![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I\'m a little bit introver but friendly and the best part of me,I always think positive,do positive. I love truth
পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা,
শ্রদ্ধাবোধ এইজাতীয় শব্দগুলি আমাদের
দেশের রাজনৈতিক অভিধানে নেই।
আমরা বিরোধীদলের সমর্থকদের কেবল
প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়া আর কিছু ভাবি না।
দিন শেষে আমরা যে একই দেশের
নাগরিক, একই জাতি, একই দেশের জন্য
লড়াই করেছি আর একই দেশের উন্নয়নের
জন্য ভাবি,এই অতি সাধারণ
কথাগুলো আমাদের মনে থাকেনা।
অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে যদি কোন একদল
ক্ষমতায় আসে তো পরবর্তী আরেক
দফা ক্ষমতায় থাকার জন্য নানান ছলে-
বলে,কলা-কৌশলে নিজেদের
সুবিধার্থে বিভিন্ন বে-
আইনী বিষয়কে আইনসিদ্ধ করার জন্য
বারবার আমরা সংবিধানের উপর আঁচর
ফেলেছি,সাধারণ জনগনের
আদৌ মতামত
আছে কিনা তা একেবারেই অগ্রাহ্য।
এজন্য ৭০ পরবর্তী সব নির্বাচিত
বা অনির্বাচিত সরকার একবারের
বেশি টিকে থাকতে পারেনি,জনগন
থাকতে দেয়নি।কারন ক্ষমতার
লোভ,বাড়াবাড়ি ইত্যাদির
কারনে জনমনের আস্থা হারানো।কেউ
যদি কোন বিপরীত দলের কোন জীবিত
বা মৃত ব্যক্তির প্রতি কোনরকম শ্রদ্ধাবোধ
বা সহমর্মিতা দেখিয়েছে তবে তাকে সেই
দল থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে,বেইমান
খেতাব দেয়া হয়েছে।
এই কয়েকদিন আগের কথা,এক
বাচ্চা মেয়ের প্রশ্নের উত্তর
খুঁজতে যেয়ে ভারতের সব
সরকারি নথিপত্র খোঁজা হলো, প্রশ্ন ছিল
মহাত্মা গান্ধীজী ভারতের জাতির
পিতা কিনা? কোথাও
খুঁজে পাওয়া গেল না বটে কিন্তু
এনিয়ে কোন রাজনৈতিক
অপচর্চা হয়নি। ভারতে যে দলই ক্ষমতায়
আসুক না কেন,সরকারি কোন দলিল
বা স্বীকৃতি না থাকা সত্যেও
গান্ধীজী কে ভারতীয় জাতির
পিতা মানেন।কারন, মানুষ
তাকে ভালবাসত,এখনও বাসে।
তিনি দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খল
থেকে মুক্ত করতে চেয়েছেন,ক্ষমতায়
উপবিষ্ট হতে চাননি।স্বাধীন দেশের
ক্ষমতাও তিনি নেননি।
পক্ষান্তরে আমাদেরকে আদালতের
আশ্রয় নিতে হয়,আমাদের
বাঙালি জাতির পিতা কে?
স্বাধীনতার ঘোষক কে? এইসব প্রশ্নের
সমাধানের জন্য।কারন,সেই ক্ষমতার
লোভ।পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সহমর্মিতার
অভাব ইত্যাদি। এইতো গেল দু-তিন দিন
আগে শ্রীলঙ্কায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
হয়ে গেল,টের পেয়েছেন?
বৈধমেয়াদের দুবছর পূর্বেই
রাজা পাকসে ক্ষমতা হস্তান্তর
করলেন,কোন হানাহানির
ঘটনা শুনেছেন?
কিন্তু জাতি হিসেবে আমরা সত্যিই
বিরল। বিরোধী দলের কথা বাদই
দিলাম,স্বার্থসিদ্ধির জন্য আমরা নিজ
দলের নেতা,কর্মী, সমর্থকদের
হত্যা করতেও পিছপা হইনা।এরমধ্যে কত
মেধাবী মুখও যে হারিয়ে যায়,তার
হিসেব সংসদের
চেয়ারে বসে থাকা ঐ
লোকগুলো রাখেনা।
এরপর আবার হরতাল-অবরোধ তো আছেই।এই
টার্ম গুলো বিরোধী দল গুলোর
কাছে খুবই পপুলার, অনেকটা উতসবের মত
করে তারা এগুলো পালন করেন।আজ
যারা ক্ষমতায় তারা হরতাল
বিরোধী বিবৃতি দেন,বলেন
এগুলো অসাংবিধানিক। আবার তারাই
যখন ক্ষমতা হারান,তখন তারাও একই
রং দেখান। হরতাল তখন তাদের
প্রতিবাদের ভাষা, আনন্দ উতসবের বিষয়।
মাঝখানে জনগন হলো গিনিপিগ। আর
আমি বা আমার মত ছাত্রদের সেশনজট।
ইতিমধ্যেই প্রায় আট মাসের মত
ফেঁসেছি।রাজনীতি মুক্ত
ক্যাম্পাসে ভর্তি হয়েছিলাম
যাতে সেশনজট না হয়,ঠিকসময় বের
হয়ে ক্লান্ত পরিশ্রান্ত বাবার
কাঁধে হাত
রেখে বলতে পারি,"আব্বু,এবার আপনার
রেস্ট।" কিন্তু তা আর হলো কৈ?
এই অসুস্থ রাজনীতির এবার অবসান
হওয়া উচিৎ।
কলুষিত রাজনীতি মুক্ত একটা সকালের
অপেক্ষায়,
মাহবুব,
পি.এম.ই. ৪র্থ বর্ষ,
যবিপ্রবি।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৫
ডেড আকাশ বলেছেন: অপেক্ষায় আছি সেই দিনের