![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আসুন, "ধর্মান্ধতা পরিহার করে ধর্মিষ্ঠ হই" "বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম" [আল-কোরআন-৯৬. সূরা আল-আলাক] ০১. পাঠ কর (এবং ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন- ০২. সৃষ্টি করেছেন মানুষকে ‘আলাক’ হতে। ০৩. পাঠ কর, আর (ঘোষনা / প্রচার কর) তোমার প্রতিপালক মহামহিমান্বিত। ০৪. যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন- ০৫, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।] পবিত্র কোরআনের ৯৬ নম্বর সূরা 'আলাক'-এর প্রথম এই পাঁচটি আয়াত অত্যন্ত মূল্যবান এবং যা মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে ফেরেশতা জিবরীল (আঃ)-এর মাধ্যমে সর্বশেষ নবী রাসূলুল্লাহ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপর নাযিলকৃত সর্বপ্রথম ওহি অর্থাৎ ঐশীবাণী। মহামহিমান্বিত প্রতিপালকের নামে শিক্ষা লাভের জন্য পাঠ করা ( Study ) অর্থাৎ আল্লাহর রাস্তায় থেকে জ্ঞানার্জন করা এবং জ্ঞানের প্রচার ও প্রসারে কলমের ব্যবহার অর্থাৎ 'লিখন' যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখে তা সর্বজনবিদিত। মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টিকে খাঁটি মানুষ রূপে গড়ে তোলার জন্য যে সর্বপ্রথমে এই ধরণের চমৎকার ও কার্যকর ঐশীবাণী প্রদান করে অনুপ্রাণিত করবেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে পার্থিব জীবনের শত ব্যস্ততার মাঝেও আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের বিষয়ে জ্ঞান চর্চার তাগিদে সময় বের করে নিতে হয়েছে। যে জ্ঞানের কোন সীমা পরিসীমা নেই, যে জ্ঞানের কথা লিখতে বসলে মহাসাগরের এমনকি আকাশ ও পাতালের সকল জলরাশিকে কালি বানালেও তা ফুরিয়ে যাবে- তার জন্য এই সময়টুকু অতি নগন্য। তথাপি আমার এই ছোট্ট প্রয়াসের জন্য দয়াময় আল্লাহতায়ালা যে আমাকে সুযোগ ও তৌফিক দিয়েছেন সেজন্য আমি অবনত মস্তকে সর্বশক্তিমান স্রষ্টার কাছে প্রতি মূহুর্তে শুকরিয়া আদায় করছি। সত্যের স্বরূপ উদঘাটনে যতটুকু সফলতা অর্জন করতে পেরেছি তার সবটুকুই আল-কোরআনের ঐশীবাণীসমূহের মর্ম সঠিকভাবে অনুধাবনের ফলেই সম্ভব হয়েছে। আর ব্যর্থতার জন্য একজন অতি সাধারন মানুষ হিসেবে আমার অযোগ্যতা ও অজ্ঞতাই সম্পূর্ণরূপে দায়ী। হে বিশ্ববিধাতা করুণাময় মহান আল্লাহ , সর্বপ্রকার অনিচ্ছাকৃত ভুল-ভ্রান্তির জন্য সর্বদা অবনত মস্তকে ক্ষমাভিক্ষা চাই। আর সরল ও সত্যের পথ যতটুকু অর্জন করতে পেরেছি তার উছিলায় একজন হতভাগা পাপী বান্দা হিসেবে তোমার জ্যোতির্ময় আরশের ছায়াতলে চিরকালের জন্য একটুখানি ঠাঁই চাই। আশাকরি ছোটখাট ভুলত্রুটি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। চিন্তাশীল সুধীজনদের সুচিন্তিত পরামর্শ ও সমালোচনা সাদরে গ্রহণ করা হবে।
এ ধরণীতে ঠিক কতকাল পূর্বে জীবনের উন্মেষ ঘটেছে তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়। Heterotroph, chemotroph organisms কিংবা Eubacteria, Archaebacteria, Stromatolites আর RNA-Virus এর মধ্যে কোনটাকে আগে আর কোনটা পরে সৃষ্টি করা হয়েছে- আমার এ আলোচনায় সেটি মূল বক্তব্য নয়। Fossil record অনুসারে কোন fossil কে এ পৃথিবীতে প্রাপ্ত প্রাণের প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে বিবেচনা করা হয় তা এখন মোটামুটি সবারই জানা। আমার জানা মতে এ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রাপ্ত fossil record এর তথ্য অনুযায়ী এ পৃথিবীতে কোটি কোটি বছর পূর্বে আবির্ভূত এলজে জাতীয় সামূদ্রিক এককোষী প্রাণীর fossil কে জীবনের প্রচীনতম নিদর্শন (Symbol, proof) হিসেবে গণ্য করা হয়।
বিজ্ঞান-
Cyanobacteria are prokaryotes (single-celled organisms) often referred to as "blue-green algae."
Cyanobacteria are very old, with some fossils dating back almost 4 billion years (Precambrian era), making them among the oldest things in the fossil record.
Cyanobacteria lack cilia, performing locomotion by gliding along surfaces. They are found most frequently in freshwater, but variants exist almost anywhere where there is water, including inside of other organisms such as lichen, plants and protists.
Cyanobacteria at mainly found in the oceans, where they are primary producers and are eaten by many other organisms. The blue-green tinge they give the water is the source of their name, blue-green algae.
পৃথিবীতে প্রথম প্রাণের আবির্ভাব সম্পর্কে গবেষণা চালছে এবং বিভিন্ন জন বিভিন্ন মতবাদ বা তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছেন-
Pioneer organism
The fundamental idea of the origin of life according to the iron-sulfur world theory can be simplified in the following brief characterization: Pressurize and heat a water flow with dissolved volcanic gases (e.g. carbon monoxide, ammonia and hydrogen sulfide) to 100°C. Pass the flow over catalytic transition metal solids (e.g. iron sulfide and nickel sulfide). Wait and locate the formation of catalytic metallo-peptides. Some crucial aspects of this theory have been confirmed experimentally
বর্তমানে একদল বিজ্ঞানী পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টি সম্পর্কে যে তথ্য দিয়েছেন তা হলো-
ভাসেলডরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর উইলিয়াম মার্টিন এবং গ্লাসগোতে স্কটিশ এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ সেন্টারের প্রফেসর মাইকেল রাসেল এর মতে:- প্রাণ সৃষ্টির আগে কোষের জন্ম হয়। প্রথমে কোষ জীবন্ত ছিল না। এটি মৃত ছিল এবং এর সৃষ্টি হয় আয়রন সালফাইড হতে। বিজ্ঞানীগণ গবেষণা করে এই সিদ্ধান্তে উপনিত হন যে, জীবনের সৃষ্টি হয়েছিল সমূদ্রের তলদেশে অন্ধকারে জলমগ্ন ক্ষুদ্র পাথুরে পরিবেশে অর্থাৎ আয়রন সালফাইড পাথরের তৈরি অতি ক্ষুদ্র প্রোকষ্ঠ ইনঅরগ্যানিক ইনকিউবেটরে। তাদের বর্ণনা অনুসারে সতন্ত্র ও সংরক্ষিত কোন স্থানে বা আধারে প্রথমে জীব কোষের গঠন সম্পন্ন হয়। প্রথমে কোষ মৃত ছিল। পরবর্তীতে তা প্রাণের মলিকিউলে পূর্ণ হয় অর্থাৎ কোষে প্রাণ সঞ্চার ঘটে। তবে কেমন কোরে প্রান সঞ্চার হলো তা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে।
Proto-ecological systems
Russell adds a significant factor to these ideas, by pointing out that semi-permeable mackinawite (an iron sulfide mineral) and silicate membranes could naturally develop under these conditions and electrochemically link reactions separated in space, if not in time.
Despite this, it is not clear whether the proposed mechanism of abiogenetic life could actually work, or was how life did start.
আল-কোরআন-
সূরা নূর- আয়াত নং-৪৫
(২৪ : ৪৫) অর্থ:- আল্লাহ্ সকল প্রকার প্রাণীকে সৃষ্টি করেছেন পানি থেকে। তাদের কতক বুকে ভয় দিয়ে চলে, কতক দুই পায়ে ভর দিয়ে চলে এবং কতক চার পায়ে ভর দিয়ে চলে; আল্লাহ যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।
সূরা ত্বহা- আয়াত নং-৫৩
(২০ : ৫৩) অর্থ:- তিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে বিস্তৃত করেছেন এবং তাতে চলার পথ করেছেন, তিনি আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন এবং তা দ্বারা আমি জোড়ায় জোড়ায় বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি।
পানির স্পর্শে জীবনের সূত্রপাত ঘটে। তাছাড়া সমস্ত জীবেরই দৈহিক গঠনে, জীবনের স্পন্দনে এবং জীবন ধারণের জন্য পানি অপরিহার্য এবং এর কোন বিকল্প নেই। জীবনের স্পন্দনে পানির উপস্থিতিই যে একমাত্র পূর্বশত তা আজ একটি চরম বৈজ্ঞানিক সত্য। কিন্ত্তু আশ্চর্যের বিষয়, সেই ১৪৫০ বছর পূর্বেই ঐশী গ্রন্থ আল-কোরআনে পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির বিষয়ে এই মৌলিক বৈজ্ঞানিক তথ্যটি সংক্ষেপে অথচ কত নিখুত ভাবেই না ব্যক্ত করা হয়েছে-
সূরা মুরসালাত-আয়াত নং-(২০ - ২৩)
(৭৭ : ২০) আলাম নাখলুক্বকুম মিম মা- য়িম মাহীন।
(৭৭ : ২০) অর্থ:- আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ পানি থেকে সৃষ্টি করিনি ?
(৭৭ : ২১) ফাজ্বা‘আলনা-হু ফী ক্বারা-রিম মাকীন।
(৭৭ : ২১) অর্থ:- অতঃপর আমি তা রেখেছি সংরক্ষিত আধারে।
(৭৭ : ২২) ইলা- ক্বাদারিম মা’লূম।
(৭৭:২২) অর্থ:- এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত।
(৭৭ : ২৩) ফাক্বাদরনা- ফানি’মাল ক্বা- দিরূন।
(৭৭ : ২৩) অর্থ:- অতঃপর আমি পরিমিত আকারে সৃষ্টি করেছি, আমি কত নিপুণ স্রষ্টা।
সূরা সিজদাহ্-আয়াত নং-(৭ - ৯)
(৩২ : ০৭) লাজী-আহছানা কুল্লা শাইয়িন খালাক্বাহূ ওয়া বাদাআ খালাক্বাল ইনছা-নি মিন ত্বীন।
(৩২ : ০৭) অর্থ:- তিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে সুন্দর করেছেন এবং কাদামাটি হতে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন।
(৩২ : ০৮) ছুম্মা জ্বাআলা নাছলাহূ মিন ছুলা-লাতিম মিম মা-য়িম মাহীন।
(৩২ : ০৮) অর্থ:- অতঃপর তিনি তার বংশধারা বা ভিত্তি স্থাপন করেছেন তুচ্ছ পানির নির্যাস থেকে।
(৩২ : ০৯) ছুম্মা ছাওয়্যা-হু ওয়া নাফাখা ফীহি মির রূহিহী ওয়া জ্বাআলা লাকুমুছ ছামআ ওয়াল ওয়াবছা-রা ওয়াল আফ্য়িদাহ ; ক্বালীলাম মা-তাশকুরূন।
(৩২ : ০৯) অর্থ:- অতঃপর তিনি ওকে সুষম করেছেন এবং তাঁর নিকট হতে ওতে রূহ (প্রাণ) সঞ্চার করেছেন এবং পরিগঠন করেছেন তোমাদের কর্ণ, চক্ষু ও অন্তঃকরন। তোমরা অতি সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।
সূরা দাহর-আয়াত নং-১ ও ২
(৭৬ : ১) হাল আতা-আলাল ইনছা- নি হীনুম মিনাদ দাহরি লাম ইয়াকুন শাইআম মাজকুরা।
(৭৬ : ১) অর্থ:- নিশ্চয় এমন কিছু কাল অতিবাহিত হয়েছে- যখন মানবসত্তা উলেখযোগ্য কিছু ছিল না।
(৭৬ : ০২) ইন্না- খালাক্বনাল ইনছা- না মিন নুত্বফাতিন আমশা- জ্বিন নাবতালীহি ফাজ্বাআলনা- হু ছামীআম বাছীর।
(৭৬ : ০২) অর্থ:- আমি তো মানুষকে সংমিশ্রিত পরিচ্ছন্ন পানির বা তরল পদার্থের বাছাইকৃত বা পরিবর্তিত অতি সামান্য অংশ থেকে সৃষ্টি করে তাকে পরিগঠন করেছি শ্রবণ ও দর্শনকারী রূপে।
সূরা নূহ- আয়াত নং- ১৩, ১৪, ১৭
(৭১:১৩) অর্থ- তোমাদের কি হল যে, তোমরা আল্লাহতায়ালার শ্রেষ্টত্ব আশা করছ না।
(৭১:১৪) অর্থ- অথচ তিনি তোমাদেরকে বিভিন্ন পর্যায়ে সৃষ্টি করেছেন।
(৭১:১৭) অর্থ- আল্লাহতায়ালা তোমাদেরকে মাটি থেকে উদগত করেছেন।
আলোচনা-
সুতরাং আল-কোরআন ও বিজ্ঞানের তথ্যগুলো পর্যালোচনা করলে ঝুঝে নেয়া যায় যে, মহাবিজ্ঞানময় সৃষ্টিকর্মের ধারাবাহিকতায় এই ভূপৃষ্ঠে এমন কিছু সময় অতিবাহিত হয়েছে যখন জীবনের কোন স্পন্দন ছিল না। (৭৬:১) ফলে মানবসত্তা তথা সকল জীবিত সত্তাগুলো তখন প্রাণহীন অর্থাৎ অনুল্লেখযোগ্য অবস্থায় কাদামাটি (৩২:৭) অর্থাৎ তুচ্ছ (৭৭:২০) পানি ও মাটির বিভিন্ন উপাদানসমূহের মিশ্রিত অতি সামান্য অংশের মাঝে প্রক্রিয়াধীন ও ধাপে ধাপে পরিবর্তনশীল অবস্থায় কালাতিপাত করছিল।
বর্তমানে বিজ্ঞানের বদৌলতে আমরা জানতে পেরেছি যে, (৭১:১৭) মানব দেহের গঠন ও বৃদ্ধির জন্য যে সমস্ত খনিজ উপাদান প্রয়োজন তার প্রায় সবই এই পৃথিবীর মাটিতেই পাওয়া যায়। প্রকৃত প্রাণ সৃষ্টি করার জন্য যে শুধু গবেষণাগারই যথেষ্ট নয়, তা যারা বোঝার ঠিকই বুঝে নিয়েছেন। তবে কাদামাটির (Clay) উপাদান থেকে যে জীবনের সূচনা হতে পারে- তা নেয়ে অনেক আগে থেকেই গবেষণা চলছে-
অতি সম্প্রতি একটি গবেষণায় এ সম্পর্কে যথেষ্ট প্রমাণ মিলেছে-
(Clay-armored bubbles show minerals played key role in origin of life- Monday, February 7th, 2011)
The discovery of inorganic, semipermeable clay vesicles has shed light on how minerals could have played a key role in the origins of life.
”Clay-armored bubbles” form naturally when platelike particles of montmorillonite collect on the outer surface of air bubbles under water.
Scientists have studied montmorillonite, an abundant clay, for hundreds of years, and the mineral is known to serve as a chemical catalyst, encouraging lipids to form membranes and single nucleotides to join into strands of RNA.
Because liposomes and RNA would have been essential precursors to primordial life, researchers have suggested that the pores in the clay vesicles could do double duty as both selective entry points and catalytic sites.
The findings have been published in the journal Soft Matter. (ANI)
প্রাণ সৃষ্টির জন্য কাচামাল হিসেবে যে পানি এবং পানি বাহিত উপাদানলোকে ব্যবহার করা হয়েছে (২১ : ৩০) নং আয়াতে (প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হতে) সেই ইংগিত দেয়া হয়েছে। আবার (২০ : ৫৩) নং আয়াতে (তিনি আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন এবং তা দ্বারা আমি জোড়ায় জোড়ায় বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি) উদ্ভিদ জগৎ সৃষ্টির ক্ষেত্রে আকাশ থেকে বর্ষিত পানি ও (২৪ : ৪৫) নং আয়াতে (আল্লাহ্ সকল প্রকার প্রাণীকে সৃষ্টি করেছেন পানি থেকে) আয়াতে প্রাণী জগৎ সৃষ্টির ক্ষেত্রেও পানির কথা বলা হলো। পানি অর্থাৎ আকাশ থেকে বর্ষিত পানি এবং এ পৃথিবীর মাটির সংমিশ্রিত সারনির্জাস অর্থাৎ (৭৬:২) পানি, অজৈব ও জৈব খনিজ উপাদানসমূহের মিশ্রনের অতি সামান্য অংশকে ব্যবহার করা হয়েছে তা অনুমান করা যায়। একদা অণুজীব সৃষ্টির মত উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে উঠলে আল্লাহর বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ও পরিবেশে, (৭৭:২১) সংরক্ষিত কোন স্থানে বা আধারে (তা বিজ্ঞানে বর্ণিত সমূদ্রের তলদেশের ইনঅরগ্যানিক ইনকিউবেটরে বা এ ভূপৃষ্টের কোন বিশেষ পরিবেশে বা অন্য কোন গ্রহে বা মহাকাশের যে কোন স্থানেই হোক না কেন) জীবন সৃষ্টির এই উপকরণগুলোকে একটি (৭৭:২২) নির্দিষ্টকাল ব্যাপী প্রক্রিয়াজাত করা হয়। ফলে অতি সূহ্ম (৭৭:২৩) 'আর.এন.এ', 'ডিএনএ' ও 'প্রোটিন' অণুগুলোর গঠন সম্পন্ন হয়। আধুনিক বিজ্ঞানের ধারণা অনুযায়ী সূহ্ম 'ডিএনএ'-এর যে অংশ একটি পলিপেপটাইড উৎপাদনের সংকেত বহন করে সেই অংশকেই গঠনগত 'জীন' বলে। বংশধারার নিয়ন্ত্রণকারী একক হলো এই 'জীন'। ১৯০৩ খৃষ্টাব্দে Johannsen বংশধারার নিয়ন্ত্রক বস্তুকে জীন নাম দেন। সুতরাং (৩২:৮) 'ডিএনএ' অণু গঠনের ফলে এবং এতে আল্লাহ্ প্রদত্ত জীন বাহিত বৈশিষ্ট্যগুলোর কারণেই অণুকোষ তথা জীবের বংশধারা বা ভিত্তি রচিত হয় এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সরল এককোষী অণুজীবগুলোর কাঠামো বা আকৃতি গঠিত হতে থাকে। (৩২:৯) কাঠামো গঠিত হওয়ার সাথে সাথে মহান আল্লাহতায়ালার ইচ্ছায় অণুকোষগুলো প্রাণের মলিকিউলে পূর্ণ হয় অর্থাৎ অণুজীবগুলোর মধ্যে প্রাণের সঞ্চার ঘটে। ফলে অণুজীবগুলো পর্যায়ক্রমে জীবন লাভ করে। অতঃপর আল্লাহর বেঁধে দেয়া প্রকৃতিগত বিশেষ নিয়মে এক একটি জীবন্ত ও স্বতন্ত্র অণুজীব থেকে যুগে যুগে অসংখ্য অণুজীব জন্ম নিতে থাকে।
মহাকালের প্রবাহের কোন এক পর্যায়ে বহুকোষী জীবজগৎ সৃষ্টির মত উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে উঠলে নিয়ন্ত্রিত নির্দিষ্ট সময় ও প্রাকৃতিক পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমসোমের অধিকারী ও আল্লাহ প্রদত্ত জীন বাহিত সতন্ত্র বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এক একটি সতন্ত্র প্রজাতির মাতৃ-জীবকোষ অর্থাৎ ডিম্ব-কোষের গঠন পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করে আল্লাহতায়ালার ইচ্ছায় সেগুলোর মধ্যে প্রাণের সঞ্চার করা হয়। তেমনি মানব সৃষ্টির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে উঠলে (৩২:৯) ৪৬টি অর্থাৎ ২৩ জোড়া ক্রোমসোমের অধিকারী মাতৃ-মানবকোষ সৃষ্টি করা হয়। এই মাতৃ-মানবকোষে আল্লাহ প্রদত্ত জীন বহিত মানব বৈশিষ্ট্যগুলোর উন্মেষ ঘটিয়ে (৩২:৯) সুষমভাবে গঠন করা হয় এবং সর্বশক্তিমান আল্লাহতায়ালার ইচ্ছা ও অলৌকিক শক্তির পরশে এতে প্রাণের (রূহ্) সঞ্চার ঘটে।
আল-কোরআনে মহান স্রষ্টা আল্লাহতায়ালা বলেন-
সূরা বনি ইস্রাঈল (১৭:৮৫) তোমাকে ওরা রূহ্ সম্পর্কে প্রশ্ন করে। বল, রূহ্ (জীবন/গায়েবী শক্তি) আমার প্রতিপালকের আদেশঘটিত। এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দেয়া হয়েছে।
এভাবে (৭১:১৪) পর্যায়ক্রমে প্রতিটি স্বতন্ত্র প্রজাতির বৈশিষ্ট্যধারী জীবকোষ থেকে প্রতিটি স্বতন্ত্র প্রজাতির মূল পুরুষ ও স্ত্রী বৈশিষ্ট্যধারী জীবদের প্রত্যেককে তথা মাতৃ-মানবকোষ থেকে প্রথম মানব ও মানবিকে আল্লাহর বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ও পরিবেশে পরিমিতভাবে ও পূর্ণাঙ্গরূপে কর্ণ, চক্ষু ও অন্তঃকরনের অধিকারী করে সৃষ্টি করা হয়। এরপর থেকে প্রতিটি প্রজাতির জীব তথা মানুষের ক্ষেত্রেও বংশ রক্ষার জন্য প্রাকৃতিক স্বাভাবিক নিয়মগুলো বেঁধে দেয়া হয়েছে। (৩২:৮) এই নিয়মগুলোর (যৌন ও অযৌন জনন) অধীনে অবাধ বংশবিস্তারের ফলে ও সীমানির্দেশিত বিবর্তনের কারণে প্রতিটি প্রজাতির মধ্য থেকে সেই প্রজাতির অন্তর্গত নানা শ্রেণীর ও প্রকারের বিবর্তিত ও বংশবিস্তারক্ষম জীবেরা আজও জন্ম নিচ্ছে। মহান স্রষ্টা এই জীবদের মধ্য থেকে যাদেরকে বিলুপ্ত করতে চেয়েছেন তাদের বিলুপ্তি ঘটেছে এবং যাদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছেন তারা আজও বেঁচে আছে।
আমাদের মনে রাখতে হবে-
(৩২:৮, ৯), (৭৬:১, ২), (৭৭:২০- ২৩) নং আয়াতে প্রদত্ত তথ্যগুলো জীবন সৃষ্টির প্রাথমিক অবস্থার সাথে যেমন সামঞ্জস্যপূর্ণ, তেমনি প্রাণী তথা মানবদেহের প্রজনন তন্ত্রে জীবন সৃষ্টির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
বিস্তারিত জানতে হলে নিচের পোষ্টটি দেখে নিতে পারেন-
পানি থেকে প্রাণ, স্রষ্টার দান - এ বিষয়ে বিজ্ঞান ও আল-কোরআন
সীমানির্দেশিত বিবর্তন বলতে যা বোঝাতে চেয়েছি তা হলো- এক একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির জীবদের মধ্যে, এমনকি মানুষের মধ্যেও নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমসোম বাহিত জেনেটিক নিয়ন্ত্রনের আওতায় স্রষ্টা প্রদত্ত নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যসমূহের আদান প্রদান জণিত বিবর্তন অবশ্যই ঘটছে এবং তা ঘটছে একটি নির্দিষ্ট সীমার অভ্যন্তরেই।
মানবজাতির মধ্যে বৈচিত্র্যের কারণ হিসেবে সহজভাবে বলা যায়-
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রাথমিক পর্যায়ে এককোষী অণুজীব সৃষ্টির মধ্য দিয়েই সম্ভবত জীবনের আবির্ভাব ঘটে। কিন্তু তাই বলে শুধুমাত্র প্রাকৃতিক ও পারিপার্শ্বিক কারণে ও অধীনে গতানুগতিক জন্মপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই অণুকোষ থেকেই বংশানুক্রমে বিবর্তিত হতে হতে বানরেরা জন্ম নিয়েছে এবং এই বানরদের মধ্য থেকেই বিবেকবান মানব জাতির জন্ম হয়েছে এই ধারনাটি মোটেই সঠিক নয়। কারন আমরা জানি- প্রত্যেকটি নির্দিষ্ট প্রজাতির জীবকোষে সেই প্রজাতিটির জন্য নির্ধারিত নির্দিষ্ট সংখ্যক জীন বহিত বৈশিষ্ট্যগুলো বিদ্যমান থাকে। গতানুগতিক স্বাভাবিক জন্ম প্রক্রিয়ার অধীনে নির্ধারিত স্বাভাবিক জীন বাহিত বৈশিষ্ট্যগুলোর আদান প্রদান ঘটে। ফলে একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির প্রাণীদের মাঝে জেনেটিক নিয়ন্ত্রনের আওতায় একটি নির্দিষ্ট সীমানার অভ্যন্তরেই বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থা ও পরিবেশগত বৈষম্যের কারণে আকৃতি ও প্রকৃতিগত কতিপয় বায়োলজিকাল পরিবর্তন অর্থাৎ সীমানির্দেশিত বিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। আর এ কারনেই আমার ও আপনার রং কালা আর প্রিন্সেস ডায়না সাদা। কিন্তু তাই বলে একটি নির্দিষ্ট জীব প্রজাতি থেকে কখনই স্রষ্টা প্রদত্ত নির্দিষ্ট জীন বাহিত বৈশিষ্ট্যের সীমানা অতিক্রম করে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ভিন্ন জীব প্রজাতির জন্ম হয় না। সুতরাং মানুষের পূর্বপুরুষ মানুষই। এক ও অদ্বিতীয় আল্লাহতায়ালার শ্রেষ্ঠতম সৃষ্টি একই আদি পিতা-মাতার সন্তান-সন্ততি হিসেবে এই পৃথিবীর সব মানবমন্ডলী পরস্পর একই সূত্রে গাঁথা ও পরম আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ।
আল-কোরআন-সূরা হুজুরাত-আয়াত নং ১৩
(৪৯:১৩) অর্থ- হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেযগার। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন।
প্রকৃতিতে এত বৈচিত্র্যের কারন হিসেবে বলা যায়-
স্রষ্টা বিভিন্ন জীব তথা মানুষের বংশবিস্তারের জন্য গতানুগতিক কতিপয় নিয়ম (যৌন ও অযৌন জনন) বেঁধে দিয়েছেন। সেই সাথে সীমানির্দেশিত বিবর্তনের আওতায় ক্রমান্বয়ে বৈচিত্রময় জীব-জগৎ তথা বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত এবং বিভিন্ন ভাষা ও বর্ণের অধিকারী বংশবিস্তারক্ষম আধুনিক মানব সন্তান-সন্ততি রূপে আমারা এখনও পৃথিবীতে বিরাজ করছি। এখানে স্পষ্টভাবে বলে দেয়া হয়েছে যে, এই জাতি, গোত্র ও বর্ণের পার্থক্য মর্যাদার মাপকাঠি নয়। বরং এটি তাদের বাহ্যিক পরিচিতি মাত্র। কোন জাতি বা গোত্রের মানুষেরা কাল, সাদা, ধনী, গরীব হতে পারে। কিন্তু জাতি বা গোত্রগত বিহ্যিক পরিচয় ভিত্তিক প্রাধান্যের কারনে কেউ যেন অহংকার না করে। কারন আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত অর্থাৎ বেশি মর্যাদাবান যে যত বেশি পরহেযগার।
আল-কোরআনের আলোকে জ্ঞানচর্চায় উদ্বুদ্ধ হলে মানুষ ধীরে ধীরে অলীক কল্পনা ও মিথ্যার মায়াজাল থেকে বেরিয়ে আসে। সত্যের স্বচ্ছ জ্যোতিতে তার জ্ঞানচক্ষু হয় শাণিত ও উন্মোচিত। সুদূরপ্রসারী চিন্তাশক্তির সহায়তায় প্রচলিত মতবাদগুলোর মধ্য থেকে প্রকৃত সত্যটি সে সহজেই খুঁজে ও বুঝে নিতে পারে। এটি নিছক কোন বিজ্ঞানের বই নয়। তাই এতে বৈজ্ঞানিক তথ্য ও ত্বত্ত্বগুলোর বিস্তারিত বিবরণ না দিয়ে ঐশী ইংগিত দেয়া হয়েছে মাত্র। সৃষ্টি রহস্য সম্পর্কে একজন ইমানদার যখন গভীর চিন্তা-গবেষণায় রত হয়, তখন পরম শ্রদ্ধা ও বিশ্বাসে জগৎসমূহের স্রষ্টা সর্বজ্ঞ ও সর্বশক্তিমান এক আল্লাহর সামনে মাথা নত করতে সে বিন্দুমাত্র কুন্ঠিত হয় না। সেইসাথে আল-কোরআন যে স্বয়ং মহান স্রষ্টা প্রেরিত পথপ্রদর্শনকারী মহাগ্রন্থ, জ্ঞানী ও সরলমনা বিশ্বাসীরা তা নির্দিধায় মেনে নেয়।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৬
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধৈর্য সহ পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
নাস্তিকদের এ ধরনের অপবাদ নুতন কিছু নয় এবং তাতে আমার কিছুই যায় বা আসে না।
সীমানির্দেশিত বিবর্তন যে আপনি ভালভাবে পড়েছেন এবং ভুল বানান ধরে দিয়েছেন সেজন্য আবারও ধন্যবাদ।
২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২১
পজিটিভ২৯ বলেছেন: নিশ্চয়ই আল্লাহ সবকিছু করতে সক্ষম।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৮
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ
নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন।
৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৩০
আজাদ আল্-আমীন বলেছেন: আল্লাহ আমাদের বুঝার ক্ষমতা দান করুন।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৯
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আমীন
৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪৩
দ্বিধা বলেছেন: এত ঝামেলায়(মানে হাজার কোটি বছর) না যেয়ে, এক হুকুমে প্রান সৃষ্টি কেন করা হল না?
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০০
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনার এত্ত তাড়া কিসের??????
৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৪৪
রােসল আহেমদ বলেছেন: আদম-হাওয়ার গল্প তাইলে ভুল?
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০২
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ভুল হবে কেন????
আল-কোরআনে যা যা আছে সবই ১০০% ঠিক
৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:৫৮
েরজা , বলেছেন: ভাই আপনারা পারেনও বটে , কোরআন এ যদি সবই লেখা থাকে,আর আপনি যদি সেটা বিশ্বাসও করেন ,তাহলে তো হইল | এই একটা বিযয় নিয়ে আর ক্যাচাল ভাল লাগে না | ব্লগে অন্য কিছু বলেনরে ভাই
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০৫
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনার যে বিষয় ভাল লাগে আপনি সে বিষয়ে ক্যাচাল করেন- কে নিষেধ করেছে??
আমার যা বলার আমি তো তা বলবই
৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:২২
এ.বি.এম. মহসিন বলেছেন: বিজ্ঞান ও কোরআনের অনেক তথ্যে মিল রয়েছে আবার অনেক তথ্যের মিল নেই তাতে বিজ্ঞান বা কোরআনের কোন যায় আসে না। কারণ বিজ্ঞান আর কোরআন এর দর্শন আলাদা।
বিজ্ঞান প্রমাণ ছাড়া কোন কিছু গ্রহণ করে না। তা যতই ভুল বা দুর্বল প্রমাণ হোক না কেন। অন্য দিকে কোরআন এর ভিত্তি হচ্ছে বিশ্বাস। এখানে প্রশ্ন করার কোন সুযোগ নেই। আপনি কোরআনে বিশ্বাসী হলে আপনাকে বিনা বাক্যে তা মেনে নিতে হবে। যে দর্শন বিনা বাক্যে মেনে নিতে হবে তার বিজ্ঞানের সাথে মিলই কি আর অমিল বা ই?
আশা করি বুঝতে পেরেছেন?
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০৮
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনি বুঝেছেন তো??
আমি সব সময়ই প্রতিষ্ঠিত ও কল্যাণকর বিজ্ঞান ও চিন্তা-চেতনার পক্ষে। আমার বিশ্বাস আমার অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে এবং সত্যাশ্রয়ী বিজ্ঞানমনস্কতা আমার সেই বিশ্বাসকে আরও পোক্ত করে। তাই সত্যাশ্রয়ী বিজ্ঞানের সাথে আমার বিশ্বাসের কোন বিরোধ নেই। আমি সব সময় মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে, মৌলিকভাবে আল-কোরয়ানের সাথে সত্যাশ্রয়ী ও প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানের কোনই অসামঞ্জস্যতা নেই।
কি বুঝলেন?
৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৪১
নতুন বলেছেন: ধম্` বিশ্বাসকে কেন বিঙ্গান দিয়া প্রমান করতে হবে তা আমার মাথায় আসেনা...
প্রমান খুইজা বিশ্বাস করার দরকার নাই,,,, সেইটা তো প্রমানিতো জিনিস... সত্য...
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১১
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনার মাথায় যেভাবে যা আসে আপনি সেভাবে তা বিশ্বাস করেন- তাতে আমার কোন আপত্তি নেই....
কিন্তু আমি সব সময়ই প্রতিষ্ঠিত ও কল্যাণকর বিজ্ঞান ও চিন্তা-চেতনার পক্ষে। আমার বিশ্বাস আমার অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে এবং সত্যাশ্রয়ী বিজ্ঞানমনস্কতা আমার সেই বিশ্বাসকে আরও পোক্ত করে। তাই সত্যাশ্রয়ী বিজ্ঞানের সাথে আমার বিশ্বাসের কোন বিরোধ নেই। আমি সব সময় মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি যে, মৌলিকভাবে আল-কোরয়ানের সাথে সত্যাশ্রয়ী ও প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞানের কোনই অসামঞ্জস্যতা নেই।
৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০৫
লুকার বলেছেন:
@এবিএম মহসিন
বিজ্ঞানের কথা মানুষ শুনলেই বিনাবাক্যে বিশ্বাস করে আর ধর্মের কথা শুনলে নানান সন্দেহ পোষণ করে। তাই উনি নিজস্কন্ধে গুরুদায়িত্ব নিয়েছেন বিজ্ঞানকে কাস্টমাইজ করে ধর্মের সাথে মেলানোর, যাতে সন্দেহকারীরা নাস্তিক হয়ে দোজখের পপুলেশন না বাড়ায়।
@মাহফুজশান্ত ভাই, জ্বিনের চিকিৎসাটা কইলেন না (আপনের আগের পোস্ট দ্রষ্টব্য)? ক্যামন চিকিৎসক আপনে? আপনের মত আধ্যাত্বিক জ্ঞান আর মনুষ্য সৃষ্ট জ্ঞানে পারদর্শী লোক আর কৈ পামু কন দেখি?
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১৫
মাহফুজশান্ত বলেছেন: হায়রে লুকার!!!! কি যে লুক করেন তা আপনি নিজেই জানেন না,,,,
আমি ক্যামন চিকিৎসক তা আপনার জেনে কাম কি????
যারা আমার কাছে আসেন- তারা ভাল করেই জানেন
১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৪৪
এ.বি.এম. মহসিন বলেছেন: ভাই লুকার,
আপনার যুক্তি মেনে নিলে বলতে হয় ধর্ম আজ এমন এক দশায় পড়েছে যে বিজ্ঞানকে কাস্টমাইজ করে ধর্মের সাথে মেলানোর প্রয়োজনীতা দেখা দিয়েছে। সত্যি হাসালেন.....
কিন্তু বিজ্ঞানকে কাস্টমাইজ করতে যেয়ে যিনি জীবনে ডারউন বোঝেন নাই, বিবর্তন সম্পর্কে নূন্যতম ধারণা লাভ করতে সক্ষম হন নাই তিনিই আজ মস্তবড় বিবর্তনের তত্ত্ব জাহির করছেন। একেই বলে অল্পবিদ্যা ভয়ংকর !!!!!!!!
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১০
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধর্ম- ধর্মের জায়গাতেই অটুট আছে। তবে যারা ধর্ম সম্পর্কে ন্ জেনে বড় বড় কথা বলে তারাই কাস্টমাইজ হয়ে গেছে....
ডারইন এবং বিবর্তন সম্পর্কে নূন্যতম ধারণা লাভ যারা করতে সক্ষম হয় নাই তারাই এত গলাবাজী করে!!!!!!
অল্পবিদ্যা যে ভয়ংকর !!!!!!!! তা আপনার বড় বড় বুলিতে সহজেই অনুমেয়।
১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৫৯
লুকার বলেছেন:
@মহসিন সাব
ডারউইনিজম যদি বিজ্ঞান হয়, তাইলে নিশ্চয় এইটা কোরানে বলা আছে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২১
মাহফুজশান্ত বলেছেন: নাস্তিক্যবাদী বিবর্তন আর আল-কোরআনে যে বিবর্তনের কথা বলা আছে তার মধ্যে পার্থক্য বোঝার ক্ষমতা আপনাদের আছে???
থাকলে এমন প্রশ্ন করতেন না......
১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৫
ইয়াজিদ সিকান্দার বলেছেন: কাজের পোস্ট। প্রিয়তে নিলাম।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:২৮
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ধন্যবাদ
১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:১৯
সজীব আকিব বলেছেন: কোরানে সব কিছুই খোঁজে পাওয়া যায় তবে তা আবিস্কৃত হওয়ার পরে। আপনার কোরানে যদি এত জ্ঞান আছে তবে বিজ্ঞানের অনাবিস্কৃত কিছু কোরান থাকে বের করে দেখান।
কোরানে আছে সব প্রাণী পানি হতে তৈরী হয়েছে আর তার সাথে সমুদ্রে উদ্ভব প্রাণীর কি মিল পেলেন আপনিই ভাল জানেন।
পারলে মুক্ত-মনা সাইটে একটু ঢু মারেন - অনেক কিছুই ক্লিয়ার হইয়া যাইব।
কিছু বই পড়েন এখান থেকে
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৩৬
মাহফুজশান্ত বলেছেন: জ্ঞানগর্ভ গ্রন্থ আল-কোরআন নিছক কোন বিজ্ঞানের বই নয়, বরং একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। প্রায় ১৪৫০ বছর পূর্বেই মহান স্রষ্টা তাঁর প্রেরতি গ্রন্থ আল-কোরআনে এমন সব অকাট্য বৈজ্ঞানিক তথ্যের অবতারনা করেছেন যেগুলোর মর্ম ধীরে ধীরে উপলব্ধি করা সম্ভব হচ্ছে। এ বিষয়টি তো সর্বজ্ঞ আল্লাহতায়ালার পরিকল্পনার মধ্যেই ছিল এবং তিনি ভালভাবেই জানতেন যে, এমন এক সময় আসবে যখন আল-কোরআনে প্রদত্ত বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো অন্যান্য ধর্মের বিজ্ঞানীদের দ্বারা তাদের অজান্তেই সত্য বলে আবিষ্কৃত হতে থাকবে। এরফলে এই সত্য তথা প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো একদিকে যেমন তারা সরাসরি অস্বীকার করতে পারবে না, অপরদিকে তেমনি এই তথ্যগুলো কিভাবে আল-কোরআনে স্থান পেল তা অবিশ্বাসীরা ভেবে কুল পাবেনা। কিন্তু এই সত্য তথ্যগুলোকে যে স্বয়ং মহান স্রষ্টাই তাঁর প্রেরিত মহাগ্রন্থে মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য আগে থেকেই সংযোজন করে রেখেছেন তা ঈমানদারেরা সহজেই বুঝে নেবে ও একবাক্যে বিশ্বাস করে নেবে। এই ঐশী তথ্যগুলোর অছিলায় অনেক নীরহংকার জ্ঞানী ও বিচক্ষণ ব্যাক্তিবর্গ যে ইমানের আলোয় আলোকিত হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে এপরও যারা অহংকার বশত বে-ইমানের পথে পা বাড়াবে তাদের ফায়সালার জন্য তো মহান আল্লাহই যথেষ্ট। অবিশ্বাসীরা যখন বিজ্ঞানের নামে মিথ্যে মতবাদ ও ত্বত্ত্বের ছলনায় সরল মানুষদেরকে ধোঁকা দিয়ে ঈমান নষ্টের খেলায় মেতে উঠবে, তখন ঈমানদার বান্দারা আল্লাহ প্রদত্ত ঐশী-দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে বৈজ্ঞানিক সত্য তথ্যগুলো এমনভাবে উপস্থাপন করবেন যে, আবিষ্কৃত তথ্যগুলো বুমেরাং হয়ে তাদেরই মনগড়া মতবাদকে মিথ্যা প্রমাণিত করবে। আল্লাহতায়ালা এভাবে সত্যকে প্রকাশিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত করেন এবং ঈমানদার বান্দাদের চেষ্টা ও সাধনাকে বিজয় দান করেন। স্থান, কাল ও পাত্রভেদে কোন মতবাদ বা ত্বত্ত্বকে হয়ত সেই নির্দিষ্ট কাল বা স্থান বা সীমাবদ্ধ কোন মানবগোষ্ঠীর জন্য লাভজনক বা সঠিক বলে মনে হতে পারে। কিন্তু আল-কোরআনের মাপকাটিতে যদি তা সার্বজনীন ও সঠিক হিসেবে বিবেচিত না হয় তবে সাময়িকভাবে যত লাভজনক ও আকর্ষণীয়ই মনে হোক না কেন, তাতে ঈমানদারগণের কিছুই যায় আসে না এবং তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। সুতরাং রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, শিক্ষানীতি ইত্যাদি সবগুলো ক্ষেত্রেই আধুনিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সেইসাথে আল-কোরআনকে সত্যের মাপকাঠি হিসেবে ধরে নিয়ে ঈমান বিনষ্টকারী অকল্যাণকর সকল মতবাদ ও ত্বত্ত্বের খারাপ দিকগুলো সর্বসাধারনের মাঝে তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি ঈমানের ভিতকে শক্ত ও পোক্ত করে এমন বক্তব্যগুলোকে সমুন্নত রাখতে হবে। এর ফলে বিশ্বাসীগণের বিশ্বাস হবে সুদৃঢ়। হয়তো বা কোন অবিশ্বাসীর হৃদয় ঈমানের আলোয় হতে পারে আলোকিত। সবই সর্বদ্রষ্টা আল্লাহতায়ালার ইশারা মাত্র।
জী ভাই, সব প্রাণী পানি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে অর্থাৎ পানি ছাড়া প্রাণ অসম্ভব। আর সে কারনেই বিভিন্ন গ্রহে প্রথমেই পানির সন্ধান করা হয়।
এ পৃথিবীতে সমূদ্রই যেহেতু পানির মূল উৎস, সুতরাং সেখান থেকেই তো প্রাণের সূচনা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আল-কোরআন সমগ্র বিশ্বের তথ্য ভান্ডার, তাই সমূদ্রের কথা না বলে মৌলিক তথ্য হিসেবে পানির কথা বলা হয়েছে। কারন হয়ত এমন কোন গ্রহ থাকতে পারে যেখানে সমূদ্র নয়, বরং অন্য কোন পানির উৎসে প্রাণের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে। তখন তো আপনারাই বলবেন- আল-কোরআনে প্রাণের উৎস হিসেবে সরাসরি পানি নয়, সমূদ্রের কথা বলা হয়েছে।
আর আপনি যে মিথ্যা-মনা-সাইটের ঠিকানা দিয়েছেন সেখানে আমার কিচ্ছু জানবার নেই। আপনার ভাল লাগলে আপনি ঢু মারতে থাকেন।
আর বই পড়ার কথা বলছেন!!! আপনি কয়টা পড়েছেন????
আল্লাহর পাঠান মহাগ্রন্থ বুঝে বুঝে পড়েছেন??? আগে সেদিকে মন দিন......
১৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২৩
মুহাম্মদ ফয়সল বলেছেন: ধন্যবাদ, অসাধারন একটা পোষ্টের জন্য। প্লাস++++ এবং আপনার কাছ থেকে আরো কিছু জানার আশায় রইলাম। আমি নিজেও এ বিষয়ে পড়ার চেষ্টা করি, যদিও এ বিষয়টি সম্পুর্নই আমার প্রফেশনের সাথে সম্পর্কযুক্ত না, তাই এগুতে পারি না খুব একটা। ভালো লাগলো এ ব্লগটি খুজে পেয়ে। আল্লাহ্ আপনাকে এর ন্যায্য প্রতিদান দিন!
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৩
মাহফুজশান্ত বলেছেন: পড়ার ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আল্লাহতায়ালা যেন আমাদেরকে সঠিক জ্ঞান অর্জনের তৌফিক দান করেন
১৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২৫
নাজনীন১ বলেছেন: আপনার এ পোস্টের শিক্ষা কি এবং কাদের উদ্দেশ্য?
যদি কোরআনে জীবন সৃষ্টির কোন কথা না থাকতো, তাহলে আপনি কোরআনের উপর বিশ্বাস আনতেন কি না বা রাখতেন কি না?
পুরোটা পড়ার ধৈর্য হয়নি, প্রথম দিক থেকে একটু তুলে দিলাম,
"
সূরা মুরসালাত-আয়াত নং-(২০ - ২৩)
(৭৭ : ২০) আলাম নাখলুক্বকুম মিম মা- য়িম মাহীন।
(৭৭ : ২০) অর্থ:- আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ পানি থেকে সৃষ্টি করিনি ?
(৭৭ : ২১) ফাজ্বা‘আলনা-হু ফী ক্বারা-রিম মাকীন।
(৭৭ : ২১) অর্থ:- অতঃপর আমি তা রেখেছি সংরক্ষিত আধারে।
(৭৭ : ২২) ইলা- ক্বাদারিম মা’লূম।
(৭৭:২২) অর্থ:- এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত।
(৭৭ : ২৩) ফাক্বাদরনা- ফানি’মাল ক্বা- দিরূন।
(৭৭ : ২৩) অর্থ:- অতঃপর আমি পরিমিত আকারে সৃষ্টি করেছি, আমি কত নিপুণ স্রষ্টা।"
"ফলে অতি সূহ্ম (৭৭:২৩) ডিএনএ, আর.এন.এ ও প্রোটিন অণুগুলোর গঠন সম্পন্ন হয় এবং স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন সরল এককোষী অণুজীবগুলোর কাঠামো বা আকৃতি গঠিত হতে থাকে। "
সূরা ৭৭ থেকে জিনের ধারণা কিভাবে বোঝা গেল, ঠিক বুঝিনি।
আপনি নিশ্চয়ই জানেন কোরআনের কিছু আয়াত আছে রূপক, আপনি কি আলাদা করতে পারেন, কোন আয়াতগুলো রূপক আর সেগুলোর আসল মানে কি?
মানুষ মাটির তৈরী বা কাদামাটির তৈরী -- এ রূপক কথাটার এক্সাট ব্যাখ্যা কি মেডিকেল সায়েন্স বা বায়োলজী যাই-ই বলি না কেন তারা কি দিতে পারে?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩১
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আমার পেষ্টের শিক্ষা:- পড়ার ধের্য হবে তো?
জ্ঞানগর্ভ গ্রন্থ আল-কোরআন নিছক কোন বিজ্ঞানের বই নয়, বরং একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। প্রায় ১৪৫০ বছর পূর্বেই মহান স্রষ্টা তাঁর প্রেরতি গ্রন্থ আল-কোরআনে এমন সব অকাট্য বৈজ্ঞানিক তথ্যের অবতারনা করেছেন যেগুলোর মর্ম ধীরে ধীরে উপলব্ধি করা সম্ভব হচ্ছে। এ বিষয়টি তো সর্বজ্ঞ আল্লাহতায়ালার পরিকল্পনার মধ্যেই ছিল এবং তিনি ভালভাবেই জানতেন যে, এমন এক সময় আসবে যখন আল-কোরআনে প্রদত্ত বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো অন্যান্য ধর্মের বিজ্ঞানীদের দ্বারা তাদের অজান্তেই সত্য বলে আবিষ্কৃত হতে থাকবে। এরফলে এই সত্য তথা প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো একদিকে যেমন তারা সরাসরি অস্বীকার করতে পারবে না, অপরদিকে তেমনি এই তথ্যগুলো কিভাবে আল-কোরআনে স্থান পেল তা অবিশ্বাসীরা ভেবে কুল পাবেনা। কিন্তু এই সত্য তথ্যগুলোকে যে স্বয়ং মহান স্রষ্টাই তাঁর প্রেরিত মহাগ্রন্থে মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য আগে থেকেই সংযোজন করে রেখেছেন তা ঈমানদারেরা সহজেই বুঝে নেবে ও একবাক্যে বিশ্বাস করে নেবে। এই ঐশী তথ্যগুলোর অছিলায় অনেক নীরহংকার জ্ঞানী ও বিচক্ষণ ব্যাক্তিবর্গ যে ইমানের আলোয় আলোকিত হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে এপরও যারা অহংকার বশত বে-ইমানের পথে পা বাড়াবে তাদের ফায়সালার জন্য তো মহান আল্লাহই যথেষ্ট। অবিশ্বাসীরা যখন বিজ্ঞানের নামে মিথ্যে মতবাদ ও ত্বত্ত্বের ছলনায় সরল মানুষদেরকে ধোঁকা দিয়ে ঈমান নষ্টের খেলায় মেতে উঠবে, তখন ঈমানদার বান্দারা আল্লাহ প্রদত্ত ঐশী-দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে বৈজ্ঞানিক সত্য তথ্যগুলো এমনভাবে উপস্থাপন করবেন যে, আবিষ্কৃত তথ্যগুলো বুমেরাং হয়ে তাদেরই মনগড়া মতবাদকে মিথ্যা প্রমাণিত করবে। আল্লাহতায়ালা এভাবে সত্যকে প্রকাশিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত করেন এবং ঈমানদার বান্দাদের চেষ্টা ও সাধনাকে বিজয় দান করেন। স্থান, কাল ও পাত্রভেদে কোন মতবাদ বা ত্বত্ত্বকে হয়ত সেই নির্দিষ্ট কাল বা স্থান বা সীমাবদ্ধ কোন মানবগোষ্ঠীর জন্য লাভজনক বা সঠিক বলে মনে হতে পারে। কিন্তু আল-কোরআনের মাপকাটিতে যদি তা সার্বজনীন ও সঠিক হিসেবে বিবেচিত না হয় তবে সাময়িকভাবে যত লাভজনক ও আকর্ষণীয়ই মনে হোক না কেন, তাতে ঈমানদারগণের কিছুই যায় আসে না এবং তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। সুতরাং রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, শিক্ষানীতি ইত্যাদি সবগুলো ক্ষেত্রেই আধুনিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সেইসাথে আল-কোরআনকে সত্যের মাপকাঠি হিসেবে ধরে নিয়ে ঈমান বিনষ্টকারী অকল্যাণকর সকল মতবাদ ও ত্বত্ত্বের খারাপ দিকগুলো সর্বসাধারনের মাঝে তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি ঈমানের ভিতকে শক্ত ও পোক্ত করে এমন বক্তব্যগুলোকে সমুন্নত রাখতে হবে। এর ফলে বিশ্বাসীগণের বিশ্বাস হবে সুদৃঢ়। হয়তো বা কোন অবিশ্বাসীর হৃদয় ঈমানের আলোয় হতে পারে আলোকিত। সবই সর্বদ্রষ্টা আল্লাহতায়ালার ইশারা মাত্র।
আমি সর্বপ্রথম যখন মহান আল্লাহতায়ালার কিতাব আল-কোরআনে বিশ্বাস স্থাপন করি তখন এই কিতাবে জীবন সৃষ্টির কোন কথা আছে কিনা তা আমার জানা ছিলনা। তখনও কিন্তু আমি বিশ্বাসী ছিলাম। তবে তখনকার বিশ্বাস আর এখনকার বিশ্বাসের মধ্যকার তফাতটা আমি মর্মে মর্মে অনুভব করি- যা আমি ব্যাখ্যা করে বোঝাতে পারব না।
আগে ধৈর্য সহ পড়ার পর চিন্তা-ভাবনা করার জন্য আল-কোরআনে বার বার উপদেশ দেয়া হয়েছে-
৭৭ নং সূরা নয় (৩২:৮) নং আয়াতে জীনের বিষয়টি এসেছে। আরেকবার পড়লে হয়ত পরিষ্কার হতে পারে।
আপনেকেও যদি একই প্রশ্ন করি:-আপনি নিশ্চয়ই জানেন কোরআনের কিছু আয়াত আছে রূপক, আপনি কি আলাদা করতে পারেন, কোন আয়াতগুলো রূপক আর সেগুলোর আসল মানে কি?
আমার উত্তর:- অন্ততপক্ষে এই আয়াতগুলোকে আমি রূপক ভাবি না। কোন আয়াতের অর্থ কেউ না বুঝলেই তা রূপক ভেবে গালে হাত দিয়ে বসে থাকতে হবে? আল-কোরআনের শিক্ষা এমনটি নয় বলেই আমি মনে করি।
সূরা রাদ- আয়াত নং-০৩
(১৩:০৩) অর্থ:- তিনিই পৃথিবীকে করেছেন বিস্তৃত এবং তাতে স্থাপন করেছেন পাহাড় ও নদনদী। আর যে সব ফল বানিয়েছেন তাদের দুটিতে মিলে এক জোড়া। তিনি দিনকে রাত দ্বারা আবৃত করেন। নিঃসন্দেহে এসবের মধ্যে নিদর্শন রয়েছে তাদের জন্য যারা চিন্তা-ভাবনা করে।
আমাদের দেহে যে মৌলিক উপাদান বিদ্যমান তার প্রায় সবই মাটিতে আছে- এটি তো বৈজ্ঞানীক সত্য। আল-কোরআন এই মৌলিক শিক্ষাটাই দিতে চেয়েছে। এরপর যারা গবেষণা করতে চান তারা এ বিষয় নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে, আর যারা এটিকে নিছক রূপক ভাবতে চায় তারা ভাবতে থাক- কে বারন করেছে?
১৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:২৬
নাজনীন১ বলেছেন: *একজাক্ট
১৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৩৬
ভাবসাধক বলেছেন: কাজের পোস্ট। প্রিয়তে নিলাম।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪৬
মাহফুজশান্ত বলেছেন: পড়ার ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আল্লাহতায়ালা যেন আমাদেরকে সঠিক জ্ঞান অর্জনের তৌফিক দান করেন
১৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:১২
নাজনীন১ বলেছেন: আমার বিশ্বাস আমার অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে এবং সত্যাশ্রয়ী বিজ্ঞানমনস্কতা আমার সেই বিশ্বাসকে আরও পোক্ত করে।
আপনার এ বক্তব্যকে আরেকটু বিস্তারিত বলার জন্য অনুরোধ করছি।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০০
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ঐশী দিকনির্দেশনার আলোকে চিরন্তর চির-উন্নত সত্যজ্ঞান হলো ধর্ম। আর বিজ্ঞান হলো সত্যে উপনীত হওয়ার জন্য গবেষণালব্ধ পার্থিব জ্ঞান-সমৃদ্ধ সর্বোত্তম মাধ্যম বা পথ। অবিকৃত ঐশী ধর্ম ও সত্যাশ্রয়ী বিজ্ঞানের মাঝে সব সময়ই একটা নিবিড় সম্পর্ক ও তথ্যগত মৌলিক সামঞ্জস্য বিরাজ করে। একজন ধর্মভীরু যখন ধর্মান্ধতার ঊর্ধ্বে থেকে ঐশী ধর্মকে সঠিকভাবে চিনতে ও জানতে পারে, তখন সে বিজ্ঞানকে অস্বীকার তো করেই না; বরং উৎসাহিত করে এবং বিজ্ঞানের নব নব আবিষ্কার ও অনুসন্ধানের সারনির্যাস থেকে সত্যকে অত্যন্ত নিবিড়ভাবে হৃদয়ঙ্গম করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত, অভিভূত ও আকৃষ্ট হয়। ঠিক তেমনি একজন সত্যান্বেষী বিজ্ঞানী যখন তার গবেষণা কর্মের পাশাপাশি স্বচ্ছ হৃদয়ে একরোখা অহংকারের ঊর্ধ্বে থেকে ঐশী ধর্মের মূলবক্তব্য ও উদ্দেশ্য বুঝতে স্বচেষ্ট হয়, তখন রূপক ও অলৌকিক বিষয়গুলোও ধীরে ধীরে তার কাছে বোধগম্য হতে থাকে। ফলে চরম সত্য ও অসীম শক্তির সামনে মাথা নত করতে সে বিন্দুমাত্র কুন্ঠিত হয় না; বরং প্রতিটি পরতে পরতে সেই অসীম শক্তির সুনিয়ন্ত্রিত পরশ অনুভব করতে পেরে বিস্মিত ও বিমুগ্ধ হয়। কিন্তু কতিপয় অহংকারী ও স্বার্থন্বেষী মানুষ স্বার্থ হাসিলের নেশায় সর্বকালেই ধর্ম ও বিজ্ঞানের নামে কতগুলো খেয়ালী ভ্রান্ত মতবাদের জন্ম দিয়েছে এবং ছলনার মাধ্যমে ধর্ম ও বিজ্ঞানের প্রকৃত বক্তব্য ভিন্নরূপে উপস্থাপন ও প্রচার করে সত্যকে ঢেকে রাখতে চেয়েছে। ফলে এ দুটোর মূল উদ্দেশ্য ও মর্ম অনুধাবনে ব্যর্থ হয়ে সাধারন মানুষেরা প্রায়ই বিপথে পা বাড়াচ্ছে ও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর এসব কারণে ধর্মেরই একটি নিকটতম অংশ বিজ্ঞানকে যেমন পদদলিত হতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে, তেমনি বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে ধর্মকেও তুচ্ছজ্ঞান অর্থাৎ অস্বীকার করার মত পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটেছে। এ কথাটা সব সময় স্মরণ রাখা উচিত যে, সসীম কখনও অসীমকে ধরতে, ছুঁতে ও চর্মচক্ষুতে দেখতেও পারে না। তবে সাধনার দ্বারা প্রতিটি ক্ষণে ক্ষণে অনুভব করতে পারে। সেই সাধনা মহান আল্লাহতায়ালার প্রতি পূর্ণ আনুগত্যশীল আধ্যাত্মিক সাধনা হোক অথবা পার্থিব জ্ঞান-সমৃদ্ধ বৈজ্ঞানিক গবেষণা হোক, আল্লাহ্ প্রদত্ত সামর্থ্য ও আপন নিয়ত অনুসারেই একজন মানুষ তাঁর মর্মকথা উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়। তবে একাগ্রচিত্তে ঐশী-ভাবাদর্শে লালিত বৈরাগ্যবাদ-মুক্ত আধ্যাত্মিক সাধনার দ্বারা মানবাত্মার পরিশুদ্ধি অর্জন এবং সেইসঙ্গে সত্যশ্রয়ী বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা-চেতনার উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে সত্যকে অতি সহজেই চেনা যায়।
বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির এ যুগে বাস করে বিজ্ঞানের অবদান ও গগণচুম্বি সাফল্যকে আল্লাহ্ প্রদত্ত মানব মস্তিষ্কের উন্নততর বাস্তব প্রতিফলন হিসেবে গ্রহণ করাই যুক্তিসংগত। তবে বিজ্ঞানের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে বিবেককে সব সময় জাগ্রত রাখতে হবে এবং তা প্রতিরোধের জন্য সোচ্চার হতে হবে। বিজ্ঞানের সঠিক ব্যবহারের মধ্যে যেমন প্রভূত কল্যাণ নিহিত, তেমনি এর অপব্যবহার অকল্যাণকর ও সর্বনাশা ভবিষ্যতকে তরান্বিত করবে বৈকি। প্রকৃত অর্থে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চা করলে একজন নিরহংকার মানুষ আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আনুগত্যশীল হতে বাধ্য হয়। তবে অহংকারী বিজ্ঞানীরা জেদের বশে কখন কখন সত্যকে জেনেও না জানার ভান করে এবং বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান করে থাকে। ঈমানদার মানুষ হিসেবে সকলকে এ বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। সবার আগে আল-কোরআনের বিষয়ে জ্ঞান অর্জন ও মর্মার্থ অনুধাবনে তৎপর হতে হবে এবং আজীবন চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। জ্ঞানগর্ভ কিতাব আল-কোরআনে বিজ্ঞানের বিস্তারিত বিবরণ নেই বটে। তবে এতে মহাবিশ্বের সৃষ্টি থেকে শুরু করে কিয়ামত পর্যন্ত সর্ববিধ উল্লেখযোগ্য ও পথ প্রদর্শনকারী ঘটনাগুলো সম্পর্কে এবং সার্বজনীন কল্যাণকর আইন কানুন ও রীতি নীতির বিষয়ে মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে ঐশী ইংগিত প্রদান করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও সাফল্যকে সরাসরি অস্বীকার বা উপেক্ষা না করে সত্যিকার বিজ্ঞান চর্চায় মনোনিবেশ করতে হবে। অসত্য ও চক্রান্তমূলক তত্ত্ব ও বক্তব্যগুলোকে যাচাই করে দেখতে হবে এবং প্রকৃত সত্য সর্বসাধারনের মাঝে তুলে ধরতে হবে। নব প্রজন্মকে বিভ্রান্তির নাগপাশ থেকে মুক্ত করে তদের অন্তর সত্য ও সুন্দরের আলোয় আলোকিত করে তোলার লক্ষ্যে এই জ্ঞানময় জেহাদের যথেষ্ট প্রয়োজন রয়েছে। বিশেষ করে মহাবিশ্বের সৃষ্টি, পৃথিবীতে জীবনের উন্মেষ এবং মানবজাতির আগমনকে নিয়ে প্রকৃতিবাদ, তথাকথিত বির্তনবাদ ইত্যাদি নানা মতবাদের আড়ালে নাস্তিকতা, তৃতত্ত্ববাদ, বহুতত্ত্ববাদ ( এক আল্লাহর সঙ্গে অন্যকে শরিক করে তার বন্দনা ও সাহায্য কামনার মতবাদ ) ইত্যাদি নানা ধর্মীয় ভ্রান্তির প্রচার ও প্রসার ঘটেছে এবং ঘটছে। ইতিমধ্যেই এর বিরুদ্ধে জ্ঞানী ঈমানদারগণ তাদের জ্ঞানগর্ভ লেখনীতে জিহাদ ঘোষণা করে বেশ দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করেছেন। এ বিষয়ে আরও সূহ্ম ও অত্যাধুনিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে শক্তভাবে এগিয়ে এলে ভ্রান্ত মতবাদের ছত্রছায়ায় পরিচালিত সকল মিথ্যাচারী কর্মকান্ড অচিরেই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে, ইনশাআল্লাহ্।
১৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:২৫
মাথা পাগলা ⎝⏠⏝⏠⎠ বলেছেন: @এ.বি.এম. মহসিন: ডার ঊইন এর বিবর্তন বাদ ত এখন ভূল প্রমানিত, সেই খবর টা কি রাখেন ???
২০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪৪
নাজনীন১ বলেছেন: বিনীতভাবে বলি আমার পড়ার ধৈর্য সম্পর্কে বুঝতে আপনি আমার রিসেন্ট পোস্ট এবং ব্লগার পি মুন্সীর রিসেন্ট পোস্ট দুটো ঘুরে আসতে পারেন। যুক্তিসঙ্গত আলোচনা শুনতে আমি খুবই আগ্রহী, আবেগ দূরে রেখে।
এ ব্লগের বিখ্যাত নাস্তিক "নাস্তিকের ধর্মকথা"র সাথেও নানা সময়ে কথা বলতে আগ্রহ ও ধৈর্য হয়েছে, একটি পোস্ট ডিলিট হয়ে যাওয়াতে রেফারেন্স দিতে পারছি না, বাকীগুলো দেই,
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
Click This Link
ব্লগার ঝড়১২৩ এর সাথেও তার দুই তিনটা পোস্টে তর্ক করেছি,
Click This Link
এতোগুলো পোস্টের কথা কেন বললাম জানেন? আমার ধৈর্যের ব্যাপারে কিঞ্চিত প্রমান দিতে। আপনারও কিছু পোস্ট পড়া হবে যদি আগে না পড়ে থাকেন। তাহলে বুঝবেন কেন আপনার পোস্ট পড়ার ধৈর্য হারিয়েছি।
সূরা ৩২-এর ৮ এবং ৯ আয়াত পড়ে শুক্রাণূ আর ডিম্বাণু মিলে শিশুর জন্ম সংক্রান্ত ব্যাপারই বুঝি, জিনের কথা বুঝি না মানে "বংশগতির বৈশিষ্ট্য"র ব্যাপারে বুঝি না। আল্লাহ্তাআলা হয়তো আমাকে আপনার মতো বোঝার শক্তি দেয় নাই।
যাই হোক, শেষের দিকে আপনি বললেন,
"এরপর যারা গবেষণা করতে চান তারা এ বিষয় নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করবে, আর যারা এটিকে নিছক রূপক ভাবতে চায় তারা ভাবতে থাক- কে বারন করেছে?"
আবার আপনার দাবী "প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান" মানতে আপনি আপত্তি করেন না।
তাহলে এবার আপনার কাছে প্রশ্ন অনেক অনেক দিন গবেষণা না করেই কি বিজ্ঞানের কোন তত্ত্ব "প্রতিষ্ঠিত" হয়??
আপনি তো নিশ্চয়ই প্রায় ৭০০ বছর ধরে টলেমী যে ভুল তত্ত্ব দিয়েছিলেন মানে "সূর্য পৃথিবীর চারপাশে ঘুরে" এটা চলেছিল, মানুষ এটাই জানতো। তখন এ পৃথিবীতে ইসলাম পাশাপাশিই ছিল, অসুবিধা হয়নি।
এখন বিবর্তনবাদ নিয়ে দুই পক্ষের যে চিল্লাচিল্লি হয়, এ ব্যাপারটা আপনি কেমন নজরে দেখেন? মানে বিবর্তনবাদ নিয়ে গবেষণা চলতে দেয়া উচিত কি উচিত না, কি মনে করেন?
Click This Link
এ পোস্টে দেখা যাচ্ছে বলা হলো বিবর্তন এখনো পর্যন্ত মাইক্রো লেভেলে প্রমাণিত, ম্যাক্রো লেভেল পর্যন্ত সেরকম কোন খবর নাই। তাহলে অনেক আস্তিক-নাস্তিকই যে বিবর্তনবাদ নিয়ে একটা হার্ড ডিসিশান নিয়ে ফেলে এটাকে কেমনভাবে দেখেন? আপনার এ ক্ষেত্রে অবস্থান কি?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:৩৬
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনি বলেছেন:- পুরোটা পড়ার ধৈর্য হয়নি, প্রথম দিক থেকে একটু তুলে দিলাম,
আমার লেখা ধের্য সহ না পড়ে কেউ মন্তব্য বা প্রশ্ন করলে আমি বিব্রত বোধ করি.....
আপনার প্রশ্ন:- তাহলে এবার আপনার কাছে প্রশ্ন অনেক অনেক দিন গবেষণা না করেই কি বিজ্ঞানের কোন তত্ত্ব "প্রতিষ্ঠিত" হয়??
উত্তর:- অনেক অনেক দিন গবেষণা করেই বিজ্ঞানের কোন তত্ত্ব যখন "প্রতিষ্ঠিত" হয়- সেটাকেই আমি প্রতিষ্ঠিত বিজ্ঞান হিসাবে মানি।
নাস্তিকদের বিবর্তনবাদ আর আল-কোরআনের বিবর্তন বিষয়ক তথ্য ভিন্ন-
এ বিষয়ে আমার লেখাটি পড়লে আমার অবস্থান বুঝতে পারবেন আশাকরি- Click This Link
২১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২০
মুভি পাগল বলেছেন: এসব নিয়া পড়াশূনা করবার মূজ্চায়
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫২
মাহফুজশান্ত বলেছেন: তা- পড়েন.....
২২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৩
নাজনীন১ বলেছেন: গবেষণার আবার আস্তিকতা নাস্তিকতা? কিছু ব্যাপার হচ্ছে ফ্যাক্টস, কিছু হচ্ছে অপিনিয়ন। যেগুলো ফ্যাক্টস, সেগুলো নিয়ে কারো তো কোন দ্বিমত থাকার কথা নয়। অথচ দেখা যায় মানুষ অপিনিয়ন নিয়েই মাতামাতি করতে থাকে। আর আপনার ওই পোস্ট দেখলাম। কোরআন আমাদের বিশ্বাসের অংশ। কিন্তু বৈজ্ঞানিক গবেষণায় পরীক্ষালব্ধ বা তাত্ত্বিক তত্ত্ব ও তথ্য লাগে। আপনি বিজ্ঞানের কোন তত্ত্বকে অপোজ করতে চাইলে আরেকটা বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব দাঁড় করাতে হবে, বিশ্বাস দিয়ে একাডেমিক্যালী কোন কিছু প্রুফ করা যায় না। সেটাও আরেকটা হাইপোথিসিস হয়। আর আমি আপনার দেয়া পোস্টে আর আমার দেয়া লিঙ্কের পোস্টে মূল তথ্যগত কোন পার্থক্য পাইনি। অথচ আপনার পোস্টে দেখলাম আপ্নি আর হোরাস্ দুইজন দুই মেরুতে আছেন। এটাই অবাক লাগে আমার!
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৩৮
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনি বলেছেন:- গবেষণার আবার আস্তিকতা নাস্তিকতা?
প্রথমেই বলে রাখি আমি বড় কোন গবেষক নই। অল্প-স্বল্প চিন্তা-ভাবনা করি এবং তা প্রকাশ করি মাত্র।
মূলত গবেষণার মাধ্যমে কোন তথ্য যখন প্রতিষ্ঠিত হয় অর্থাৎ যেগুলো ফ্যাক্টস, তাতে আস্তিকতা বা নাস্তিকতার কোন বিভেদ থাকে না।
গবেষণার শুরুটা একজন আস্তিক গবেষক স্রষ্টার উপর আস্থা ও বিশ্বাস নিয়েই শুরু করেন। কিন্তু একজন নাস্তিক স্বাভাবিকভাবেই তা করেন না। আর তাই যে সমস্ত বিষয় এখনও গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে তথ্যগত মিল থাকলেও অপিনিয়নের ব্যাপারে অমিল থেকেই যায়।
আমি প্রতিষ্ঠিত কোন বৈজ্ঞানিক তত্ত্বকে অপোজ করতে চাইনি। যতদিন কোন বিষয় হাইপোথেসিস এর পর্যায়ে থাকে ততদিন সেটা নিয়ে বিতর্ক চলতে পারে, অপিনিয়ন ও পাল্টা অপিনিয়ন আসতে পারে। মূলত আমি এমন ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি যা এখনও গবেষণার পর্যায়ে আছে বলে আমি মনে করি। বিষয়টি গবেষণার পর্যায়ে থাকলেও এটি আলোচনার মাঝে যে তত্ত্ব ও তথ্যগুলো এসেছে সেগুলোর বেশিরভাগই কিন্তু পরীক্ষালব্ধ প্রতিষ্ঠিত। এ কারনেই মূল তথ্যগত কোন পার্থক্য আপনি দেখতে পাননি। যেহেতু আমি একজন স্রষ্টা আছেন বলে বিশ্বাস করি, তাই অপিনিয়নের ক্ষেত্রে হোরাস এবং আমার অবস্থানটা দুই মেরুতে দেখতে পাওয়াটাই স্বাভাবিক। কার অপিনিয়ন সঠিক সেটা সময়ই বলে দেবে।
আপনার আগ্রহ প্রকাশের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
২৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৩১
শিব সত বলেছেন: "অর্থ:- আমি কি তোমাদেরকে তুচ্ছ পানি থেকে সৃষ্টি করিনি ?"
এই জায়গাটা কুরানে আমি দেখেছি..
"তুমাদের কি আমি সৃষ্টি করিনি এক তুচ্ছ জলীয় পদার্থ থেকে?"
এখানে জলীয় পদার্থ বলতে কি পানিকে বুঝানো হয়েছে?
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:০৫
মাহফুজশান্ত বলেছেন: অনুগ্রহ করে নিচের লিংকটি দেখুন
Click This Link
২৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৫৭
শিব সত বলেছেন: এইভাবে আর কত? নিচের লিংকটায় একটু ঘুইরা আসেন
Click This Link
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১১:৩৯
মাহফুজশান্ত বলেছেন: নাস্তিক সাহেবের দেয়া এসব পুরান রেকর্ড বাজিয়ে আপনার আই ওয়াশ হতে পারে।
এখন আমার দেয়া তথ্যের দিকে নজর দিন
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৫১
মাহফুজশান্ত বলেছেন: In humans, there is a gene on the Y chromosome that codes for the presence and development of testes, and if those testes are formed, then, under guidance from other genes, they will begin to produce testosterone and other hormones that, in turn, are able to stimulate development of male genitalia. (Beard quality, by the way, is a totally separate, autosomal trait with its own genes/alleles, and its expression/phenotype is influenced by a variety of factors.) However, for development of male genitalia to happen, another gene, which is located on the X chromosome and which codes for the presence and functioning of testosterone receptors, must also do so. Interestingly, in human embryonic development, development of female genitalia is the “default” condition, so if there is no Y chromosome, there are no instructions to form testes and the baby develops as a girl, but even if there are testes and testosterone, and there’s also an alternate allele that codes for “faulty” or missing testosterone receptors, the baby still developes as a girl. Thus, the mere condition of being, chromosomally, XY, does not automatically mean that person is male! Again, sex is a phenotype, not a genotype. As described below, while it is not a very common thing, it is entirely possible that someone could have an X and a Y chromosome, yet because of the ways in which her alleles/genes are expressed, be phenotypically, female. In the past, before people knew about and were able to test for X and Y chromosomes, such a woman might have been labeled as “barren” or “infertile” – a bad-enough label, but now that we know about X and Y chromosomes and can test for their presence, some people, including some doctors and researchers, forgetting that sex is a phenotype, not a genotype, much less a karyotype, incorrectly and callously try to label these women as “chromosomally male” – a term which is sheer nonsense.
The “opposite” condition is also possible. A colleague told me of a case in which a couple who were having problems conceiving a baby went to a fertility specialist, and it was discovered that the very masculine, fully-bearded husband wasn’t producing sperm because he happened to be XX. Also, sex determination works differently in different species of animals. In humans and other mammals, due to the presence of Barr bodies, the expression of the genes/alleles on the Y chromosome “normally” results in a male phenotype, and thus people who are XXY (Klinefelter’s syndrome) are “normally” male.
উপরের দয়া তথ্য অনুসারে X ও Y উভয় ক্রমজোমে টেসটিস গঠন ও টেসটোটেরন উৎপাদনের অ্যলিল/জিন থাকলেও সাধারনভাবে Y এর মধ্যকার জেনেটিক সংকেতের কারনেই মূলত পুরুষের পুরুষত্ব নির্ভর করে অর্থাৎ সন্তান জন্মের জন্য শূক্রাণুর উৎপাদন সম্ভব হয়। অতি নগন্য ব্যতিক্রম যে ঘটনাগুলো ঘটে, যেমন- কোন স্ত্রীলোকের স্ত্রী-যৌনাঙ্গ থাকা সত্বেও তার কোষে XY সেক্স-ক্রোমজমের উপস্থিতির কারনে সে নারীত্ব অর্থাৎ সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা থেকে বঞ্চিত থাকে। আবার কিছু কিছু পরুষ XX ক্রমোজম ধরান করার কারনে পুরুষের মত দৈহিক গঠন ও পুরুষাঙ্গ থাকা সত্বেও পরুষত্ব অর্থাৎ সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য শূক্রানু উৎপাদনে অক্ষম হয়। তাই XY সেক্স-ক্রমোজমের অধিকারী একজন নারীকে যেমন পূর্ণরূপে নারীত্বের অধিকারী বলা যায় না, তেমনি XX ক্রমোজমের অধিকারী পরুষকেও পূর্ণরূপে পুরুষত্বের অধিকারী বলা যায় না। সুতরাং এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, শুধুমাত্র ক্রমোজম নয়, বরং ক্রমোজমের মধ্যে নিহিত অ্যালিল বা জিনের কারনেই এরূপ ঘটনা ঘটে। X সেক্স-ক্রমজোমের মধ্যে শুধুমাত্র পরুষের পুরুষাঙ্গ- টেসটিসের গঠন ও হরমোন টেসটোসটেরন উৎপাদনের জিন থাকলেও পরুষের শূক্রাণু উৎপাদনের কোন সংকেত থাকেনা। আর তাই XX ক্রমোজমধারী কোন পুরুষ সন্তান জন্মদানে তথা শূক্রাণু উৎপাদনে অক্ষম হয়। আবার XY সেক্স-ক্রোমজমধারী কোন ফেনোটাইপ নারীও সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হয়। গবেষণায় দেখা গেছে Y ক্রমোজমের মধ্যে অবস্তিত একটি মাত্র জিনের (SRY) উপস্থিতি maleness অর্থাৎ পরুষত্বের কারন। কথনও X সেক্স-ক্রমজোম এই SRY জিন বহন করলেও XX ক্রমোজমধারী পুরুষটি sterile অর্থাৎ সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হয়। সুতরাং গভীরভাবে চিন্তা করলে বুঝে নেয়া যায় যে, X+X অথবা X+Y মিলে সন্তান জন্ম নিলেও, শুধুমাত্র আকৃতিতে পুরুষ বা স্ত্রী নয়, বরং পরিপূর্ণ পুরুষ সস্তান জন্মের জন্য X সেক্স-ক্রমজোমের সাথে (SRY) জিন বহনকারী Y ক্রমোজমের মিলন অপরিহার্য। এর ব্যতিক্রম ঘটলেই নানা রকম অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়। ফলে বংশবিস্তারে অক্ষম সন্তান জন্ম নয়ে।
এখানে স্রষ্টা মহান আল্লাহতায়ালা যে আরবী শব্দ ‘নুতফা’ ব্যবহার করেছেন প্রকৃত অর্থে এটি কোন লিঙ্গ নির্দেশ করেনা। X এর সাথে X অথবা X এর সাথে Y এর মিলন ঘটলেই স্ত্রী/পুরুষ সন্তানের জন্ম হতে পারে। সন্তান জন্মের জন্য সংমিশ্রিত তরল পদার্থের অতি সুক্ষ্ম অংশ বলতে যে ‘নুতফা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে প্রকৃত অর্থে এটি দ্বারা X এবং Y উভয় ক্রমোজম বহনকারী শুক্রাণুকে/ডিম্বাণূকে বোঝান যেতে পারে।
এবার ৩২ নং সূরার ৮ নং আয়াতের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই-
(৩২ : ০৮) ছুম্মা জ্বাআলা নাছলাহূ মিন ছুলা-লাতিম মিম মা-য়িম মাহীন।
(৩২ : ০৮) অর্থ:- অতঃপর তিনি তার বংশধারা বা ভিত্তি স্থাপন করেছেন তুচ্ছ পানির নির্যাস থেকে
এখানে তুচ্ছ পানির নির্যাস বলতে X এবং ও Y ক্রমোজমের মধ্যকার জিনগুলোর কথাই সম্ভবত বোঝান হয়েছে। বিশেষ করে পুরুষের বীর্যের Y ক্রমোজমের SRY জিনের কারনে যেহেতু একজন সন্তান পূর্ণরূপে পুরুষ হবে, নাকি স্ত্রী হবে তা নির্ভর করে। তাই এর দ্বারা মূলত পুরুষের বীর্যের Y ক্রমোজমের মধ্যে অবস্থিত এই SRY জিনেকেও বোঝান যেতে পারে। কারন এই SRY জিনের কারনেই মূলত বংশধারা রক্ষা করা অর্থাৎ বংশবিস্তারে সক্ষম সন্তান উৎপাদনের বিষয়টি নির্ভরশীল।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৫৮
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আল-কোরআনে এ ধরনের আরও অনেক শব্দ ও আয়াত এসেছে তা যখন নাজিল হয়েছিল শুধু তথনকার জন্য নয়, বরং কেয়ামত পর্যন্ত এর সঠিক অর্থ বোঝানোর জন্যই মহান স্রষ্টা শব্দটাকে সেভাবেই ব্যবহার করেছেন। মানুষের জ্ঞানের পরিধি যত বিস্তৃত হবে, সে চিন্তা-ভাবনা করলে তত সূক্ষ্মভাবে তার অর্থ বুঝতে সক্ষম হবে।
আমি সব তফসীরকারগণের উপর শ্রদ্ধা রেখে বলতে চাই যে, তাঁরা তাদের সে সময়কার বৈজ্জ্ঞানিক জ্ঞান অনুসারে ভিন্ন জন বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন। আর তাই আমি কখনই সেসব ব্যাখ্যার সমালোচনার পক্ষে নই অথবা তাদের এই মহৎ প্রচেষ্টাকে আমি ভুল বলতে রাজি নই।
।
আল-কোরআনের অন্যান্য সব বিষয়ের ব্যাখ্যায় আমি নিশ্চয় তাদের মত যে পারদর্শি নই- তা নির্দিধায় স্বীকার করছি। তবে এ বিষয়টিকে হয়ত আল্লাহতায়ালা আমাকে এভাবে চিন্তা-ভাবনা করার মত যৎসামান্য জ্ঞান অর্জনের ও ব্যাখ্যা করার সুযোগ দিয়েছেন। যেহেতু আমি বর্তমান কালের নমকরা আলেম ব্যক্তিবর্গের বা বুদ্ধিজীবি সমাজের অন্তর্ভূক্ত নই, সুতরাং আপনারা অথবা আলেম সমাজ আমার এই যৎসমান্য প্রয়াশকে গ্রহণ করতেও পারেন অথবা নাও করতে পারেন। তা নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই। আমাকে আল্লাহতায়ালা যতটুকু বোঝার মত তৌফিক দিয়েছেন- আমি তা প্রকাশ করেছি মাত্র। এখন সর্বজ্ঞ মহান স্রষ্টা যা চাইবেন তাই হবে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৯:৫৭
মাহফুজশান্ত বলেছেন: মন চাইলে ধৈর্যসহ নিচের লিংকটি ঘুরে আসুন
Click This Link
২৫| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৫৮
শিব সত বলেছেন: এইসব ভাওতাভাজিতো নতুন কিছু না, এই মহাবিশ্বের উৎপত্তি,প্রাণের উৎপত্তি সবই কুরানে লেখা আছে বিজ্ঞানীরা খালি এখন এইগুলান নতুন কইরা আবিষ্কার করতাছে।আশা করি বিগ ব্যাং এর পূর্বাবস্থাও কিছুদিন পরে আপনারা কুরান থিকা আবিষ্কার করবেন।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪২
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আপনি কিন্তু অর্থহীন কথা বার বার একই ভঙ্গিতে বলেই চলেছেন। আল-কোরআন সম্পর্কে সীমিত জ্ঞান তো বটেই, বিজ্ঞান সম্পর্কেও আপনার জ্ঞান এতটুকু পরিষ্কার নয় তা আপনার কথাবার্ততে ফুটে উঠছে।
আল-কোরআনের বাণী-
(৬১:৮) তারা মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর আলো নিভিয়ে দিতে চায়। আল্লাহ তাঁর আলোকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে।
(৩১:৪০) আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ কোরআনকে বিশ্বাস করবে এবং কেউ কেউ বিশ্বাস করবে না। বস্তুতঃ তোমার পরওয়ারদেগার যথার্থই জানেন দুরাচারদিগকে।
(৩১:৪১) আর যদি তোমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে, তবে বল, আমার জন্য আমার কর্ম, আর তোমাদের জন্য তোমাদের কর্ম। তোমাদের দায়-দায়িত্ব নেই আমার কর্মের উপর এবং আমারও দায়-দায়িত্ব নেই তোমরা যা কর সেজন্য।
(৩১:৪২) তাদের কেউ কেউ কান রাখে তোমাদের প্রতি; তুমি বধিরদেরকে কি শোনাবে যদি তাদের বিবেক-বুদ্ধি না থাকে!
(৩১:৪৩) আবার তাদের মধ্যে কেউ কেউ তোমাদের প্রতি দৃষ্টিনিবদ্ধ রাখে; তুমি অন্ধদেরকে কি পথ দেখাবে যদি তারা মোটেও দেখতে না
পারে।
(৩১:৪৩) আল্লাহ জুলুম করেন না মানুষের উপর, বরং মানুষ নিজেই নিজের উপর জুলুম করে।
যদি সব ভাওতাবাজি মনে হয়, তবে আপনার মত ও পথ নিয়ে আপনি থাকেন। আমার মত ও পথ নিয়ে আমি থাকি।
খামাখা না.....ক> গলাচ্ছেন কেন?
২৬| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩১
এ.বি.এম. মহসিন বলেছেন: লুকার বলেছেন: @মহসিন সাব ডারউইনিজম যদি বিজ্ঞান হয়, তাইলে নিশ্চয় এইটা কোরানে বলা আছে।
মাথা পাগলা ⎝⏠⏝⏠⎠ বলেছেন: @এ.বি.এম. মহসিন: ডার ঊইন এর বিবর্তন বাদ ত এখন ভূল প্রমানিত, সেই খবর টা কি রাখেন ???
স্কুলে পড়েছিলাম ১টি কমলা + ৪ কমলা + ৫টি আপেল = ৫টি কমলা + ৫ আপেল। যারা কমলা আর আপেলের পার্থক্য বোঝার চেষ্টা করে না তাদের জন্য সময় নষ্ট আর কষ্ট করে মন্তব্য করা বৃথা তারপরও বলতে হয়-
বিজ্ঞান পরিবর্তনশীল, এখানে ধ্রুব সত্য বলে কিছু নেই। আজ যা বিজ্ঞানে ধ্রুব সত্য প্রমাণিত হয়েছে কাল তা স্থান ও সময়ের পার্থক্যে পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে এটাই বিজ্ঞানের অগ্রগতির পথে পাথেয় ও সৌন্দর্য্য। যা কোন ধর্মগ্রন্থের নেই। খেয়াল করুন আমি ধর্মগ্রন্থ বলেছি কোরআন বলি নি। যে দুই ধরণের গ্রন্থের (বিজ্ঞান গ্রন্থ ও ধর্মগ্রন্থ) ভিত্তিই আলাদা তাকে আপনারা কেন একপাল্লায় মাপার জন্য তুলেছেন সেই ভেবে কূল পাই না। স্কুলে বীজগণিতে শেখা সেই জ্ঞান টুকুও কি লোপ পেয়েছে।
অনেকেই দাবী করেছেন- কোরআনে সবকিছু আছে। তাদের কাছে জানতে চাই কোরআনে আছে কি?
কিভাবে কম্পিউটার তৈরি করতে হয় তার ম্যানুয়্যাল? কিভাবে ইন্টারনেট কাজ করে তার বর্ণনা? কিভাবে মোটর ঘোরে তার বিবরণ? কিভাবে একটি আলপিন তৈরি করতে হয় তা কৌশল? এমন হাজারও প্রশ্ন করা যায় যা কোরআনে কেন কোন ধর্মগ্রন্থে নেই। থাকলে দয়া করে রেফারেন্স দেন একটু পড়ে দেখার চেষ্টা করবো।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৮:৩৫
মাহফুজশান্ত বলেছেন: জ্ঞানগর্ভ গ্রন্থ আল-কোরআন নিছক কোন বিজ্ঞানের বই নয়, বরং একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। আল-কোরআনে বিজ্ঞানের বিস্তারিত বিবরণ নেই বটে। তবে এতে মহাবিশ্বের সৃষ্টি থেকে শুরু করে কিয়ামত পর্যন্ত সর্ববিধ উল্লেখযোগ্য ও পথ প্রদর্শনকারী ঘটনাগুলো সম্পর্কে এবং সার্বজনীন কল্যাণকর আইন কানুন ও রীতি নীতির বিষয়ে মহান আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে ঐশী ইংগিত প্রদান করা হয়েছে। "মহান স্রষ্টা যে আছেন" আল- কোরআনই তার চিরন্তর জ্জ্বলন্ত প্রমাণ। প্রায় ১৪৫০ বছর পূর্বেই মহান স্রষ্টা তাঁর প্রেরতি গ্রন্থ আল-কোরআনে এমন সব অকাট্য বৈজ্ঞানিক তথ্যের অবতারনা করেছেন যেগুলোর মর্ম ধীরে ধীরে উপলব্ধি করা সম্ভব হচ্ছে। এ বিষয়টি তো সর্বজ্ঞ আল্লাহতায়ালার পরিকল্পনার মধ্যেই ছিল এবং তিনি ভালভাবেই জানতেন যে, এমন এক সময় আসবে যখন আল-কোরআনে প্রদত্ত বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো অন্যান্য ধর্মের বিজ্ঞানীদের দ্বারা তাদের অজান্তেই সত্য বলে আবিষ্কৃত হতে থাকবে। এরফলে এই সত্য তথা প্রতিষ্ঠিত বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো একদিকে যেমন তারা সরাসরি অস্বীকার করতে পারবে না, অপরদিকে তেমনি এই তথ্যগুলো কিভাবে আল-কোরআনে স্থান পেল তা অবিশ্বাসীরা ভেবে কুল পাবেনা। কিন্তু এই সত্য তথ্যগুলোকে যে স্বয়ং মহান স্রষ্টাই তাঁর প্রেরিত মহাগ্রন্থে মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য আগে থেকেই সংযোজন করে রেখেছেন তা ঈমানদারেরা সহজেই বুঝে নেবে ও একবাক্যে বিশ্বাস করে নেবে। এই ঐশী তথ্যগুলোর অছিলায় অনেক নীরহংকার জ্ঞানী ও বিচক্ষণ ব্যাক্তিবর্গ যে ইমানের আলোয় আলোকিত হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। তবে এপরও যারা অহংকার বশত বে-ইমানের পথে পা বাড়াবে তাদের ফায়সালার জন্য তো মহান আল্লাহই যথেষ্ট। অবিশ্বাসীরা যখন বিজ্ঞানের নামে মিথ্যে মতবাদ ও ত্বত্ত্বের ছলনায় সরল মানুষদেরকে ধোঁকা দিয়ে ঈমান নষ্টের খেলায় মেতে উঠবে, তখন ঈমানদার বান্দারা আল্লাহ প্রদত্ত ঐশী-দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে বৈজ্ঞানিক সত্য তথ্যগুলো এমনভাবে উপস্থাপন করবেন যে, আবিষ্কৃত তথ্যগুলো বুমেরাং হয়ে তাদেরই মনগড়া মতবাদকে মিথ্যা প্রমাণিত করবে। আল্লাহতায়ালা এভাবে সত্যকে প্রকাশিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত করেন এবং ঈমানদার বান্দাদের চেষ্টা ও সাধনাকে বিজয় দান করেন। স্থান, কাল ও পাত্রভেদে কোন মতবাদ বা ত্বত্ত্বকে হয়ত সেই নির্দিষ্ট কাল বা স্থান বা সীমাবদ্ধ কোন মানবগোষ্ঠীর জন্য লাভজনক বা সঠিক বলে মনে হতে পারে। কিন্তু আল-কোরআনের মাপকাটিতে যদি তা সার্বজনীন ও সঠিক হিসেবে বিবেচিত না হয় তবে সাময়িকভাবে যত লাভজনক ও আকর্ষণীয়ই মনে হোক না কেন, তাতে ঈমানদারগণের কিছুই যায় আসে না এবং তা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। সুতরাং রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, বিজ্ঞান, শিক্ষানীতি ইত্যাদি সবগুলো ক্ষেত্রেই আধুনিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সেইসাথে আল-কোরআনকে সত্যের মাপকাঠি হিসেবে ধরে নিয়ে ঈমান বিনষ্টকারী অকল্যাণকর সকল মতবাদ ও ত্বত্ত্বের খারাপ দিকগুলো সর্বসাধারনের মাঝে তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি ঈমানের ভিতকে শক্ত ও পোক্ত করে এমন বক্তব্যগুলোকে সমুন্নত রাখতে হবে। এর ফলে বিশ্বাসীগণের বিশ্বাস হবে সুদৃঢ়। হয়তো বা কোন অবিশ্বাসীর হৃদয় ঈমানের আলোয় হতে পারে আলোকিত। সবই সর্বদ্রষ্টা আল্লাহতায়ালার ইশারা মাত্র।
২৭| ১২ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:০৬
অনিক আহসান বলেছেন: মাহফুজ ভাই আপনি একজন বিশ্বাসীর দৃস্টিকোন থেকে দেখছেন বলে আপনার কাছে মনে হচ্ছে ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞানের সব কথা বলা আছে....
১২ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৪০
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ভাই, অন্য কেউ যদি অবিশ্বাসের দৃষ্টিকোন থেকে দেখতে চায়- তাহলে সেটা তার ব্যাপার-
তবে আমি কখনই ভাবি না যে, ধর্মগ্রন্থে বিজ্ঞানের সব কথা বলা আছে-
আমার ধর্মগ্রন্থকে আমি- একটি পুর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসেবেই বিশ্বাস করি-
বিজ্ঞানের ফ্যাক্টস্গুলো তো অস্বীকার করার বিষয় নয়-
এই তথ্যগুলোকে যে স্বয়ং মহান স্রষ্টাই তাঁর প্রেরিত মহাগ্রন্থে মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য আগে থেকেই সংযোজন করে রেখেছেন তা অন্যান্য ঈমানদারের মত আমিও বিশ্বাস করি-
২৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ৯:৫১
জা না লা বলেছেন: আপনি কোন প্রাণ নিয়ে গবেষনা করেন? যারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব ভুয়া প্রমানিত হচ্ছে বলে চিন্তিত, তাদের প্রাণ নিয়ে?
১৭ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:১৯
মাহফুজশান্ত বলেছেন: যারা স্রষ্টায় বিশ্বাসী বা অবিশ্বাসী- সবারই 'প্রাণ' আছে বলেই তারা জীবন্ত-
স্রষ্টার অস্তিত্ব সম্পর্কে যারা সন্দিহান- তাদের নিয়ে আমি মোটেই চিন্তিত নই-
সেই বিভ্রান্ত মানুষগুলো তাদের 'প্রাণ' সম্পর্কে চিন্তা করলে খুব সহজেই মহান স্রষ্টার অস্তিত্ব ও সর্বময় ক্ষমতা উপলব্ধি করতে সক্ষম হতে পারে-
২৯| ১৭ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:১০
অপলক বলেছেন: ""সূরা নূর- আয়াত নং-৪৫
(২৪ : ৪৫) অর্থ:- আল্লাহ্ সকল প্রকার প্রাণীকে সৃষ্টি করেছেন পানি থেকে। ""
এখানে পানি শব্দটি সরাসরি বলতে পারেন না। যে আরবি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, তার প্রকৃত অর্থ হল তরল। কিন্তু সেই আরবি শব্দের অর্থ আরব উপজাতিদের মধ্যে ছিল, পানি। তরল বলতে পানি ছাড়া অন্যান্য মৌল কেও বোঝায়। কাজেই বঙ্গানুবাদ করতে সাবধান হোন।
১৭ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:২৭
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ভাই, আমার এ পোষ্টের সাথে দেয়া অন্যান্য লিংকগুলো পড়ে দেখার জন্য অনুরোধ রইল-
'মা'- শব্দটি দ্বারা সরাসরি পানিকেও বোঝায়, আবার ক্ষেত্র বিশেষে তরল পদার্থকেও বোঝানো যেতে পারে-
নিচের লিংটি দেখুন- এখানে এ বিষয়টি আলোচনা করেছি-
পানি থেকে প্রাণ, স্রষ্টার দান - এ বিষয়ে বিজ্ঞান ও আল-কোরআন
৩০| ১৭ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১০:৩৮
জাওয়াদ তাহমিদ বলেছেন:
দারুন হইসে । প্রিয়তে নিলাম।
তবে একটু সাবধান থাইকেন। এইখানে কিছু কুখ্যাত নাস্তিক আছে। আশা করি সজীব আকিব নামক জাহান্নামের কীট টাকে ইতমদ্ধেই চিনে ফেলসেন।
ওই বেয়াদব টা মুক্তমনার কথা বলতেছে। মুক্তমনা ত নাস্তিক দের আড্ডা খানা। আল্লাহ এদের বুঝার তাওফিক দিন । আমিন
১৭ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:৪১
মাহফুজশান্ত বলেছেন: নাস্তিকদের কাছ থেকে সাবধান থাকার কি আছে?
ওরা তো স্বঘোষিত নাস্তিক-
সাবধান যদি থাকতেই হয়- তাহলে অঘোষিত বহুরূপী মুনাফেকদের কাছ থেকেই থকতে হবে এবং চিনতে হবে-
৩১| ১৭ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৩:২৮
জাওয়াদ তাহমিদ বলেছেন:
"সাবধান যদি থাকতেই হয়- তাহলে অঘোষিত বহুরূপী মুনাফেকদের কাছ থেকেই থকতে হবে এবং চিনতে হবে"
দারুন বলেছেন। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার এই যে এই জিনিস ও এখন দুনিয়াতে ভরি ভরি ।
১৭ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৯:১৩
মাহফুজশান্ত বলেছেন: হুম- যা বলেছেন----
তবে অযথা ওদেরকে নিয়ে দুঃখ করবেন না-
যে যেমন কর্ম করবে, সে তো তেমনই ফল ভোগ করবে- তাইনা?
৩২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৭
অমিয় উজ্জ্বল বলেছেন: পিতা ছাড়া ঈসা নবীর জন্ম লাভের বিষয়টাকে যদি একটু বৈজ্ঞানিক ভাবে ব্যখ্যা করতেন উপকৃত হইতাম।
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:০৭
মাহফুজশান্ত বলেছেন:
এখানে দেখুন, হয়ত কিছুটা আভাস পেয়ে যেতে পারেন-
৩৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২৮
অমিয় উজ্জ্বল বলেছেন: ও আচ্ছা ওইটা তাহলে ক্লোনিং ছিল।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০০
মাহফুজশান্ত বলেছেন: না কখনই তা ক্লোনিং ছিল না-
আরেকটু ভাল করে মন্তব্যগুলো সহ পড়ে দেখুন। আমি কখনই ঈসা (আঃ) এর জন্ম রহস্যকে ক্লোনিং এর সাথে তুলনা করি নাই-
৩৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৯
অমিয় উজ্জ্বল বলেছেন: তাহলে তো কানের টিস্যু থেকে কর্ণের জন্মটাকেও ক্লোনিং বলা যাবে, তারপর গণেশের মাথা লাগানোটা ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারী বলা যাবে, সোলেমান (আঃ) এর সিংহাসন সমেত উড়ে যাওয়া বা কৃষ্ঞের রথ সহ উড়ে যাওয়াটা এরোপ্লেনের সাথে তুলনা করা যাবে। এই ভাবে তো তাহলে ধরেন আমরা ঠাকুর মা র ঝুলি , আরব্য উপন্যাস, মহাভারত সব গুলারেই এক একটা বৈজাঞানিক গ্রন্থ বলতে পারব কি বলেন? এবং যেহেতু বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত হওয়ার ও শ শ বছর আগে ঐসব বই লেখা হয়েছিল সুতরাং ওগুলোকে ও একেকটা ঐশী গ্রন্থ বলা যাবে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৩
মাহফুজশান্ত বলেছেন: আবারও আপনি আমার বক্তব্য না বুঝেই অযথা এসব তুলনা করছেন- আপনি কি সেই পোষ্ট ("ভ্রান্তির কবলে ক্লোনিং"- অবিশ্বাসীর চোরামি আর ধর্মান্ধের গোঁড়ামি) ও মন্তব্যগুলো পড়েছেন?
আমি কি ঈসা (আঃ) এর জন্ম রহস্যকে কোথাও ক্লোনিং এর সাথে তুলনা করেছি!?
কোনটাকে ঐশী গ্রন্থ বলা যাবে বা যাবে না- সেটা যে যেভাবে ভাবতে চায় সে ব্যাপারে আমার কোন ইন্টারেস্ট বা মাথা ব্যাথা নেই-
শুধু ঈসা (সাঃ) এর জন্ম রহস্যকেই নয়- সম্পূর্ণ আল-কোরআন এর প্রতিটি নির্দেশ ও আয়াতকে আমি অবশ্যই ঐশী বলে বিশ্বাস করি-
৩৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:১০
অমিয় উজ্জ্বল বলেছেন: পিতা ছাড়া অর্থাৎ শুক্রাণু ছাড়াও যে মাতৃগর্ভে সন্তান জন্ম নিতে পারে, এক সময় এ বিষয়টি অত্যন্ত বিতর্কিত ও অবিশ্বাস্য ছিল। তাই হযরত ঈশা (আঃ)-এর জন্ম রহস্য অনেকের কাছেই একটা অবান্তর এবং অবৈজ্ঞানিক গুজব হিসেবে পরিগণিত হত। অবিশ্বাসের ঘোরে নিমজ্জিত মানুষেরা তাই আল্লাহর স্বঘোষিত এই সত্য নিদর্শনটিকে কতিপয় মিথ্যে মতবাদের আড়ালে ঢেকে রাখতে চেয়েছে। এমন কি কুৎসা রটনা করতেও পিছপা হয়নি। বর্তমানে ক্লোন-পদ্ধতি উদ্ভাবনের ফলে এ বিষয়টি তো অন্ততঃপক্ষে প্রমাণিত হয়েছে যে, বিশেষ উপায়ে শুক্রাণুর বদলে একটি জীবন্ত স্ত্রী-প্রণীর পূর্ণাঙ্গ ও জীবন্ত কোষ থেকে নিউক্লিয়াস সংগ্রহ করে তা একই জাতীয় অন্য একটি প্রাণীর ডিম্বাণুতে বিশেষ উপায়ে নিষিক্ত করলে ভ্রুণ গঠিত হয় এবং এতে ক্ষীণ বৈদ্যুতিক তরঙ্গ প্রবাহিত করে ক্রিয়াশীল রাখা হয়। এরপর কয়েকদিন (৫ - ৬ দিন) কৃত্রিমভাবে কালচার করার সময় যে ভ্রুণগুলোকে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে দেখা যায়, সেগুলোকে মাতৃ-জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করলে এবং মহান স্রষ্টার ইচ্ছা ও অনুগ্রহ থাকলে গতানুগতিক জন্মপ্রক্রিয়ায় একটি পূর্ণাঙ্গ প্রাণী জন্মলাভ করে।
আমরা জানি ক্লোন পদ্ধতিতে প্রাণী জন্ম দেয়ার ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হল যে, একটি প্রাণী ক্লোন করতে কয়েকশ’ নতুন ডিম্বাণুর প্রয়োজন হয়। একে তো জৈব-পদ্ধতিতে ডিম্বাণূ সংগ্রহ করা সময়সাপেক্ষ ও জটিল একটি প্রক্রিয়া এবং অন্যদিকে কয়েকশ’ ডিম্বাণূ সংগ্রহের পর কোন ডিম্বাণূটি কাজে লাগবে তা ডিম্বাণুগুলোর স্রষ্টা মহান আল্লাহতায়ালাই ভাল জানেন। এ পদ্ধতিতে জন্মগ্রহণকারী নবজাতক প্রাণীটি পূর্ণাঙ্গ কোষ দানকারী প্রাণীটির প্রতিরূপ বা কার্বন কপির মতো হয়। বিজ্ঞানীদের পক্ষে যদি এরূপ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়, তবে সর্বশক্তিমান আল্লাহপাক তাঁর ইচ্ছা ও অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে হযরত মরিয়ম (আঃ)-এর পবিত্র গর্ভে কোনো পুরুষের ঔরস ছাড়াই বিশেষ গুণ ও বৈশিষ্ট্যের অধিকারী তাঁর অত্যন্ত প্রিয় ও অন্যতম নবী হযরত ঈশা (আঃ)-কে কেন সৃষ্টি করতে পারবেন না? [/sআপনার কথা আমি বুঝতে পারিনি? এখানে আপনার সেই পোস্টের অংশ বিশেষই তুলে দিলাম।
আপনি ক্লোনিং এর কথা বলে ঈসা নবীর জন্মকে ব্যখ্যা করতে চাইলেন। জানিনা আবারো বলবেন কি না যে আমি আপনার কথা ঠিকমত বুঝিনাই। আচ্ছা আপনি যেটা করছেন সেটাকে কি ব্লগীয় ভাষায় পিছলামি বলা যাবে?
০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:২০
মাহফুজশান্ত বলেছেন: কপি করা এই অংশ থেকে আপনি কি প্রমান করতে চাইলেন? তা তো বুঝিয়ে বললেন না।
ঈসা (আঃ) কে কোনিং করে সুষ্টি করা হয়েছে- এমন উদ্ভট দাবি কি আমি এখানে করেছি!? সেই লাইটি আমাকে দেখিয়ে দিলে আমি অবশ্যই তা মুছে দেব-
বরং আমি স্পষ্ট ভাবে বলেছি- (যদিও ঈসা (আঃ) কে জন্মদানের জন্য ক্লোনিং পদ্ধতিই ব্যবহার করা হয়েছে এমনটি ভাববার প্রশ্নই আসে না। কিন্তু তাই বলে মানুষের উদ্ভাবিত এই পদ্ধতিকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়াও ঠিক নয়।) - এই অংশটি কি আপনার একবারও চোখে পড়েনি!?
আমি আবারও বলছি- আপনি আমার ইন্টেনশন বুঝতে পারেন নাই-
আপনি বিষয়টিকে পিছলামি ভাবলে ভাবতে পারেন, তাতে আমার কিছুই যায় আসবে না। কারন আমি যা বলেছি, তা জেনে বুঝেই বলেছি-
ধন্যবাদ-
৩৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ২:০২
অবাঞ্চিত বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম,
বিনোদনের জন্য ধন্যবাদ ভাইজান। অনেকক্ষন ধরিয়া আমার ন্যানোফটোনিক্স বই খানায় ইহুদী নাসারাদের একগাদা সমীকরন ও তত্ত্ব হাতরাইয়াও কোন কুল কিনারা পাইতেছিলাম না । পক্ষান্তরে অধিককাল ইহুদী নাসারাদের বই নাড়াচাড়ার ফলে ঈমানী অবস্থাও সংগিন। এমতাবস্থায় আপনার জ্ঞানবিদারী পোষ্টখানা আমাকে যথেষ্ট আনন্দ দিয়াছে এবং ঈমান পুরোপুরি সচল করিয়াছে। শুধু একখানা কষ্ট এইমূহুর্তে পাইতেছি। তাহা হইল, এতবছর এতগুলো রজনী জাগিয়া নিদারুন কষ্ট করিয়া দূরদেশে পড়িয়া থেকে যে জ্ঞানের সন্ধানে ঘুরিতেছিলাম যদি ইহা না করিয়া ইনকিলাব পড়িয়া মাদ্রাসার পাশেই তালগাছের চাষ করিতাম তবে অনেক আগেই আমার মোক্ষ জ্ঞান লাভ হইত সাথে সাথে আবিষ্কৃত তো বটেই অনাবিষ্কৃত সকল জ্ঞান তালগাছ সহ আমার হইত।
আফসোস ইহুদী নাসারার বই বাছিয়া লইয়া আমি দিব্যজ্ঞান ও তালগাছ দুইই হারাইলাম
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:০৪
মাহফুজশান্ত বলেছেন: ইহুদী নাসারাদের বই নাড়াচাড়া করিয়া কেউ যদি কামের জ্ঞান লাভ করিতে পারে তাতে আপত্তির কি আছে?
জ্ঞান অর্জনের লাগিয়া আরব হইতে সুদূর চিনে যাইবারও পরামর্শ দেয়া হয়। আর আল-কোরআনে নাযিলকৃত প্রথম শব্দটি হইল 'ইক্বরা' অর্থাৎ 'পড়'। এই পড়া শুধু পেট পূজার তাগিদে নয়কো, বরং অন্তর ঢালিয়া বুঝিয়া শুনিয়া পড়া।
সুতরাং জ্ঞান সাধকেরা তালগাছ কিংবা বটবৃক্ষ নয়, বিবেকের টানেই পড়াশুনা করেন।
আর ধর্ম-বর্ণের বিভেদ টেনে জ্ঞানার্জনের পথকে রুদ্ধ করা বিবেকবান মানুষের লক্ষণ নয়।
বেশি বলার দরকার নাই, আপনি যে তালগাছের পূজারী, নিজেই তা প্রমাণ করিয়া ছাড়িলেন।
মহান আল্লাহতায়ালা যেন আমাদের সরল ও সত্য পথে চলার তৌফিক দান করেন-
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৮:০৪
মৈত্রী বলেছেন: লেখার সংগঠন ভালো হয়েছে, প্রথম প্লাস।
তবে নাস্তিকরা আপনাকে অপ-বিজ্ঞান প্রচারের অপবাদে মাইনাস দিবে।
সীমানির্দেশিত বিবর্তনের আগে আপনার (যৌন ও অযৌন জনন) বানানটা সংশোধন করে দিন।
ধন্যবাদ।