নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভাবনাহীন ভাবনাগুলো

মাহের ইসলাম

মাহের ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দোজখের দরজায় (A Trip to Mt Nyiragongo )

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪০

ছবিঃ আকাশ থেকে তোলা নিরাগংগো আগ্নেয়গিরির ছবি, গুগল থেকে নেয়া।

আগ্নেয়গিরির শহরে এসে আগ্নেয়গিরি না দেখে ফিরে যাবে, তাও আবার জীবন্ত আগ্নেয়গিরি– এমন উজবুক এই দুনিয়ায় অদ্যবধি পয়দা হয়েছে বলে মনে হয়না। আর আমারতো এই আগ্নেয়গিরি দেখার জন্যেই গোমা শহরে আগমন। শুরুতেই বলে নেয়া ভাল, জীবন্ত আগ্নেয়গিরি শুনলেই চোখের সামনে ধ্বংসাত্নক অগ্ন্যুৎপাত আর ঘন ধোয়ায় ঢেকে যাওয়া শহরের ছবি ভেসে উঠতে পারে। তবে মাউন্ট নিরাগঙ্গো’র (Mount Nyiragongo) আগ্নেয়গিরি দিয়ে সর্বশেষ ২০০২ সালে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল। তখন এর লাভার নহর পৌঁছে গিয়েছিল গোমা শহর পর্যন্ত; আর ছাই দিয়ে ঢেকে ফেলেছিল পুরো শহরসহ চারপাশের সব কিছু। শহরের রাস্তার পাশে এখনো শক্ত জমাট বাধা কুচকুচে কালো লাভা পাথরগুলো আগন্তকদের জানিয়ে দেয় যে, এখানে এক সময় উত্তপ্ত লাভার ঢল বয়ে গিয়েছিল, যা সরিয়েই এই রাস্তা তৈরি করা হয়েছে।

কঙ্গো আর রুয়ান্ডা’র সীমান্তবর্তী লেক কিভু’র তীরে গড়ে উঠা গোমা শহর থেকে প্রায় ২০ কিমি উত্তরে ভিরুঙ্গা ন্যাশনাল পার্কের মাঝেই অবস্থিত মাউন্ট নিরাগঙ্গো (Mount Nyiragongo) আগ্নেয়গিরি। অগ্ন্যুৎপাতের ফলে লাভার ঢল এই লেকের পানিতে এসে মিশে যাওয়াতে, এই পানির তলদেশে এখন প্রচুর কার্বন ডাই অক্সাইড আর মিথেন গ্যাস জমে রয়েছে। ফলে যে কোন সময় মারাত্নক দুর্ঘটনার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে পুরো শহরবাসী। তাসত্ত্বেও এই লেকের তীর ঘেঁষেই পাশাপাশি গড়ে উঠেছে দুইটি শহর; কঙ্গোতে গোমা, আর সাথেই রুয়ান্ডার গিসেনী শহর। বর্ডার ফরমালিটিস না থাকলে, টুরিস্টরা বুঝতেই পারত না যে, এখানে শুধু দুইটা শহরই নয়, বরং দুই দুইটা আলাদা দেশও রয়েছে।

তাবৎ দুনিয়ার হাজার হাজার গবেষক আর টুরিস্টদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এই মাউন্ট নিরাগঙ্গো আগ্নেয়গিরি। আকর্ষণের অন্যতম প্রধান কারণ হল, এখানেই দেখতে পাওয়া যায় দুনিয়ার সবচেয়ে বড় লাভা লেক; আর আগ্নেয়গিরির প্রায় মুখে পৌছে অগ্ন্যুৎপাতের ভয়াবহতা অনুধাবন করার এমন নিরাপদ সুযোগ দ্বিতীয়টি কোথাও নেই।

ভোরে ট্যুর কোম্পানির গাড়ি আমাদেরকে হোটেল থেকে কঙ্গো রেঞ্জার্স এর বেইজ ক্যাম্পে নিয়ে এল, যেখান থেকে আমাদের দুই দিনের এই ট্রিপ শুরু করতে হবে। এটাকে ক্যাম্প না বলে, বরং যারা হাইকিং এর জন্যে আসে, মূলত তাদের রেজিস্ট্রেশন পয়েন্ট বলাই শ্রেয় বলে মনে করি। বেইজ ক্যাম্পটি ১৯৮৪ মিটার উঁচুতে অবস্থিত, গন্তব্যস্থল ৩৪৭০ মিটার উঁচুতে যেখানে পৌঁছুতে প্রায় প্রায় ৮ কিঃমিঃ হাটতে হবে। এখানে আসার আগেই অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন এবং পেমেন্টের যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা কমপ্লিট করা ছিল। এরপরেও আই ডি কার্ড দেখিয়ে রেজিস্ট্রারে নাম-ধাম লিখতে লিখতে আমদের সাথে যোগ দিল আরো চারজন; উরুগুয়ের একজন, লেবানিজ আমেরিকান একজন আর অস্ট্রলিয়ার দুই তরুণী। করিম মাওয়াদ নামের এই লেবানিজ আমেরিকানের ছবি তোলার অসাধারণ দক্ষতা টের পেতে দেরী হয়নি, যা আমাকে মুগ্ধ করেছিল। পাশাপাশি, রেঞ্জার্সদের সাথে ফ্রেঞ্চ ভাষায় কথা বলার সময় সে দোভাষী হিসেবে যথেষ্ট হেল্প করেছিল।
২।ছবিঃ বেইজ ক্যাম্প বা হাইকিং শুরুর স্থান। বোর্ডের ছিদ্রগুলো বুলেটের ছিদ্র।

অন্যদের দেখাদেখি, ব্যাগপ্যাক বহন করার স্থানীয় কঙ্গোলিজ পোর্টার ভাড়া করে ফেল্লাম, না হলে নিজেরটা নিজেকেই বহন করতে হবে; পরে বুঝেছি এটা কত বিশাল একটা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। খাড়া পথে লাভা পাথরে হাঁটার সময় ব্যালান্স রাখার জন্যে একটা করে লাঠিও কিনে নিলাম আমরা সবাই; এটাও খুব কাজে দিয়েছিল। একটু পরেই যাত্রা শুরু হলো, আমাদের পুরো টিমের এক্কেবারে সামনে আর পিছনে গুলি ভর্তি কয়েকটা করে অতিরিক্ত ম্যাগাজিনসহ একে-৪৭ নিয়ে দুইজন কঙ্গোলিজ রেঞ্জার্স যোগ দিল। ভয় পেয়েছি দেখে তারা আমাদেরকে বোঝালো যে, বুনো হাতির উপদ্রব আছে বলেই এমন সতর্কতা। তবে রাতে এক পোর্টার জানিয়েছিল যে, কয়েকদিন আগে পর্যটকদের একটা দলকে অপহরণ করার পর থেকেই অস্ত্রধারী এই গার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৩। ছবিঃ সামনের কঙ্গোলিজ রেঞ্জার্স পিছনে ফিরে দেখছে আমরা কত পিছিয়ে আছি।

পথের শুরুতে বেশ জঙ্গল, গাছগুলো মাথার উপরে প্রাকৃতিক ছায়া দিয়ে যাচ্ছিল। বেস ক্যাম্পে ব্রিফিং এ জানিয়েছিল যে , আমরা মোট চারবার বিরতি নিব; প্রতি ‘রেস্ট পয়েন্টে’ ২০ মিনিটের বিরতি। প্রথম রেস্ট পয়েন্টে আসা পর্যন্ত পথ প্রায় সমতল ছিল। হাতের লাঠি দুই দিকে বাতাসে দোলাতে দোলাতে ভাবছিলাম, বেহুদা ডলার খরচ করে এটা কিনেছি।

৪। ছবিঃ প্রথম দিকের পথ, নিচে ছড়িয়ে থাকা কালো লাভা পাথর।

গাছ পালার ঘনত্ব ধীরে ধীরে কমতে শুরু করলেও আমরা ছায়া পাচ্ছিলাম। তেমন গরমও অনুভব করছিলাম না। যদিও শেষের দিকে ধীরে ধীরে জঙ্গলের ঘনত্ব কমতে শুরু করল। একটু পরেই যে হারে গাছ পালা অদৃশ্য হতে লাগল, প্রায় একই হারে পথও খাড়া হতে শুরু করল। ইতোমধ্যেই আমাদের পোর্টার কোত্থেকে যেন একটা গিরগিটি ধরে এনে খালিদের হাতে তুলে দিয়েছে; এটা আবার পারিপার্শ্বিকতার সাথে গায়ের রং মিলিয়ে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পারে। এই গাছপালার মধ্যে এমন পাখিও আছে; পোর্টার না দেখালে তেমনি একটা পাখি কখনই আমরা পাথরের মধ্যে থেকে আলাদা করতে পারতাম না।
৫। ছবিঃ গিরগিটির সাথে একজন সহযাত্রী ।

দ্বিতীয় রেস্ট পয়েন্টের পর হতে দৃশ্যপট অতি দ্রুত বদলে যেতে শুরু করল। মাথার উপরে কোন গাছ নেই। আশে পাশে গাছের ঘনত্ব যেমন কমছে, তেমনি কমছে তাদের উচ্চতা। পথ এখন খাড়া হতে শুরু করেছে। বিপদ কখনো একা আসে না – এই কথাটি প্রমাণ করতেই কিনা কে জানে, চারপাশে আলগা লাভা পাথরের ছড়াছড়ি আমাদেরকে আরো সতর্ক হয়ে পা ফেলতে বাধ্য করছে। উচ্চতার প্রভাব টের পেতে শুরু করছি ইতোমধ্যেই, শ্বাস-প্রশ্বাস ঘন হয়ে এসেছে। তৃতীয় ‘রেস্ট পয়েন্টে’ পৌঁছে আমি রীতিমত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লাম – কিছুটা ভয় ঢুকে গেছে মনের মধ্যে, পারবো তো, শেষ পর্যন্ত যেতে!

তৃতীয় পয়েন্ট থেকে যাত্রা শুরু করে পরের রেস্ট পয়েন্টে আসার আগেই পথে কয়েকবার থেমে ছোট বিরতি নিতে হল আমাদের। থামামাত্রই যে যেখানে পারল বসে একটু করে জিরিয়ে নিল। যাত্রা বিরতি দিলেই কোন রকম বাছ বিছার না করেই আমি লাভা পাথরের উপর বসে পড়ছিলাম, অন্যদের অবস্থা প্রায় একই। তবে পোর্টারদের দেখে মনে হয়নি যে তারা ক্লান্ত, অথচ আমাদের ব্যাগপ্যাক তাদের পিঠে। আমরা শুধু একটা লাঠি নিয়ে হাটছি। স্বাভাবিক ভাবেই মনে হচ্ছিল, এই অংশের দুরত্ব অনেক বেশি। ইতোমধ্যে উচ্চতার প্রভাব কয়েকজনকে প্রায় কাবু করে ফেলেছে। তবে সবাই কম বেশি হাপাচ্ছে এখন। এই নিরস খটখটে পাথুরে জায়গাতেও সুন্দর সুন্দর বুনো ফুল দেখে বিস্মিত হতে হচ্ছিল, কিছুক্ষণ পর পরই।

৬। ছবিঃ পথের পাশে ছড়িয়ে থাকা বুনো ফুল।

চতুর্থ রেস্ট পয়েন্টে এসে বেশ ভাল লাগল; বেশ উজ্জীবিত অনুভব করছি, স্বীকার করতে দ্বিধা নেই। কারণ এখান থেকে চুড়ার কেবিনগুলো দেখা যাচ্ছে। বলতে গেলে এটাই হল বিশ্রাম নেয়ার মত একটা আদর্শ স্থান। এখানে একটা কেবিনও আছে। এর আগের রেস্ট পয়েন্টগুলোতে বসার জন্যে কয়েকটা কাঠের তক্তা ফেলে রাখা হয়েছিল, যেগুলো অনেকটা বেঞ্চের কাজ করে। এর পরে তাপমাত্রা অনেক কমে যাবে বলে এখানে এসে গরম কাপড় পরতে হয়। আমি একটা টিশার্ট গায়ে দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম, এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা মনে করিনি। যদিও শেষের দিকে ঠাণ্ডা লাগছিল, তাই, গায়ে কিছু গরম কাপড় জড়িয়ে নিলাম। অন্যরাও যার যার মত করে গরম কাপড় পরে নিল। ততক্ষণে বুঝে গেছি, এখানে কেবিনের ব্যবস্থা করার রহস্য।
৭। ছবিঃ চুড়ার কেবিন, এই দৃশ্য পরের পথ টুকু শেষ করার সবচেয়ে বড় প্রেরণা ছিল।

শেষ ধাপের দুরত্ব সবচেয়ে কম। আর, পথ সবচেয়ে খাঁড়া। ঠাণ্ডা লাগবে এটা অপ্রত্যশিত ছিল না, তবে ঠান্ডার তীব্রতা হঠাৎ করে এত বেড়ে যাবে, সেটা আন্দাজের বাইরে ছিল। মরার উপর খাঁড়ার ঘা-এর মত লাভা পাথরগুলো পায়ের নিচ থেকে প্রায় প্রতিটি কদমে কদমেই সরে গিয়ে উপরে উঠাকে আরো বেশি বিপদজনক করে ফেলছিল। সর্বশেষ ৫০০ মিটার এত খাঁড়া ছিল যে, দেখে মনে হল যে, এই পথে উপরে উঠা অসম্ভব। এখান থেকে ফিরতে হলে পুরো পথই রাতের আধারে হেটে নামতে হবে; এই ভয়ের বিপরীতে চুড়ার উপরের কেবিনের উষ্ণতার কাল্পনিক সুখচ্ছবি মনে এক অদম্য সাহস এনে দিল। শেষ পর্যন্ত, চুড়ায় পা রাখলাম। কিন্তু ততক্ষণে এক পাল শেয়ালের ধাওয়া খাওয়া একলা এক কুকুরের মত হাঁপাচ্ছিলাম। অবশ্য, আমি একা না; প্রায় সবার দশাই একই রকম ছিল।

উপরে উঠেই গিয়ে বসে পড়লাম বিশাল লাভা ক্রেটারের এক পাশে। যা দেখলাম তা ভাষায় বর্ণনা করার সামর্থ্য আমার নেই। এমনকি ছবি দেখেও এর সৌন্দর্য কল্পনা করা একজনের পক্ষে সম্ভব নয়। কোনো এক টুরিস্ট তার ব্লগে লিখেছিল যে, চুড়ার যে ছবি তোলা হয়, বাস্তবের চুড়া তার চেয়ে কয়েক হাজার গুণ বেশি নান্দনিক আর সুন্দর। কেন বলেছিল, তা উপলব্ধি করতে আমার এক মুহূর্ত দেরী হলোনা। ইতোমধ্যেই আমাদের উত্তেজনা আর আনন্দের নির্মল পাগলামি প্রকাশ পেতে শুরু করেছে গলা ফাটানো উল্লসিত চিৎকার আর বিচিত্র অঙ্গভঙ্গীতে ছবি তোলার মাধ্যমে।
৮। ছবিঃ আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ এবং লাভা লেক।

আগ্নেয়গিরির গুহামুখ বিশাল, প্রায় ২ কিমি চওড়া। এই গুহামুখের ভিতরে পরিষ্কার দুইটা ধাপ রয়েছে। সবচেয়ে নিচের ধাপ বা ক্রেটারের তলদেশে অসংখ্য স্থান থেকে বুদবুদ উঠছে এবং লাভা উদ্গীরন হচ্ছে; তবে গড়িয়ে পরছে টগবগে ফুটন্ত লাভার উপরেই। আর লাভার স্রোত বয়ে যাচ্ছে অসংখ্য ধারায়। এখান থেকে আরো কয়েকশ মিটার উপরে পরের ধাপ। নিচের ধাপের লাভা উপরের ধাপ পর্যন্ত আসছে না। উপরের ধাপটি জমাট বাধা এবং সমতল।

দিনের আলো কমতে শুরু করার সাথে সাথে দৃশ্যপট অতি দ্রুত আর ব্যাপকভাবে বদলে যেতে শুরু করল। আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ প্রায় আধারের আগমনের সাথে সাথে গায়েব হয়ে গেল। আর চোখের সামনে কমলা রঙের লাভার উজ্জ্বলতা ক্রমেই বাড়তে লাগল। শরীরের ক্লান্তি এমনি ছিল, যেন সারাদিন দৈহিক নির্যাতনের অবশ্যম্ভাবী ফলাফলস্বরুপ শরীর অবশ হয়ে গেছে। তেমনি এক ক্লান্ত শরীরে উঁচু পর্বতের চুড়ার প্রায় জমে যাওয়ার মত ঠান্ডার পাশাপাশি ফুটন্ত লাভার উত্তাপ এসে লাগছিল।
৯। ছবিঃ আধার ঘনিয়ে আসছে।

বহু রুপের সংমিশ্রন বোঝাতে যদি ‘বহুরূপী’ শব্দ ব্যবহার করা যায়, তাহলে অনেকগুলো বিপরীতধর্মী ও ভিন্ন ভিন্ন অনুভুতির সংমিশ্রণকে এক শব্দে কি বলে প্রকাশ করা যায় – আমার জানা নেই। ভিন্ন ভিন্ন অনুভুতির যে সংমিশ্রনকে ভাষায় প্রকাশ করার সামর্থ্য আমার নেই, তখনকার অনুভূতি ছিল তেমনি। টগবগ করে ফুটতে থাকা লাভার শব্দ প্রায় ২৫০০ ফুট উপরে থেকেও শুনতে পাচ্ছিলাম, পরিস্কারভাবে। আবার প্রায় বরফ শীতল ঠান্ডায়, লাভার উত্তাপ মুখে এসে হানা দিচ্ছিল যখনই লাভার দিকে তাকাচ্ছিলাম। মুখ ফিরিয়ে নিলেই মনে হচ্ছিল কে যেন মুখে বরফের ঝাপটা দিয়ে গেল। দোজখের আগুন আমি দেখিনি। তবে আফ্রিকার এক পর্বত চুড়ায় বসে রাতের আধারে উজ্জ্বল কমলা রঙের ফুটন্ত লাভার দিকে তাকিয়ে দোজখের ভয়াবহতা আমার মনে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল; যেন দোজখের খোলা দরজা দেখতে পাচ্ছিলাম। বার বার মনে হচ্ছিল, এই দৃশ্য এই দুনিয়ার হতে পারে না, অন্য দুনিয়ার; মানুষের অনুধাবনের আত্নিক ক্ষমতার বাইরে।
১০। ছবিঃ রাতের অপার্থিব দৃশ্য।

কেবিনের ভিতরে শুধু একটা করে ম্যাট্রেস দেয়া আছে। আমাদের ব্যাগপ্যাকে স্লিপিং ব্যাগ, লাইট এবং শুকনো খাবার নিয়ে এসেছিলাম। কেবিনে বসে চা খেতে খেতে পোর্টারের কাছ থেকে গল্প শুনছিলাম, সে জানালো যে অনেক সময় কুয়াশায় পুরো লেক ঢাকা থাকে, তখন আর নিচের কিছু দেখা যায় না। এমন হলে, সারা রাত পালাক্রমে একজন একজন করে ডিউটি করে, কুয়াশা পরিষ্কার হওয়ার আশায়। যদি কুয়াশা কেটে যায়, তখন সে অন্যদের ডেকে দিবে, এই অপার্থিব সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্যে। আমাদের কপাল ভাল ছিল যে, আকাশ পরিষ্কার থাকায় লাভা লেকের কমলা রঙয়ের উজ্জ্বল লাভার অপার্থিব দৃশ্য দেখার সোভাগ্য হতে বঞ্চিত হতে হয়নি। এই ঠান্ডায় আমাদের কাউকে এই দুর্দশার সম্মুখীন হতে হয়নি ভেবেই মনে আলাদা একটা আনন্দ বয়ে গেল। আর এত কষ্ট করে, এখানে উঠে, রাত কাটিয়েও যদি লাভা লেকের রাতের সৌন্দর্য দেখতে না পারতাম, তাহলে আফসোস কোন লেভেলের হতে পারতে সেটা ভেবে আরেক দফা প্রশান্তি অনুভব করলাম।

অন্ধকার গাঢ় হয়ে আসলে, স্লিপিং ব্যাগ নিয়ে কেবিনের বাইরে গিয়ে শুয়ে পড়লাম, দৃষ্টি লাভার দিকে। উজ্জ্বল লাভার দিকে এক নজরে তাকিয়ে ছিলাম ঘন্টার পর ঘন্টা, অনেকটা মন্ত্রমুগ্ধের মত। প্রায় রাত ১১ টার দিকে ক্ষান্ত হলাম; মুলত ঠাণ্ডার কাছে হার মেনে। স্লিপিং ব্যাগ নিয়ে ঢুকে পড়লাম কেবিনের ভিতরে।

রাতে বরফ জমা ঠাণ্ডা ছাড়া আর উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটেনি। কয়েকবার ঘুম ভেঙ্গে গেছে, শুধু ঠাণ্ডার কারণে। তবে মাউন্ট নিরাগঙ্গোর চুড়ায় রাত্রি যাপনের সবচেয়ে ভয়াবহ আবার একই সাথে বিচিত্র অভিজ্ঞতা ছিল টয়লেট ব্যবহার করতে গিয়ে। রাতের অন্ধকারে টয়লেটের রাস্তায় নামতে গিয়ে প্রচন্ড ভয় পাচ্ছিলাম কখন না লাভা পাথরে পা হড়কে নিচে পরে যাই। এর পরে টয়লেটে বসে খোলা দরজা দিয়ে তাকিয়ে রাতের আকাশের তারকামন্ডলীর মনভুলানো দৃশ্য থেকে চোখ ফেরানো অসম্ভব হয়ে পরছিল। বলা হয়নি, টয়লেটে কোন দরজা নেই, এমনভাবে বানানো যে অন্য সকল কেবিন পিছনে থাকবে, তাই প্রাইভেসিও নষ্ট হবে না। আশ্চর্যজনক হল, টয়লেটগুলো শুধুমাত্র কাঠের উপরে প্যান বসানো হলেও, পরিষ্কার ছিল।

ভোরে উঠে আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের অপর পাশ দিয়ে সূর্যোদয় দেখে মনে হচ্ছিল দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দর সূর্যোদয় বোধ হয় এখানেই দেখা যায়। লাভা লেক আর জ্বালা মুখের চারপাশ যখন ধীরে ধীরে আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠছিল, আমার হৃদয়ও ক্রমান্বয়ে সমস্ত কিছু প্রাপ্তির এক দুর্লভ অনুভূতিতে ভরে যাচ্ছিল। এই অনুভূতি অর্জন আর সাফল্যের এক অদ্ভুত মিশ্রণের, যা জীবনে কখনো ভুলার উপায় নেই।

নামতে শুরু করার কিছুক্ষনের মধ্যেই বুঝে ফেললাম যে, খাঁড়া পথে নামার চেয়ে উঠা সহজ । আলগা লাভা পাথরে পা পিছলে যাওয়াতে, নিচে নেমে আসাটা আরো কঠিন মনে হচ্ছিল। এছাড়া, গত দিনের শারীরিক ধকলের প্রভাব তো রয়েছেই। এত কিছুর পরেও গত রাতের অপার্থিব দৃশ্যের এক ধরনের ঘোরের মধ্যেই নিচে নেমে আসি। অবশ্য, আমার পোর্টার কয়েকবার নিজে হাতে না ধরলে কি হত, ভাবলেই এখনো গাঁ শিউরে উঠে। নামার পথে বলার মত উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটেনি, সুস্থভাবে নেমে এসেছিলাম আমরা সবাই। তবে স্মৃতির মানসপটে এই অপার্থিব অনুভূতি চিরস্থায়ী হয়ে গেছে, তাতে কোন সন্দেহ নেই।

পুরো ট্রিপে আমার একমাত্র আফসোস – আমার কাছে ভালো কোন ক্যামেরা ছিল না।
(দ্রস্টব্যঃ প্রায় সব ছবি, সহযাত্রী খালিদের কাছ থেকে সংগৃহীত। তবে, কিছু ছবি গুগল থেকে নেয়া হয়েছে।)

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪

বিজন রয় বলেছেন: থ্রিল!!!
++++

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৫

মাহের ইসলাম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল।

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:

বাপ রে ! বিশাল সাহস ও মারাত্মক পোষ্ট !
দোজখের দরজা।
সত্যি আগ্নেয়গিরির ছবিগুলো আরও ভালো হলে ভালো লাগত।

আপনার দোজখ দর্শন দেখে আমারও ভয় লাগছে।
প্লাস !

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৭

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত বোধ করছি।


আরো ভাল ছবি বা আইডিয়ার জন্যে, আপনি চাইলে ইউ টিউবে দেখে নিতে পারেন।
https://www.youtube.com/watch?v=ZVBEFHwzEWQ।

শুভ কামনা রইল।

৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া দোজখের আগুনের থেকেও ভয়ংকর জিনিস দেখলাম খালিদের হাতের উপরে।

আর দোজখের আগুন যদি এত সুন্দর হয় তাতে ঝাঁপ দেওয়াও কঠিন নহে !


একি অপরূপ রূপে তা হেরিলে তুমি তাহা ভাইয়ামনি! :)

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:১৯

মাহের ইসলাম বলেছেন: খুব সুন্দর কথা বলেছেন, ভালো লাগল।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

শুভ কামনা রইল।

৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৪

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন: Excellent

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২০

মাহের ইসলাম বলেছেন: ছোট একটা শব্দেই অনেক অনুপ্রেরণা পেলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

শুভ কামনা রইল।

৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন এডভেঞ্চার!

মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে পাঠ কি একেই বলে :)
১০ নং ছবিটার দিকে চেয়েই ছিলাম চেয়েই ছিলাম!!!

সত্যি ! প্রবৃত অনুভব কখনোই কোন লেখা কোন ছবি ধারন করতে পারে না!
ওখানে গিয়েই তা অনুভব করা সম্ভব কেবল!

তারপরও আপনার দুর্দান্ত এডভেঞ্চারে যে টুকু ছটে ফোটা স্বাদ শেয়ার করলেন. তাতেই মুগ্ধ! শিহরিত!

+++++

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২২

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার কথাগুলো খুবই ভালো লেগেছে।
অসম্ভব উৎসাহিত বোধ করছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ, আর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

শুভ কামনা রইল, ভালো থকবেন।

৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভয়াবহ!!
আমি এরকম জাগায় বেড়াতে যেতে আগ্রহী না।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।

৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: চমৎকার পোস্ট.....

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৬

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।

৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৩

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: চমৎকার বর্ননায় দুঃসাহসিক অভিযানের গল্পটি পড়ে আর ছবি দেখে মুগ্ধ হলাম। তবে মাথা ঘুরে গেল দুনিয়ার আগুনের যদি এমন পাওয়ার হয় দোজখের আগুন না জানি কতো বয়াবহ!

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৬

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনি ঠিকই বলেছেন, দোজখের আগুন কত ভয়াবহ হতে পারে, তা আমাদের কল্পনার বাইরে।
মহান আল্লাহ্‌ আমাদের সকলের সহায় হউন।

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।

৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৭

জলমেঘ বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা এবং দুঃসাহসিক অভিযান। দৃশ্যগুলো যেন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম। হালকা পাতলা হাইকিং এর অভিজ্ঞতা থাকায় পুরো জার্নির চ্যালেঞ্জটা ভালোভাবেই অনুধাবন করতে পারছি। তবে আপনার সাথে একমত চুড়ার উপর থেকে চারপাশে ভিঊ এর আসল সৌন্দর্য যেমন ক্যামেরায় বন্দি করা যায়না, তেমনি পুরো হাইকিং এর শুরু থেকে শেষ অব্ধি যে পরিমান কষ্ট সহ্য করতে হয়, সেটাও কাউকে বলে কয়ে অথবা লিখে বোঝানো সম্ভব হয়না।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:২৯

মাহের ইসলাম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার হাইকিং এর অভিজ্ঞতা আছে শুনে ভালো লাগল। আমাদের সাথে সেই অভিজ্ঞতা কবে শেয়ার করবেন?
অপেক্ষায় রইলাম।

আপনার প্রতিটি কথার সাথে সহমত পোষণ করছি।
ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।

১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৮

কালীদাস বলেছেন: এবার ট্রাভেলগ তেমন চোখে পড়ছিল না ব্লগে; আপনারটা সব খেদ মিটিয়ে দিল পুরাপুরি। ট্রাভেল তো না শুধু, একেবারে যাকে বলে এডভেঞ্চার :-B বর্ণনাটা উপভোগ্য ছিল পুরো পোস্টেই এমনকি বয়স্কাউট এক্সপেরিয়েন্সটাও :P

বাইদ্যাওয়ে, এমনিতে কঙ্গোর অবস্হা কেমন এখন? একে৪৭ দিয়ে জীবনে কেউ হাতি মারতে পেরেছে বলে শুনিনি =p~

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩২

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার মন্তব্যে উৎসাহিত বোধ করছি। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

কঙ্গোর বর্তমান অবস্থা কেমন, আমি ঠিক বলতে পারছি না। কারণ, আমার অভিজ্ঞতা বেশ কয়েক বছর আগের।
তবে, শুনেছিলাম, আমাদের ট্রিপের কয়েক মাস পরে সরকারী বাহিনীকে হটিয়ে দিয়ে এম-২৩ এর বিদ্রোহীরা গোমা শহর দখল করে ফেলেছিল।
আর হ্যাঁ, এক ৪৭ দিয়ে হাতি মারার কথা আমিও কখনো শুনি নাই।

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।

১১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:০৫

কাতিআশা বলেছেন: চমৎকার পোস্ট....ভাল লাগলো!

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫৯

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার অনুপ্রেরণার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল।

১২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫০

তারেক ফাহিম বলেছেন: আপনার সাহসের প্রশংসা না করলেই নয়।

তোমধ্যেই আমাদের উত্তেজনা আর আনন্দের নির্মল পাগলামি প্রকাশ পেতে শুরু করেছে গলা ফাটানো উল্লসিত চিৎকার আর বিচিত্র অঙ্গভঙ্গীতে ছবি তোলার মাধ্যমে।

ছবি নিশ্চয় এ কয়টা ছিলো না।

আরও কিছু ছবি থাকলে ব্লগটি আরও সুন্দর হতো।

পোষ্টটি সরাসরি প্রিয়তে গেলো।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার কথা ভীষণ ভালো লেগেছে।

আপনি ১০০% ঠিক বলেছেন। ছবি আরো অনেক ছিল। তবে, প্রতি পোস্টে ১০ টার বেশি ছবি আপলোড করা যায় না। ১০ টা ছবি আপলোড করার পরে, ডায়ালগ ব্ক্সে রকম একটা মেসেজ পেয়েছি। তাই, টাইপ অনুযায়ী এই কয়েকটা দিয়েছি।

এই ভিডিও লিংক দেখলে আরো কিছু সুন্দর দৃশ্য পাবেন। তবে, এটা আমাদের ভিডিও না, ইউ টিউব থেকে নেয়া। https://www.youtube.com/watch?v=ZVBEFHwzEWQ

অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।

১৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৯

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: বাহ্ বিনা খরচে এত সুন্দর একটা এ্যাডভেঞ্চার! অস্বাধারণ লেখনীর গাঁথুনী আর লোভনীয় ছবিগুলি মনে করিয়ে দিল আমিও আপনার সহযাত্রী ছিলাম, হ্যাঁ হ্যাঁ নিশ্চয় ছিলাম, কিন্তু মজার বিষয় হলো আপনারা কেউ আমার অস্তিত্বটা টের পেলেন না।
আর বর্তমান প্রযুক্তির সবচেয়ে উন্নতমানের ক্যামেরাও পারবে না কিছু কিছু স্থানের প্রকৃত চিত্র ফুটিয়ে তুলতে। কারণ তার তো সে ক্ষমতাই নেই, সৃষ্টিকর্তার দেওয়া এই সুপার কম্পিউটার সুপার ক্যামেরাই কেবলমাত্র তা উপভোগ্য করতে পারে, আর কোন কিছুতেই তার ধারে কাছেই যেতে পারার মতো ক্ষমতা এখনও অর্জন কতে পারেনি।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার অল্প কয়েকটি কথায় একাধারে অনেক কিছু সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সেই সাথে আপনাকে পাঠকের সারিতে দেখে নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

আসলে পুরো জার্নিতে টেনশনে এত আক্রান্ত ছিলাম যে আপনার উপস্থিতি উল্লেখ করতে ভুলেই গেছি। বলুন তো, মানুষ এক ছেলেমানুষি ভুল কিভাবে করে !!!

অনেক অনেক শুভ কামনা রইল। ভালো থাকবেন।

১৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: লিংটি পেয়ে কৃতজ্ঞ।

লিংকের ভিডিও'র সাথে বর্ণনার অনেকখানি মিল আছে।


০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকে আবার দেখতে পেয়ে খুব ভালো লাগল।
আসলে প্রায় প্রতিটি গ্রুপের চিত্র এমনি থাকে। উইক এন্ডে গ্রুপগুলো বড় হয়, আর অন্য সময়য় ছোট হয়।

কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।

১৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহ ! অসাধারণ , মনমুগ্ধকর ! হাড় হিম করা ভয়ংকরের ভয়ংকর সুন্দর!! এক নিঃশ্বাসে পড়ে ফেললাম আধঘন্টা যাত্রা প্রতি দুঘন্টা বাদে বাদে রেস্ট তারপরে ফাইনালি আপনার অপূর্ব অপার্থিব ও সৌন্দর্যের সাক্ষী হওয়া । যেন এক নিঃশ্বাসে সমস্ত ক্লান্তি খেদ ঝরে প্রস্ফুটিত হলো মনের অনাবিল আনন্দ । আপনার এযাবতকালের যা ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পড়েছি তার মধ্যে এটাই এখনো পর্যন্ত বেস্ট লাগলো।

পোস্টে প্লাস+++++ , লাইক ।

অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা প্রিয়মাহের ভাইকে।


০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:১৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকে এখানে দেখে ভালো লাগল।
সত্যি বলতে কি, আপনার কমেন্টের অপেক্ষায় থাকি। কারণ, আপনার কমেন্টে কেন যেন আমি এক ধরনের আন্তরিকতা এবং নৈকট্য ফিল করি।
অসংখ্য ধন্যবাদ, বরাবরেই মতোই সুন্দর কমেন্টের মাধ্যমে আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্যে।

শুভ কামনা রইল, ভালো থাকবেন।

১৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ওয়াও !! দারুণ !!
আপনার বর্ণনায় চমৎকার ভাবে এডভেঞ্চার উঠে এসছে !!
অনেক অনেক ভালোলাগা।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২১

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ, আপনাকে।
ছোট ছোট কয়েকটি শব্দে অনেক সুন্দর ভাবে আমাকে উৎসাহ যোগানোর জন্যে।

শুভ কামনা রইল।

(পুনশ্চ, আমি জানি যে ব্যাপারটা পুরোপুরি কাকতালীয় হতে পারে। তারপরও কৌতুহলী মানব মনের খাতিরে জিজ্ঞেস না করে পারছি না, আপনার কলেজের ক্লাশগুলো কি একটা লাল রঙের দোতলা বিল্ডিং এ ছিল? )

১৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৩

মুস্তফা ওয়াহিদ নিহাল বলেছেন: বড় হলেও পড়তে ভালো লাগলো। আমার ব্লগে আপনার নিমন্ত্রণ

আনলাইন থেকে আয় বিষয়ে পোস্ট

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২৫

মাহের ইসলাম বলেছেন: আমার ব্লগে বেড়াতে আসায় খুশী হয়েছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার ব্লগে ইটোমধ্যেই ঘুরে এসেছি।
সময়োপযোগী পোস্ট করেছেন।

শুভ কামনা রইল।

১৮| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৭

রাকু হাসান বলেছেন:


ব্লগে আমার পড়া সবচেয়ে বেস্ট এ্যাডভেঞ্চার কাহিনী পড়লাম ,তাই তো লাইক ও প্রিয়তে নিলাম । পড়তে গিয়ে আমারও ভয় কাজ করছিলো ,বিশেষ করে যখন বললেন গুহামুখ থেকে আরও অনেকটা দূরে যেতে হবে শুনে । আপনার মনোবল ,প্রকৃতির সৌস্দর্যউপভোগ করতে যে সাহস,কৌতূহল দেখলাম ,সেটা অনেক সম্মানের । আপনার উপস্থাপন ভঙ্গিতে পড়তে গিয়ে কোনো প্রকার ক্লান্তি আসেনি আমার । আমাকে কাল্পনিক ভ্রমণের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য অশেষ ধন্যবাদ । কিছু ভিডিও দেখলাম । মনে ভয় ঢুকে গেছে । তাহলে স্রষ্টার দোযখ কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে ! :|| পৃথিবীর এত রহস্যেরই শেষ কোথায় । আপনি পোস্টের শেষে আফসুস করেছেন ,সেটা আমাকেও পেয়ে বসলো । এমন জার্নিতে সবার আগে দরকার একটি মোটামুটি মানের হলেও ক্যামেরা ।তবে আপনার লেখার জন্যই হাজারো কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি । এমন উপহার দেওয়ায় ধন্যবাদ ও অভিনন্দন গ্রহণ করুন আমার ।
আমার কিছু প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে । আপনার ট্রিপে সর্বমোট কেমন সময় লেগেছে আর খরচ কেমন হয়েছে ? আশাকরি জানাবেন । অনেক শুভকামনা আপনার জন্য ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫১

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার মন্তব্যের প্রতিটি কথার মধ্যে যে বিশেষ আন্তরিকতা ফুটে উঠেছে, তার জন্যে আপনাকে শ্রদ্ধা জানিয়েই শুরু করছি। আপনার প্রোফাইল পিক, আপনার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আরেকটি কারণ।

আপনার কথায় আমি সত্যি সম্মানিত বোধ করছি, অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

দোযখ কতটা ভয়াবহ হতে পারে, সেটা আমার কল্পনার বাইরে। তবে, ফুটন্ত লাভার কোন ভিডিও দেখলে, যে কোন মানুষের মনেই ভয় ধরবে, আর দোযখের কথা মনে পড়া স্বাভাবিক। আমি নিজেও প্রচণ্ড ভয় পেয়েছি, স্বীকার করতে দ্বিধা নেই।

খরচের ব্যাপারটা মাথায় ছিল, তবে ইচ্ছে করেই তুলিনি।
শুধুমাত্র আগ্নেয়গিরি চুড়া পর্যন্ত হাইকিং এবং উপরের কেবিন এর জন্যে ৩০০ ডলার দিতে হবে। এর বাইরে আপনাকে পোর্টার আর লাঠি (২৫+৫) বাবদ ৩০ ডলার ব্যয় করতে হবে, যদিও এটা বাধ্যতামুলক নয়। খাবার নিজেই ব্যাগপ্যাকে নিয়ে নিবেন। এক রাত আর দু দিনের জন্যে শুকনো বিস্কুট, নুডলস, ফল ইত্যাদি হলেই চলবে। পোশাকের ব্যাপারে স্পেশাল কোন কিছু না হলেও চলবে। তবে, শীতের কথা মাথায় রেখে গরম কাপড় অবশ্যই নিতে হবে, কোন ছাড় দেয়া চলবে না। হাইকিং বুট কেনার কোন দরকার নেই, ভালো মানের কেডস হলেও চলবে।

গোমা শহরে থাকা যায়, মোটামুটি মানের হোটেলে প্রায় ৫০ ডলার লাগবে। তবে শুধুমাত্র আগ্নেয়গিরি বা গেরিলা ট্রেকিং এর জন্যে গোমা বেড়াতে যাওয়ার জন্যে হলে, রুয়ান্ডার কিগালী হয়ে আসতে পারেন। সেক্ষেত্রে রুয়ান্ডার গিসেনী শহরে ( Gisenyi) রাত কাটিয়ে সরাসরি বেইজ ক্যাম্পে চলে আসতে পারবেন। ভিসা বাবদ আলাদা খরচ হবে, যা আমি উল্লেখ করিনি।

১৯| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩৯

রাকু হাসান বলেছেন:

আরেকটু বলি ,বোর্ডের ছিদ্রগুলো কখন কিভাবে হলো ,এত বুলেট এখানে লাগছে ,নিশ্চয় ভয়াবহ রকম গুলাগুলি হয়ে ছিলো । এ বিষয়ে জানা থাকলে জানানোর অনুরোধ করছি ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০৪

মাহের ইসলাম বলেছেন: ছোট হলেও আপনার চোখ এড়ায়নি। তবে, আফ্রিকার কিছু দেশে এটা প্রায় স্বাভাবিক একটা বিষয়।

সংক্ষেপে বললে, কঙ্গোতে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের সাথে বিভিন্ন অঞ্চল ভিত্তিক মিলিশিয়া দলের যুদ্ধ চলছে। যার ফলে, জাতিসঙ্গের একটা বড় সৈন্যদল সহ অন্যান্য অনেক সংস্থা সেখানে মোতায়েন আছে, অনেক দিন ধরেই।

গোমা শহর এই বিবাদে জর্জরিত শহরগুলোর মধ্যে একটা। রুয়ান্ডার বর্ডারের একেবারে কাছে হওয়াতে, বিদ্রোহী মিলিশিয়া বাহিনীর জন্যে বাড়তি সুবিধা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, বিদ্রোহী মিলিশিয়া বাহিনী , যা এম-২৩ নামে পরিচিত, রুয়ান্ডার কাছ থেকে সহায়তা পায়।

বিভিন্ন সময়ে এই শহরে গোলাগুলি হয়েছে, এমনকি জাতিসঙ্ঘের বিভিন্ন অফিসের লোকজনের উপস্থিতিতেও এখানে যুদ্ধ হয়েছে। যুদ্ধের অনেক চিহ্ন শহরের বিভিন্ন স্থানে, পরিত্যক্ত ভবনের দেয়ালে কিংবা সাইন বোর্ডে চোখে পরে। বেইজ ক্যাম্পের সাইনবোর্ডে গুলির চিহ্নগুলি তেমনি একটা মাত্র।

উদাহরণ হিসেবে, একটা লিংক দিলাম। চাইলে আরো কিছু লিংক দেখে নিতে পারেন,
https://www.voanews.com/a/fighting-resumes-outside-goma-in-drc/1734866.html।

২০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫৪

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:




নাহ আপ নারা আমাকে দেশের বাইরে নিয়েই ছাড়বেন ।

এই ধরনের হাইকিং আমার ভালো লাগে । আল্লাহ বাইরে একটা জবের ব্যবস্থা করে দেও ।

বর্ননা আর ছবি দেখে আমার এখন ই যেতে ইচ্ছে করছে ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:১৩

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার না পরীক্ষা চলছে?
এত রাতে ব্লগে ঘুরাঘুরি করলেতো পরীক্ষার বারোটা বাজবে !!

দোয়া করি, আল্লাহ্‌র রহমতে, আপনি পরীক্ষা শেষে ভালো একটা জব পান।
যেন, অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গায় আপনার বেড়ানোর সুযোগ হয়।

আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
শুভ কামনা রইল।

২১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনার পুনশ্চে আবার ফিরলাম লেখায়;
উমম আপনার প্রশ্ন টা আমাকে ভাবালো! কিছুক্ষন কল্পনায় নিজের কলেজ সময়ের জনালা খুলে উঁকি দিলাম! স্মৃতিকাতর হলাম!!
প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে কাক তলিয়ে যেতে পারেনী এবারে-
কলেজের ক্লাসগুলো দোতলাতে ছিলো ঠিক কিন্তু নবনির্মিত সাদা বিল্ডিং এ।

অনেক ধন্যবাদ কিছু সময়ে নস্টালজিক হবার সুযোগ দেবার জন্যে। চমৎকার থাকুন আনন্দে ভ্রমনে। আমাদের কে ভ্রমন গল্প উপহার দিন।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৩৫

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, আবার আমাকে সময় দেয়ার জন্যে।
যাক, নিশ্চিত হলাম যে আমি যাকে চিনি, আপনি সেই ব্যক্তি নন।

বলেই ফেলি, আমার এক ক্লাশমেটের নাম ছিল, মনিরা সুলতানা। সরাসরি আপনাকে জিজ্ঞেস করতে চাইনি, আবার মনের ভিতরে কৌতুহল কোনমতেই দূর হচ্ছিলনা। কিভাবে জিজ্ঞেস করা যায়? অনেক চিন্তা করে , শেষে কলেজের বিল্ডিং এর রঙ মিলানোর চেস্টা করলাম।

শুভ কামনা রইল, ভালো থাকবেন।

২২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২২

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: আমার মায়া পোস্টে একটা কমেন্ট দিয়েছি :)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:১১

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনাকে দেখে খুশি হলাম।
আমার জন্যে কস্ট করে, নিজে থেকেই আমাকে জানাতে আসার মাধ্যমে যে মহৎ হৃদয়ের পরিচয় দিয়েছেন, তার জন্যে আমি কৃতজ্ঞ।

শুভ কামনা রইল।

২৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমি এমন টাই ধারনা করেছিলাম :)

এমন হলে ও মন্দ হত না !! একজন ক্লাসমেট সহ ব্লগার।

ভালো থাকার শুভ কামনা।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৭

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনার ভাবনাটা আমার পছন্দ হয়েছে - দেখি কোনো ক্লাশমেটকে সহব্লগার হিসেবে পেয়ে যাই কিনা।

ভালো থাকবেন।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।

২৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৪

জুন বলেছেন: মাহের ইসলাম ,
আপনি যেমন মুগ্ধ আর বিস্মিত নয়নে আগ্নেয়গিরি ও তার জ্বালামুখ অবলোকন করেছিলেন,আমিও তেমনি রুদ্ধশ্বাসে আপনার লেখাটি পড়লাম ।
আমি অবশ্য বিখ্যাত ভিসুভিয়াসের আশপাশ ঘুরে এসেছিলাম, তবে এখনো তার প্রবল গর্জনে আর জ্বালামুখ দেখার সাহস পাইনি। তাছাড়া উচ্চতাও একটা বড় ফ্যক্ট্রর ছিল ।তাই দেখেছিলাম উত্তপ্ত লাভায় ভস্মিভুত পম্পে নগরীকে ।
আপনি এদিক দিয়ে যথেষ্ট সাহসের পরিচয় দিয়েছেন।
অনেক ভালোলাগা রইলো লেখায়
+

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫

মাহের ইসলাম বলেছেন: ছোট বেলায় ভিসুভিয়াস আর পম্পেই নগরীর গল্প পড়ে দেখার প্রচন্ড আকাংখা ছিল।
সত্যি বলতে কি, সেই আকাংখা একটুকুও কমেনি, অদ্যবধি।
আপনি তার আশে পাশে ঘুরে এসেছেন জেনে, ঈর্ষা হচ্ছে।
আবার ভালো লাগছে এই ভেবে যে, পম্পেই নগরীর এক পর্যটককেতো অন্তত জানার সুযোগ পেয়েছি।

ভিসুভিয়াস না দেখেই বলতে পারি, আমি তেমন সাহসের পরিচয় দেইনি।
কারণ, গোমা শহরের এই আগ্নেয়গিরিতে প্রতিদিন অনেকেই যায়, যাদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের, বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ রয়েছে।

তবে হ্যাঁ, ফুটন্ত লাভা দেখলে যে কোন মুসলমানের মনেই দোযখের একটা কাল্পনিক চিত্র ভেসে উঠবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

আপনাকে পাঠকের বেশে পেয়ে গর্ববোধ করছি। ভালো থাকবেন।

২৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪২

জুন বলেছেন: ভিসুভিয়াস -১
কষ্ট করে এখানে দেখে নিতে পারেন আমার চোখে ভিসুভিয়াসকে :)

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:০৭

মাহের ইসলাম বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

সত্যি বলতে কি, আপনার ভ্রমণ কাহিনী পড়ে, ভিসুভিয়াস আর পম্পেই দেখার আকাংখা আরো বেড়ে গেছে, আমার।


ভালো থাকবেন, অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।

২৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহের ইসলাম,




গলিত লাভার মতোই জমাটি লেখা। সুচারু বর্ণনায় এমন এ্যাডভেঞ্চারাস লেখাটির শুরু থেকে শেষের চূড়াটি পর্যন্ত উঠে গেছি কোথাও না থেমে, একটানে। সবটা মিলিয়ে পোস্টের কমলা রঙের অপার্থিবতায় আটকে ছিলো চোখ। পাহাড়ী ফুলগুলোর মতোই বর্নিল লেখা।
দারুন.............................

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৮

মাহের ইসলাম বলেছেন: ভাই,
আপনার মন্তব্যের ভাষার মানে এবং শব্দের দক্ষ ব্যবহারে মুগ্ধ না হয়ে পারলাম না।
অনেক ভালো লাগল, আপনার অতীব সুন্দর কিছু কথা শুনে।
অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন, শুভ কামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.