![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I\'m a little bit introver but friendly and the best part of me,I always think positive,do positive. I love truth
নাহ,আর পারলাম না। চাইছিলাম না লিখব,কিন্তু এদের বাড়াবাড়ি চরমে উঠেছে।তাই বাধ্য হয়েই লিখছি......
যারা আব্দুল গাফফর চৌধুরীর পক্ষে বিপক্ষে বলছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি.....
মাদ্রাসা ধর্মশিক্ষার প্রাণকেন্দ্র বটে তবে সেখানে কয়েকবছর পড়াশুনা করলেই সে ফকীহ হয়ে যাবেন,এমনটা না। তাহলে আমিও বলি,আমারও মাদ্রাসায় আট বছর পড়ার অভিজ্ঞতা আছে। সেই আলোকেই বলছি, শুনুন।
গাফফর সাহেবের কিছু কথায় যুক্তি আছে বৈকি,তার বক্তব্যকে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তিনি যে বিবৃতি দিয়েছেন সেই বিবৃতির কিছু যুক্তিখন্ডন করা হলো এখানে।
যেমন, আরবি ভাষায় নামকরণ। ঠিকই আছে,অর্থ না জেনে কোন কিছুই করা ঠিক না। তা শুধু আরবীতে নাম দেয়াই কেন?
# কিন্তু আরবি কাফের দের ভাষা, How silly.
ভাষা কোন মুষ্টিমেয় লোকের নয়, ভাষা জাতিগত। আরবি, আরব জাতির ভাষা। কাফের দেরও না,মুসলিমদেরও না। আপনি বাঙালি হয়ে যদি, আরব বা আরব আমিরাতে যেয়ে আরবি তে কথা বলা শুরু করেন তো সেটা আপনার ভাষা হয়ে যাবে না।ভাষা জাতিগত বটে, তবে তার ব্যবহার সীমাবদ্ধ নয়।
# আল্লাহ নামটি নাকি কাবা শরীফের ভেতরে থাকা সবচেয়ে বড় মূর্তি থেকে করা হয়েছে,যার নাম ছিল ইলাহ।
অতি হাস্যকর!
ইলাহ শব্দের অর্থ উপাস্য।
আল্লাহ শব্দটা মৌলিক, এবং বিশেষ্য বাচক শব্দ। আর ইলাহ,আল্লাহর উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত একটি বিশেষণবাচক শব্দ। আল্লাহই একমাত্র উপাসনার যোগ্য সেই অর্থেই ইলাহ শব্দটা ব্যবহৃত হয়। বিজ্ঞ বিজ্ঞ আলেমগণ কখনও আল্লাহ শব্দের অর্থ করেন নি,আর গাফফর সাহেব বললেন,আল্লাহ শব্দ ইলাহ থেকে এসেছে। এখানেই তার জ্ঞানের সূক্ষ্মতম পরিধি (এতই সূক্ষ্ম, যে নাই বললে চলে) সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়!!!
# মোহাম্মদ (স এর পিতা আব্দুল্লাহর নাম কাফেরদের নাম,পরোক্ষভাবে তাকেও কাফের বলা। কাফের শব্দের অর্থ অবিশ্বাসী। যারা নবীর (স
নবুয়ত প্রাপ্তির পর দ্বীন প্রচার সত্যেও তাঁকে বিশ্বাস করেন নি তাদেরকে কাফের বলা হয়,নবীর (স
পিতা তাঁর জন্মেরও ৬মাস আগে মারা যান,তাহলে তিনি কি করে কাফের হলেন?
# আর আল্লাহ শব্দটা প্রথম মানুষ এবং নবী আদম (আ এর থেকেই যে কালেমা ছিল সেখানেও ছিল,তাহলে কোরাইশদের তৈরি করা মূর্তি থেকে নিতে হবে কেন, আহাম্মক কোথাকার!!!
#আর হজ্জও নাকি ইসলামের নয়,কাফেরদের প্রবর্তিত!!! ছাগু কোথাকার!
হজ্জের প্রত্যেক নিয়মাদি হযরত ইব্রাহীম (আ,তাঁর স্ত্রী এবং পুত্র ইসমাইল (আ
ও তাঁদেরকে ধোঁকা দেয়া শয়তানকে উদ্দেশ্য করে করা হয়।
আর ইব্রাহীম (আ মুসলিম জাতির পিতা। তাহলে হজ্জ কি করে কাফেরদের হয়ে গেল?
পুনশ্চ : ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে কোরান-হাদীস দুই জায়গায়ই সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। তাই এটা নিয়ে জল ঘোলা করা আমার পছন্দের নয়,তবে কিছু জ্ঞানহীন মুসলিম আর অন্যান্য ধর্মাবলম্বী তাদের পাণ্ডিত্য জাহিরের উদ্দেশ্যে যখন ইসলাম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে তখন তাদের প্রত্যুত্তর না করে পারি না।
ইসলাম কোন চটি বইয়ে লেখা গল্প নয়,একবার পড়লাম আর গলোধকরন করলাম। এর গভীরতা, বিশালতা, মর্মার্থ বোঝার ক্ষমতা সবার হয় না।
তাই বলছি, আপনারা বাড়াবাড়ি বন্ধ করুন। আর পারলে নিজে কোরান হাদীস অর্থ ও তাৎপর্য সহ পড়ে বোঝার চেষ্টা করুন, মুখে শুনে আর লৌকিকতার ভিড়ে প্রকৃত ইসলাম থেকে আমরা বহু দূরে সরে এসেছি। তাই,বিধর্মীরাও আজ ইসলাম বললে জংগি আর মৌলবাদীকেই বোঝে।
আমরা ভুলে গেছি ওমরের শাসনকাল!
ওসমানের সম্পদ জনগণের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার দৃষ্টান্ত!
ভুলে গেছি,আবু বকর আর আলীর কথা। যাঁরা রাষ্ট্র পরিচালক হওয়া সত্যেও, নিজেরা ছিলেন লোভ লালসা মুক্ত। নিজ পরিশ্রমে যাঁরা সংসার চালাতেন,পুরো রাষ্ট্রের রাজকোষ নিজের অধিকারে থাকা সত্যেও যারা গরীব মুসাফির এর মত জীবনাতিপাত করেছেন। দেখিয়েছেন কিভাবে রাষ্ট্র পরিচালনা করতে হয়,প্রজাদের খোঁজ নিতে হয়।
আফসোস! আমরাই আমাদের হারিয়ে ফেলেছি।
©somewhere in net ltd.