নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশা ব্যবসা ও চাকরি। জ্ঞানভিত্তিক জীবনদর্শনে বিশ্বাসী। নির্জনে ও নীরবে প্রকৃতির নৈসর্গিক রূপ উপভোগ করতে ভালোবাসি। বই পড়তে, ভ্রমণ করতে, একলা চলতে এবং জটিল চরিত্রের মানুষ থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করি। –এম. জেড. ফারুক

এমজেডএফ

কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী

এমজেডএফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রজনীকান্ত সেনের গান ও কবিতা

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৩৯



রজনীকান্ত সেন (২৬ জুলাই, ১৮৬৫ - ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯১০) প্রখ্যাত কবি, গীতিকার এবং সুরকার হিসেবে বাঙালি শিক্ষা-সংস্কৃতিতে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। বাংলা ভাষায় যে পাঁচজন কবি কবিতার পাশাপাশি সঙ্গীত রচনায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন, তাদের বলা হয় ‘পঞ্চকবি’। রজনীকান্ত সেন সেই ‘পঞ্চকবি’দেরই একজন। অন্যরা হলেন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, অতুল প্রসাদ সেন। রজনীকান্তের অসংখ্য গান ও কবিতা এখনও রয়ে গেছে অশ্রুত কিংবা স্বল্পশ্রুত। অথচ রজনীকান্তের গানে বাণী ও ছন্দের যে মেলবন্ধন, সুরের যে অপূর্ব লয়, সর্বোপরি ভাবের যে গভীরতা, তা এককথায় অতুলনীয়। রজনীকান্তের জীবদ্দশায় তাঁর তিনটি বই প্রকাশিত হয়: 'বাণি', 'কল্যাণী', 'অমৃত'। আর মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয় পাঁচটি গ্রন্থ: 'অভয়া', 'আনন্দময়ী', 'বিশ্রাম', সদ্ভাবকুসুম ও শেষদান। এসব গ্রন্থে প্রকাশিত তাঁর গানগুলোকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়- দেশাত্মবোধক, ভক্তিমূলক, প্রীতিমূলক ও হাস্যরসাত্মক গান। তাঁর মোট গানের সংখ্যা ২৯০টি। তবে তাঁর অসংখ্য গান হারিয়ে গেছে বলেই জানা যায়। গীতিকবি রজনী কান্ত সেনের জন্ম তৎকালীন পাবনা জেলার সিরাজগঞ্জ মহকুমার ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামে। মাত্র ৪৫ বছর বয়সে কলকাতা মেডিকেল কলেজের কটেজ ওয়ার্ডে এই মহান কবি পরলোক গমন করেন। আজ কবির ১৫৪তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু কবিতা ও গান এখানে তুলে ধরলাম। (বহিঃসংযোগ: রজনীকান্ত সেনের জীবনী - উইকিপিডিয়া)

স্বাধীনতার সুখ
বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,
"কুঁড়ে ঘরে থাকি কর শিল্পের বড়াই,
আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা পড়ে
তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে।"
বাবুই হাসিয়া কহে, "সন্দেহ কি তায়?
কষ্ট পাই, তবু থাকি নিজের বাসায়।
পাকা হোক, তবু ভাই, পরের ও বাসা,
নিজ হাতে গড়া মোর কাঁচা ঘর, খাসা।"

মায়ের দেওয়া মোটা কাপড়
মায়ের দেওয়া মোটা কাপড়
মাথায় তুলে নে রে ভাই;
দীন-দুঃখিনী মা য়ে তোদের
তার বেশী আর সাধ্য নাই।
ঐ মোটা সূতোর সঙ্গে, মায়ের
অপার স্নেহ দেখতে পাই ;
আমরা, এমনি পাষাণ, তাই ফেলে ঐ
পরের দোরে ভিক্ষা চাই |
ঐ দুঃখী মায়ের ঘরে, তোদের
সবার প্রচুর অন্ন নাই ;
তবু, তাই বেচে কাচ, সাবান মোজা,
কিনে কল্লি ঘর বোঝাই |
আয়রে আমরা মায়ের নামে
এই প্রতিজ্ঞা ক’রব ভাই ;
পরের জিনিষ কিনবো না, যদি
মায়ের ঘরের জিনিষ পাই |

তুমি নির্মল কর মঙ্গল করে

তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে ।।
তব, পূণ্য-কিরণ দিয়ে যাক্, মোর
মোহ-কালিমা ঘুচায়ে।
মলিন মর্ম মুছায়ে ।
তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে ।

লক্ষ্য-শূন্য লক্ষ বাসনা ছুটিছে গভীর আঁধারে,
জানি না কখন ডুবে যাবে কোন্
অকুল-গরল-পাথারে!
প্রভু, বিশ্ব-বিপদহন্তা,
তুমি দাঁড়াও, রুধিয়া পন্থা;
তব, শ্রীচরণ তলে নিয়ে এস, মোর
মত্ত-বাসনা গুছায়ে !
মলিন মর্ম মুছায়ে ।
তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে ।

আছ, অনল-অনিলে, চিরনভোনীলে, ভূধরসলিলে, গহনে;
আছ, বিটপীলতায়, জলদের গায়, শশীতারকায় তপনে।
আমি, নয়নে বসন বাঁধিয়া,
ব’সে, আঁধারে মরিগো কাঁদিয়া;
আমি, দেখি নাই কিছু, বুঝি নাই কিছু,
দাও হে দেখায়ে বুঝায়ে।
মলিন মর্ম মুছায়ে ।
তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে ।
তব, পূণ্য-কিরণ দিয়ে যাক্, মোর
মোহ-কালিমা ঘুচায়ে।
মলিন মর্ম মুছায়ে ।
তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে ।



পরোপকার
নদী কভু পান নাহি করে নিজ জল,
তরুগণ নাহি খায় নিজ নিজ ফল,
গাভী কভু নাহি করে নিজ দুগ্ধ পান,
কাষ্ঠ, দগ্ধ হয়ে, করে পরে অন্নদান,
স্বর্ণ করে নিজরূপে অপরে শোভিত,
বংশী করে নিজস্বরে অপরে মোহিত,
শস্য জন্মাইয়া, নাহি খায় জলধরে,
সাধুর ঐশ্বর্য শুধু পরহিত-তরে।

নমো নমো নমো জননি বঙ্গ !
উত্তরে ঐ অভ্রভেদী,
অতুল, বিপুল, গিরি অলঙ্ঘ্য।
দক্ষিণে সুবিশাল জলধি,
চুম্বে চরণ তল নিরবধি,
মধ্যে পূত-জাহ্নবী-জল-ধৌত
শ্যাম-ক্ষেত্র-সঙ্ঘ।
বনে বনে ছুটে ফুল পরিমল,
প্রতি সরোবরে লক্ষ কমল,
অমৃতবারি সিঞ্চে, কোটি
তটিনী, মত্ত, খর-তরঙ্গ,
কোটি কুঞ্জে মধুপ গুঞ্জে,
নবকিশলয় পুঞ্জে পুঞ্জে,
ফল-ভার নত শাখি-বৃন্দে
নিত্য শোভিত অমল অঙ্গ !

যারে মন দিলে আর ফিরে আসে না
যারে মন দিলে আর ফিরে আসে না,
এ মন তারে ভালবাসে না!
যাদের মন দিতে হয় সেধে সেধে,
প্রেম দিতে হয় ধরে বেঁধে,
তাদের মন দিয়ে, মন মরে কেঁদে,
আর, জন্মের মত হাসে না!
ফেলে দে মন প্রেম-সাগরে,
হারিয়ে যাক্ রে চির-তরে,
একবার, পড়লে সে আনন্দ-নীরে,
ডুবে যায়, আর ভাসে না।

শ্যামল-শস্য ভরা
শ্যামল-শস্য ভরা
চির শান্তিবিরাজিত, পুন্যময়ী;
ফল-ফুল-পূরিত; নিত্য সুশোভিত;
যমুনা সরস্বতী গঙ্গা বিরাজিত।
ধূর্জটি বাঞ্ছিত হিমাদ্রি মন্ডিত;
সিন্ধু গোদাবরী-মাল্য-বিলম্বিত;
অলিকুল গুঞ্জিত-সরসিজ-রঞ্জিত।
রাম-যধিষ্ঠিত ভুপ-অলকৃত
অর্জুন ভীষ্ম শরাসন টঙ্কত;
বীর প্রতাপে চরাচর শঙ্কিত।
সামগানরত আর্য্য তপোধন,
শান্তি সুখান্বিত কোটি তপোবন;
রোগ-শোক দুখ পাপবিমোচন।

শুনাও তোমার অমৃত বাণী
শুনাও তোমার অমৃত বাণী,
অধমে ডাকি, চরণে আনি।
সতত নিষ্ফল শত কোলাহলে,
ক্লিষ্ট শ্রুতি যুগ কত হলাহলে
শুনাও হে-
শুনাও শীতল মনোরসায়ন
প্রেম-সুমধুর মন্ত্রখানি।
হউক সে ধ্বনি দিক প্রসারিত
মিশ্র কলরব ছাপিয়া,
উঠুক সে ধবনি শিহরি’ পুলকে
কাঁপিয়া, সুখে কাঁপিয়া,
বিতরি’এ ভবে শুভ বরাভয় ;
রুগ্মে করি’;হরি চির নিরাময়,
শুনাও হে-
শুনাও দুর্বল চিত্ত, হে হরি!
তোমারি শ্রীপদ নিকটে টানি।।

আমি তো তোমারে চাহিনি
আমি তো তোমারে চাহিনি জীবনে তুমি অভাগারে চেয়েছ;
আমি না ডাকিতে, হৃদয় মাঝারে নিজে এসে দেখা দিয়েছ।।
চির-আদরের বিনিময়ে সখা! চির অবহেলা পেয়েছ
আমি দূরে ছুটে যেতে দুহাত পসারি ধরে টেনে কোলে নিয়েছ।।
ও পথে যেও না ফিরে এস বলে কানে কানে কত কয়েছ
আমি তবু চলে গেছি ফিরায়ে আনিতে পাছে পাছে ছুটে গিয়েছ।।
এই চির অপরাধী পাতকীয় বোঝা হাসি মুখে তুমি বয়েছ,
আমার নিজ হাতে গড়া বিপদের মাঝে বুকে করে নিয়ে রয়েছ।।

বড় বিদ্যে করেছি জাহির
রাজা অশোকের কটা ছিল হাতি,
টোডরমল্লের কটা ছিল নাতি,
কালাপাহাড়ের কটা ছিল ছাতি,
এসব করিয়া বাহির, বড় বিদ্যে করেছি জাহির।
আকবর শাহ কাছা দিত কিনা,
নূরজাহানের কটা ছিল বীণা,
মন্থরা ছিলেন ক্ষীণা কিম্বা পীনা,
এসব করিয়া বাহির, বড় বিদ্যে করেছি জাহির।

আমি অকৃতী অধম বলেও তো কিছু
(আমি) অকৃতী অধম ব’লেও তো, কিছু
কম ক’রে মোরে দাও নি
যা’ দিয়েছ, তারি অযোগ্য ভাবিয়া
কেড়েও তো কিছু নাওনি।
(তব) আশীষ-কুসুম ধরি নাই শিরে
পায়ে দ’লে গেছি, চাহি নাই ফিরে
তবু দয়া ক’রে কেবলি দিয়েছ
প্রতিদান কিছু চাওনি।
(আমি) ছুটিয়া বেড়াই জানিনা কি আশে
সুধা-পান ক’রে, মরি গো পিয়াসে
তবু, যাহা চাই সকলি পেয়েছি
তুমি তো কিছুই পাওনি

(আমায়) রাখিতে চাও গো, বাঁধনে আঁটিয়া
শতবার যাই বাঁধন কাটিয়া
ভাবি, ছেড়ে গেছ, – ফিরে চেয়ে দেখি
এক পা-ও ছেড়ে যাওনি

ওরা চাহিতে জানে না
ওরা, চাহিতে জানে না, দয়াময়।
ওরা, চাহে ধন, জন, আয়ু, আরোগ্য বিজয়।
করুণার সিন্ধু কুলে তথাপি নিলাজ হিয়া,
বসিয়া, মনের ভুলে মহাব্যস্ত তাই নিয়া,
এক বিন্দু বারি তুলে ভাঙিতে গড়িতে, হ’য়ে
মুখে নাহি লয়, পড়ে অসময়।
তীরে করি ‘ছুটাছুটি, আহা!ওরা জানে না ত’,
ধুলি বাঁধে মুঠিমুঠি, করুণা নির্ঝর নাথ,
পিয়াসে আকুল হিয়া, না চাহিতে নিরন্তর,
আরো ক্লিষ্ট হয়। ঝর ঝর বয় ;
কি ছাই মাগিরে নিয়ে, চির তৃপ্তি আছে যাহে,
কি ছাই করে তা দিয়ে, তা যদি গো নাহি চাহে,
দু’দিনের মোহ, ভেঙে তাই দিও দীনে, যা’তে
চুরমার হয় ; পিপাসা না রয়।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৪৮

ইসিয়াক বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৩

এমজেডএফ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬

আদ্রিজা বলেছেন: অসাধারণ সংগ্রহ।।
"আমি অকৃতী অধম " এটা আমার অসম্ভব পছন্দের একটা গান।।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫২

এমজেডএফ বলেছেন: কবির জন্মদিনে সংগ্রহটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
রজনীকান্ত সেনের ভক্তিমূলক গানগুলোর কথা, সূর, আবেগ সার্বজনীন। সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভক্তি প্রদর্শন করতে যে কোনো ধর্মের লোকের কাছে গানগুলো গ্রহণযোগ্য।
শুভেচ্ছা রইলো, আপনিও ভালো থাকুন।

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: তার গান কবিতা অতি মনোমুগ্ধকর।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৫

এমজেডএফ বলেছেন: শত ব্যস্ততার মধ্যেও আপনার হাজিরা এবং মন্তব্যের জন্য যথোপযুক্ত ধন্যবাদ জানাবার ভাষা আমার জানা নেই!
আপনার লেখা ও কমেন্টগুলো পড়ে আমার অনেক সময় মনে হয় আপনি সব সময় খুব কর্মচঞ্চলতা/চাপে থাকেন :) । নিরুদ্বেগ ও প্রশমিত হওয়ার জন্য রজনীকান্তের ভক্তিমূলক গানগুলো নিরিবিলিতে শুনতে পারেন, আশা করি ভালো লাগবে।
ভালো থাকুন।

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:৪১

নব ভাস্কর বলেছেন: অনেক অনেক ভাল লাগলো। ধন্যবাদ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৩৯

এমজেডএফ বলেছেন: শব্দ নিয়ে খেলা করার হে অনুপম কারিগর আপনাকে প্রথমবারেে মত পেলাম - স্বাগতম।! আপনার ভালো লাগলো জেনে খুশি হলাম। আপনাকেও ধন্যবাদ।

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৩১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: কবির আত্মার শান্তি কামনা করছি।

কবির কবিতাগুলো বেশ সহজ, সরল, সুন্দর এবং ভাবএ টইটুম্বুর।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৫১

এমজেডএফ বলেছেন: কবি বেঁচেছিলেন মাত্র ৪৫ বছর। উনি দীর্ঘায়ু পেলে বাংলা সাহিত্য আরো অনেক সহজ, সরল, সুন্দর এবং ভাবে টইটুম্বুর গান ও কবিতায় সমৃদ্ধ হতো। এখন আমরা কবির আত্মার শান্তি কামনা ছাড়া আর কিইবা করতে পারি!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ এবং সেইসাথে শুভেচ্ছা রইলো।

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

মিথী_মারজান বলেছেন: বাহ্!
চমৎকার পোস্ট।
রজনীকান্ত সেন বলতেই 'স্বাধীনতার সুখ' কবিতাটিকে জানি।
অন্য কয়েকটা পড়া থাকলেও সেগুলো যে উনার লেখা জানতামই না।
জন্মদিনে কবির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি রইল।
আর আপনাকে ধন্যবাদ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:১৪

এমজেডএফ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।
'স্বাধীনতার সুখ' কবিতাটি স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে পড়ানো হয়, তাই সবার পরিচিত। তবে অনেকে কবিতাটিকে চিনলেও কবিকে চিনেন না! ব্লগে আপনি মোটামুটি পুরানো হলেও আপনার লেখার সংখা কম। তবে কোনো লেখককে লেখার সংখ্যা দিয়ে নয় লেখার গুনাগুণ দিয়ে যাচাই করাই ভালো। সেদিক দিয়ে আপনি কৃতকার্য। আপনার সবগুলো লেখা ভালো, যদিও আমি সবগুলো পড়ি নাই। আপনার আরো নতুন লেখা পড়ার ইচ্ছা রইলো।

৭| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় এমজেডএফ ভাই,

বাহ! চমৎকার পোস্ট। জানা জিনিসও মাঝে মাঝে এত ভালো লাগে পড়তে। ধন্যবাদ আপনাকে পরিশ্রমী পোস্টটিকে দেওয়ার জন্য। ++
জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি কবিকে।

পোস্টে দ্বিতীয় লাইক।

শুভেচ্ছা নিয়েন।

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:২৫

এমজেডএফ বলেছেন: চৌধুরি সাহেব, ব্লগে যাদের মন্তব্য পাওয়াটা সৌভাগ্যের ব্যাপার তার মধ্যে আপনিও একজন। শত ব্যস্ততার মাঝেও আপনার মূল্যবান মন্তব্য প্রদানের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মরীচিকা সিরিজটা প্রথম থেকে পড়ি নাই, তাই এখন চলমান পর্বগুলো পড়ি না।! অজুহাত - আগেরগুলো পড়া হয় নাই তাই এখন ঘটনা বুঝবো না :) । তবে অনতিবিলম্বে বর্ষণমুখর কোনো ছুটির দিনে বাতায়ন পাশে ইজি চেয়ারে গা এলিয়ে বসে একটানে পড়ে ফেলবো 'মরীচিকা'-র সবগুলো পর্ব। তারপর মতামত জানাবো।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

৮| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:২৩

বলেছেন: এককথায় দারুন..................................



প্রিয়তে নিলাম.......

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:৫৭

এমজেডএফ বলেছেন: আপনার দারুন লেগেছে জেনে খুশি হলাম।

৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩৩

বলেছেন: কবি ও গীতিকার রজনীকান্ত সেন। তিনি পঞ্চকবির অন্তর্ভুক্ত হলেও চর্চা নেই তার অমূল্য সাহিত্য কীর্তির।
এমনকি তার শেষ স্মৃতি চিহ্ন রাজশাহীর বসত বাড়িটিও নাকি সংরক্ষণ করা হয়নি আজো।
আবর্জনা-ময়লা ফেলে পুঁতে ফেলা হয়েছে এ ঐতিহাসিক বাড়িটিকে।
অথচ কবি নজরুল এ বাড়িটির সামনে নীরবে দাঁড়িয়ে কবি রজনীকান্ত সেন’র প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছিলেন, ‘প্রাচীন যুগের স্বদেশী গানের স্রষ্টা, গীতিকার, সুরকার, আজো তুমি গানের মাঝে অমর হয়ে আছো, তোমাকে নমস্কার।



আমার হ’লনারে সাধন
কবি রজনীকান্ত সেন
অভয়া কাব্যগ্রন্থ থেকে
-----...................।

আমার হ’লনারে সাধন,
আমার পায়ে বেড়ি, হাতে কড়া,
. গিঁঠে গিঁঠে বাঁধন।
(আমি) যাদের জন্যে দিন হারালেম,
তারা করে নির্যাতন ;
আমার নিজের দশা দেখতে, আসে
পরাণ ফেটে কাঁদন।
ওরা) অবিরত কাণের কাছে
. ক’চ্ছে ঢক্কা-বাদন,
(ভাইরে) এত গোলে, কেমন ক’রে
. হবে তার আরাধন ?
(ওরা) সদাই রাখে চ’খে-চ’খে,
. আমি যেন হারাধন ;
(আমি) মূলের কড়ি সব খোয়ায়ে
. কল্লেম মিছে দাদন।
............................................।










২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:১৫

এমজেডএফ বলেছেন: রজনীকান্ত সেনের ঐতিহাসিক বসত বাড়িটি সম্পর্কে দুঃখজনক তথ্যটি যোগ করে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ রইলো।



আজকের তরুণ প্রজন্মের অনেকেই স্কুলে পড়ার কারণে বাবুই পাখির ছড়াটি জানলেও এর লেখক কে জানে না! তাই শুরুতেই ছড়াটি দিয়েছি যাতে প্রথমেই চোখে পড়ে। কবির বসত বাড়ি এবং নাতনী সুচিত্রা সেন ইত্যাদি আরো তথ্য যোগ করতে চেয়েছিলাম। লেখার পরিসর বড় হয়ে যাচ্ছে তাই লেখকের জীবনী বাদ দিয়েছি।
শুভেচ্ছান্তে------

১০| ২৬ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: কবি ও গীতিকার রজনীকান্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মরণে দেয়া পোষ্টটি সরাসরি প্রিয়তে গেল । তাঁর রচিত কিছু নির্বাচিত কবিতা ও গান পাঠের সুযোগ করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ । বাংলাভাষী সব বয়সের মানুষদের প্রায় সবারই মুখে মুখে একটি ছড়া ‘বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই-
‘কুঁড়েঘরে থেকে কর শিল্পের বড়াই;
আওড়াতে দেখা যায় , ছোটকালে কবিতাটি আমাদের আবশ্যিক পাঠ্য বইয়ে ছিল । ‘স্বাধীনতার সুখ’ শীর্ষক সেই ছড়াটির ছড়াকার যে আমাদের উজ্জ্বল মানসিকতার কবি রজনীকান্ত সেন , এটা আমরা ভুলে যাই অনেকেই ।

বাবুই পাখীর দৃস্টি নন্দন বাসার কথা ভাবতে গিয়ে মনে বাজে আরো একটি কথা । আগের মতো এখন আর চোখে পড়েনা বাবুই পাখি, চোখে পড়েনা বাবুই পাখির তৈরি দৃষ্টিনন্দন ছোট্ট বাসা ও বাসা তৈরির নয়নাভিরাম নৈসর্গিক দৃশ্য। একসময় দেশের বিভিন্ন জনপদে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে সারি সারি উঁচু তালগাছের পাতার সঙ্গে বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা দেখা যেত। কালের বিবর্তনে এখন তা আর সচরাচর চোখে পড়ে না। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলা দৃষ্টিনন্দন বাবুই পাখি ও তাদের নিজের তৈরি বাসা আজ বিলুপ্তপ্রায়। এদেরকে প্রকৃতিতে অআবার ফিরিয়ে অআনতে হবে , রজনীকান্তের স্মরনে এটাই হোক আজকের দিনে একটি অন্যতম প্রত্যাশা ।

প্রসঙ্গক্রমে আরো একটি কথা বলে নেয়া যায় যে বাবুই পাখির জীবন চরিতও বেশ বৈচিত্রময় । বাবুই পাখী বাসা তৈরি করার পর সঙ্গী খুঁজতে যায় অন্য বাসায়। সঙ্গী পছন্দ হলে পুরুষ বাবুই পাখি স্ত্রী বাবুই পাখিকে সাথী বানানোর জন্য ভাব-ভালোবাসা নিবেদন করে এবং বাসা তৈরির কাজ অর্ধেক হতেই স্ত্রী বাবুইকে কাঙ্ক্ষিত বাসা দেখায়। কারণ বাসা পছন্দ হলেই কেবল এদের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। স্ত্রী বাবুই পাখির বাসা পছন্দ হলে বাকি কাজ শেষ করতে পুরুষ বাবুই পাখির সময় লাগে মাত্র চার থেকে পাঁচদিন। স্ত্রী বাবুই পাখির প্রেরণায় পুরুষ বাবুই পাখি মনের আনন্দে শিল্পসম্মত ও নিপুণভাবে বাসা তৈরির কাজ শেষ করে। তবে প্রেমিক বাবুই পাখি যতই ভাব-ভালোবাসা প্রকাশ করুক না কেন, প্রেমিকা বাবুই পাখির ডিম দেওয়ার সাথে সাথেই প্রেমিক বাবুই পাখি আবার খুঁজতে থাকে অন্য সঙ্গী।

যাহোক, ফিরে আসি আবার রজনীকান্তে । কবিতার থেকে বড় পরিচয় তিনি একজন গীতিকার। তিনি চারণ কবি। বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী , তার এ সকল পরিচয় পোষ্টে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে বলেই দেখা গেল । আরেকটি কথা কান্তকবি সম্পর্কে বলতেই হয়। অতি দ্রুত ও স্বল্প সময়ে তিনি একটা গান লিখে ফেলতে পারতেন।
ভক্তিমূলক সঙ্গীত রচনাতেও তিনি ছিলেন সিদ্ধ হস্ত ।
তুমি, নির্মল কর, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে ,
তব, পূণ্য-কিরণ দিয়ে যাক্, মোর মোহ-কালিমা ঘুচায়ে।
এগানটিকে এখন অনেক বাংলা মেগা সিরিয়ালের ব্যকগ্রাউন্ড মিউজিক এবং পুজা পার্বনে ভক্তিমুলক সংগীত হিসাবে পরিবেশন হতে দেখা যায় , সন্ধা মুখোপধ্যায়ের কন্ঠে গানটি পেয়েছে বহূল জনপ্রিয়তা
তার লেখা ও গাওয়া গানগুলোর মধ্যে সাধনতত্ত্ব, দেশাত্মবোধক ও হাস্যরসাত্মক অনুষঙ্গ বিশেষভাবে বর্তমান।

একজন বিদ্বান বা মনীষার গুণ কি রকম হবে তা তিনি জাতিকে বুঝিয়েছেন তার ‘বিনয়’ শীর্ষক কবিতায়। একজন মনীষার প্রকৃতি তিনি ‘বিনয়’ কবিতায় লিখেছেন-
বিজ্ঞ দার্শনিক এক আইল নগরে,
ছুটিল নগরবাসী জ্ঞান-লাভ তরে;
সুন্দর-গম্ভীর-মূর্তি, শান্ত-দরশন,
হেরি সবে ভক্তি ভরে বন্দিল চরণ।
সবে কহে, ‘শুনি, তুমি জ্ঞানী অতিশয়,
দু’একটি তত্ত্ব-কথা কহ মহাশয়।’
দার্শনিক বলে, ‘ভাই, কেন বল জ্ঞানী?
‘কিছু যে জানি না’, আমি এই মাত্র জানি।’


হাস্যরসাত্মক গান কবির সঙ্গীতবৈচিত্র্যের আর এক পরিচায়ক ।
ব্যঙ্গরসের রজনীকান্তকে দেখতে পাওয়া যায় সমকালীন নানা বিষয়কে ব্যঙ্গ করার সঙ্গে তাঁর গ্লানিমুক্ত নির্দোষ হাসির কবিতায় । বৃথা গবেষণায় জাতির উপকার কী? দূরদর্শী কান্ত কবির কৌতুকরসের পরিবেশনা রয়েছে ‘প্ররাতত্ত্ববিৎ’ কবিতায়-
‘রাজা অশোকের কটা ছিল হাতি,
টোডরমলের কটা ছিল নাতি,
কালাপাহাড়ের কটা ছিল ছাতি,
এসব করিয়া বাহির, বড় বিদ্যে করেছি জাহির।
আকবর শাহ কাছা দিত কিনা,
নূরজাহানের কটা ছিল বীণা,
মন্থরা ছিলেন ক্ষীণা কিংবা পীনা,
এসব করিয়া বাহির, বড় বিদ্যে করেছি জাহির।’


রজনীকান্তের জীবনি পাঠে জানা যায় স্বল্পকালীন জীবনের শেষদিকে কবি কণ্ঠনালীর প্রদাহজনিত যন্ত্রনায় ভোগছিলেন । রোগাক্রান্ত রজনীকান্তের শেষ দিনগুলো ছিল অসম্ভব ব্যথায় পরিপূর্ণ। এ ব্যথা নিয়েই তিনি লোকান্তরিত হন, তাঁর প্রতি রইল শদ্ধাঞ্জলী ।

আপনার প্রতিও রইল শুভেচ্ছা


২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৩৩

এমজেডএফ বলেছেন: আলী ভাই, আপনার সুচিন্তিত দীর্ঘ মতামতের জন্য অজস্র ধন্যবাদ।


"বাবুই পাখীর দৃস্টি নন্দন বাসার কথা ভাবতে গিয়ে মনে বাজে আরো একটি কথা । আগের মতো এখন আর চোখে পড়েনা বাবুই পাখি, চোখে পড়েনা বাবুই পাখির তৈরি দৃষ্টিনন্দন ছোট্ট বাসা ও বাসা তৈরির নয়নাভিরাম নৈসর্গিক দৃশ্য। একসময় দেশের বিভিন্ন জনপদে বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে সারি সারি উঁচু তালগাছের পাতার সঙ্গে বাবুই পাখির দৃষ্টিনন্দন বাসা দেখা যেত। কালের বিবর্তনে এখন তা আর সচরাচর চোখে পড়ে না। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তোলা দৃষ্টিনন্দন বাবুই পাখি ও তাদের নিজের তৈরি বাসা আজ বিলুপ্তপ্রায়। এদেরকে প্রকৃতিতে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে , রজনীকান্তের স্মরনে এটাই হোক আজকের দিনে একটি অন্যতম প্রত্যাশা।" - খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কথা বলেছেন। এ ব্যাপারে আপনার সাথে একমত। রজনীকান্তের স্মরনে এটাই হোক আজকের দিনে একটি অন্যতম প্রত্যাশা

বাবুই পাখির জীবনবৈচিত্রের এই তথ্যগুলো এত বিস্তারিত জানা ছিল না। আপনার সুবাধে আমরা তা জানলাম এবং সেইসাথে কবির ‘বিনয়’ কবিতাটি যোগ করে দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
পড়ে আমার প্লেটোর দর্শনের কথা মনে পড়লো।

১১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ২:৩১

মা.হাসান বলেছেন: শাহবাগে পাঠক সমাবেশ এর কাছে একটা দোকান ছিল, ফিতার ক্যাসেট বিক্রি হতো। ওখান থেকেই রজনীকান্তের সঙ্গে প্রথম পরিচয়। এখন ইউটিউব অনেক সহজ করে দিয়েছে সব। রাজশাহীতে ওনার বাসতবাড়ি খোঁজার চেষ্টা করেছিলাম, পাইনি (তখন ইন্টারনেট- সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ ছিল না, আমার নেটওয়ার্কও খুব ছোট)। এ বিষয়ে অবশ্য ল ভাই একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বিষয়টা আগে জানা থাকলে খোঁজার চেষ্টা করতাম না। এরকম একটি পোস্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫১

এমজেডএফ বলেছেন: হাসান ভাই, 'ফিতার ক্যাসেট'-এর যুগেই আপনি রজনীকান্তের গান শুনতেন জেনে নিজেরও একটি পুরানো স্মৃতি মনে পড়লো। তখন আমার শখ ছিল ফিতার ক্যাসেটে গান সংগ্রহ করা। রজনীকান্ত এবং হারানো দিনের অন্যান্য শিল্পীর বাংলা গানের তালিকা করতাম, কোন গানটির পরে কোনটি হবে সাজাতাম। তারপরে ঢাকা স্টেডিয়াম মার্কেট অথবা ইসলামপুর রোডের একটি দোকান গিয়ে এলপি রেকর্ড থেকে ক্যাসেটে রেকর্ড করাতাম। তখনকার দিনে আমাদের প্রিয় গানগুলো সংগ্রহ করা কত কঠিন ছিল! অথচ ডিজিটাল মিডিয়ার সুবাধে আজ নতুন প্রজন্ম হাত বাড়বার আগেই পেয়ে যাচ্ছে। তারপরেও সেই হারানো দিনের গানগুলো ওরা শুনতে চায় না।
স্মৃতিচারণ ও মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

১২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ ভোর ৬:২৪

জগতারন বলেছেন:
ধন্যবাদ !!!
প্রিয় ব্লগার এমজেডএফ এই মহান কবির সমন্ধে বলার জন্য।
আপনার মঙ্গল হোক কামনা করি।

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:০০

এমজেডএফ বলেছেন: এই মহান কবির নির্বাচিত কিছু কবিতা ও গান নিয়ে দেওয়া আমার পোস্টটি আপনি পড়লেন জেনে খুবই ভালো লাগলো।
আপনারও মঙ্গল কামনা করছি।

১৩| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ সকাল ৯:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬

এমজেডএফ বলেছেন: আপনার প্রথম মন্তব্যে আমার দেয়া উত্তরটুকু আপনি পড়েছেন - এটা জেনে খুবই খুশি হলাম।
Take care!

১৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১২:১০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+

২৭ শে জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

এমজেডএফ বলেছেন: ধন্যবাদ + +

১৫| ২৭ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:২৬

জগতারন বলেছেন:
আমাদের প্রিয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাছিনা প্রশাসন;
ডঃ এম এ আলী-এর মত এমন গুনি ও প্রজ্ঞবান একজন মানুষকে যে কোন
একটি ডিপার্টমেন্ট-এর দায়িত্বভার বুঝায়ে দিলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস
সেই কার্যবিভাগ ও দেশ-এর প্রভূত উন্নতিসাধন করবে।

দেশে বিভিন্ন অপদার্থ "এম পি'' ও মন্ত্রীদের কথ ও কার্যকলাপ দেখলে
শুধু দুঃখ করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।

২৮ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:১১

এমজেডএফ বলেছেন: আমিও আপনার সাথে একমত।

১৬| ১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:২১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাবুই পাখির বাসা বাবুই পাখি সহ দেশের যতো পাখি ছিলো সব খেয়ে ফেলেছে সেলফোন নেটওয়র্ক! কিছুদিন পর মানুষ হিজরা হয়ে যাবে এই সেলফোনের কারণে।

১০ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৩:৪৫

এমজেডএফ বলেছেন: আসলে প্রযুক্তির ভালো ও খারাপ দুটি দিকই আছে। তবে আমাদের সবার চেষ্টা থাকতে হবে নেতিবাচক বা ক্ষতিকারক দিকটা যতটুকু সম্ভব কমিয়ে আনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.