নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাহবুবুর রহমান সাহী এর ব্লগ

অতি সাধারন নিম্নবিত্ত মুসলিম বাঙালি রিবারে আমার বেড়ে ওঠা,আমি সর্বোপরি মহান আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমাকে একজন স্বাভাবিক মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করার জন্য।আব্বু আম্মুকে অনেক ভালোবাসি,কখনও বলিনি,জানাতে পারি নি।একটাই ইচ্ছা,তাদের মাথা উচু করা।

মাহবুবুর রহমান সাহী

I\'m a little bit introver but friendly and the best part of me,I always think positive,do positive. I love truth

মাহবুবুর রহমান সাহী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরাও বাঙালি!!!

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:০৪

নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে মানুষ হয়েছি,অতি আধুনিকতার বাতাস লাগেনি গায়ে। তখন স্বাধ্য ছিলনা। আর এখন সাধ নেই। ইচ্ছে করেই হয়তো বা নিয়ন্ত্রণ করে ফেলেছি।মোটামুটি সামাজিকতা মেনেই নিত্যকাল চলে যাচ্ছে। বন্ধুদের অমিতব্যয়িতা দেখেও মন বিচলিত হয় না।অভিযোজন ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার আর কি।
প্রায় পাঁচ-ছয় বছর আব্বু ঈদী দিতে পারেন নি,সাংসারিক খরচই অনেক হিসেব করে যোগাতেন। আব্বুর দু বছরের মত চাকরিও ছিলনা।একটা লেদ ওয়ার্ক সপ আছে আমাদের।টেনেটুনে দিন পার করার মত আয় হয় সেখানে। আমার জন্য তিন/সারে তিন হাজার টাকা যেভাবেই হোক আলাদাভাবে রাখতেন। তারপর যা থাকতো তাই দিয়েই আমিষ- নিরামিষে দিন পার হতো আমাদের।
আব্বুর মত ভিষন মানসিক ক্ষমতাধর মানুষ আমি খুব কমই দেখেছি।

এইতো গত এক ঈদে টিউশনি করে সারে ছ'হাজারের মত টাকা জমিয়েছিলাম,তা দিয়ে বাড়ির সবাইকে অল্পবিস্তর টুকিটাকি কিনে দিয়েছিলাম,নিজের জন্য একজোড়া স্যান্ডেল,তাও প্রয়োজনের, ঈদ স্পেশাল না।সে এক অদ্ভুত অনুভুতি দিতে পারার মধ্যে।
গেল ঈদে আম্মু তিনহাজার টাকা হাতে দিয়ে বললেন,"যা হয়,ইচ্ছামত কিনে নিস।" আব্বু সামনেই ছিলেন। তার চোখ দুটো চাপা আনন্দে চকচক করছিল। মনে হলো,অনেক দিনের এক চাপা কষ্ট থেকে মুক্তি পেলেন। টাকা পেয়ে যত না খুশি হয়েছিলাম তার চেয়ে সহস্র গুন খুশি হয়েছিলাম আব্বুর স্বস্তি দেখে।আম্মুর চোখের কোনের এক বিন্দু আনন্দ অশ্রুও চোখ এড়াইনি আমার।

নিম্মবিত্ত আর মধ্যবিত্তদের এই আনন্দ-বেদনা,হাসি-কান্না চিরাচরিত,চিরসবুজ,চিরচেনা।
শত সহস্র ঝড়ঝাপটাতেও আমরা এক অটুট বন্ধনে আবদ্ধ, ছিঁড়ে গেলেও গেড়ো দিতে জানি। এক চিলতে হাসি ভাগ করে নিতে জানি শত জনে। একমুঠো সুখ ছড়িয়ে দেই চেইন বিক্রিয়ার মত।
শহরের লৌকিকতা, কৃত্রিমতা, অসভ্যতা, অপসংস্কৃতির চর্চা আমাদের মাঝে নিদারুণ ভাবেই লঘু।
আমরাও বাঙালি। তবে আমাদের পান্তা খাওয়ার জন্য পয়লা বৈশাখের প্রয়োজন হয় না।প্রায়শই আমরা পান্তার সাথে লঙ্কা,পেয়াজ দিয়ে নাস্তা করি। বরং ঐ দিন আমরা ভালো খাবার খাই।
বাংলা বলার জন্য ফেব্রুয়ারিও লাগে না। সারা বছর মন খুলে বাংলার খেলা চলে আমাদের।
বাংলার কাদাজল একাকার হয় আমাদের ধুলোমলিন বদনে।
আমরাই গেঁয়ো মেঠো পথে হারিয়ে ফিরি এই বাংলায়।
এ যেন এক আবর্ত। যার শুরু হাজার বছর আগে আর বিচরন অসীম মহাকালের সংগে।

তাই এই নববর্ষে আমাদের মধ্যবিত্ত আহ্বান, ভালো থাকুক বাংলা, বাঙালি, বাংলাদেশ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:০৬

জুন বলেছেন: আমাদের পান্তা খাওয়ার জন্য পয়লা বৈশাখের প্রয়োজন হয় না।প্রায়শই আমরা পান্তার সাথে লঙ্কা,পেয়াজ দিয়ে নাস্তা করি। বরং ঐ দিন আমরা ভালো খাবার খাই।
বাংলা বলার জন্য ফেব্রুয়ারিও লাগে না। সারা বছর মন খুলে বাংলার খেলা চলে আমাদের।


আর কিছু বলার নেই এরপর মাহবুবুর রহমান সাহী ।
+

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

খন্দকার মো: আকতার উজ জামান সুমন বলেছেন: ঠিক বলেছেন

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:১০

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার অনুভূতি তুলে ধরেছেন । বেশ ভাল লাগলো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.