নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছুই হয়নি মর্মে জানা/ \"জানি জানি\"--তবুও চড়াই গলা/ আমি কত বড় তালকানা!

মাস্টারদা

মানুষ হয়ে জন্মানোর মর্যাদাবোধের খোঁজে,,,,,

মাস্টারদা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডায়েরির পাতায়; ভালোলাগা দিন

১১ ই মার্চ, ২০২১ রাত ২:৫০



মার্চের মাঝামাঝি; ২০১৯।
ছাত্রী পড়িয়ে ফিরছি। ন'টার একটু উপরে বাজে। এরই মধ‍্যে মাথার 'পরে একফোঁটা আধফোঁটা করে আকাশ গলা শুরু করেছে। কিন্তু কি যেন এক অচেনা কারণে মন তার উল্টো রথে দখিনে হাওয়া বইয়ে চলেছে। 'সুখি সুখি' ঠিক বলা যাবে না তবে আবহ যেন খানিকটা তেমনি।

ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ একদিনের ম্যাচ চলছে। খেলার যা পরিস্থিতি; ইন্ডিয়া নিশ্চিত হারবে। ১৭ না ১৮ বলে ৬ রান লাগে! সিরিজ ২-২ এ সমতা। সিরিজ জমে গেছে; ____এইটে একটা কারণ হতে পারে। "হতে পারে"___ বলার কারণটা হচ্ছে, "ভালো সময়ে ভালোর মর্ম, ফুরিয়ে যাবার আগ পর্যন্ত কেউ ঠিক ঠিক বোঝে না।" যেটা আমি টের পেলুম আরো খানিকটা পরে।

যাইহোক, খেলার শেষ ক'টা বল দেখার আশায় দাঁড়িয়েছিলাম ফুটপাতে, এক টিভি শোরুমের সামনে। শান্তিতে দেখায় বাধ সাধলো বছর তিনেকের এক পিচ্চির "মোতোপাৎলো! মোতোপাৎলো!" চিল্লানিতে!

আমার ঠিক সামনেই ছিল সে। এক হাতে আধ-খাওয়া গাজর। মাথায় রাস্তার ধূলো জমে "সদ্য শেষ হওয়া গাঁয়ের ফুটবল মাঠের রূপ" ধরেছে। পথের সে রাজা! পথই যেন তার মহেশ্বমতি সম্রাজ্য! তাই পরনের একমাত্র বাস হাফপ্যান্টটা পথের আশির্বাদে বিচিত্র এক রঙ ধরেছে। চট করে ঠিক চিনে ওঠা যায় না ওটার আসল রঙটা।
মা তার আরেক হাত ধরে টানছে আর সে সমানে চিল্লায়ে যাচ্ছে, 'মোতোপাৎলো! মোতোপাৎলো!'

অবশেষে মহিলাটি রণে ভঙ্গ দিয়ে চলে গেল। ততক্ষণে ওর দৃষ্টি অনুসরণ করে দেখি যেটাতে খেলা দেখাচ্ছে তার পাশেরটায় কার্টুন হচ্ছে। এতক্ষণে বুঝলাম ওটা আসলে মোতোপাৎলো! নয়; "মোটু-পাতলু"। সেটিতেই তার মন নিবিষ্ট হয়ে আছে।

ভাবলাম, 'ও কেমন করে কার্টুনে চিত্ত নিবিড় করে রাখছে? এতগুলো লোক যখন খেলায় মগ্ন!'

পাশের টিভিতে কার্টুন হচ্ছে অথচ এতক্ষণে তো আমিও খেয়াল করিনি! পরক্ষণে পাল্টা প্রশ্ন এল, 'আমি কিভাবে পাশের টিভির কার্টুন খেয়ালই করলাম না?'
প্রশ্নটা কিন্তু সহজ। উত্তরও সবার জানা। ___কিন্তু ভাবতেই দেখি তাজ্জব ব‍্যাপার! 'কিভাবে হলো?'

মন-বয়স-অভিজ্ঞতা অনেক অনেক কিছু ঠিক করে দেয়। কী ভাববো, কী রাখবো, আর কী দেখবো। আর আমরা তাতে মগ্ন হই সম্পূর্ণ বিস্মৃতির অতলে তলিয়ে। খেয়ালই করিনে একটু একটু করে পশ্চিমে বেলা ডুবতে বসে। পরে মেঘ যখন সরে যায়, দেখি পড়ন্ত বিকেলের আলো। বেলা বাকি অতি অল্প, কিন্তু পড়ে আছে সারাটা দিনের কাজ!

এই বয়সে রাস্তাতেই কার্টুন দেখছে নতুন দিনের আলো! রাস্তা তো আলোকিত হচ্ছেই কিন্তু মঞ্জিলে যে বাতি নিভু নিভু!
এবারে আকাশ গলার পরিমাণ বাড়ার সাথে সাথে মনটাও ভিজে উঠল।

খেলা দেখা আর হলো না!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৪:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিরাট ভাবের বিষয়?

১১ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৫:৫৫

মাস্টারদা বলেছেন: উপলব্ধির তো বটেই।

২| ১১ ই মার্চ, ২০২১ ভোর ৬:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কোন কারণে উদ্বেলিত হয়েছিলেন, হয়তো; তবে, লেখায় উহা নেই।

৩| ১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:১৮

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: সুন্দর উপলোব্ধি।
ভালো থাকুন ।

৪| ১১ ই মার্চ, ২০২১ সকাল ৯:৫৮

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: দারুন উপলব্ধি

৫| ১১ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ১২:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
গুরুগম্ভীর ভাবনা।
চমৎকার অভিব্যক্তির প্রকাশ !!
দারুন বলেছেন, গাজীসাবের কাছে
এটা নস্যি । মাদ্রাসার ছাত্র পিটিয়ে
মেরে ফেললেও তার কঠিন হৃদয়ে দাগ
কাটেনা!! সব কিছুই তার কাছে বিস্বাদ !!

৬| ১১ ই মার্চ, ২০২১ দুপুর ২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো অনুভব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.