![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হ্যালো,আমি এস.এম.মেহেদী হাসান। বর্তমানে যশোর বিসিএমসি কলেজে ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ৫ম সেমিস্টারে অধ্যায়নরত। আমি ব্লগ পড়তে আর ফোরামে আলোচনাকরতে ভালবাসি। আর সেই ভালবাসা থেকে লেখালিখির শুরু।
মোমের আলোয় কাজ করছিলেন খলিফা উমর
রাযিআল্লাহু আনহু । এমন সময় সেখানে আসলেন তার দুই
আত্মীয় । খলিফা তাড়াতাড়ি ফুঁ দিয়ে মোমবাতিটি
নিভিয়ে দিলেন । অন্য আরেকটি মোমবাতি ধরিয়ে
অতিথিদের বসতে দিয়ে তাদের খোজখবর নিলেন ।
কৌতুহল চাপতে না পেরে একজন জানতে চাইলেন,
আমাদের দেখে কেন আপনি আগের মোমবাতি
নেভালেন আর নতুন একটি জ্বালালেন ? খলিফা জবাব
দিলেন : আগের মোমবাতি ছিল রাষ্ট্রের সম্পত্তি
থেকে কেনা । তোমরা যেহেতু আমার আত্মীয়, তাই
তোমাদের সাথে আমার ব্যক্তিগত অনেক আলাপ হবে ।
আমার নিজের কাজে জনগণের আমানত থেকে আমি কিছু
খরচ করতে পারি না। তাহলে আল্লাহর দরবারে আমাকে
জবাবদিহি করতে হবে । তাই নিজের টাকায় কেনা
মোমবাতিটি তোমাদের দেখে জ্বালালাম । এই জবাবে
আত্মীয়রা হতভম্ব হলেন । তারা এসেছিলেন আত্মীয়তার
খাতিরে বিশেষ কোন সুবিধা পাওয়া যায় কি না, সেই
অনুরোধ করতে । কিন্তু সামান্য মোমবাতি নিয়ে
খলিফার এত বিবেচনা ও সতর্কতা দেখে নিজেদের
প্রস্তাব জানাতে তারা আর সাহসই করলেন না।
আর আমাদের দেশে মেম্বার থেকে শুরু করে একবারে
রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা পর্যন্ত, এক কেজি চাউল
থেকে শুরু করে রাস্তা-ঘাট,স্থাপনা, এমন কি পদ্মাসেতু
বাজেট পর্যন্ত সব তাদের পকেটে। আর চাকরীর কথা কি
বলবো,ইন্টার্ভিউতে প্রথম প্রশ্ন হয়, আপনি কার
রেফারেন্সে এসেছেন। তারপর তার শিক্ষাগত যোগ্যতা।
আর বুঝতেইই পারছেন কোনো নেতার রেফারেন্স নিতে
গেলে সেই নেতা কে চা-মিষ্টি খাওয়ার টাকা দিয়ে
খুশি করতে হবে। অবশ্য তাদের চা-মিষ্টি খাওয়ার জন্য
কম করে হলেও ৮/১০ লক্ষ টাকা লাগে। কি জানি তারা
বাপের জন্মে কখনো চা-মিষ্টি খেয়েছে কিনা। এখন
তো সমাজের এমন অবস্থা যে বাবা-মা কে বলে রাখতে
হবে যেন পড়াশুনা করানোর পাশাপাশি ব্যাংকে
দাদাদের চা-মিষ্টি খাওয়ার টাকাটাও জমা করতে
থাকে। না হলে আর যায় হোক চাকরী হবেনা।
শুধুই ভাবি কোথায় খলিফা ওমর রাযিআল্লাহু আনহু এর
যুগ। আর কোথায় বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।
হে আল্লাহ্ তুমি পারো সব কিছু ঠিক করে দিতে।
আমাদের কে কঠিন পরীক্ষার মধ্যে ফেলে দিওনা
মাবূদ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২
এস.এম.মেহেদী হাসান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আসলে যাদেরকে সমাজের বিবেক বলা হয়। যাদের এক এক জনকে আমরা আইডল মনে করি।
যাদের থেকে আমরা প্রতি নিয়ত শিখি,তারাই যখন অসৎ তখন সমাজটা পাল্টাবেই কে?
আমার ও একই প্রশ্ন কারা সঠিক টা সেখাবে?
তবে হ্যা আমি বিশ্বাস করি যেদিন প্রতিটি তরুণ নিজ অবস্থান থেকে জেগে উঠবে সেদিন হয়তো দেশের চেহারা পাল্টে যাবে।
২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫০
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পুরোনোরা তো পারলো না, ফেসবুকীয় প্রজন্মও পারবে বলে কোন আশা দেখিনা...
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৪
এস.এম.মেহেদী হাসান বলেছেন: আপনার কথাটা পুরোপুরিভাবে মিথ্যা না ভাই। এখন তরুণ প্রজন্ম সোসাল মিডিয়ার দিকে বেশি ঝুকে পড়েছে। প্রযুক্তিগত বিষয়ে তাদের মুটামুটি জ্ঞান থাকলেও, সমাজ,রাষ্ট্র,রাজনীতি বিষয়ে তাদের জ্ঞানের পরিধি একবারেই অল্প।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০৫
নিষ্কর্মা বলেছেন: শিক্ষনীয়। তবে প্রশ্ন হল শিখবেটা কে?