্দ ‘দুনিয়া’] মাত্র পৃথিবীর বুকে প্রতিনিধিত্ব দিলে আজকের বৈজ্ঞানিকগণ পৃথিবীর বুক ছেড়ে গ্রহ-নক্ষত্র, আকাশ-মহাকাশ সম্বন্ধে ভাবতেই পারতো না। সুতরাং শরিয়তের অনুবাদ প্রশ্নবিদ্ধ]



আল্লাহশক্তি/জ্ঞানের বাইরে মানুষ, জ্বীন, ফেরেস্তা কারো ধারণা-কল্পনা করারও ক্ষমতা নেই। অর্থাৎ মানুষ কাল্পনিকভাবে যাইই কিছু সৃষ্টি করে যাবতীয় সৃষ্টিগুলো আল্লাহশক্তির মধ্যে আছে বলেই মানুষ তা ধারণা বা নকল করতে পারে। অর্থাৎ প্রকৃতিশক্তির মধ্যে যা নেই তা মানুষ-জ্বীন, ফেরেস্তা কল্পনায়ও সৃষ্টি করতে পারে না। অতএব, ফেরেস্তাগণ যখন বলল যে, ‘এমন প্রতিনিধি সৃষ্টি কর যারা সেখানে অশান্তি ও খুনাখুনি করে’ এর অর্থই এমন এক জাতি সম্মন্ধে তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে (জিন, জান্, খাড়া/বসা বা পদ/চতুস্পদ মানুষ যা কিছুই হোক) যারা আমাদের মতোই হাগু/পিপি করা রক্ত মাংসের স্বার্থন্বেষী দেহধারী জীব ছিল এবং তারা আজকের মতই দুনিয়ায় অশান্তি, খুনাখুনি বা রক্তারক্তি করত!

মূলত উল্লিখিত আদম সৃষ্টি রহস্য সূত্রটি প্রত্যেক মানুষের ক্ষেত্রেই সমভাবে প্রযোজ্য; ইহা নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির জন্য নয়। ‘আমাকে’ সৃষ্টি করে অতঃপর ‘আমার দেহ’ সৃষ্টি করা হয়; আর তাই বলেই আমার হাত, আমার মাথা, আমার দেহ, আমার লাশ, আমার কবর, সবকিছুই আমার কিন্তু ‘আমি’ কই! ‘আমি’ কে এবং কী! ‘আমি’ অদৃশ্য অর্থাৎ সংক্ষিপ্ত কথায় ‘দেহদ্বারা খন্ডিত/সীমিত (জাহান্নাম) অসীম/মুক্ত (জান্নাত)জীবন’; ‘আমার’ দৃশ্য অর্থাৎ দেহ। অদৃশ্য জান্নাতবাসী ‘আমি’ দেহদ্বারা বন্দী হলেই অর্থাত আমার মা-বাবা আদম-হাওয়া (জন্মদাতা) (গন্দম, যা তাদের যৌবনের আগ পর্যন্ত নিশিদ্ধ/গোপন ছিল) জিনার ফলে আমাকে (আমি+আমার) জান্নাত থেকে জাহান্নামসহ দুনিয়ায় নিক্ষেপ করা হয় (জন্ম হয়) অনুরূপ কারণে আমার স্ত্রীকে নিক্ষেপ করা হয় অজানা অন্যত্র। ধীরে ধীরে যতই বড় হতে লাগলাম ততই স্ত্রীর আকাংখা তীব্রতর হতে লাগল/গোপন চোখ খুলতে লাগল; দীর্ঘ কয়েক যুগ কান্নাকাটির (আকর্শণ) পরে কোন এক দেশ/গ্রামে স্ত্রীর সন্ধান পেয়ে প্রকৃতির বিধানে আমিও গন্দম খাই, তুমি খাও, সেও খায়; এভাবেই কারাবাসী শাস্তি/ভোগের পর, পুন ভিসা পেলেই আপন দেশে উড়াল দেই। ঐ জগতের সুত্রও অনুরূপ অর্থাত আবর্তন-বিবর্তন। (বড়ই জটিল বিষয়)



উল্লিখিত আদমের ইতিহাসের সঙ্গে প্রত্যেকটি মানুষ/জীবের জন্মেরই ইঙ্গিত। কোরানও তাই ঘোষণা করে:

অ লাক্বাদ-মিনাচ্ছা-জ্বিদীন। (৭: ১১) অর্থ: তোমাদিগকে সৃষ্টি করি অতঃপর তোমাদের আকৃতি (দেহ) সৃষ্টি করি; অতঃপর ফেরেস্তাদের (পজেটিভ/ধ্বনাত্মক শক্তি) মানুষের অধীন থাকতে বলি। তবে ইব্লিসগণ (নিগেটিভ/ঋণাত্মক শক্তি) ব্যতীত সকলেই অনুগত থাকে-। [অর্থাত অনুগতরা ফিরিস্তা; অননুগতরা ইব্লিছ]

বিনীত।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১১:০২

সত্যযুগের মানুষ বলেছেন: খারাপ না। আপনার উন্নতি হচ্ছে। গাধাদের মানুষ করার চেষ্টা বাদ দিয়ে বিজ্ঞানমনস্ক পোষ্ট করায় আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভবিষ্যতে এধরণের আরো পোষ্ট চাই।

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:২৮

রাজা হাবিব বলেছেন: বেটা ন্যাস্টিক...

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:০৯

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন:
আচ্ছা প্রথম মানুষ পৃথিবীতে কিভাবে এসেছিল? বানর থেকেই কি?

০৯ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৫৫

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. প্রশ্নটি অমীমাংশীত জটিল থেকে জটিলতর। বানর কোথা থেকে আসছে (ক্রমশ-ক্রমশ-ক্রমশ)? তা না জানলে মানুষ কোথা থেকে আসেছে! তা জানা একেবারেই অসম্ভব।

২. হঠাত করে বা আচম্কা মানুষ পৃথিবীতে পতিত/লাফিয়ে পড়েনি! পড়লে যেখানে/যেখান থেকে তাকে তৈরী/নিক্ষেপ করেছে সেখানের পরিবেশ অবিকল পৃথিবীর মতই হতেই হবেই; অর্থাত সেটাও পৃথিবী। আর হাস্যকর ‘নিক্ষেপ’ এর ফলে তার অস্তিত্ব থাকার কথা নয়। বোরাক/রফরফ তো মুহাম্মদ ব্যতীত আর কেহ পায়নি!

৩. বানরের ঔরশে নয়। ইহার আকার আকৃতি, স্বভাব-চরিত্রে মানুষের নিকটতম; যা অস্বীকার করার ক্ষমতা নিজামী, আমীনী, ডা: জাকির নায়েক এমনকি ড: এস এম রায়হান সাহেবেরো নেই। হয়েছে একাকার অদৃশ্য জীবনের কাল প্রবাহে ভিন্ন ভিন্ন (দৃশ্য) দৈহিক বিবর্তনের মাধ্যমে।
কালের চক্রে মানুষের এমন একটা কাল ছিল যখন সে উল্লেখ্যযোগ্য কিছু ছিল না (ফাল্তু বিষয় ছিল) [৭৬: ১]
৪. অমা মীন দাব্বাতিন ফিল আর্দ্বে অ লা তাইরী ইয়াতাইরু বি যানাহাইহে ইল্লা উমামুন- (৬: ৩৮) বস্তুতে (পৃথিবীতে) এমন কোন বিবর্তনশীল (দাআব্বাত= অগ্রসরমান=চলমান জীবন) পশু-পক্ষি (জীব) নেই যারা তোমাদের মতই উম্মত নয়-।
অর্থাত আমাদেরই জাতিভাই।
বিনীত।

৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১০:০৬

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন:
১. তার মানে মানুষের জন্ম বা পৃথিবীতে আবির্ভাবের বিষয় কোরআনও পরিস্কার করে বলতে পারেনি। অথচ বিজ্ঞান ও ধর্মের মধ্যে পার্থক্য এখানেই যে বিজ্ঞান সৃস্ট বিষয় নিয়ে কাজকরলেও সৃস্টি রহস্য বলতে পারে না কারণ সৃস্টির পুর্বে বা সৃস্টির সময় (এমন কি বিগব্যাং এর সময়ও) বিজ্ঞানের সকল সুত্র অকার্যকর হয়ে যায়। বিজ্ঞান যা পারে না ধর্ম তাই ব্যাখ্যা করতে পারে বলেই ধর্ম বিজ্ঞানের উপর প্রাধান্য বিস্তার করতে পারে। বিজ্ঞান বলতে পারে না মৃত্যুর পরে কী হবে - ধর্ম পারে। অথচ আপনি ধর্মকে বিজ্ঞানেরমতই অক্ষম করে দিলেন। মনে হচ্ছে আল্লাহও জানেন না মানুষ কিভাবে পৃথিবীতে আসল।

২. হঠাৎ বা আকস্মিকভাবে পৃথিবীতে আসতে পারবেই না - এতটা নিশ্চিত হলেন কি ভাবে? অথবা পৃথিবীর পরিবেশ ছাড়া মানুষ থাকতে পারবেই না সেটাও কি নিশ্চিত ভাবে বলা যায়? অথবা আল্লাহর কাছে মানুষের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় উপদানসহ আরো উন্নত কোন জগত যে নাই - তাই বা নিশ্চিত হলেন কিভাবে?

কল্পবিজ্ঞানের অন্যতম জনপ্রিয় একটা বিষয় হচ্ছে 'মাস ট্রান্সমিশন'। মানুষ যদি প্রায় শুন্য সময়ে বস্তু/মানুষকে মাস ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে বহু দুরে পাঠানোর বিষয় কল্পনা করতে পারে তাহলে আল্লাহ কেন সেই জগত থেকে মুহুর্তের মধ্যে অক্ষত অবস্থায় মানুষকে পৃথিবীতে পাঠাতে পারবেন না? না কি আপনি মনে করেন আল্লাহও এই প্রাকৃতিক নিয়মের অধীন?

৩. এই নিকটতম বিবেচনয়াইতো ডারউইন সাহেব চিন্তা করেছিলেন যে বানরের লেজ খসে গিয়ে মানুষ হয়েছে - আমার প্রশ্ন ছিল আপনি সেটা বিশ্বাস করেন কি না। বানর কোথা থেকে আসলে সেই প্রশ্ন পরে - আগে আপনি বলেন বানর থেকে মানুষ হওয়ার বিষয়ে আপনার মত কি?

৪. অবশ্বই, শুধুমাত্র পৃথিব কেন এর বাইরে বিলিয়ন বিলিয়ন আলোকবর্ষ ব্যাপী যে বিশ্বজগত তার জীব ও জড় সকল সৃস্টিই আল্লার উম্মত - সবাই আল্লাহকে সিজদা করছে - তার অর্থ যে আমরা মানুষেরাও তাদেরমত হবই তার কি নিশ্চয়তা আছে? ফেরেশতা জিন সবাই আল্লাহর ইবাদত কারী এক একটা উম্মত - কিন্তু প্রত্যেকে প্রত্যেকেরমত নয় বরং আলাদা।

আর একটা প্রশ্ন - আপনি গন্দমের গল্প কোথায় পেলেন? কোরআনের কোন আয়াতের রেফারেন্স দিতে পারেন যেখানে গন্দম খাওয়ার কথা আছে? যতদুর জানি একটা গাছের কাছে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। আদম ও হাওয়া (আ.) ইবলিসের প্ররোচনায় সেই গাছের কাছে গিয়েছিলেন। এবং ইবলিস যে তাদের শত্রু সেটা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন।

তার পরও যদি আপনি যৌনতার সাথে গন্দম খাওয়ার তুলনা করতেই চান তাহলেও বলতে হয় আদম হওয়া (আ.) নিজেরা গন্দম খেয়ে নিজেরাই পৃথিবীতে পতিত হয়েছিলেন - কিন্তু আপনার বর্ণনায় গন্দম খায় একজন ফল ভোগ করে পৃথিবীতে আসে অন্যজন - তাদের সন্তান। এটা কেমন হল?

১০ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১:৫০

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. কুরান ‘সবকিছুই পরিস্কার করে বলছে’ ইহা আল্লাহর ঘোষনা। আপনি/আমি না বুঝলেই যে অপরিস্কার, অস্পষ্ট বা সংক্ষেপ এমন ভাবা আল্লাহর ঘোষনার প্রতি চ্যালেঞ্জ করা হয়। তবে হ্যা! পরিস্কার করে বলা হয়েছে জ্ঞানীদের কাছে, আপনার মত জ্ঞানী,আমার মত অজ্ঞানীদের কাছে নয়।

২. ধর্ম আর বিজ্ঞানে তিল পরিমাণো বিভেদ নেই। ধর্ম অর্থ ধারণ আর বিজ্ঞান ঐ ধারণই হাতেনাতে প্রমান করে। জ্ঞানের বাস্তব রূপই বিজ্ঞান।
মাশালা: আপনার মাথার মধ্যে কোথা থেকে উড়ে এসে উড়োজাহাজের আকৃতি যখন ধারণ করলো তখনই আপনি উড়োজাহাজী জ্ঞানী; অত:পর যখন তা লোহা-লক্বর দিয়ে বাস্তবে রূপ দিলেন তখনই আপনি বিজ্ঞানী।সুতরাং জ্ঞান ব্যতীত বিজ্ঞান অসম্ভব আর বিজ্ঞান ব্যতীত জ্ঞান অসম্পূর্ণ, অস্বীকৃত।
আল্লাহ জানলেও আপনার কিছু যায় আসেনা, না জানলেও কিছু আসে যায় না। তবে আল্লাহ না জানলে ম জ বাসার কুরান দিয়ে উহা ক্যামনে উপস্থিত করলো? বরই বাগানে বসবাসরত শরিয়তের আল্লাহর মত ম জ বাসারের ভিন্ন আল্লাহ আম বাগানে বাস করে না।

৩. নিশ্চিত হলাম কুরান অনুসরণে। কুরান বার বার বলছে বিবর্তন সুত্রে মানুষের আগমন। এই পৃথিবীর অনুকুলে বসবাসযোগ্য মানুষ অন্য পৃথিবীতে থাকতেই পারেনা। হয় এর তুলানায় নিচ অথবা উন্নত থাকতে পারে এবং আছে। এই দুনিয়ায়ই আমাদের উপর/নিচে মানুষই আছে; আমাদের বস্তু তাদের অন্তরায় নয়; তাদের বস্তু আমাদের দৃশ্যগোচর নয়।
[সাক্ষ্য-প্রমান আপন আপন স্বপ্ন জগত। এর চেয়ে অকাট্য প্রমান নেই; কারণ ম জ বাসার শতভাগ প্রশ্নের শতভাগ উত্তর দিয়ে শতভাগ সন্তুষ্ট করার গাই নয়।]
দেহের তিল পরিমাণ বিন্দু নেই যেখানে জীব নেই; অনুরূপ সৃষ্টির দেহেও এমন কোন বিন্দাতি বিন্দু পরিমাণ স্থানও নেই যেখানে জীব নেই। বস্তু যথায় উপস্থিত জীব সেখানে অনিবার্য। পাকস্থলি, পিত্ত, হার্ট, লাঞ্চ, রক্ত, হাড্ডি, চামড়া, মগজের জীব পরস্পর বিপরীত স্থানে নিক্ষেপ করা অসম্ভব।
আল্লাহ স্বয়ং কুরানে বারবার ঘোষনা করে যে, তার ছুন্নতে ব্যতিক্রম, পরিবর্তন, পরিবর্ধন বা রদবদল নেই। আপনার ধারণামতে আল্লাহ এমন কোন ছুন্নত প্রবর্তন করেছেন বলে আল্লাহ স্বয়ং ঘোষনা করে নি! প্রমানো দিতে পারবেন্না। ভবিষ্যতের কথা বলা বাতুলতা মাত্র। আল্লাহর কাছে দূর/নিকট নেই; সুতরাং পাঠানো বিষয়টা আল্লাহর কাছে হাস্যকর। আল্লাহ নিয়মের অধীন নয় বরং নিয়ম আল্লাহর অধীন।

৪. আগেই বলেছি মানুষ এমনকি শুকরো বানরের ঔরশজাত নয়; বানরো মানুষের ঔরশজাত নয়। তবে সকলেই পরস্পর জ্ঞাতিগোষ্ঠি, যেহেতু সকলেরই বাপ-মা আগুন, পানি, মাটি, বাতাস (তথ্য: কুরান)।

৫. ডারউইন/ম জ বাসার বলেনি যে মনুষ্যদেহ বানরদেহের অবিকল। ‘মত’ শব্দটা বুঝেন্তো? যেমন: ম জ বাসার ছাগলের মত প্রশ্ন করে। কেহ কারো কল/অবিকল নয়! যেহেতু সকলেই বিবর্তিত। কিন্তু প্রত্যেকের জীবনই অবিকল, একক-একাকার। বাল্ব, ফ্যান, মটর প্রভৃতির দেহ ভিন্নতর হলেও তাদের জীবন একক, একাকার এবং একটার পর আর একটা বিবর্তিত। সুতরাং দেহ নিয়ে এত মাথা ঘামানো নিষ্প্রয়োজন। জীবন/আত্মা ব্যতীত দেহের কোনই বিচার-আচার নেই। আপনার বাবার ৮/১০ বছরের ছবি দেখে ৭০ বছরের ছবি সনাক্ত করাই যেখানে কঠিন সেখানে মানুষ বনাম বানরের ছবির মিল খুজা অবান্তর। বিলিয়ণ ট্রিলিয়ণস্‌ বছরের বিবর্তন ৫০/৬০ বছরের মানুষের বুঝে আসা কঠিণই বটে। ১৪ বছরের যৌবনের আবেগ/আহল্লাদ মাত্র ৮ বছর পার্থক্যে ৬ বছরের শিশুকে দুনিয়ার সকল কিতাব গুলে খাওয়ালেও বুঝানো সম্ভব নয়!

৬. 'গন্দম' কোথাও পাইনি সত্য কথা। এখানে ইচ্ছে করেই শরিয়তের তড়িত বোধগম্যের জন্য শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে পুন: আপত্তি করলে মাফ চেয়ে উড্র করবো। উহার ব্যবহার মূখ্য নয়।
বিনীত।

৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:০১

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: গন্দম সংক্রান্ত ধারনাটা বদলানো প্রয়োজন - তাই এর ব্যাবহার কাম্য নয়। বিষেশ করে আপনারমত কোরআন বিষারদের কাছ থেকেতো নয়ই। কারণ আপনি যেহেতু দাবি করেন কোরআনের বাইরে কিছুই বলেন না সেই আপনিই যদি কোরআনে নাই এমন কথা বলেন তাহলে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে ভাবতে পারে বিষয়টা বুঝে কোরআনের কোথাও আছে।

আসল প্রশ্নটার জবাব কিন্তু দিলেন না - কোরআনের বর্ণনা মতে আদম ও(আ.) ও তার স্ত্রী ('হওয়া' নামটাও সম্ভবত কোরআনে নাই) আল্লাহর আদেশ অমান্য করে শয়তানের প্ররোচনায় নিষিদ্ধ গাছের কাছে গিয়েছিলেন। এর পরই আল্লাহ ওনাদের পৃথিবীতে নেমে যাওয়ার আদেশ দেন। আপনি এই লেখায় মানুষে যৌনতাকে সেই নিশিদ্ধ কাজ বা গন্দম খাওয়া বলেছেন - অথচ দেখা যাচ্ছে এখানে সেই কাজের পরিনতিতে সে নয় বরং তার সন্তান পৃথিবীতে আসছে - এটা কেমন হল?

আল্লাহর জন্য 'কাছে-দুরে' বা 'সময়ের আগে - পরে' কোন কিছুই প্রযোজ্য নয় ঠিকই কিন্তু মানুষের জন্য সবকিছুই অনস্বীকার্য। মানুষের জন্য কোরআনে দেয়া বর্ণনার ধারাবাহীকতায় আদম(আ.) গন্দম খাওয়া বা বিশিদ্ধ গাছের কাছে যাওয়ার আগে জান্নাতে ছিলেন - তার মানে কি মানুষ যৌনতার স্বাদ নেয়ার আগে পর্যন্ত জান্নাতে থাকে? অথচ আমরা বহু শিশুকেও দুরারোগ্য যন্ত্রনাদায়ক রোগে আক্রান্ত দেখি - জান্নাতের মানুষ কি রোগাক্রান্ত হয়?

আমার প্রশ্নগুলো হয়ত আপনার কাছে হাস্যকর লাগতে পারে - কারণ আমি আছি সেই পাহাড়ের পাদদেশে আপনি যেই পাহাড় চুড়ার ঠিক নিচে পৌছে গেছেন। অত উঁচু থেকে নিচের সবকিছু ছোট দেখানোই স্বাভাবিক - তাই না?

১১ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:৪৭

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
১. 'জান্নাত' শব্দের বংগানুবাদযোগে পুন: প্রশ্ন করুন? কারণ ঐ আরবি শব্দটি কিছুতেই বোধগম্য হচ্ছে না।
বিনীত।

৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:৩৪

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
আপনার ১পাতা প্রশ্নের উত্তরে আরাফের ২০-২৮ নং আয়াতসহ গুরুত্বপূর্ণ ছ্বাওয়াল/জবাব কেন মুছে দেয়া হলো? রহস্য বোধগম্য নয়!
বিনীত।

৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৯:৫৩

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন:
ও আচ্ছা, আপনার কাছেতো সবকিছুরই নিজস্ব ব্যাখ্যা আছে। তাহলে আপনার ব্যাখ্যানুসারেই বলুন যৌনতার স্বাদ নেয়ার আগে মানুষ কিভাবে জন্নাতে থাকে আর যৌনতার স্বাদ নিলেই কেন পৃথিবীতে নেমে যাওয়ার হুকুম হয়?

আর দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবতো দিতে পারতেন সেখানেতো কোন আরবী শব্দ ছিল না। কোআনের বর্ণনা মতে গন্দম যে খায় সেই পৃথিবীতে নেমে আসে - আপনার দর্শন অনুযায়ী গন্দম খায় পিতা-মাতা অথচ পৃথিবীতে আসে তাদের সন্তান - কেন?

যদি উত্তর দিতে না চান - তাহলে সরারসি বলুন - উত্তর দেব না বা উত্তর দিতে চাই না - সেটাই স্মার্ট আচরণ হবে। অহেতুক কথা পেচান ভদ্রতার লক্ষন নয় বলেই জানি।

১১ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১১:২৩

ম জ বাসার বলেছেন: ছালাম,
শর্ত ছিল: ঐ উত্তরের জন্য 'জান্নাত বা ইরানী বেহেস্তে'র বংগ শব্দ অবশ্যই ব্যবহার করতে সক্ষম হতে হবে। এবং তা আপনার সুবিধার জন্যই।
বিনীত।

৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ১২:২২

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন:
থাক, আপনাকে আর উত্তর দিতে হবে না। আশা করি আপনি নিজে উত্তরটা জানেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.