নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ হয়ে জন্মানোর মর্যাদাবোধের খোঁজে,,,,,
সুয়েটারে শরীর ঢেকে, মাফলারে কান-মুখ মুড়ে রিক্সায় তাজমহল রোড দিয়ে ফিরছিলাম। হু হু করে মেঘো হিম হাওয়া বইছে। "উহু...উউউ"
করে কাঁপতে কাঁপতে আনমনে নজরে এল--
বছর বারো বয়সের একটা ছেলে, সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে চলেছে। আমার অসচেতন মনে আপনাদের সচেতন সিটিজেন-মনের মতো ভাব হল-
"পেটে ভাত জোটে না আবার সিগা...রেট! এদের উন্নতি হবে?"
পরক্ষণেই ঠাণ্ডা হাওয়ার ঝাপটা এসে থাপড়ে যেন সজাগ করে দিয়ে গেল। ফিরে চাইলাম।
পরনে ফুল প্যান্ট। ময়লা আর তেল চিটচিটে প্যান্টটার মতো হাফ-হাতা টি-শার্টেরও একই দশা। আর অবশ্যই পায়ে জুতো নেই! হাতে ধরা চারটে লাল রঙের বেলুন, পিঠে বেলুন তৈরির সরঞ্জামে ভরা একটা ব্যাগ। পুষ্টিহীনতার চিহ্ন উঁকি দিচ্ছে ঠিকরে বেরুনো চোয়ালের হাড়ে। হাতের লাল বেলুন যেন জীবনের লালবাতি জ্বলে যাবার প্রতীক হয়ে উঠেছে।
বেলুন বিক্রেতা।
নতুন প্রতিষ্ঠান-অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে যে বেলুন আমরা ব্যবহার করি। গ্যাসভরা বেলুন উড়িয়ে প্রতিষ্ঠানের "আকাশ ছোঁয়ার" স্বপ্নকে জাহির করি! সেই "স্বপ্ন-ছোঁয়ার বেলুন" বিক্রেতা।
এবার হাসি পেল। নিজকে নিজে উপহাস করার জন্যে। খোদার ভিক্ষের দয়ায় জন্মের পর মা পথে ফেলে যায়নি। কিংবা বেলুন বিক্রেতা করেনি। কানা-খোড়া করেও পয়দা করেনি। কুকুর-বেড়াল করেও গড়েনি।
করলে কী আপিল করার সুযোগ ছিল?
'আমি স্বচ্ছল পরিবারে জন্মাতে চাই'---এতটুকুও বলতে পারতাম না। ভিক্ষের মালে ফুটানি! লজ্জা হওয়া উচিৎ।
কুকুর-বেড়াল, কানা-খোড়া যাই বানাক না কেন, কিচ্ছু বলার সুযোগ ছিল না। তার ভাল লেগেছে তাই নেহাত মানুষ করে গড়েছে।
কেমন যেন অচেনা একটা অনুভূতি হল। ভাবলাম...
সোয়েটার, মাফলার, জুতোতে যে শীত মানে না, সে শীত যদি কেউ হাফ-হাতা টি-শার্ট আর খালি পায়ে একটা সিগারেটে মানানোর চেষ্টায় থাকে আর সেটাতে ভদ্রতা খোলস পরা সিটিজেনের চুলকানি হয়, তো---
Only one Rule..
FUCK WHAT THEY THINK!
[img|https://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/MSSen/MSSen-1547791149-c3ee12e_xlarge.jpg
২| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৫
মা.হাসান বলেছেন: আপনি সম্ভবতঃ অনেক আগের কথা লিখেছেন। দেশে কিন্তু এখন আর এরকম গরিব নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: বড্ড অগোছালো পোষ্ট।