নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমার মনে বিষ আছে এবং আমি তা ব্লগে এপ্লাই করি! জানেনই তো, পৃথিবীর সবচেয়ে দামী ঔষধ বিষ দিয়েই তৈরী হয়!

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই কর্মপরিকল্পনা ইসলামী দলগুলো বাস্তবায়ন করলে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে সরকার গঠন করতে পারবে, ইনশাআল্লাহ

১৫ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:৪২



আমি মনে করি, বাংলাদেশের মানুষ মুসলিম, এবং তাঁরা ইসলামী দলগুলোকে পছন্দ করেন। শুধু সঠিক নির্বাচন ব্যাবস্থার অভাবে বাংলাদেশের জনগণ ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠায় ভোট দিতে পারছেন না। যদি ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে PR (Proportional Representation) পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তবে কীভাবে ইসলামী দলগুলোর জোট সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে সরকার গঠন করতে পারে – তার একটি কর্মপরিকল্পনা নিচে ধাপে ধাপে দেওয়া হলো -

পটভূমি ও পূর্বশর্ত
PR পদ্ধতিতে সরাসরি একক আসনে জেতা না লাগলেও মোট ভোটের শতকরা হার অনুযায়ী আসন পাওয়া যায়।
- যেমন, একটি জোট ৩০% ভোট পেলে প্রায় ৩০% আসন পাবে।
- ফলে ছোট দলগুলোর জোট বাঁধা ও সমন্বিত ভোট ব্যাংক তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশে বর্তমানে ইসলামী দলগুলো ছড়ানো-ছিটানো অবস্থায় আছে। তারা যদি একক প্ল্যাটফর্মে আসে এবং গণভিত্তিক ভোট আদায় করতে পারে, তাহলেই PR পদ্ধতিতে উল্লেখযোগ্য আসন পেতে পারে।

ধাপ ১: জোট গঠন ও সাংগঠনিক পুনর্গঠন

১) সমস্ত ইসলামী দল (জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিশ, ইসলামী ঐক্যজোট ইত্যাদি)–এর মধ্যে একক জোটের জন্য আলোচনা শুরু।
২) একটি একক ছাতার নাম ঘোষণা করা (যেমন: “জাতীয় ইসলামী মৈত্রী”)।
৩) প্রতিটি দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা দূর করতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি পুনর্গঠন।
৪) জোটের জন্য যৌথ নীতি-ঘোষণা তৈরি করা যেখানে ন্যূনতম অভিন্ন বিষয়গুলো থাকবে (শিক্ষা, অর্থনীতি, নৈতিক সমাজ, দুর্নীতি দমন)।

ধাপ ২: ভোট ব্যাংক শনাক্তকরণ ও মাইক্রো-টার্গেটিং

১) গ্রাম, মফস্বল, মাদ্রাসা এলাকা ও ধর্মপ্রাণ ভোটারদের তালিকা তৈরি।
২) নির্দিষ্ট টার্গেট সেগমেন্ট তৈরি—
• মসজিদভিত্তিক কমিউনিটি
• মাদ্রাসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার
• গ্রামীণ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ -
ক) ডিজিটাল টুলস (WhatsApp, Facebook, YouTube) ব্যবহার করে ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক্স ও গল্প ছড়ানো।
খ) ভোটারদের সরাসরি প্রভাবিত করতে মাঠপর্যায়ে ধারাবাহিক দাওয়াতি কাজ।

ধাপ ৩: একক নীতি ও ইশতেহার তৈরি

জনগণের জন্য ইসলামী শাসনের ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরা—
• সুদমুক্ত অর্থনীতি
• দুর্নীতি দমন
• ন্যায়বিচার ও সামাজিক নিরাপত্তা -
- সংখ্যালঘুদের জন্য স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি— তাদের অধিকার থাকবে নিরাপদ—যাতে আন্তর্জাতিকভাবে কোনো বড় আপত্তি না ওঠে।
- সহজ ভাষার ইশতেহার তৈরি করে গ্রামে-গঞ্জে ছড়ানো।

ধাপ ৪: PR পদ্ধতিতে ভোট ভাগাভাগি কৌশল

১) PR পদ্ধতিতে যত বেশি ভোট, তত বেশি আসন—
***>>>তাই একটি প্রতীকে ভোট নেওয়া জরুরি, যাতে ভোট ছড়িয়ে না যায়।
২) নির্বাচনের আগে কাউন্টি-ওয়াইজ ভোট সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করে প্রচারণা জোরদার করা।
৩) এমন আসনে জোর দেওয়া যেখানে প্রচলিত বড় দলগুলোর ভোট বিভক্ত (যেমন: বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বপূর্ণ এলাকা)।

ধাপ ৫: মাঠপর্যায়ে শক্তিশালী ক্যাম্পেইন

১) দ্বারেদ্বারে প্রচারণা – মসজিদ কমিটি, ইমাম, ধর্মীয় স্কুল ও তরুণ সংগঠনের মাধ্যমে।
২) ডিজিটাল প্রচারণা – ইসলামী মূল্যবোধ ও উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা নিয়ে ধারাবাহিক ভিডিও, রিলস, লাইভ অনুষ্ঠান।
৩) নারী ভোটারদের জন্য আলাদা প্ল্যাটফর্ম – ইসলামী নারীর ক্ষমতায়ন সম্পর্কিত ইতিবাচক বার্তা।

ধাপ ৬: অর্থায়ন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ

১) PR নির্বাচনে প্রচারণা ব্যয় বেশি, তাই হালাল উপায়ে ফান্ডিং—
• জাকাত ও দান-সদকা থেকে আইনগতভাবে অনুমোদিত অর্থ সংগ্রহ।
• বিদেশে প্রবাসী সমর্থকদের কাছ থেকে অনলাইন ফান্ডরেইজিং।
২) ফান্ড ব্যবহারে স্বচ্ছতা দেখিয়ে জনগণের আস্থা অর্জন।

ধাপ ৭: আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিক আশ্বাস

১) বড় দেশগুলোর (যেমন: ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ) কাছে বার্তা পৌঁছানো—
“আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ইসলামী মূল্যবোধ বাস্তবায়ন করতে চাই, সংখ্যালঘুদের অধিকার ও আন্তর্জাতিক চুক্তি রক্ষা করব।”
২) এতে করে আন্তর্জাতিক সমর্থনের অভাব দূর হবে এবং ভোটারদের মধ্যে আস্থার সঞ্চার হবে।

উপসংহার

ক) PR পদ্ধতিতে ইসলামী জোটের জন্য মূল কৌশল হলো—জোট গঠন, ভোট ব্যাংক একীভূত করা, একক ইশতেহার ও প্রতীক ব্যবহার করা এবং গ্রাসরুট পর্যায়ে প্রচারণা চালানো।
খ) যদি তারা প্রমাণ করতে পারে যে তারা উন্নয়নমুখী ও নৈতিক শাসন আনতে চায়, তাহলে তারা উল্লেখযোগ্য ভোট পেয়ে সংসদে বড় অংশীদার হতে পারে।
গ) তবে পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে জোটবদ্ধ ভাবে ব্যাপক সাংগঠনিক সংস্কার, আর্থিক স্বচ্ছতা এবং জনআস্থা তৈরি করতে হবে—এবং কাজটা এখন থেকেই শুরু করতে হবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:৩৯

মাথা পাগলা বলেছেন: দেশে যদি ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে দেশের মানুষ কীভাবে উপকৃত হবে বা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে হয়?

১৫ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:৪১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



ছুইল্লা কাইটা লবণ না লাগাইলে বলতে পারি।

ধন্যবাদ।

২| ১৫ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:১৯

সুলাইমান হোসেন বলেছেন: আপনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

আমি বিনীতভাবে কিছু কথা সংযোজন করতে চাই:

১। সকল ইসলামি দলগুলোর মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। এই ঐক্য ছাড়া আগামীর যেকোনো জাতীয় আন্দোলন কিংবা পরিবর্তন অসম্ভব হয়ে পড়বে।

২। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সক্রিয় ও নিরপেক্ষ ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি। শুধু নির্বাচনের দিন নয়, তার পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সময়েও তাদের সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখা দরকার।

৩। বিগত সময়ে আমরা দেখেছি, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একশ্রেণির সন্ত্রাসী চক্র এলাকাজুড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে, যার ফলে অনেক নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এসব ঘটনা যেন পুনরাবৃত্তি না হয়—সেজন্য প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৪। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করা অপরিহার্য। অতীতে দেখা গেছে, কিছু দুষ্কৃতকারী ভোটকেন্দ্র দখল করে সাধারণ মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। এমন পরিস্থিতি রোধে কঠোর মনোভাব ও তৎপরতা একান্ত প্রয়োজন।

৫। যেসব এলাকাকে অতীতে বিশৃঙ্খল ও সহিংস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেসব স্থানে নির্বাচনের কমপক্ষে এক মাস আগে থেকে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করা উচিত। এর মাধ্যমে দুর্বৃত্ত ও সন্ত্রাসীদের কার্যক্রম আগেভাগেই দমন করা সম্ভব হবে এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ তৈরি হবে।

৩| ১৫ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:২৯

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ যদি ইসলামী দল গুলোকে সত্যি পছন্দ করতো, তাহলে যে কোন‌ পদ্ধতিতে নির্বাচন হলেই তাঁদের নির্বাচনে জিতে আসার কথা! শহরের শিক্ষিত, এলিট, সাংস্কৃতিক ও মুক্তমনা, বুদ্ধিজীবীরা ইসলামিক দলগুলো কে পছন্দ করে না। বরং বলা যায়,বড় দুই দলের অসহনীয় দুর্নীতি, অত্যাচারের বিকল্প হিসেবে কিছু মানুষ ইসলামী দলগুলোর কে চায়।

১) বড় দেশগুলোর (যেমন: ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ) কাছে বার্তা পৌঁছানো—“আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ইসলামী মূল্যবোধ বাস্তবায়ন করতে চাই,
গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগন ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগন যদি সমাজে সমকামিতার চায়, গনতান্ত্রিক পদ্ধতি ও ইসলামীক মুল্য বোধ ঠিক রেখে, কিভাবে পশ্চিমা দেশকে বার্তা দিবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.