নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছুই হয়নি মর্মে জানা/ \"জানি জানি\"--তবুও চড়াই গলা/ আমি কত বড় তালকানা!

মাস্টারদা

মানুষ হয়ে জন্মানোর মর্যাদাবোধের খোঁজে,,,,,

মাস্টারদা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভূরাজনীতি; ইউক্রেনে রাশিয়া

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:১২


অনেকদিন পরে, আপনাদের মন দ্বারে। কেমন আছেন সকলে? যাইহোক কথা না বাড়ায়ে তাড়াতাড়ি, আসল আলোচনা পাড়ি।

যুক্তরাষ্ট্র আর তার ইউরোপের দোস্তরা মিলে জাতিসংঘের ম্যানডেট ‘রেসপনসিবিলিটি টু প্রটেক্ট’ (আরটুপি) ব্যবহার করে লিবিয়ার মতো জোট মুক্ত, আর সুন্দরী বউ (জ্বালানী) থাকা রাষ্ট্রে হামলে পড়েছিল। সেসব দেশগুলো ধ্বংস করে তবেই ছেড়েছে। তখন কেউ কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়ায়নি, নাক উঁচু করেনি। কলোসিয়ামের কালো সিটে বসে অসম রক্তক্ষয়ী গ্লাডিয়েটরসের মরণ খেলা দেখে মজা নিয়েছে। (যুদ্ধ কখনোই শান্তি আনে না) আর সেই একই ফান্দে ফেলিয়া রাশিয়া যেই না তাহাদের এক পড়শিকে পাকড়াও করিতেছে, ওমনি সকলে মিলিয়া কাঁই কাঁই করিয়া উঠিতেছেন! কিন্তু ফাঁদটা তো একান্ত আপনার, নিজেদের!
এখন তো মনে হচ্ছে, রাশিয়ার ওপর ওইসব স‍্যানশন ম‍্যাঙশন কিছুই দেবে না। দেখেন কী হয়।

গোলান মালভূমি, পূর্ব জেরুজালেম নিতে সাহায্য করে তা ইসরায়েলের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল ট্রাম্প। তা অবৈধ ছিল না? শত শত মা'র বুক খালি হচ্ছে এখনো। স্বাভাবিক; স্বদেশের স্বাধীনতা সবাই চায়। (হিংসাকে সমর্থন করিনে) কিন্তু গরীবের গলায় পা দেয়ায় তখন কেউ গলা তোলেনি। ইনসাফ তো মাজহাব দেখে আসে না। ইনসাফ কানা। ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলকে পুতিন ঠিকই ট্রাম্পিয় কায়দায় স্বীকৃতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যেভাবে নিজের সুবিধা নিতে ইসরায়েলে কাজ করেছে ঠিক একই ভাবে রাশিয়াও এগুচ্ছে।

বিভিন্ন দেশে সরকার পরিবর্তনে উঙলি করে যুক্তরাষ্ট্র। তার সমর্থক পুতুল খেলা পাতাবার পায়তারা করে। সর্বশেষ ভেনেজুয়েলায় করেছে এই আকাম। ইউক্রেনে পুতিনও তো ইউএসএ-র মতোন সেই পুতুল সরকার বসানো নিয়েই ইনিয়ে-বিনিয়ে এই কাজের জন‍্যই সবকিছু করছে!

পথ তাদের একই। বুশ-বারাক "অস্ত্র-সন্ত্রাসের বিশাল মজুদে''র মুলো দেখায়ে মানুষ মারার খেলা খেলেছিল, আর আজ রাশিয়া গাইছে "গণহত‍্যা ঠেকানোর গান"। মূল উদ্দেশ্য একই, শক্তি দেখানো, নিজের নিরাপত্তার ন‍্যাকামি ধো তুলে খেলাচ্ছলে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ মারা। তারপর ওবামা ছাঁদে হয়তো বলবে ____সরি।

আগের ব্যর্থতা থেকে, আফগান, সিরিয়া, ইরাক, ইয়ামেন, লিবিয়ায় হামলার ভুল থেকে এরা শেখেনি। শেখেনি কোনো মোড়লই। রাশিয়াও না। আর কুকুরের লেজ সোজা হবে বলে মনে হয় না।

আগের স্নায়ুযুদ্ধ শেষে বড় মাথাদের কেউই আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের দাবনার জোর দেখায়ে গেছে। ইউক্রেনে এ হামলা সেই বাহুবল প্রকাশের একটা রূপ। নিজেদের মধ‍্যে ভাগ বাটোয়ারা করে, শুধুই নিজেদের সুবিধা বিচার করে যাওয়া ছোটলোক হ‍্যায় এইসব। নিজের স্বার্থের বাইরে যদি কমজোরের মাথায় ছায়া না হতে পারে তাহলে সে কিসের বড়?


ছবি: @mro_dessine
বিশ্লেষণ: আল জাজিরা থেকে খানিকটা।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:১৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ইউক্রেন বলির পাঠা হয়ে গেলো।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩১

মাস্টারদা বলেছেন: কালের কোলে কোলে দুনিয়া জুড়ে এমনি করে দুর্বলে ইউক্রেন হয়ে যায়।

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:২৯

বিটপি বলেছেন: এত খুশি হবার কিছু নেই। রাশিয়ার কর্মকান্ড চীন আর ভারত গভীরভাবে অবজার্ব করছে। তাইওয়ানকে খাওয়ার জন্য চীন হাই হাই করছে। আর ভারত কাকে শিক্ষা দিতে চায়? পাকিস্তানকে? আপনারা বোকার স্বর্গে আছেন। ভারত তাকেই আক্রমণ করবে, যার সাথে কোন বাধা ছাড়াই জিততে পারবে।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৩

মাস্টারদা বলেছেন: একমাত্র বোকারাই যুদ্ধে খুশি হয়। চীনা থিওরি ভালো। কিন্তু পরেরটা বোধহয় বাজারে এখন কাটবে না।
ধন্যবাদ

৩| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ। শেষের প্রশ্নটার জন্য ধন্যবাদ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫৪

মাস্টারদা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: জাতিসংঘ কি করছে?

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫৮

মাস্টারদা বলেছেন: জাতিসংঘ তো বৈশ্বিক শক্তির সমষ্টি। বিপত্তিটা হল রাশিয়া পরমাণু শক্তিধর, অপর পক্ষেও তাই। তখন বিশ্বযুদ্ধ লেগে যাবার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। পারমাণবিক যুদ্ধ লাগলে সব শেষ হবে।

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: বর্তমান বিশ্বে সামরিক যুদ্ধ থেকেও বড় যুদ্ধ অর্থনৈতিক যুদ্ধ। যদি এ দিক থেকে হিসেব করি তাহলে রাশিয়ার অবস্থা হলো - "নিজে মরলে সবগুলোকে নিয়ে মরবো" এই টাইপের।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:০৪

মাস্টারদা বলেছেন: সব পক্ষের দোষ আছে। রাশিয়ার বাড়ির পেছনে (লিথুয়ানিয়ায়) ন‍্যাটোর মিসাইল বসিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেনকেও অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা চালাচ্ছে। রাশিয়ার অনেক যুক্তিতর্কের এটা অন‍্যতম।
আর এই জন‍্যেই আমি অন‍্যের বাড়ি ট‍্যাঙ্ক নিয়ে গিয়ে হাজির হব__ সেটা তো কখনোই উচিত নয়।

৬| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩৮

জ্যাকেল বলেছেন: যুদ্ধে কেহই জয়ী হয় না। পরাজিত হয় মানবতা, আর অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সাময়িক সুবিধা/লাভ হয়। উক্রেনের এই দশার পেছনে তাদের রাষ্ট্র পরিচালনা/সরকারের মারাত্মক ভুল ছিল। যাক, দিনশেষে মানুষ মরছে, মানবতার ওপরই আঘাত হইতেছে। খুব খারাপ!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১৫

মাস্টারদা বলেছেন: ইউক্রেনের নিজের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবার অধিকার যেমন আছে ঠিক একইভাবে ১৯৯১ সোভিয়েত ভাঙার সময়কার করা চুক্তি অনুযায়ী ন‍্যাটোরও উচিত ছিল শান্তির জন‍্যে ইউক্রেনকে ন‍্যাটোভুক্ত না করার প্রতিশ্রুতি রক্ষার চেষ্টা করা। তাতে সামরিক উস্কানিটা হতো না।
আবার বলকান অঞ্চলে ইইউয়ের সম্প্রসারণের নীতি নিয়ে অর্থনৈতিকভাবে রাশিয়াকে আটকাতে চাইছে। আর এই সবকে ঢাল করে রাশিয়া গেল মানুষ মারতে।
মূল কথাটা হলো সবাই শান্তির কথা বললেও কেউই শান্তি রক্ষায় নমনীয় মানসিকতা দেখায়নি। মরছে সাধারণ মানুষ। ক্ষতি সাধারণ মানুষের।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২৪

মাস্টারদা বলেছেন: অস্ত্র ব‍‍্যবসা খুব গভীরে জড়িত। আমরা যতটা সহজ ভাবি অতটা সহজে এড়ানো যায় না। তারা তাদের লাভ দেখে যুদ্ধে উস্কানি দেয়।

৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমার দুটা মন্তব্যের খুব সুন্দর উত্তর দিয়েছেন। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

৮| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: ইউক্রেনবাসী যেন প্রতিরোধ করার সক্ষমতা অর্জন করতে পারে মনেপ্রাণে সেই কামনা করছি। তারা যেন বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে মানসিকভাবে শক্তিশালী হয় এবং গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে রুশ হানাদারদের প্রতিরোধ করতে পারে।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:২১

মাস্টারদা বলেছেন: তাতে নরহত‍্যা বন্ধ হবে না। এর থেকে বোধহয় ভালো হতো যদি ইউক্রেন নিশ্চয়তা দিতো যে তারা নেটোতে যোগ দেবে না। আর যুদ্ধ যেহেতু রাশিয়া শুরু করেছে তাই তারা শুধু ক্ষতিপূরণ দেবে। তাতে মনেহয় দুকুল রক্ষা হতো। অন্তত ক‍্যাজুয়াল্টি এড়ানো যেত।

৯| ০২ রা মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৩০

জ্যাকেল বলেছেন: আজকে উক্রেইন দখল করেছে রাশা, কালকে যদি ইন্ডিয়া দখল করতে চায় বাংলাদেশ তবে কি হইবে? খুবই খারাপ একটা নজির হইয়া থাকিল।

২৬ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৩৫

মাস্টারদা বলেছেন: হ‍্যাঁ, ঠিক তাই। অন‍্যায়কে অন‍্যায় বলাটা সব সময় দরকার এবং জরুরি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.