নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ হয়ে জন্মানোর মর্যাদাবোধের খোঁজে,,,,,
ঝুম নেমেছে ঝারার ধারা। সঙ্গে আছে হিমেল হাওয়ার নাচন। ভাঙাচোরা লঞ্চ ঘাটে ভাটার টানে পল্টন নদীর বুকে স্লিপ খেয়ে নামতে উচাটন। মিছাই বাঁধা ঘাটের মোটা মোটা শেকলে। বন্ধন মুক্তির আকুতিতে দুরন্ত ছেলে যেন মা'র হাত ফসকাতে বৃষ্টি ভেজা কান্না চোখে আছে ঝুলে।
এমনি বর্ষা মুখর গাঁয়ের রাতে, ঘড়ির কাটা কিছু আগে চুমে গেছে সাড়ে দশটার ঘরটাতে। কোথাও নেই কোনো আলো। নদীর এ পাড়, ও পাড়, বুকের পুরোটা মুড়ে আছে আঁধারের চাদরে; কালো। দূরের মিটি মিটি আলোরা যেন আকাশের ঘুম চোখ।
কী সৌন্দর্য! অপার্থিব!
অনেকদিন পর ঠিক করেছিলাম লঞ্চযোগে রাজধানীর ধূলোর সাগরে সামিল হব। মাঝে একটা যাত্রা বিরতি হবে, যানও যাবে বদলে। কিন্তু সকাল থেকে থেকে থেকে মেঘ বাবাজি রোদ রূপসীর সরোস মুখ দেখাতে নারাজ। দুপুরের পরে তো এক্কেবারে নাকে কান্না শুরু করলে।
আর সাঁঝের সাথে সাথে হিম হিম হাওয়াতে কাদা-জল-আর হাড়ের কাঁপনে কাঁপনে মুড়ি ভাজার অবস্থা বানিয়ে নিয়ে বসলে।
এই ঝড়ো পরিবেশ!
রাতের নৌ ভ্রমণ! রোমঞ্চের সমাবেশ।
'কে নিতে চায় আর কে মিস করতে চায়' জানিনে কিন্তু আমি বোধহয় মানুষের কাতারে পড়িনে!
বৃষ্টির বরে যাত্রীরা আগেভাগেই গেছে ফিরে। ঠাণ্ডার ঠেলায় ঘাটওয়ালা ভেগেছে আরো আগে। তারপরে পুরো পরিবেশ... নিশ্চুপ। একেলা একা! না না, বে ভুল। গাঙের স্রোত সেতারে বৃষ্টির টুপ টাপ সুরে সাথে নিয়ে হাওয়ারে শোঁ শোঁ ধুন আছে আশেপাশে।
হালকা হালকা ঝালকা দিয়ে উস্তাদ আমজাদ আলীর "রাগ পিলু" ফোনে অন করে দিয়ে চোখ বুজে দাঁড়ায়ে...
বারির ঝম ঝম...
বাতাসের শোঁ শোঁ...
আঁধারের আলখেল্লায়...
দু'চারটে ভেক ডাকে ঘ্যাঁ ঘ্যোঁ...
সারদের তালে তাল...
মাতাল মাতাল,
পুরো পরিবেশটা যেন মাতাল মাতাল!
লেগে থেকে স্মৃতির জিভে চিত্তকে করিবে উত্তাল।
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৫
মাস্টারদা বলেছেন: ধন্যবাদ। চারপাশে এমনি কত কী ঘটে..!
২| ০১ লা মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর আবেগের প্রকাশ।
০২ রা মার্চ, ২০২২ রাত ১:৫৫
মাস্টারদা বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৭
ফয়সাল রকি বলেছেন: দমকা হাওয়াসহ একপশলা বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়ে গেল।
+++