নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছুই হয়নি মর্মে জানা/ \"জানি জানি\"--তবুও চড়াই গলা/ আমি কত বড় তালকানা!

মাস্টারদা

মানুষ হয়ে জন্মানোর মর্যাদাবোধের খোঁজে,,,,,

মাস্টারদা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাসি খবর (গল্প)

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৫৪



"তোর বাপের ভিটের সাকেন কে গা বৌঠান?"___হাতের জিনিস গুলো রাখতে রাখতে থড়বড় করে বললে দাসী। অনেকদিন পর নামটা শুনে বুকের মাঝখানটায় যেন 'ছ‍্যাঁৎ'__করে ওঠে মন্দিরার। আধ বোনা সুয়েটারে হঠাৎ লাজ রাঙা মুখ গুজে পড়ে থাকতে চায় এতক্ষণে পরমানন্দে কাজ করে যাওয়া সোনামুখী সুই।

"দাদা সম্পক্কে হয়, আমাগে বাড়ির পাশে বাড়ি।" ক্ষণিকে সামলে নিয়ে সেই আনত মুখেই বললে_____"ক‍্যান? কী হইছে?" এতক্ষণে চাইলে চোখ তুলে। গলাটা যথাসম্ভব নিরাসক্ত মনে হলেও চোখের চিকচিকে ব‍্যাকুল কৌতূহলটা কিন্তু কৌতুক করলে না। ঠিকই ঠিকরে দিলে মনান্তের আকুতি।

"খানিক আগে সদর দোরে কে গা এক ফেরিআলা এয়ে ছিল। কুতার ফেরে বাত্তা দে গেলে, সে নোক নাকি কাল নাতে মোরেচে!''____

মুহূর্তে যেন শ্রাবণ-শ‍্যামল মেঘে মিলে হেমন্তের চাতাল ঘিরে নিলে। বায়ু কোণ বরষার মেঘে মেঘে উঠলে বেড়ে;
চোখ রাঙানি শুরু করলে ঘূর্ণি বাতাসে চূর্ণী করা দম্ভোলী। আর হাজার ঝরার মিছিল নিয়ে অশ্রু-বারি-বাষ্পকণারা আবেগের বাঁধে এমনে এসে দাঁড়ালে যে সামান্য মাক্ষিকার পাঙ্খার পরশেও হয়তো ঈশ্বরের সাক্ষী করা ঘর-স্বামী-সংসারের সব বাঁধাকে মিথ‍্যে করে দিয়ে মুহূর্তেই সবটাই চিরতরে অকূলে ভাসায়ে নিয়ে যাবে।

প্রায় ঠিক একই সময়ে আরেক পাশে আয়োজন করে এলো শুকনো খটখটে রুক্ষ শ্রীহীন নিদাঘ-চৈত্র-বোশেখ। ঘোর বিপদে ফেলে চলে যাওয়ার অভিমানী রুদ্র, বুড়ো বাপের হেট করা মাথা ___সব মিলায়ে বাদল-বৃষ্টির ছায়াকেও মুহূর্তের ফুৎকারে নাই-করে নিয়ে গেল দৃষ্টিসীমার বাইরে।
এমনি দুই বৈপরীত্যে কেউ কাউরে রাজ করতে দিলে না। বাতিঘরের মতো উত্তাল সায়র আর ভূমির মিল হয়ে মাঝে শুধু একা দাঁড়ায়ে থাকলে সাকেনের মন্দির!

"ওওওও__মাআআ___! কী সুন্দর সেলা...ই!"____দু'গালে হাত দিয়ে বিস্ফারিত নয়ানে চেয়ে থাকলে খানিক। তারপর দু'হাতে মেলে ধরলে সামনে ____"অ‍্যাঁ...এ আধ্বেক ক‍্যান?"
"এ সোয়েটার আধ্বেক ক‍্যানো? দাদি! দাদি____"

পুরো রুম প্রায় ধূলোর চাঁদরে মুড়ে আছে। শব্দ অনুসরণে বুড়ি ঘুরে দেখলে তিন যুগের পুরনো "আধখানা খবর" দু'হাতে মেলে আছে ছ'বছরের পুতনি। নিচের খোলা মরচে ধরা ট্রাঙ্কে হাত ধরাধরি করে গড়াগড়ি যাচ্ছে চারটে রঙিন সুতোর পুটলি।


[ছবির উৎস পিন্টারেস্ট। অনেক আগের কী একটা কাজে ভালো লাগা থেকে নামিয়েছিলাম। তাই বাকিটা বিস্মৃত হয়েছে।]

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৪০

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: পুরা মাথার উপর দিয়া গেলো।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: গল্পে মায়া আছে। ভাল লেগেছে। + +

৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১০

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর গল্প।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.