|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাল্য প্রেম, এ বড় আজব বিষয় ঠিক যেন সুপ্ত আগ্নেয়গিরি উপরে কঠিন প্রলেপ ভিতরেতে তার তপ্ত লাভা। বিবাহ পরবর্তি প্রেম/ভালবাসা/পরকিয়ার আগুনের তীব্রতা এতই থাকে যে সে ভুলে বসে সমাজ সংসারের, এক সময় শীতল হয় ফিরে আসে ঠিকি কিন্তু সাজানো বাগান হারিয়ে যায়।
ছেলে মেয়ে গুলি দ্রুতই বড় হয়ে গেল, দায়িত্ব আর কর্তব্যের চাপে একদম শেষের পাথরটি আমি। বেড়েই চলেছে উপরের চাপ , তার মাঝেও বেচে রয়েছ তুমি,
যদি আবার দেখা হয় কোন সপিং মলে, কিম্বা অনেক মানুষের ভিড়ে অথবা একান্ত নিভৃতে, যানতে চাইব না কেমন আছ, বলব না এই নাও TDK কাসেট গত এক মাস ধরে মান্না আর মানবেন্দ্রের কালেকশন । বলব না এই নেও বুদ্ধদেব গুহের বাবলী, কিন্তু অবশ্যই সেই কাপা কন্ঠে বলব আমার পাশে কিছুক্ষন বসবে তোমার হাত টা ধরব যা হয়নি কখনই ধরা।
সত্যিই যদি দেখা হয় দুজনার সেই লজ্জা চোখে লাজুকতা থাকবেত ? নাকি প্রকৃতির প্রয়োজনে আবার তিব্র গর্জনে বেরিয়ে আসবে, আসে পাসে যা থাকে পুড়ে হবে শেষ।
তোমার কি মনে পরে সেই দিন গুলির কথা আমি দাড়িয়ে থাকতাম রাস্তার ধারে, কখন আসবে স্কুল শেষে। ধার করা বাইক টা নিয়ে দাড়িয়ে আছি কুমার গৌরভ , আদিত্য পানচলী কায়দায়. এক পলক দেখা তারপর শান্তি সারাদিন। দেখা হলেই সবই যেন রঙ্গিন। বিকালের আড্ডা, পড়ার টেবিল, কোচিং ক্যাম্পাস প্রত্যেকটা টুইটুম্বর । বাগানের সব ফুল এক সাথেই ফুটে উঠে । নাইট কুইন সেও সময় ভুলে যায়। অপুর্ব অনুভূতি অপূর্ব তার প্রকাশ। চিঠি ছিল আবেগের হাতিয়ার। চিঠির ভাজে গোলাপের পাপড়ি, প্রতিটা লাইন গরুর রচনার চেয়েও মুখস্থ। ভালবাসা বলে বুঝতাম কি কিছু তখন? মনে হয় বুঝতাম না। হঠাত্ জানা জানি তারপর পরিবারের প্রতিটা লোক অমরেশপুরী।
এরপর বিচ্ছেদ, আত্মা দুটি মরে গেল যে যার মত আলাদা হয়ে গেল। দুটি পথ দুদিক, কেটে গেল ১৯ টি বছর, নতুন তথ্য ভান্ডারে সময়ের সাথে সাথে আবছা হল সব কিছু। যায়গা দখল করে নিল ছোট ছোট নতুন মুখ। অভিভাবক হল অপরিচিত অন্য কেও , ধিরে ধিরে আমি আর আমাতে নেই সম্পুর্ন পরাধীন।
মুখে হাসি বুকে ব্যথা। চোখ তার বিশাল গভীরতা নিয়ে নিরবে খুজতে থাকে হারিয়ে যাওয়া বাল্যপ্রেম। পৃথিবী গোল কিন্ত বাংলাদেশটা ফ্লাট তাই পুর্ন গ্রহন লাগেনি কাকতালীয় ভাবেই দেখা। কন্ঠ কেপে যাইনি, হাত ধরাও হয়নি শুধু কিছুক্ষণ নির্বাক নয়নে একে অপর কে দেখে চলেছি। কিছুক্ষণ পর কথা "তারপর বিয়ে কবে করেছ ? তোমার পরেই। বাচ্চা কয়টা ? এক।। তোমার? দুইটা । কি পড়ে ?-নাইন কোথায় ওরা ? এই তো ওর বাবার সাথে । এই শুন পরিচয় করিয়ে দেই। ইনি হচ্ছে আমার কাজিন" বেশ বয়স হয়েছে ভিলেন টার, হাতটা বাড়াব কি না ভাবছি কিন্তু ওর মেয়ে কে দেখে থেমে যাই এযে বিশ্ময় ১৯ বছর আগে ঠিক এমনি ছিলে তুমি।
এক পা আর বাড়ান যাবেনা কারন ঠান্ডা আগ্নেয়গিরির তাপ গায়ে লাগছে। নতুন প্রজন্ম সদা সোচ্চার আর ম্যাচ করা যাবেনা শুরু হবে একা পথ চলা। তার চেয়ে এই বেশ ভাল আছি।
০ টি 
+০/-০©somewhere in net ltd.
