![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসলে ইসলাম তো শান্তির ধর্ম । আর এই শান্তির ধর্মের শান্তি প্রকাশ করতে যেয়ে আজ বিশ্ব অশান্তি এর সৃষ্টি । ধর্মের নৈতিকতার থেকে মানুষ যখন ধর্মের নীতি রীতিকে বেশী গুরুত্ব দিয়ে মাথায় নিয়ে বসে তখনই দেখা যায়, এমন অমানবিক কিছু নির্মম কজ ।
আর তেমনি হয়েছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান এর মতো দেশ গুলোতে । যদিও বাংলাদেশ ও পরবর্তি লাইনেই আছে ।
ঘটানাটি একটু আগের তবুও বলার মতো ২০১৫ এর মার্চ এর ঘটনা। ফারকুন্দা মালিকজাদা নামে এক ২৭ বছরের অফগানি মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করলো কিছু কাবুল এর নিন্মশ্রেনীর ধর্মবাদী মানুষ । পাবলিক হেলথ ডিপার্ট্মেন্টের প্রধান প্রকৌশলী নাদির মালিকজাদার মেয়ে ছিলো ফারকুন্দা। এই বয়েসেই হয়তো চায়নি সে মারা যেতে বাচতে চেয়েছিলো আর কিছু বছর কিন্তু তার শহরের সবাই যেন তাকে মেরে ফেললেই হাফ ছেড়ে বাচে । তারা তাকে পিটিয়ে,পাড়িয়ে, পাথর নিক্ষেপ করে, এমন কি পুড়িয়ে তার লাশ ড্রেনে নিক্ষেপ করে মেরে ফেলার মাধ্যমে শান্তির নি:শ্বাস ফেলেছে।
বাহ শুনে খুব সহজেই মনে হচ্ছে নিশ্চয় সে কোন বিশাল অপরাধ করেছে, তা না হলে তাকে এভাবে পশুর মতো মারবে কেন ? কিন্তু শুনলে হতবাক হতে হবে যে তার একমাত্র দোষ ছিল যে, সে নাকি কুরআন পুড়িয়ে ফেলেছিলো । যদিও সে বারবার বলেছিলো যে সে এমন করে নি । তবুও কেউ বিশ্বাস করতে চায়নি। কত সুন্দর না এই সমাজ ? একটি ধর্মিয় কিতাব পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ তার নামে দেওয়া হলো এবং কোন কথা শুনে না বুঝেই সে মহিলাটিকে এভাবে পশুর মতো হত্যা করলো সকলে মিলে । তাও যেন সেটি ছিল তাদের জন্য এক আনন্দ উৎসব এর মতো । যেখানে নিজেরাই সেই নির্মম হত্যার ভিডিও ক্লিপ ও বানিয়েছে ।
মেয়েটি বাচার জন্য আল্লাহর সাহায্য কামনায় তার বিশ্বাসমতে সবচেয়ে পবিত্র এক মাজারে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলো। ঐ মাজার শরীফে কিছু লোক চোরাচালান ও মাদক ব্যাবসা করত। মালিকজাদা তার প্রতিবাদ করেছিল। এবং পরে তার গারবেজ এর কাছে থেকে পোড়া কোরআন পাওয়া যায় । সবাই মনে করে যে মেয়েটি নিজেই সে কুরআন পুড়িয়ে ফেলেছে । যদিও সে বারবার বলেছে যে সে জানে না যে সেখানে কুরআন ছিলো, এবং এটি কেউ হয়তো তার সাথে ষড়যন্ত্র করেছে । কিন্তু কেউ তার কথায় কান দিলো না । এই হয়তো ছিলো তার অপরাধ । আর বাকিটা হয়তো যারা এমন করেছে তারাই ভালো জানে।
অবশেষে তাকে সবার সামনে সেই মাজার থেকে টেনে বের করে এনে পশুর মতো হত্যা করা হয় । সকলে তাকে নির্মমভাবে পিটায়, পাথার নিক্ষেপ করে রক্তাত্ত অবস্তা করে দেয় । তবুও তারা শান্ত হয়না । অবশেষে মৃত্যুই হলো তার শেষ পরিনিতি ।
এই হলো সাধারন একটি ঘটনা । এরকম আরো হাজার হাজার ধর্মের জন্য নির্মম আচরন এর উদাহরণ পাওয়া যাচ্ছে প্রতিনিয়তো ।এরকম মালিকজাদা পাকিস্থান, আফগানিস্থান, ইরান, ইরাকে শত-হাজারো। প্রতিদিনই ধর্ম-অবমাননার দায়ে মারা হচ্ছে। সে তুলনায় বাংলাদেশে কেবল সাপ্তাহিক দুএকটা ঘটনা হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ এরও এমন অবস্তাতে যাওয়ার জন্য আজ খুব বেশী দেরী নাই ।
বিগত, এক বৌদ্ধকে গলা কেটে হত্যা করা হলো তার ও কোন বিচার নেই । এবং গতকাল এক হিন্দু শক্ষককে ধর্মের বিষয়ে কথা বলার জন্য, সবার সামনে কান ধরে উঠানো বসানো হলো। আলহামদুলিল্লাহ উনিতো তাও বেচে গেছেন যে এইটা বাংলাদেশ । তবে একজন শিক্ষকের মর্জাদা হতে সেই সকল উজবুক লোকদের কাছে তাদের ধর্মই বেশী বড় । এবং এমন নিন্মশ্রেনীর কাজ করার মাধ্যমে শিক্ষক জাতির ও চরম অপমান করলো সেই সকল ধর্মপন্থি লোকেরা ।
এভাবেই দেশ চলতে থাকলে, বাংলাদেশও আফগানিস্তান, পাকিস্তান হতে খুব বেশী দেরী নেই । তোবুও সবাই মাথা পেতে মেনে নিবে সকল কিছু । বুঝেও না বোঝার ভান করে বসে থাকবে ।
©somewhere in net ltd.