নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

‍‍‍"Al-Quran", The source of science - Dr. Mahfuz

নাড়ীর স্পন্দন গুনে রুগীর সেবা করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে চেতনার কলম ধরি।('মনের মাধুরী' হলো পার্থিব জ্ঞান সমৃদ্ধ স্বচ্ছ মনন- আর 'চেতনার কলম' হলো আল-কোরআনের ঐশী আলোয় আলোকিত বিবেক সম্পন্ন লিখন)

মাহফুজশান্ত

আসুন, "ধর্মান্ধতা পরিহার করে ধর্মিষ্ঠ হই" "বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম" [আল-কোরআন-৯৬. সূরা আল-আলাক] ০১. পাঠ কর (এবং ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন- ০২. সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ হতে। ০৩. পাঠ কর, আর (ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত। ০৪. যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন- ০৫, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।] পবিত্র কোরআনের ৯৬ নম্বর সূরা 'আলাক'-এর প্রথম এই পাঁচটি আয়াত অত্যন্ত মূল্যবান এবং যা মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে ফেরেশতা জিবরীল (আঃ)-এর মাধ্যমে সর্বশেষ নবী রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপর নাযিলকৃত সর্বপ্রথম ওহি অর্থাৎ ঐশীবাণী। মহামহিমান্বিত প্রতিপালকের নামে শিক্ষা লাভের জন্য পাঠ করা ( Study ) অর্থাৎ আল্লাহর রাস্তায় থেকে জ্ঞানার্জন করা এবং জ্ঞানের প্রচার ও প্রসারে কলমের ব্যবহার অর্থাৎ 'লিখন' যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখে তা সর্বজনবিদিত। মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকে খাঁটি মানুষ রূপে গড়ে তোলার জন্য যে সর্বপ্রথমে এই ধরণের চমৎকার ও কার্যকর ঐশীবাণী প্রদান করে অনুপ্রাণিত করবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে পার্থিব জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝেও আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের বিষয়ে জ্ঞান চর্চার তাগিদে সময় বের করে নিতে হয়েছে। যে জ্ঞানের কোন সীমা পরিসীমা নেই, যে জ্ঞানের কথা লিখতে বসলে মহাসাগরের এমনকি আকাশ ও পাতালের সকল জলরাশিকে কালি বানালেও তা ফুরিয়ে যাবে- তার জন্য এই সময়টুকু অতি নগন্য। তথাপি আমার এই ছোট্ট প্রয়াসের জন্য দয়াময় আল্লাহতায়ালা যে আমাকে সুযোগ ও তৌফিক দিয়েছেন সেজন্য আমি অবনত মস্তকে সর্বশক্তিমান স্রষ্টার কাছে প্রতি মূহুর্তে শুকরিয়া আদায় করছি। সত্যের স্বরূপ উদঘাটনে যতটুকু সফলতা অর্জন করতে পেরেছি তার সবটুকুই আল-কোরআনের ঐশীবাণীসমূহের মর্ম সঠিকভাবে অনুধাবনের ফলেই সম্ভব হয়েছে। আর ব্যর্থতার জন্য একজন অতি সাধারন মানুষ হিসেবে আমার অযোগ্যতা ও অজ্ঞতাই সম্পূর্ণরূপে দায়ী। হে বিশ্ববিধাতা করুণাময় মহান আল্লাহ , সর্বপ্রকার অনিচ্ছাকৃত ভুল-ভ্রান্তির জন্য সর্বদা অবনত মস্তকে ক্ষমাভিক্ষা চাই। আর সরল ও সত্যের পথ যতটুকু অর্জন করতে পেরেছি তার উছিলায় একজন হতভাগা পাপী বান্দা হিসেবে তোমার জ্যোতির্ময় আরশের ছায়াতলে চিরকালের জন্য একটুখানি ঠাঁই চাই। আশাকরি ছোটখাট ভুলত্রুটি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। চিন্তাশীল সুধীজনদের সুচিন্তিত পরামর্শ ও সমালোচনা সাদরে গ্রহণ করা হবে।

মাহফুজশান্ত › বিস্তারিত পোস্টঃ

যৌনকর্মী হিসেবে স্বীকৃতি নয়, বরং এই অমানবিক বন্দীদশা থেকে মুক্তির পদক্ষেপ নিন

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:৩৩

নিষিদ্ধ পল্লীর সেই সব হতভাগা নারীদের (তথাকথিত যৌনকর্মী বা পতিতা) জীবনকে আমি অসুস্থ জীবন তুল্য মনে করি। এরূপ অবমাননাকর ও কষ্টকর কর্মের মাধ্যমে কি কেউ সুস্থভাবে জীবনযাপন করতে পারে? এমনটি আমি কল্পণাও করতে পারি না। কিন্তু অনেকেই যে এরূপ অন্ধকার জগতে অসুস্থ জীবন যাপন করছেন, তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই। এই অসহায় নারীদের গর্ভে যারা জন্ম নিচ্ছে তারা নিষ্পাপ হওয়া সত্বেও অন্ধকার জগতেই হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আশ্চর্য লাগে যখন দেখি, ভদ্র ও শিক্ষিতের মুখোশ পরে একদল কুচক্রি এই অসহায় মা ও শিশুদের মুক্তি ও স্বাভবিক জীবনে ফিরিয়ে দেবার কথা না ভেবে বরং ঘৃণ্য নেশা চরিতার্থ করার পথটা যেন পোক্ত করারই পাঁয়তারা করছে। ধিক্ শত ধিক্ এই সব স্বার্থপরদের জন্য।



পতিতা

আগার তাহার বিভীষিকাভরা, জীবন মরণময়!

সমাজের বুকে অভিশাপ সে যে – সে যে ব্যাধি, সে যে ক্ষয়;

প্রেমের পসরা ভেঙে ফেলে দিয়ে ছলনার কারাগারে

রচিয়াছে সে যে, দিনের আলোয় রুদ্ধ ক’রেছে দ্বার!

সূর্যকিরণ চকিতে নিভায়ে সাজিয়াছে নিশাচর,

কালনাগিনীর ফনার মতন নাচে সে বুকের পর!

চক্ষে তাহার কালকুট ঝরে, বিষপঙ্কিল শ্বাস,

সারাটি জীবন মরীচিকা তার প্রহসন-পরিহাস!

ছোঁয়াচে তাহার ম্লান হয়ে যায় শশীতারকার শিখা,

আলোকের পারে নেমে আসে তার আঁধারের যবনিকা!

সে যে মন্বন্তর, মৃত্যুর দূত, অপঘাত, মহামারী-

মানুষ তবু সে, তার চেয়ে বড় – সে যে নারী, সে যে নারী!

'জীবনানন্দ দাশ'



তারা মানুষ এবং নারী। অসুস্থ মানুষকে অসুস্থতার সার্টিফিকেট হাতে ধরিয়ে দিলেই সে সুস্থ হয়ে যায় না, বরং তাকে সুস্থ করে তোলার জন্য যে সু-চিকিৎসার দরকার হয় তা সবাই বোঝে। তা না হলে সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়বে এবং কষ্ট নিয়ে বাঁচা-মরার সাথে লড়াই করতে করতে এক সময় পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেবে। সুস্থ জীবনের স্বাদ আস্বাদন করার সৌভাগ্য তার কপালে আর হয়ত নাও জুটতে পারে।



তাদের মধ্যে অনেকে হয়ত প্রতারিত ও বাধ্য হয়ে এরূপ অবমাননাকর ও অসুস্থ কর্মে লিপ্ত হয়েছে। পতিতাবৃত্তিকে স্বীকৃতি দিলে এই হতভাগা নারীদের জীবন নিয়ে যারা ব্যাবসা করছে তারাই লাভবান হবে। তাই এই অমানবিক কর্মকে সামাজে প্রতিষ্ঠা করার অযুহাতে তাদেরকে আরও অসুস্থ বাননোর পক্ষপাতি আমি নই। বরং আসুন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই হতভাগা মা, বোন ও নিষ্পাপ শিশুদেরকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার সকল প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার সাথে সাথে সহযোগীতার হাত প্রসারিত করি।



শুধুমাত্র যৌনকর্ম করে জীবিকা নির্বাহ করা কোন মানুষের জন্য সম্মানের হতে পারে না। সুতরাং স্বেচ্ছায় যদি কোন নারী এ ধরনের অবমাননাকর কর্মকে পেশা হিসেবে বেছে নেয় তবে তাকে মানসিকভাবে সম্পূর্ণরূপে সুস্থ নয় বলেই আমি মনে করি। মাদকসেবিদের মত তাদের জন্যও কাউন্সিলিং ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে আমি দৃঢ় অভিমত প্রকাশ করছি।



অনেক কাল থেকেই ভোগ-লালসা চরিতার্থ করার ও ব্যবসায়ীক ফায়দা হাসিলের জন্য শুধু পুরুষই নয়, পাশাপাশি নারীরাও এই হতভাগা নারীদের ব্যবহার করে আসছে। বর্তমানে নারীদের জন্য অনেক পেশার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে। সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি এখন সময় এসেছে পতিতা বৃত্তিকে- 'না' বলার



সস্তা সেন্টিমেন্টের ফক্কা ইমেজের চালে তাদের মগজ ধোলাই করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের হাতিয়ার বানাবার জন্য অর্থাৎ কোন পক্ষকে শুধুমাত্র ভোটে জেতাবার বা হরাবার ট্রামকার্ড হিসেবে তাদেরকে ব্যবহার করার কুটচিন্তা হচ্ছে কিনা তা ভবিষ্যতই বলে দেবে। কারন ভোটযুদ্ধে একটি ভোটের মূল্যই অনেক। সরকারের কাছে জোর আবেদন জানাই- "যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই অপমানকর পরিস্থিতি থেকে নারীদের উদ্ধার করে তাদের পুণর্বাসন করার পাশাপাশি পতিতা বৃত্তির সাথে জড়িতদের (নারী ও পুরুষ উভয়ের) বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির বিধান করা হোক।"



এই হতভাগা নারীদের অপমানকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তির কথা না বলে যৌনকর্মী হিসেবে স্বীকৃতি দেবার নামে কেউ কেউ মিষ্টি কথার মারপ্যাচে বিষ ঢেলে দেয়ায় যে খুবই পটু- তাদের লেখায় তার স্বাক্ষর তারা রেখেছে। এই বিষ পান ও হজম করে তাদের লেখার বক্তব্যকে যারা সায় দিয়েছেন- "দুষ্ট লোকের মিষ্টি কথায় কখনও ভুলিতে নাই" এই প্রবাদ বাক্যটি ক্ষণিকের জন্য হলেও হয়ত তারা ভুলে গেছেন। কিন্তু আমার পক্ষে এই বিষ গলধকরন করা তো দূরে থাক, তার ঘ্রাণ নিতেও ঘৃনা বোধ করি। তাদের মধ্যে একজন খাতা-পেন্সিলধারীর লেখার স্টাইলটি বাহবা পাবার যোগ্য বটে। কলমে ধর্মনিরপেক্ষতার ঢোল পেটালেও মানসিকতায় ধর্মনিরপেক্ষতা নয়, বরং ধর্মহীনতার হাতছানি পরিষ্কারভাবে ফুটে উঠেছে। কারন আমাদের দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কোন ধর্মেই যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি। তাদের ফাঁকা-বুলিতে "মানবতার উপর ধর্ম নাই" ভাবটা প্রকাশ করার চেষ্টা করলেও শেষতক অমানববিক দিকটিই কিন্তু ধরা পড়েছে।



তাদেরই একজন একদিকে বলে:- সমাজে পুরুষ নিজের সামাজিক প্রতিপত্তি আর পরিচয়ের জন্যে রেখেছে স্ত্রী, আর ভোগ ও লালসার জন্যে রেখেছে যৌনকর্মী।



তাই যদি হয় তাহলে সে নিজেও একজন পুরুষ হয়ে তো একই কথাই ভাবছে। বিকৃত রুচরি পুরুষের ও যৌন ব্যাবসায়ীদের লালসার স্বীকার হতভাগা নিরুপায় নারীদের এই আঁধার জগত থেকে মুক্তির কথা না ভেবে উল্টো যৌনকর্মী হিসেবে স্বীকৃতি দেবার কথা বলে পরোক্ষভাবে তো হতভাগাদের স্থায়ীভাবে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপের ব্যবস্থাটাই পাকা করা হচ্ছে। আঁধারজগতের বাসীন্দাদের আলোর মুখ দেখাবার কথা না বলে বরং সেই আঁধারেই কবর দেয়ার বা চিতা জ্বালানোর অমানবিক পরিকল্পণাকে আমি ধিক্কার জানাই। যারা এ পেশাকে স্বীকৃতি দেয়ায় ধেই ধেই করে নাচছে তারা খুব মুক্তমনা ভাব দেখালেও আসলে তাদের বক্রমনের পরিচয়টা অনেক চেষ্টা করেও তারা ঢাকতে পারেনি। আদিম কাল থেকে অনেক অপকর্মই তো অনেক পুরুষ, নারীরা চালিয়ে যাচ্ছে। তাহলে তো মানবতার ধ্বজাধারীরা সব অপকর্মকেই ধীরে ধীরে স্বীকৃতি দেবার কথা বলতে পারে।



তাদেরই একজন আরও বলে:- ধর্মপ্রবণ এবং মোটামুটি অশিক্ষিত এই জনপদে গিজ গিজ করছে মাথা, সেই মাথায় চুল গজায় আবার ঝরে পড়ে টাক বিস্তৃত হয় কিন্তু খুলির ভেতরে ধূসর-বস্তুতে খুব বেশি আলোড়ন ওঠে না। যে খুলিগুলোতে কিছুটা রসদ থাকে, সেগুলো ড্রেন দিয়ে বা প্লেনে চড়ে পাচার হয়ে যায় ফর্সা-চামড়ার দেশে।



যিনি এ বক্তব্য দিয়েছেন তিনিও তো নিশ্চয় এ জনপদেরই বাসিন্দা। নাকি অন্য কোন ভিন দেশের? যদি এদেশেরই বাসিন্দা হয়ে থাকেন তবে সে তার বর্ণীত দুটি দলের প্রথমটিতে, নাকি ড্রেন দিয়ে বা প্লেন দিয়ে খুলির রসদ পাচারকারির দলে? এদেশে নারী পাচারেরও যে একটি দল আছে তা মোটামুটি সবাই জানে । তাদের মতে যারা নারী পাচারের ব্যবসা করে- তাদের পেশা তো নারী পাচারকর্মী হবার কথা। মনে হয় ওদের ব্যবসা এখন বেশ মন্দা যাচ্ছে। তাই খাতা-পেন্সিল হাতে নেমে পড়েছে। ভাবটা এমনই যেন এই সুযোগে ইনিয়ে বিনিয়ে তাদের কু-কর্মের পেশাটাও নারী পাচারকর্মী হিসেবে স্বীকৃতি আদায় করে ছাড়বে।

আগে যারা পড়েছেন-

Click This Link

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১২/-২

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:৫০

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: ভাল বলেছেন... ++

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:০২

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১২:৫৫

সাইমুম বলেছেন: মুক্তি দিতে গেলে পয়সা লাগবে, বাজেট লাগবে। পুনর্বাসন জরুরি ও সবচেয়ে বেশি মানবিক। কিন্তু ওই কাজের ঝূকি নিতে কোনো সরকার রাজি হবে বলে মনে হচ্ছে না।

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:১৭

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ভাই, আপনি যা বলেছেন সবই ঠিকই আছে

তবে এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন সদিচ্ছার। আমাদের সরকারের অধীনে মহিলা অধিদপ্তর আছে, আছে ত্রাণ ও পূণর্বাসন মন্ত্রনালয়। তাছাড়া নারীদের অধিকার নিয়ে যারা কাজ করেন সেই সব দেশি ও বিদেশি সংস্থার তো অভাব নেই। অভাব নেই টাকা ওয়ালা মানুষের। এখন শুধু প্রয়োজন সদিচ্ছা ও উদ্যোগ গ্রহণের। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজেও একজন নারী। সুতরাং নারীদের এই অবমাননা ও দুঃখ তিনি যদি দূর করার প্রয়াশ না নেন তাহলে কে নেবে? সরকার ইচ্ছে করলে এই সব হতভাগা নরীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে হস্তশীল্প কারখানা গড়ে তুলতে পারেন।

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:১৭

মুনিয়া বলেছেন: হুমম।
গুড পোস্ট

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:১৮

মাহফুজশান্ত বলেছেন: থ্যাংক্স

৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১০ দুপুর ১:২৬

জন০০৭ বলেছেন:
ভালো লেগেছে

২৮ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৩:১৮

মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১:৫৬

এস এম ফারুক হোসেন বলেছেন: যথার্ত

০৯ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:৩২

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনি কি এমনটি বলতে চাইছেন?
যথার্থ/যথাতথ= Right; correct; true; real; proper; accurate; genuine; exact.

৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৩:০১

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: যৌনকর্মীর স্বীকৃতি দেয়ার বিরুদ্ধে লেখাটি বেশ শক্তিশালী হলেও মুক্তির পথ কিন্তু পরিষ্কার হয়নি।

সরকার বা সমাজসেবী সংগঠন হয়ত এইসব নারীদের আর্থিক নিরাপত্তার ব্যাবস্থা করতে পারবে - কিন্তু অর্থইতো সব নয়। মানুষের সামাজিক নিরাপত্তা, সামাজিক সম্মান ও পরিচিতি এবং জৈবিক(বা যৌন) চাহিদাও কম গুরুত্বপুর্ণ নয়। একজন পতিতা যদি ঐ পেশা থেকে বেড়িয়ে আসতে চায় আমাদের সমাজ কি তাকে ভাল ভাবে গ্রহন করবে? আমাদের বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে যদি সে কাজ চায়, অথবা আমাদের কোন প্রতিষ্ঠানে যদি সে শ্রমিকও হতে চায় আমরা কি উদার মনে তাকে আশ্রয় ও কাজ দেব? তার চেয়েও বড় প্রশ্ন হচ্ছে পতিতালয় থেকে ফিরে আসা কোন যৌনকর্মী বা তার নিস্পাপ মেয়ে শিশুকে কি কেউ বিয়ে করে সামাজিক ভাবে পুনর্বাসিত করতে রাজি হবে?? সমাজ যদি না বদলায় তাহলে সরকার বা এন.জি.ওর কি সাধ্য আছে এই জটিল সমস্যার সমাধান করার?

একটা তথ্য শেয়ার করি - অনেক দিন আগে কোন এক পত্রিকার প্রতিবেদনে পড়েছিলাম সরকারী যৌনকর্মী পুনর্বাসন প্রকৃয়ার করুন পরিনতির কথা। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল সরকারী উদ্যোগে যাদেরকে পুনর্বাসন কেন্দ্রে রাখা হয় তাদের অধিকাংশই পরবর্তীতে সমকামিতা ও বিভিন্ন নেশায় আক্রান্ত হয়ে পরে। সত্য মিথ্যা জানি না - সম্ভব হলে খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন এখনও সেই পুনর্বাসন প্রকৃয়া চালু আছে কি না বা সেখানে পুনর্বাসিতদের বর্তমান অবস্থা কি। তার পর সরকারী বা সেবাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পুনর্বাসন প্রকৃয়া সম্ভব কি না সে ব্যাপারে চিন্তা করা যাবে।

বি:দ্র: কবিতাটার তৃতীয় লাইনের শেষ শব্দটা সম্ভবত 'কারাগার' হবে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:০৮

মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন।
এই পোষ্টটি মূলত যৌনকর্মী হিসেবে স্বীকৃতি দেবার বিরুদ্ধেই লেখা। আমি জানি কাজটি বেশ কঠিন, বহুদিনের এই বদভ্যাসকে রাতারাতি উঠিয়ে দিতে হলে বেশ শক্ত ও নিঃস্বার্থ পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু তাই বলে মুক্তির উদ্দোগ না নিয়ে বন্দীদশাকে রংচং দিয়ে পাকাপোক্ত করার পক্ষে আমি নই।
তাই তো আমি বলেছি-
সরকারের কাছে জোর আবেদন জানাই- "যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই অপমানকর পরিস্থিতি থেকে নারীদের উদ্ধার করে তাদের পুণর্বাসন করার পাশাপাশি পতিতা বৃত্তির সাথে জড়িতদের (নারী ও পুরুষ উভয়ের) বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির বিধান করা হোক।"
আমি আরও বলেছি-
আসুন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই হতভাগা মা, বোন ও নিষ্পাপ শিশুদেরকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনার সকল প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার সাথে সাথে সহযোগীতার হাত প্রসারিত করি।

এই বক্তব্যের দ্বারা আমি তাদের সামাজিক নিরাপত্তা, সামাজিক সম্মান, পরিচিতি তথা সুস্থ/স্বাভাবিক জীবনে পূণর্বাসনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন সবই বোঝাতে চেয়েছি। এটি যেহেতু অনেক পুরানো একটি বিষয়, তাই সরকারের সদিচ্ছা ও হস্তক্ষেপ খুবই জরুরী। তার চেয়েও জরুরী সামাজিক সচেতনতা। আপনি যে সমস্যাগুলোর কথা বললেন, যেমন সমকামিতা ও বিভিন্ন নেশায় আক্রান্ত হয়ে পড়া- এগুলো তো এখন শুধু তাদেরই নয়, অনেক এলিট সমাজেও পান্তাভাত। এগুলো রোধের জন্য সবার জন্যই সমান আইন প্রযোজ্য। যেমন ধরুন, আমাদের পরিবারের ভাই বা বোনকে কোন কারনে বিয়ে দিতে দেরি হলে বা তারা না করলে কি তাদেরকে এই অপকর্ম করার পারমিশন দেয়া হবে। অন্তত ইসলামী সমাজে এটি সম্ভব নয়।

ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায এই ধরনের অমানবিক ও হারাম কর্মকে সমাজে চলতে দেবার প্রশ্নই ওঠে না। যে কোন ইসলামী সরকারের জন্য এই অপকর্মগুলো সমাজ থেকে যতদ্রুত সম্ভব মূলোৎপাটনের ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া অন্য কোন অপশন নই। সেই সাথে ভুক্তভোগিদের জন্যও অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে বৈকি।

এখান যেহেতু ইসলামি সমাজ ব্যবস্থা নেই- তাই আসুন, আপাতত জেনা/ব্যবিচারের মতই এই ঘৃণ্য কর্মকে না বলার পাশাপাশি যে যেভাবে পারি ওদরে মুক্তির জন্য বলি, জনগণ ও সরকারকে বোঝাই এবং নিজেরাও কিছু একটা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.